নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সোস্যালিজম ও কমিউনিজম পুঁজিবাদীদেরকে তাদের শ্রেণী শত্রু ঘোষণা করে তাদেরকে খতম করার ঘোষণা প্রদান করে।তখন পুঁজিবাদী রাষ্ট্র সমূহ সোস্যালিজম ও কমিউনিজম এর হাত থেকে আত্মরক্ষায় নেটো গঠন করে।পুঁজিবাদের একটি শক্তিশালী পক্ষ হলো ইহুদী যারা মুসলিমদের চির শত্রু। সেজন্য নেটো মুসলিম রাষ্ট্র সমূহের জন্যও হুমকি হয়ে দাঁড়ায়।সোস্যালিজম ও কমিউনিজম ইসলামকে তাদের কাজের প্রতিবন্ধক মনে করায় তারাও মুসলিমদের বন্ধু নয়।দু’টি শক্তিশালী প্রতিপক্ষের হাত থেকে আত্মরক্ষায় মুসলিম রাষ্ট্র সমূহের শক্তিশালী কোন সংগঠন নেই। সেজন্য তারা কখনও এর হাতে মার খায়, আবার কখনও ওর হাতে মার খায়।আর এভাবে তারা কোন রকমে অস্তিত্ব রক্ষা করে চলছে। অবশেষে নেটো প্রশ্নে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে।
একদা সোস্যালিস্ট রাষ্ট্র থাকা রাশিয়া নেটো থেকে আত্মরক্ষায় ইউক্রেন হামলা করেছে। সংগত কারণে নেটো ভুক্ত রাষ্ট্র সমূহ ইউক্রেনের পাশে এশে দাঁড়িয়েছে। আমরা বাঙ্গালীরা সে যুদ্ধে কারা জয়ী হচ্ছে তার হিসাব নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। নেটো মোড়ল আমেরিকা ও রাশিয়া উভয় পক্ষ আমাদের কাজে লাগে বিধায় আমাদেরকে উভয় পক্ষের মন যুগিয়ে চলতে হচ্ছে। সুতরাং আমরা আছি মাইনকা চিপায়।
সোস্যালিজম ও কমিউনিজম কি কখনও পুঁজিবাদের শত্রু থেকে বন্ধু হবে? যদি না হয় তাহলে তাদের পারস্পরিক যুদ্ধের আশংকা থেকে বিশ্ব কখনও মুক্ত হচ্ছে না। সোস্যালিজম ও কমিউনিজম এবং ইহুদী কি কখনও মুসলিমদের বন্ধু হবে? যদি না হয় তাহলে সোস্যালিজম ও কমিউনিজম এবং নেটোর যুদ্ধের আশংকা থেকে মুসলিম রাষ্ট্র সমূহ কখনও মুক্ত হচ্ছে না। উভয় পক্ষের বিপদাশংকায় কোন কোন মুসলিম রাষ্ট্র বলছে তারা আসলে মুসলিম রাষ্ট্র নয়, তথাপিও কি তারা সোস্যালিজম ও কমিউনিজম এবং নেটোর যুদ্ধের আশংকা থেকে মুক্ত থাকতে পারবে? মুসলিম রাষ্ট্র সমূহের জন্য অন্ধকার সব দিক থেকে বিদ্যমাণ।
পারস্পরিক বিরোধীতার যে রাহু গ্রাসে বিশ্ব পড়েছে বিশ্ব সে চক্র ভেদ করতে অক্ষম হয়ে পড়েছে। তথাপি এটা আধুনিক বিশ্ব তথা আধুনিক অক্ষম বিশ্ব; যার জনসাধারণের জন্য যুদ্ধ থেকে কোন নিরাপত্তা নেই। এখানে ক্ষণে ক্ষণে যুদ্ধ হচ্ছে এবং নিরিহ মানুষ অকাতরে প্রাণ হারাচ্ছে। দরিদ্রের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য যে বিপ্লব সাধিত হয়েছে তা এখন তাদেরকে জীবন থেকে মুক্তি প্রদান করছে। যারা বেঁচে আছে তারা যুদ্ধের কারণে বৃদ্ধি পাওয়া দ্রব্য মূল্যের চাপে চ্যাপ্টা হয়ে যাচ্ছে।
সোস্যালিজম ও কমিউনিজম এর মতে পুঁজিবাদ এবং ধর্ম পরিত্যাগ বিশ্ব শান্তির প্রধান নিয়ামক। তাদের এ স্বপ্ন ঠিক কবে বাস্তবায়িত হবে? অবোধকে বুঝানো দায়। সোস্যালিজম ও কমিউনিজম এর জ্ঞানীগন গত হচ্ছেন। লোকেরা পুঁজিবাদ ও ধর্মকে আঁকড়ে পড়ে আছে। আর এভাবেই চলছে বিশ্বের ত্রিশংকু অবস্থা। শান্তির সুবাতাস তাই স্থানে স্থানে আটকে যাচ্ছে।
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: "ওয়ারশ প্যাক্ট" বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। মন্তব্যে আপনি লিখে দিলে এ বিষয়ে যারা আমার মত অজ্ঞ তারা কিছু জানতে পারবে।
২| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৩৩
সোনাগাজী বলেছেন:
"ওয়ারশ প্যাক্ট" বিষটা এত বড় যে, ৫০টি পোষ্টেও শেষ করা যাবে না; গুগলে পড়েন।
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৪২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বুলগেরিয়া, পূর্ব জার্মানী, হাঙ্গেরী, পোল্যান্ড, রোমানিয়া, সোভিয়েত ইউনিয়ন ও আলবেনিয়া নিয়ে "ওয়ারশ প্যাক্ট" গঠিত ছিল। যা এখন বিলুপ্ত। এখন নেটোর বিরুদ্ধে রাশিয়া একাই লড়াই করছে। আর নেটো চাচ্ছে রাশিয়াকে বোতল বন্দ্বী করে রাখতে।
৩| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৪১
সোনাগাজী বলেছেন:
ইহুদীদেরকে মুলসমানদের চিরশত্রু বলেন মুসলমানেরা; ইহুদীরা মুসলমানদের কখনো শত্রু হিসেবে ঘোষণা করেনি, এই ধরণের কিছু ওরা বলে না।
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারণে মুসলিমদের সাথে ইহুদীদের শত্রুতা চূড়ান্ত রূপ লাভ করেছে। ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হলে মুসলিমদের সাথে ইহুদীদের খুব একটা সম্যসা তৈরী হতো না।
৪| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৪৮
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি লিখেছেন, "এখন নেটোর বিরুদ্ধে রাশিয়া একাই লড়াই করছে। আর নেটো চাচ্ছে রাশিয়াকে বোতল বন্দ্বী করে রাখতে। "
-রাশিয়া কিন্তু এখন আমেরিকা থেকেও "কড়া ক্যাপিটেলিষ্ট দেশ"; ন্যাটো কেন তার বিপক্ষে পরোক্ষভাবে যুদ্ধ করছে?
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: রাশিয়া "কড়া ক্যাপিটেলিষ্ট দেশ" হলেও ন্যাটোর ঘাড় থেকে রাশিয়ান ভুত নামে নাই। তেমনি মুসলিম রাষ্ট্র নিজেকে মুসলিম রাষ্ট্র নয় বলে চিৎকার করলেও মুসলিম বিদ্বেষীরা সেটা বিশ্বাস করতে চায় না।
৫| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫
সোনাগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কারণে মুসলিমদের সাথে ইহুদীদের শত্রুতা চূড়ান্ত রূপ লাভ করেছে।
-যেসব ঐতিহাসিক কারণে, প্যালেস্টাইনে ২ টি দেশ হওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেছে বিশ্ব, সেটাকে মেনে নিলে, আজকে প্যালেষ্টাইনে ২টি দেশ থাকতো। ভারতে কি ২টি দেশ হয়নি?
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কিন্তু মুসলিমগণ ইসরায়েলের অস্তিত্ব মানতে রাজি নয়। আপনার বাংলাদেশ কোন কারণে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয় না? তারা তো নিজেদেরকে মুসলিম রাষ্ট্র ঘোষণাও করেনি।
৬| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:০৩
সোনাগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন: কিন্তু মুসলিমগণ ইসরায়েলের অস্তিত্ব মানতে রাজি নয়।
-মুসলমানেরা অন্যদের অস্তিত্ব মানতে চাহে না; আমেরিকা আসছে মুসলমানেরা ভালো জীবনের আশায়; কিন্তু তারা আমেরিকানদের ইহুদী, নাসারা, পাপিষ্ঠ বলে গালি দেয়; এগুলো অশিক্ষার ফল।
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:০৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কারো সাথে বসবাস করতে গিয়ে তাদেরকে গালি দেওয়া বেকুবী।
৭| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১০
সোনাগাজী বলেছেন:
আমেরিকায় মোটামুটরি সবাইকে কাজ করে খেতে হয়; আমি লন্ডনে দেখেছি, সারা বিশ্ব থেকে মুসলমানেরা এসে জড়ো হয়েছে ভালো জীবনের আশায়; কিন্তু মোটামুটি, শতকরা ৫০ ভাগ কাজ না করে, সরকারী সাহায্যে চলে, আর ইংরেজদের কাফের ডাকে ; ইংরেজরা কাজ করে এদের পোষে; এগুলো সঠিক কাজ?
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যাদের দয়ায় চলে তাদেরকে কাফের ডাকা অসভ্যতা। মুসলিমরা যে যারমত করে চলে একটা বিশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্যে আছে। একজন কেন্দ্রীয় নেতার অধীনে চলতে পারলে তারা আরো বেশী শক্তিশালী হয়ে বিদ্যমাণ থাকতে পারতো।
৮| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১৩
সোনাগাজী বলেছেন:
ফ্রান্সে আরবদের শতকরা ৫০ ভাগ, লন্ডনে মুসলমানদের ৫০ ভাগ, কানাডায় মুসলমানদের ৪০ ভাগ কাজ করে না, সরকারী সাহায্য চলে।
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:১৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মুসলিমদের এ বদভ্যাস ছাড়তে হবে। এত্ত বদনাম নিয়ে একটা জাতি পদে পদে হোঁচট খাবেই।
৯| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩৪
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- বিষয়টা বেশ জটিল মনে হয়!
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১১:৩৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বিষয়টা জটিল ও কঠিন। বিশ্ব একটা মারাত্মক সমস্যায় আটকে গেছে।
১০| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ১:০২
রাজীব নুর বলেছেন: বাসায় একা থাকলে ভালো ভালো লেখা সম্ভব।
২৪ শে মার্চ, ২০২৩ দুপুর ২:৩২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কথাটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হলো না। অথচ এপিজে আব্দুল কালাম কত গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে গেছেন। আপনি জনাব জাফর ইকবালের কোন উক্তি কি জানেন? সেতো আবার আপনাদের দলের একজন গণ্যমান্য ব্যক্তি।
১১| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ রাত ৮:৪৭
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: এই যুদ্ধটা মূলত প্রভাব বিস্তারের যুদ্ধ, রাশিয়া যে কোন মূল্যে তার হারানো গৌরব ফিরে পেতে চায় এবং পশ্চিমাদের আধিপত্য খর্ব করতে চায়। বিষয়টা রাশিয়ার জন্য খুব কঠিন এক কাজই বটে। রাশিয়া যদি সত্যিই পুরো ইউক্রেন দখল করে নিজের কব্জায় নিতে পারে তাহলে বিশ্ব রাজনীতি তখন মস্কো কেন্দ্রিক হবে, রাশিয়ার আশেপাশের সব দেশ রাশিয়ান ফেডারেশনে যুক্ত হবে।
২৫ শে মার্চ, ২০২৩ ভোর ৫:২৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: রাশিয়া পরাজিত হলে কি হবে?
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:২৪
সোনাগাজী বলেছেন:
ক্যাপিটেলিষ্ট ব্লকের সামরিক জোট, ন্যাটো সম্পর্কে কিছুটা ধারণা আছে; সোস্যালিষ্ট ব্লকের সামরিক জোট, "ওয়ারশ প্যাক্ট" ( উহা বিলুপ্ত হয়েছে ) সম্পর্কে আপনার ধারণা নেই বলে মনে হচ্ছে।