নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
গ্রামে গিয়ে শুনলাম। পিতা পুত্রকে তার স্ত্রীকে পায়ের জুতা মনে করার তালিম দিচ্ছে। আমি এমন পিতার কথা শুনা পুত্রদের স্ত্রীদেরকে তাদের স্বামীদেরকে রোজ তিন বেলা জুটা পিটা করার উপদেশ দিচ্ছি। তাহলে উক্ত স্বামীদের পিতাগণ বুঝবেন তাঁদের পুত্রদেরকে দেওয়া তালিম কোন কাজে লেগেছে? দেশে কঠোর নারী নির্যাতন আইন থাকার পরেও এসব বেকুব এমন সব কথা কি করে বলে বুঝতে পারলাম না।
বাংলাদেশে নির্যাতনের প্রতিকার চাইতে গিয়ে আরো বেশী নির্যাতিত হতে হয়। একটা বিষয়ে মামলা দিতে থানায় গেলাম। প্রথমত পুলিশ কথা শুনতেই রাজি নয়। মামলা নিতেও রাজি নয়। আসামী ধরতেও রাজি নয়। সব কাজেই টাকা লাগবে। কেউ আসামী ধরতে টাকা দিলে অপর পক্ষ আসামী না ধরতে টাকা দিলে আসামী আর ধরা হবে না। আসামী কেন ধরা হচ্ছে না জিজ্ঞাস করলে বলবে আসামী পাওয়া যাচ্ছে না। অবস্থা বুঝে আবার টাকা দিলে আসামী ধরবে। তবে অপর পক্ষ টাকা দিলে আসামী ছেড়ে দিবে। এরপর অনেক টাকা খরচ করে মামলা ফাইল করার পর বাদীর উকিল টাকা খেয়ে শুনানীতে অনুপস্থিত থাকবে, ফলে বিচারক মামলা খারিজ করে দিবে। বাদীর উকিল টাকা না খেলে বিচারক টাকা খেয়ে আসামী খালাস দিয়ে দেয়। এ দেশে টাকা যে দিকে মামলার রায় সে দিকে চলে যায়। বাদী টাকা দিলেও ফল পায় না যদি অপর পক্ষ বেশী টাকা ছাড়ে। যে কাজ এমনিতে হওয়ার কথা সে কাজ ঘুষ দিয়েও না হলে কেমন লাগে? এমনিতে কি আর আমরা দূর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে ছিলাম? তো এমন দেশের পিতাগণ তাদের পুত্রদেরকে তাদের স্ত্রীদেরকে পায়ের জুতা বানানোর তালিম দিতেই পারে।
স্ত্রী যদি জুতা হয় তাহলে অবস্থা কি হয়? জুতা তো যে পরিধান করে সেটা তো তার হয়ে যায়। সুতরাং একজনের জুতা অন্য কেউ পায়ে দিয়ে চলে গেলে জুতার কি দোষ? এমন লোকের স্ত্রী অন্য কারো হাত ধরে চলেগেলে দোষটা কার হবে? এক শিক্ষিত লোকের এমন তিন স্ত্রী চলে যাওয়ার পর এখন আর সে স্ত্রী পাচ্ছে না। বেকুব পিতার উপদেশ মানলে পুত্রের স্ত্রী থাকে না। সুতরাং পিতা-মাতা হলেই তাদের সব কথা মানা যাবে না। পিতা-মাতার কথা মানলে যদি ক্ষতিটা আমার হয় তাহলে আমি এমন পিতা-মাতার কথা কেন মানব?
পিতা-মাতা গুরুজন হলেও তাদের উপদেশ গুরু না হয়ে লঘু হলে মানার দরকার নাই। পিতা-মাতার কারণে বহু সংসারে অশান্তি। পিতা-মাতার পক্ষে ওয়াজ বেশী থাকায় অনেক সময় তারা সন্তানের জীবন বিনষ্টে অবদান রাখে। এক পুত্র বধু বলেছে বুড়ো হলে মানুষ বাঁদর হয়ে যায়। শুনেছি সন্তানের রোমাঞ্চের সময় তাদের অনেকে সন্তানের কক্ষের বিদ্যুৎ সর্বরাহ বন্ধ করে দেয়। অথবা অন্যভাবে তুলকালাম বাধিয়ে তাদের রোমাঞ্চ বিনষ্টে তৎপর হয়। এসব কাজকে বাঁদরামী না বলে উপায় কি? আবার কেউ যেন না বলে এতেই প্রমাণিত হয়, মানুষ বাঁদরের বংশধর। আর সেজন্যই বার্ধক্যে এসে তাদের বাঁদরামী প্রকট হয়। সন্তান যখন প্রবল উত্তেজনায় থাকে তখন তারা সামাজিক রীতি নিয়ে হাজির হয়। কি মুশকিল সামাজিক রীতি ক্ষণিক পরে হলে কি হয় না? না তারা কোন ভাবেই সমঝোতায় সম্মত হবে না। আর এ শয়তানীর জন্য বহু পরিবার ভেঙ্গে যায় এবং বহু সন্তান ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়।
বহু কষ্টকরে মেয়ে প্রতিপালন করে বিয়ে দেওয়ার পর সেই মেয়ে কারো পায়ের জুতা হবে এটা মেনে নেওয়া মেয়ের পিতার পক্ষে অসম্ভব। বরং সেই মেয়ে যদি কারো মাথার তাজ হয়। সেটা মেয়ের পিতার জন্য আনন্দ দায়ক হয়। মেয়ের হাসির জন্য মেয়ের পিতা তার শ্বশুর পক্ষের জন্য অনেক টাকা খরচের পরেও যদি মেয়ের হাসি না দেখে তখন তারা চরম অসহায়ভাবে হাতাশ হয়।
১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্ম স্ত্রীকে জুতা মনে করতে বলেনি।
২| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:১৬
আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: আজকাল এরকমী শুনা যাচ্ছে
বেশ জ্ঞান শূন্যতা লোভ পাচ্ছে
লোভ লালসা হাওয়ায় চলছে;
ভাল থাকবেন দাদা
১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জ্ঞান শূণ্যতার পথ ধরেই সংসারে ভাঙ্গন আসে।
৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪৮
বিটপি বলেছেন: বাবা বললেই কোন পুত্রের পক্ষে সম্ভব স্ত্রীকে পায়ের জুতা মনে করা? এখনকার স্ত্রীরা অনেক সচেতন। তারা ইসলামী আইন, দন্ডবিধি আইন - সবকিছু সম্পর্কেই জানে। তাই স্ত্রী জিনিসটার মর্যাদা সবাই বুঝতে বাধ্য।
১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অনেক বাবা-মায় সন্তানকে কূ-পরামর্শ দিতে শুনা যায়। এ সব বাবা-মা অত্যন্ত বিজ্জনক। এদের উপদেশ মানলে সন্তানের জীবন শেষ হয়ে যায়।
৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০১
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: যারা (শাশুড়ি কিংবা স্বামী) 'বউ'-কে 'বুয়া' মনে করে তাদেরও একটা শাস্তি নির্ধারণ করা উচিত...
১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যেতে যেতে তিনটা স্ত্রী গেল। সন্তান মরে গেল। সন্তান উচ্ছন্নে গেল। তথাপি এক শিক্ষিত লোকের স্ত্রী অবমাননার খাচিয়ত কমেনি। সে স্বামী। ভাব খানাই আলাদা। ঝাঁটামারি তার স্বামীত্বের ইগোতে। এসব বদ লোকের কারণে বহু ডিভোর্সের ঘটনা ঘটে।
৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:১৮
নাহল তরকারি বলেছেন: আপনি যে ঘটনার কথা বললেন তেমন ছোটলোক মানুষের পরিমান খুবই নগন্য। বরং বর্তমানে নারী নির্যাতন আইনের অপব্যাবহার বেশী হয়।
এক মেয়ে এক ছেলে কে ভালোবাসতো। কিন্তু সেই মেয়ের বিয়ে হয় অন্য এক ছেলের সাথে। পরে বউ তার প্রেমিকের কথায় ছেলের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন এর মামলা দিয়েছে। এমন মেয়েদের আপনি কি বলবেন? আমি যে মেয়ের কথা বলেছি এমন চরিত্রের মেয়ে আপনি হাত বাড়ালেই পাবেন। বর্তমান প্রজন্ম নষ্ট হয়ে গেছে।
১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: প্রজম্মের সাথে অনেক জন্মদাতাও নষ্ট। যারা এ নষ্ট মেরামত করবে তারাও নষ্ট। আমাদের জাতি অন্ধকারে তলিয়ে আছে। এর থেকে নিস্ক্রান্তের আমি কোন পথ দেখি না।
৬| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: এই সমাজে বহু বদ নারী আছে। সেটা কি জানেন?
১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বদ নারী হোক আর পুরুষ হোক তাকে সুবোধ বলার সুযো্গ নেই। আর বদ নারীকে পায়ের জুতা বানানোর চেষ্টা হলে পা খানাই খোয়া যেতে পারে। সুতরাং স্ত্রীকে জুতা মনে করার তালিম সমর্থনযোগ্য নয়।
৭| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৫
নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আগে পুরুষ যৌতুকের জন্য পিটাতো। এখন মেয়েরা যৌতুক বিরধী আইন ও নারী নির্যাতন আইন দিয়ে পুরুষ কে না না ভাবে হয়রানী করে। এতে করে প্রকৃত বিচার প্রার্থী দেরী তে বিচার পায়। আর ভালো ছেলেদের ইমেজ নষ্ট হয়।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:০৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যারা ভালোলোক সমাজ তাদেরকে ভালো বলে। আমাদের আলোচ্য বিষয় বদ লোক। যারা পরিবার ও সমাজ নষ্ট করে। পরিবারের মান্যতার সুযোগ নিয়ে তারা পরিবারকে ভুল পথে পরিচালিত করে।
৮| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
কামাল১৮ বলেছেন: আল্লাহ নারীকে সমান অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছেন।সব ধর্মই নারীকে অবহেলা করেছে।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:০৭
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ ন্যায়বিচারী। তাঁর বিবেচনাকে প্রশ্নবিঁদ্ধ করার সুযোগ নাই।
৯| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৮:৪০
রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: বদ নারী হোক আর পুরুষ হোক তাকে সুবোধ বলার সুযো্গ নেই। আর বদ নারীকে পায়ের জুতা বানানোর চেষ্টা হলে পা খানাই খোয়া যেতে পারে। সুতরাং স্ত্রীকে জুতা মনে করার তালিম সমর্থনযোগ্য নয়।
শুধু স্ত্রী না। সমগ্র নারী জারিকেই সম্মান করতে হবে।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:০৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: অনেক বদ লোক স্ত্রীকে পায়ের জুতা বানিয়ে রাখতে চায় বলে এখানে তাদের প্রসঙ্গে মতামত উপস্থাপন করা হয়েছে।
১০| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:১৩
ডার্ক ম্যান বলেছেন: এখন জামানা চেন্জ হয়ে গেছে
১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:১০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জামানা চেঞ্জ হতেই থাকে। আমরা চাই সেই চেঞ্জ কল্যাণকর হোক।
১১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: গ্রামেগঞ্জে এমন মনোভাবের লোকজন এখনও আছে। নারী নির্যাতনের মামলা দিয়ে এদের টাইট করা দরকার।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কিন্তু মামলার জায়গায় নষ্টলোক বসে আছে। টাইট দিবেন কেমন করে?
১২| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০৪
নতুন বলেছেন: দরকার সুশিক্ষার প্রসার।
বর্তমানের ছেলেরা তাদের স্ত্রীদের অনেক ভালোবাসে, আগের থেকে পরিস্থিতি অনেক উন্নতি হয়েছে।
কিন্তু কিছু লোভী পরিবার টাকার জন্য বা অন্য কোন সমস্যার কারনে স্বামী এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে অনেক নাজাহাল করে।
আর বিয়ের প্রতিস্ুতি দিয়ে ধর্ষনের মামলা তো আরেকটা আইনী প্যাচ।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: শিক্ষা যারা দেবে তাদেরকে শিক্ষা দিবে কে? আমরা আসলে সব দিক থেকেই অনুন্নত।
১৩| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:০৪
কিরকুট বলেছেন: সকল ধর্ম কি নারীতেই সিমাবদ্ধ?!
১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার প্রশ্ন বোধগম্য নয়।
১৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্মে আছে- স্ত্রীকে প্রহার করো। কিন্তু খেয়াল রেখে যেন দ্গ বসে না যায়।
ধর্মে আরো আছে- স্ত্রী যদি রান্নার কাজে ব্যস্ত থাকে, রান্না ফেলে স্বামীর সাথে গিয়ে সহবাস করতে হবে। মাশাল্লাহ। সুবাহাল্লাহ।
১৩ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:৫১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: গুরুতর অপরাধে তালাক না দিয়ে প্রহার করা কম ক্ষতিকর। রান্না পরে সম্পন্ন করে স্বামীকে খুশী করে বিদায় দিলে ক্ষতি কি? তাকে অখুশী রাখলে সে যদি অন্য নারীর দিকে হাত বাড়ায় তাতে তার স্ত্রীই ক্ষতিগ্রস্থ্য হবে। সুতরাং ধর্মের বিধান সুচিন্তিত। আর আপনার বিবেচনার গভিরতা খুব কম।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:০৭
কিরকুট বলেছেন: ধর্ম যেখানে স্ত্রীকুল কে ভোগের সামগ্রী বলছে সেখানে জুতা পেটা করার কথা বলে মিনিমাম অন্যকিছুর সম্মাননা দিচ্ছে ।