নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১১০ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১০। তোমরাই মানব জাতির জন্য খাইরা (শ্রেষ্ঠতম) উম্মতরূপে তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের আদেশ দিবে এবং অসৎকাজে নিষেধ করবে।আর আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করবে। আর যদি আহলে কিতাব বিশ্বাস স্থাপন করতো তবে অবশ্যই তাদের জন্য ভালো হতো। তাদের মধ্যে কেউ কেউ তো মোমেন। আর তাদের অধিকাংশ ফাসেক।
* খাইরা উম্মতকে আল্লাহ সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজের নিষেধের দায়িত্ব প্রদান করেছেন। সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে নিষেধ প্রদানের একটি মাধ্যম হাদিস।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৯ নং আয়াতের অনুবাদ।
৯। হে মুমিনগণ! জুমুয়ার দিন যখন সালাতের জন্য আহবান করা হয় তখন তোমরা আল্লাহর যিকিরের দিকে দৌড়িয়ে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ কর। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা বুঝ।
* জুমুয়ার জামায়াতে সামিল হওয়া আল্লাহর আদেশ। সেই জামায়াতের ইমাম প্রত্যেক জুমুয়ায় সৎকাদের আদেশ দেন এবং অসৎকাজে নিষেধ করেন। সুতরাং তাঁদের খাইরা উম্মত হওয়া সুনিশ্চিত বিষয়।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* নিজেদের মাঝে মতভেদ করতে আল্লাহ নিষেধ করেছেন। সুতরাং জুমুয়ার ইমামগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে যে সব জুমুয়ার ইমাম মতভেদ করে তারা খাইরা উম্মত নয়।সুতরাং খাইরা উম্মত হলো জুমুয়ার ইমামগণের সর্ববৃহৎ দল। সুতরাং জুমুয়ার ইমামগণের সর্ববৃহৎ দল নিজেরা যে সব হাদিসের আমল করেন এবং তাঁরা যে সব হাদিসের আমল করতে বলেন, কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী সেসব হাদিস সহিহ।
ইমামগণের সর্ববৃহৎ দল যে খাইরা উম্মত তার প্রমাণ তো কোরআন ও হাদিসে বিদ্যমাণ। কিন্তু ইমাম বোখারী (র.) যে খাইরা উম্মত তার প্রমাণ কি কোরআন ও হাদিসে আছে?
সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৫ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৫। হযরত এমরান ইবনে হুছাইন (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম হলো আমার যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা। অতঃপর তার পরবর্তী যামানা।এমরান বলেন রাছুলুল্লাহ (সা.) তাঁর যামানার পর দু’ যামানার উল্লেখ করেছেন, না তিন যামানার উল্লেখ করেছেন ত’ আমার সঠিকভাবে মনে নেই।এরপর তোমাদের পর এমন কিছু লোকের আবির্ভাব যারা সাক্ষ্য দান করবে অথচ তাদের নিকট সাক্ষ্য চাওয়া হবে না। তারা বিশ্বাস ঘাতকতা করবে। সুতরাং তাদেরকে কখনও বিশ্বাস করা যাবে না। তারা খুবই মোটা সোটা ও হৃষ্টপুষ্ট দেহের অধিকারী হবে।
সহিহ আল বোখারী, ৩৩৮৬ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৩৮৬। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, লোকদের মধ্যে সর্বোত্তম সময হলো আমার সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। অতঃপর তৎপরবর্তীদের সময়। তারপর এমন একদল লোকের উদ্ভব ঘটবে যাদের কেউ শপথ করার পূর্বে সাক্ষ্য দিবে এবং সাক্ষ্য দিবার পূর্বে শপথ করবে। ইব্রহীম নখয়ী (র.) বলেন, আমাদের মুরুব্বঈরা আমাদেরকে সাক্ষ্য দিবার জন্য ও ওয়াদা করার জন্য প্রহার করতেন। তখন আমরা ছোট ছিলাম।
* ইমাম বোখারী (র.) সংকলিত হাদিস অনুযায়ী তিনি বিশ্বাস ঘাতক যুগের লোক। খাইরা উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের আমলের গরমিল কিছু হাদিস সংকলন করে তিনি তাদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছেন। সুতরাং তাঁকে সহিহ মানা যায় না। তবে তাঁর সংকলিত যে সব হাদিস খাইরা উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের আমলে বিদ্যমান সেসব হাদিস অবশ্যই সহিহ। কারণ সহিহ লোকের আমলে বিদ্যমাণ হাদিসকে সহিহ নয় বলার সুযোগ নেই।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এখানে কোরআনের বিবেচনাকে গ্রহণ করা হয়েছে। সুতরাং এখানে আপনার বিবেচনা গ্রহণযোগ্য নয়। তবে ইহুদীরা সেরা বলে আল্লাহ চাইতেন তারা মুসলিম হোক। তবে তারা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ না করাতেও মুসলিমদের তেমন অসুবিধা হচ্ছে না। কারণ মুসলিমরা এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মানব গোষ্ঠি। আর এদিক থেকে কেউ ইহুদীদেরকে গনায় ধরে না। কারণ তারা নাস্তিকদের থেকেও সংখ্যায় কম।
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
সোনাগাজী বলেছেন:
মানব সভ্যতা সম্পর্কে আপনার সঠিক ধারণা নেই; আফ্রিকার জনসংখ্যা ১.৪ বিলিয়ন, ইউরোপের জনসংখ্যা ০.৫ বিলিয়ের চেয়ে কম; কিন্তু ইউরোপের মানুষ জ্ঞানী ও সুখে আছে।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি কি আপনার প্রিয় ইহুদীকে মন্দ বলেছি? আমি কি তাদেরকে গালি দিয়েছি? আমি বলেছি কোরআনের বিবেচনায় তারা শ্রেষ্ঠ নয়। আর কোরআনের বিবেচনাকে তো আপনি বিবেচনাই মনে করেন না। তাহলে কোরআনের কথায় আপনার সমস্যা কি?
৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯
কামাল১৮ বলেছেন: ইসলামে কোন কিছুরই কোন প্রমান নাই।মুল আকিদা হলো হিশ্বাস।আপনি দেখি নাস্তিকদের মতো কথা বলতে শুরু করেছন।
বিশ্বাস করো,বিশ্বাস করো,বিশ্বাস করো।তুমি বিশ্বাস করো আল্লাহ এক।তুমি বিশ্বাস করো ইত্যাদি ইত্যাদি।
১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি এখানে ইসলামের প্রমাণ উপস্থাপন করিনি। ইসলামের প্রমাণ অনুযায়ী ইমাম বোখারী (র) সহিহ কিনা আমি সেটা বুঝতে ও বুঝাতে চেষ্টা করেছি। স্রেফ ঘটনা এ পর্যন্ত।
৪| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:১১
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
একটা পোস্টের পেছনে আপনি গড়ে কতসময় ব্যয় করে পড়াশোনা করেন?
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হিসাব করে দেখিনি।
৫| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৩৫
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনি এত প্রমাণ দিয়ে কি করবেন? বাংলাদেশে কুরআন এর পরেই বুখারী শরীফের স্থান, অনেক মাদ্রাসায় বুখারী শরীফ খতম উপলক্ষে মিলাদ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দেশের বড় বড় আলেম উলামাগণ বুখারী হাদিসকে সহিহ সুদ্ধ হাদিস'ই মনে করে। আপনি বুখারীর হাদিসের বিরুদ্ধে কথা বললে ইহুদী, নসাড়াদের দালাল খেতাব পেয়ে যাবেন। ধর্মীয় বিষয় নিয়ে বেশী ঘাঁটা ঘাঁটি করলে আপনি নিজেই সমস্যায় পরে যাবেন একসময়। আর কুরআন যে স্রষ্টার বাণী সে বিষয়ই তো আপনি প্রমাণ করতে পারবেন না, সেখানে নবীর বাণী কিভাবে প্রমাণ করবেন?
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বোখারীর শ্রেষ্ঠত্ব আমি অস্বীকার করছি না। কিন্তু এর সবগুলো হাদিসই সহিহ ঘটনা এমন নয়। এর হাদিস সহিহ সাব্যস্ত হতে হলে তা’ ইমামগণের সর্ববৃহৎ দলের আমলে থাকতে হবে। গতকাল আমি এটি ফেসবুকে পোষ্ট হিসাবে দিয়েছি বড় বড় গ্রুপ গুলোতে। কেউ আমার কোন বিরোধিতা করেনি।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৪
সোনাগাজী বলেছেন:
ইহুদীরা বলে, ওদেরকে স্পেশাল উম্মত করা হয়েছে; মুসলমানেরা বলছে, এরা আল্লাহের বন্ধুর উম্মত; খৃষ্টানরা বলছে, তারা আল্লাহের ছেলের উন্মত। ইহা কি শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করে?
আমি মুসলিম, খৃষ্টান ও ইহুদীদের শক্তি, শিক্ষা, সভ্যতা, সততা, সব মিলিয়ে দেখার পর, বুঝতেছি যে, ইহুদীরা সবার চেয়ে ভালো আছে।