নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
আমার স্ত্রীর সাথে নারী আড্ডায় গিয়েছি। আমি স্ত্রীর সাথে অশান্তির ভয়ে তাদের দিকে তাকাইনি। তারাও আমার দিকে তাকিয়ে থাকেনি। মেয়েরা সম্ভবত এরকমই। কিন্তু এক অনুষ্ঠানে নারী-পুরুষ ছিল। তাতে এক পুরুষ আমার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে ছিল। তাতে আমি অস্বস্তি বোধ করে ছিলাম। পুরুষরা এমন তাকায়। সেজন্য হয়ত আল্লাহ জান্নাতে শুধু হুর দিবেন। কারণ সেখানে দুনিয়ার মহারানীরা অন্যের বিনোদনের জন্য অন্যের নাচ-গান ও মিউজিকে অংশগ্রহণ করবে না। সুতরাং সেথায় গানের মিউজিকে হুর লাগবে, নৃত্যে হুর লাগবে, দলীয় সংগীতে হুর লাগবে। সাথে গেলমানরাও থাকবে। নাটক সিনেমা বানাতেও হুর লাগবে। পুরুষ চরিত্রের জন্য তারাই আবার আকৃতি পাল্টে পুরুষ হয়ে যাবে। সেখানে সবাই রাজা-রানী। কার কাজ কে করতে আসবে? সুতরাং জান্নাতীদের বিবিধ সেবায় হুরগণ হাজির থাকবে।
জান্নাতিদের ইচ্ছার বাইরে জান্নাতে কিছুই হবে না। সুতরাং হুর নিয়ে কারো কোন দুঃশ্চিন্তার কারণ নেই। আল্লাহ বলেছেন জান্নাত হলো অকল্পনীয় সুন্দর। তারজন্য আল্লাহর ১% লোক দরকার। বেশী লোক থাকবে জাহান্নামে। তারা খুব কষ্টে থাকবে। তাদের জন্য আল্লাহ খুব নিষ্ঠুর হবেন।
একটা গানের দৃশ্যের কথা ভাবুন। যাতে সব সুন্দরী মিউজিশিয়ান। সেইগানে আবার নৃত্য করছে সুন্দরীগণ। তাতে কোরাস গাইছে সুন্দরীগণ। আবার তারা উপাদেয় খাবার ও মদ পরিবেশন করছে। তাদের সহযোগী হিসাবে রয়েছে গেলমান। তারা আবার চমৎকার কন্ঠে গানও গাইছে। মহারাজা-মহারানীর সাথে আবার কতেক বসে সেই অনুষ্ঠান উপভোগ করছে। তাহলে অনুষ্ঠানটা কেমন হবে?
সেখানে যদি হুর ও গেলমানরা বিভিন্ন রকমের খেলা-ধুলা ও এ্যাথলেটিকসের আয়োজন করে। তাতে যদি মাঠ ভর্তি দর্শক থাকে তবে মহারাজা-মহারানীর তা’ উপভোগ করতে কেমন লাগবে? দশটা পৃথিবীর সমান জায়গা দিলে তা’ সাজাতে তো লোক লাগবে। সুতরাং কিছু সংখ্যক হুর নিয়ে এত্ত টেনশনের কি আছে?
যে নারী দেখে ফেরেশতা অজ্ঞান হয় সে নারী কতটা সুন্দরী? তারা যদি বিভিন্ন আনন্দ অনুষ্ঠান পরিচালনা করে তবে তা দেখতে বা উপভোগ করতে মন্দ লাগবে কেন? হুরের ভয়ে যারা জান্নাতে যেতে চায় না। তাদেরকে বুদ্ধিমান মনে হয় কি? এমনিতে তারা বলে এসব কিছুই হবে না। তারাই আবার হুরের লোভের কথা বলে মুমিনদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে। বিষয়টা ঠিক বোধগম্য নয়। হুর যদি থাকে। আর মুমিনরা যদি তা’ পায় তাতে তাদের কি ক্ষতি? তারা তো জাহান্নামে থেকে মুমিনদের হুর দেখতে যাচ্ছে না। এখনতো পৃথিবীতে কত ঘটনা ঘটে। আমরা এর কি প্রতিকার করতে পারি? অথচ হুরের বেলায় একদল লোকের প্রতিক্রিয়া দেখলে রীতিমত হাসি পায়।
# নারী পুরুষ সাজলে খুব একটা মন্দ লাগে না, কিন্তু পুরুষ নারী সাজলে দৃষ্টিকটু লাগে।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৩৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সেই মদে কেউ মাতাল হবে না।
২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৫৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এই রাত দুপুরে জান্নাতের নেশায় দেখি আপনি বিভোর হয়ে আছেন, ভালো খুউব ভলো। আচ্ছা জান্নাতের মদ পান করে যদি মাতালই না হই তাহলে জান্নাতে গিয়ে লাভ কি? আর জান্নাতে কি সৌদি আরবের হালাল বিয়ার পরিবেশন করা হবে? আমার কিন্তু উচ্চ মাত্রায় এলকোহল যুক্ত বিয়ার চাই চাই, বিষয়টা আপনি একটু আল্লাপাক'কে জানিয়ে রাইখেন।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:০৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: দুনিয়ায় হারাম এমন অনেক কিছুই জান্নাতে হারাম নয়।
৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৪০
সোনাগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: সেই মদে কেউ মাতাল হবে না।
-এইজন্য ধর্মের সাথে কনফ্লিক্ট হচ্ছে; মদে এ্যালকোহল আছে, ইহা মানুষের স্নায়ুর উপর কাজ করে, কেহ কেহ বেশী মাতাল হয়; মদ খেলে মাতাল হবে না, বললে মানুষ মানবে না।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:০৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যে মানুষ আল্লাহকে মানবে না তারা জান্নাতে যাবে না। জান্নাতে যাবে আল্লাহর একান্ত বাধ্য যারা তারা।
৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৩০
কামাল১৮ বলেছেন: স্ত্রীর সাথে আশান্তির ভয়ে তাকাইনি।তার মানে আপনি মিসকে—-।প্রান চায় চক্ষু না চায় (রবি ঠাকুর)
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি নারীদেরকে অবজ্ঞা করতে চাইনি। কিন্তু গুণাহ ও স্ত্রীর ভয়ে তাদের দিকে তাকানো যায় না।
৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:৩২
কামাল১৮ বলেছেন: এর মধ্যে কোনটা আপনা উনি।কাথা দিলাম ঐ লোকের মতো তাকাবো না।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তিনি নাচ-গানের ভক্ত নন। তিনি থাকেন রেসিপি নিয়ে। আর দেখেন ক্রাইম এলার্ট।
৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:১৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বেহেশতে হুরদের দিয়ে চাইলে কেউ রান্না বান্না, মসলা বাটা, কাপড় ধোয়া, হাড়ি পাতিল মাজা এগুলিও করাতে পারবেন। কিন্তু সবার মাথায় একটাই চিন্তা এদেরকে নিয়ে রাতে ঘুমাতে হবে।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোরআনে হুরকে সেক্সের কাজে লাগানো হবে এমন কোন কথা নেই। তথাপি অনেকেই তাদের নিয়ে শুধু সেই চিন্তায় মশগুল।
৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১৫
নতুন বলেছেন: হুরের প্রসংগ আসলে পুরুষের মাথায় সেক্স ছাড়া অন্য কোন কিছু আসেনা। আপনি যে নাচ গানের কথা বলছেন সেইগুলি বাচ্চা ছেলের চিন্তা।
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বেহেশতে হুরদের দিয়ে চাইলে কেউ রান্না বান্না, মসলা বাটা, কাপড় ধোয়া, হাড়ি পাতিল মাজা এগুলিও করাতে পারবেন। কিন্তু সবার মাথায় একটাই চিন্তা এদেরকে নিয়ে রাতে ঘুমাতে হবে।
সাচু ভাই যদি ঘুমাইয়া থাকতো তবে তো সমস্যার কিছু ছিলো না। এরা তো সারা রাইত ঘুমাইবে না,
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি যেটা বুঝাতে চাইছি যে, হুরকে সেক্সের কাজেই ব্যবহার করতে হবে ঘটনা এমন নয়। তাদেরকে কাজে লাগানোর মত অনেক বিষয় সেখানে আছে। আর কোরআনে তাদেরকে সেক্সের কাজে লাগানো হবে এমন কোন কথা নেই।
৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১৬
শেরজা তপন বলেছেন: কি সব অদ্ভুত উদ্ভট কথা লেখেন!!! মনের কল্পনার রঙ লাগিয়ে ধর্ম নিয়ে যা খুশী লেখা কি ঠিক; এজন্যই মানুষ ধর্ম নিয়ে হাসি-ঠাট্রা মজা করে
যাকে আমরা বলছি বা মানছি এই ইউনিভার্সের সৃষ্টিকর্তা- আবার শুনুন ও ভাবুন ; এই মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা- যার অতি ক্ষুদ্রতম একটা সৃষ্টি দেখে আমরা হতবাক হয়ে যাই, সেখানে তার বক্তব্যে সুন্দরতম!!! সেটা কল্পনা করা আপনি কেন পুরো এই ইউনিভার্সের সব প্রাণীকুল মিলেও কল্পনা করতে পারবে না।
নেট খুজুন; মানুষ যেটুকু আবিষ্কার করেছে তাতেই ভিমড়ি খাবার যোগাড়। ক্যামনে কি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলছে! আর আপনি কি চমৎকারভাবেই না নিজের মনের মাধুরী মিশিয়ে স্রষ্টার সুন্দরতম স্বর্গের বর্ণনা করছেন!!!
আসুন সামান্য একটা ম্যান্টিস চিংড়ি নিয়ে আলোচনা করি;
আমরা যা দেখি তা দেখি কারণ আমাদের চোখে তিনটি ফটোরিসেপ্টর রয়েছে, লাল, সবুজ এবং নীল। তাই নিয়ে হাজার রঙের বাহার দেখে আমরা অস্থির!! কিন্তু এই রঙ দেখার ক্ষমতা চারটি ফটোরিসেপ্টর আছে এমন অনেক পাখির তুলনায় কিছুই নয়: অতিবেগুনী (UV) পাশাপাশি লাল, সবুজ এবং নীল।
কিন্তু ম্যান্টিস চিংড়ির দৃষ্টি এখনো পর্যন্ত আবিস্কৃত অন্য সব প্রাণীকুলকে লজ্জা দেয়। তাদের ১৬টি ফটোরিসেপ্টর রয়েছে!!
তারা এক চোখ দিয়ে গভীরতা উপলব্ধি করতে পারে এবং প্রতিটি চোখকে স্বাধীনভাবে সরাতে পারে। ম্যান্টিস চিংড়ি কী দেখে তা অবিশ্বাস্য। কত শত কোটি রঙ তার চোখে ধরা পড়ে সেটা কল্পনা করা এমন কি ধারনা করাও অসম্ভব!!!
তাহলে সৃষ্টিকর্তার দৃষ্টিতে( যদি দৃষ্টি জাতীয় কিছু থাকে) কত রঙ ধরা পড়বে- তার কতগুলো ফটোরিসেপ্টর আছে- কল্পনা করতে পারেন?
মানুষের বেহেশত নিয়ে কল্পনা তার চারপাশের দেখা সুন্দরতম বিষয় নিয়েই ভাববে - এর বাইরে যেতে পারবে না। মানুষ মানুষের মতই ভাববে-কিন্তু সেই ভাবনাকে অন্য কেউ দ্বিখণ্ডিত করবে চুলচেরা বিশ্লেষণ করবে। এমন কিছু লিখুন যেটা আমাদের জ্ঞানের মধ্যে আছে বা থাকবে।
আশা করি কষ্ট পাবেন না।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমার লেখার বিষয়টা সহজ। হুরের সেক্সের কথা কোরআনে নেই। তথাপি ঐটা মনে করে অনেকে এ বিষয়ে ক্ষোভ ঝাড়ে। সেজন্য বলেছি প্রয়োজন পড়তে পারে হুরের জন্য এমন অনেক কাজ জান্নাতে আছে।
৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৩
কামাল১৮ বলেছেন: @তপন,ওনার গুরুরা ওনার থেকে বেশি বিনোদন মুলক কথা বলেন।পার্থক্য তারা ব্লগে নাই।
সবাই গুরুগম্ভীর কথা বললে জীবন একঘেয়েমিপূর্ণ হয়ে যেতো।হাজারো মানুষের হাজার রকমের চিন্তা ভাবনা।আমরা সবার কথা শুনতে চাই।আপনার গুরত্বপূর্ণ কথা যেমন শুনতে চাই।অন্যের কম গুরুত্বের কথাও চলুক।সমস্যা নাই।শত ফুল ফুটুক।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি আমার কথা বলি অন্যের কথা শুনার জন্য। মানুষ হিসাবে আমারও ভুল থাকতে পারে। হতে পারে অন্যের শুদ্ধ তথ্য জানার পর আমার ভুল সংশোধন হতে পারে। তবে কেউ তার কথা জোর করে আমার উপর চাপিয়ে দেবে আর আমি তা’ মেনে নেব, ঘটনা এমন নয়।
১০| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৭
শেরজা তপন বলেছেন: সেইদিন আজাহারির বক্তব্য শুনলাম, তিনি বললেন, বেহেশতে নাকি বাজার-সদাইও করা যাবে।
ব্লগার সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বেহেশতে হুরদের দিয়ে চাইলে কেউ রান্না বান্না, মসলা বাটা, কাপড় ধোয়া, হাড়ি পাতিল মাজা এগুলিও করাতে পারবেন। কিন্তু সবার মাথায় একটাই চিন্তা এদেরকে নিয়ে রাতে ঘুমাতে হবে।
বেহেশতেরে সবাইতো দুনিয়া বানায় ফেলতেছে! ক্যামনে কি?
বেহেশতে কি দিন রাত বলে কিছু থাকবে? সেখানে কি মানুষ ঘুমাবে? সেখানে কি মানুষের যৌন অনুভুতি হবে? সেখানে কি সন্তান হবে? যদি না হয় তবে বীর্যপাতের প্রয়োজন আছে কি? যদি না থাকে তবে ইরেকশনের সময়কার যৌন অনুভুতি মিলবে কি? পায়খানা-পেসাব না থাকলে ক্ষুদ্রান্ত্র-বৃহদান্ত্র সহ কোন ইমিউনিটি সিস্টেমের প্রয়োজন আছে কি? মানুষ কি গুহ্যদ্বারবিহীন হবে? পেসাব না হলে পেসাবের রাস্তার দরকার নেই, এমনি কিডনীর ফাংশানও নিস্প্রয়োজন- বীর্যপাত না হলে সেই নালারও দরকার নেই। অতএব পুরুষদের নিন্মাঙ্গ সব ছিদ্রবিহীন হবার কথা। খাবার হজম হবে ক্যামনে? মস্তিস্কে শক্তির যোগান হবে ক্যামনে?লিভার, ফুসফুস, হার্ট এদের কি কাজ কাম থাকবে?
অতি মামুলি নির্বোধের মত প্রশ্ন মনে হচ্ছে?
এইসব হাজারো আজগুবি চিন্তা মাথায় ঘোরে। এর একটারও উত্তর আপনি নিশ্চিতভাবে নিশ্চয়তার সাথে দিতে পারবেন না। প্রশ্নের পরে প্রশ্ন আসতেই থাকবে। বুদ্ধিমানেরা বুদ্ধি খাটিয়ে প্রশ্ন করবে আর আমার মত বোকারা বেকুবের মত প্রশ্ন করবে
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ জান্নাতের বিস্তারিত বিবরণ দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেননি। তবে তিনি বলেছেন এটা এতটাই চসৎকার যে মানুষ তা’ কল্পনাও করতে পারবে না। আর হুর হলো এর সৌন্দর্য বর্ধক উপাদান। তিনি তাদের সাথে সেক্স করার বিষয়ে কিছু বলেননি। এ ক্ষেত্রে কিছু হাদিস বিপত্তি বাধিয়েছে। ডাঃ মরিচ বুকাইলী বলেছেন, লোকেরা তাদের কিছু কথা নবির (সা) হাদিস হিসাবে চালিয়ে দিয়েছে। মানবিক ত্রুটির কারণে হাদিস সংকলক তা’ বুঝতে না পারায় তারা এসব হাদিস কে সহিহ বলে প্রচার করেছে। কিন্তু কোরআনের গরমিল কথা হাদিস হিসাবে না মানলে কারো এর জন্য কৈফিয়ত দেওয়ার কথা নয়। হাদিসের কথা নিয়ে হুর নিয়ে যারা উত্তেজিত তাদেরকে আমি বলছি, হুরকে কাজে লাগানোর মত অনেক কাজ জহান্নাতে আছে। তার ইচ্ছে না হলে সে হুরের সাথে সেক্স করবে না। কারণ জান্নাতে কারো উপর কোন কিছু চাপিয়ে দেওয়া হবে না। সুতরাং হুর নিয়ে উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই। আমি আমার স্ত্রীকে সাফ জানিয়ে দিয়েছি যে দুনিয়ায় যেমন তোমার ইচ্ছার বাইরে কিছু হয় না, জান্নাতেও তোমার ইচ্ছার বাইরে কিছু হবে না। তাতে সে বেশ খুশী। আর এরকম সুন্দরী মহিলা সারা দিন মালকিন মালকিন বলে তার পিছনে ঘুর ঘুর করবে। এটা নিশ্চয়ই খুব উপভোগ করবে।
১১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৩
নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ছেলেরা মেয়েদের মত সাজলে দৃষ্টি কটু লাগে।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মানুষের আল্লাহর উপর এ বিশ্বাস থাকা উচিত যে, আল্লাহর বিবেচনা কোনভাবেই মন্দ হতে পারে না। সুতরাং জান্নাতের কোন বিষয় অবশ্যই উত্তেজিত হওয়ার মত কিছু হবে না।
১২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার ধারণা জান্নাতের হুররা হবে অনেকটা বসের পার্সোনাল সেক্রেটারির মত। বসের প্রয়োজনী কাজগুলিতে তারা সহায়তা করবে। এরা দেখতে খুবই সুন্দর হবে। বস এদের দিকে তাকালে চোখের পলক পড়তে চাবে না। বস এদেরকে দিয়ে তার কাজ সহজ করে নেবে কিন্তু খারাপ দৃষ্টিতে না দেখে মুগ্ধতার দৃষ্টিতে দেখবে। বস তাদের সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হবে চাইলে দুই একটা কবিতাও লিখে ফেলতে পারে। কিন্তু এক সাথে ঘুমানোর চিন্তা মনে হয় মাথায় আসবে না। বেহেশতি হাজারো নেয়ামত পাওয়ার পরে জান্নাতি পুরুষদের মন অনেক বড় হয়ে যাবে, পার্থিব সকল সঙ্কীর্ণতা দূর হয়ে যাবে।
নির্লজ্জ, বেহায়ার মত মেয়েদের দিকে তাকিয়ে থাকবে না। জান্নাতি পুরুষদের স্ত্রীও যদি জান্নাতি হয় সেই স্বামীর উচিত হবে স্ত্রীর হাতে পায়ে ধরে রাগ ভাঙ্গিয়ে পুনরায় বেহেশতি সংসার শুরু করা। অনেক অনেক বাচ্চা কাচ্চা হবে তাদের। বেহেশতে কোন কিছুর অভাব নাই তাই বাচ্চা ১০০ টা হলেও কোন সমস্যা নাই। হুররা থাকবে চাকরানী হিসাবে। ফাই ফরমাইশ খাটবে। জান্নাতি স্বামীর হাত পা ব্যথা করলে বড় জোড় হাত পা টেপাতে পারে (তবে জান্নাতি স্ত্রীর অনুমতি নিতে হবে আগে)।
আসলে বেহেশতের হুরদেরকে এইভাবে সেক্সুয়াল অবজেক্ট ভাবা ঠিক হবে না।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বস নারী হোক অথবা পুরুষ হোক। তারা তাদের সন্তুষ্টি বিধানে তৎপর থাকবে। আর সুন্দরী হুর নারীকে মালকিন মালকিন বলে তার পিছনে ঘুর ঘুর করতে থাকবে। এটা তার অবশ্যই ভালো লাগবে।
১৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১১
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: জ্ঞান বৃদ্ধি পাইলো!! আমার আরেকটি প্রশ্ন আছে মহাশয়, তা হচ্ছে- বেহেশতে কি বাঙালীদের জন্য স্পেশাল কোন সুযোগ সুবিধা আছে? বিশেষ করে সামুর ব্লগারদের জন্য? ধন্যবাদ।
@শেরজা তপন: নাহ উনি মনগড়া কোন কথা বলেন না, উনি যা বলেছেন সব কোরআন হাদিসের আলোকেই বলেছেন, এমনকি উনি কুরআন হাদিসের বাইরে চিন্তাই করতে পারেন। তাই উনার এ ধরণের পোস্টে যুক্তি খোঁজা ঠিক হবে না তবে আমারা বিনুদুন নিতে পারি উনার পোস্টগুলো থেকে।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জান্নাতের ডেলিগেট হবে ১% এবং জাহান্নামের ডেলিগেট হবে ৯৯%। জান্নাতের ক্ষেত্রে সুধুমাত্র আল্লাহর অনুগতদের তালিকা করা হবে। এরপর অন্য সবাইকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
১৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৬
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ শেরজা তপন ভাই - বেহেশতে যে কোন জিনিস চাওয়া যাবে এবং পাওয়া যাবে। অনেক ছেলে বাজার সদাই করে খুব মজা পায়। তারা বেহেশতে গিয়ে
বাজারের ব্যাগ হাতে নিয়ে কাঁচা বাজার করতে চাইলে আমি কোন সমস্যা দেখি না। অনেক মেয়ের পছন্দ অবসর সময়ে কাজ কাম ছাড়া মার্কেটে মার্কেটে ঘুরে বেড়ানো। অনেক মেয়ের পছন্দ ভালো ভালো রান্না বান্না করে ছবি তুলে ফেইসবুক বা ব্লগে দেয়া (যদিও সাধারণত বুয়ারাই এই রান্না করে)। এগুলি যেহেতু দোষনীয় কিছু না তাই আল্লাহতায়ালা সেই রকম ব্যবস্থা জান্নাতে করে দিতে পারেন বলে আমার মনে হয়। অনেক কাজের বুয়াও বেহেশতে যাবে। পৃথিবীতে এদের জীবন কেটেছে বেগম সাহেবদের গালি গালাজ শুনতে শুনতে আর মসলা বাটা, মাছ কোটা, হাড়ি পাতিল মাজা, কাপড় ধোয়া, ঘর মোছা এই সব নিকৃষ্ট কাজ করে। এই বুয়ারা জান্নাতে গিয়ে জাহান্নাম থেকে তাদের বেগম সাহেবদের ধরে এনে এই কাজগুলি করিয়ে নেয়ার সুযোগ পেলে ভালো হত। আমার ধারণা জান্নাতে যা চাবে তাই পাবে। তাই এই সুযোগ তাদের দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কাজের বুয়াদের বেগম সাহেবাদেরকে কাজের বুয়া হিসাবে জান্নাতে প্রমোশন দিলেও সেটা তাদের সৌভাগ্য হবে। সেই সৌভাগ্য তাদের হবে না। জান্নাতের কাজের বুয়া হওয়ার জন্য তো হুরগণ প্রস্তুত আছেন। আর তারা সেভাবে প্রশিক্ষিতও।
১৫| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ নতুন ভাই - এরা সারা রাত ঘুমাবে না। তাহলে এরা কি করতে চায় আমার মাথায় আসে না। ঘুম না আসলে দরকার হলে কাওয়ালি শুনবে, হুরদের দিকে তাকানো ঠিক হবে না।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মানুষের বুদ্ধিতে বিনোদন ইভেন্টের অভাব নেই। সুতরাং জান্নাতেও বিনোদন ইভেন্টের অভাব থাকবে না। জান্নাতে কখনও কারো বোরিং লাগবে না।
১৬| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: বেহেশতে হুর কি বাধ্যতামূলক?
না অন্য অপশন আছে?
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এরা জান্নাতের সৌন্দর্য বর্ধক। তাদের দুনিয়ার মালকিনগণ তাদের চেয়ে অনেক বেশী সুন্দরী হবেন। তারা নিজেরা নিজেদেরকে দেখে অজ্ঞান হয়ে থাকে কিনা সেটািই তো একটা বিষয়। অতঃপর হুরগণ তাদেরকে মালকিন মালকিন বলে তাদের পিছন পিছন ঘুর গূর করবে এটা তারা বেশুমার উপভোগ করবে।
১৭| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার জন্য একটা প্রশ্নঃ
ধরুন আমি বেহেশতে গেলাম। আমার বন্ধু তার পাপের কারনে জাহান্নামে গেলো।
এখন আমি বেহেশতে যা চাইবো তাই পাবো। এরকমটাই বলা আছে। এখন আমি যদি বলি আমার যে বন্ধু জাহান্নামে আছে তাকে এনে দাও। দেওয়া হবে?
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:১২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনি সেরকম চাইবেন না। সেখানে আপনার ইচ্ছা আল্লাহর ইচ্ছা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। আল্লাহ যা চাইবেন না এমন কিছু জান্নাতে কেউ চাইবে ননা। দুনিয়াতে পরীক্ষা হেতু আপনার ইচ্ছার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। সেজন্য আপনি আল্লাহর অবাধ্য হতে পারছেন। জান্নাতে আপনি কিছুতেই আল্লাহর অবাধ্য হতে পারবেন না।
১৮| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ রাজীব নূর - বেহেশতে হুর দেয়া হবে। কিন্তু তার সাথে শুতে যাওয়াটা বাধ্যতামূলক না। আপনি চাইলে তাকে দিয়ে রান্না বান্নার কাজ করাতে পারবেন।
জাহান্নাম থেকে কাউকে জান্নাতে আনার বিধানের ব্যাপারে আমি ঠিক নিশ্চিত না। তবে কেউ জাহান্নামের বন্ধুকে বেশী ভালোবাসলে ফেরেশতারা তাকে চ্যাং দোলা করে জাহান্নামে পৌঁছে দেবে বন্ধুর কাছে।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:১৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জান্নাত-জাহান্নাম আল্লাহর ইচ্ছার বাইরে অন্য কারো ইচ্ছায় হবে না। হাসরের মাঠেই আল্লাহ সব ক্ষমতা নিজ হাতে নিয়ে নিবেন। তারপর তাঁর ইচ্ছার বাইরে কেউ আর কিছুই করতে পারবে না। মৃত্যূর সাথেই আল্লাহ ছাড়া অন্যদের মাতুব্বরি সমাপ্ত হয়।
১৯| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৮
নতুন বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ নতুন ভাই - এরা সারা রাত ঘুমাবে না। তাহলে এরা কি করতে চায় আমার মাথায় আসে না। ঘুম না আসলে দরকার হলে কাওয়ালি শুনবে, হুরদের দিকে তাকানো ঠিক হবে না।
ভাই এরা রাতই ভর কি করবে সেটা তো বলা মুস্কিল।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৪৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: না ঘুমালে হুরের সাথে সেক্স করা জরুরী নয়।
২০| ১৭ ই মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩১
নতুন বলেছেন: ভাই বেহেস্তে মদ হালাল, তেমনি বেহেস্তিরা হালাহ সেক্সই করবে।
দুনিয়াবী কোন বিনেদনই এই সরমের কামের চেয়ে আনন্দদায়ক নয়।
এই কাজ বাদ দিয়ে কোন পাগল কাওয়ালী শুনবে রাত ভর!!!
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:২৩
সোনাগাজী বলেছেন:
মদ কেন খেতে দেয়া হবে? সৃষ্টির কাহিনী অনুসারে, আদম (আ: ) যখন বেহেশতে ছিলেন, উনাকে কি মদ দেয়া হয়েছিলো?