নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এত্ত বড় আল্লাহর এত ছোট মানুষের খোঁজ-খবর রাখার দরকার কি?

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৫:২৯



এত্ত বড় মানুষের এত্ত ছোট জীবাণুর খোঁজ-খবর রাখার দরকার কি? এ জীবাণুরা এত্ত বড় মানুষটাকে মেরে ফেলে। যেমন, করনা জীবাণু বহু মানুষ হত্যার কারণ। সেজন্য মানুষ অনুবীক্ষণযন্ত্র দিয়ে এসব জীবাণুদেরকে দেখে ঔষধ প্রয়োগে এদের বিনাশের ব্যবস্থা করে।

মানুষ আল্লাহকে অস্বীকার করে। তাঁর শরিকদার সাব্যস্ত করে। মানুষের এসব কীর্ত্তি আল্লাহকে মানসিকভাবে আহত করে। সেজন্য আল্লাহ তাদের নিকট বার্তা পাঠিয়ে তাদেরকে জানিয়ে দেন তাঁর অবাধ্য হলে তাদেরকে শাস্তি পেতে হবে।

মানুষ খুব অদ্ভুত কথা বলে। তারা বলে, এমনি এমনি সব হয়েছে, শুধু আল্লাহ হননি। এমনি এমনি হওয়া পদ্ধতি আল্লাহর ক্ষেত্রে এসে ফেল মেরেছে। সেজন্য তারা বলছে আল্লাহ বলতে কেউ নেই। সেজন্য আল্লাহ জানিয়ে দিলেন, তিনি যখন জাহান্নামে ফেলে দেবেন তখন টের পাওয়া যাবে তিনি কতটুকু আছেন কতটুকু নেই।

যাদের আচরণ আল্লাহর পছন্দ তাদের মাধ্যমে আল্লাহ তাঁর বার্তা পাঠান। লোকেরা বলে আল্লাহ কেন তাদের সাথে যোগাযোগ করেন না? এর সহজ উত্তর, এ ক্ষেত্রে তারা আল্লাহর পছন্দ নয়। সেজন্য তারা আল্লাহকে মানবে না? না মানুক! তাদের জন্য তো জাহান্নাম প্রস্তুত আছেই।

কারো প্রতি আল্লাহর কোন গরজ নেই। কেউ তাঁকে খুশী করতে পারলে তার জন্য জান্নাত এবং কেউ তাঁকে অসন্তুষ্ট করলে তার জন্য জাহান্নাম। তারপর যার কাজ সে করছে। আল্লাহর লোক সব হিসাব লিখছে। তারপর একটা প্রতিফল দিবসে আল্লাহ হিসাব অনুযায়ী কিছু সংখ্যক লোককে জান্নাতে পাঠিয়ে দিয়ে বাদবাকী লোকদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।

কেউ আল্লাহর বার্তা বিশ্বাস না করলে তাতে আল্লাহর কোন সমস্যা নেই। আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম প্রস্তুত রেখেছেন। সেখানে বসে সে অনন্ত কাল আল্লাহকে অবিশ্বাস করুক এবং অবিশ্বাসের শাস্তি পেতে থাকুক। তাতে আল্লাহর কিছু যায় আসে না। তবে যে আল্লাহকে বুঝতে চেষ্টা করে সে ঠিক আল্লাহকে বুঝতে পারে। সে আল্লাহর ইবাদত করে জান্নাতের যোগ্য বিবেচিত হয়। এ সংখ্যা খুব কম হলেও ক্ষতি নেই। কারণ তাতেই আল্লাহ সন্তুষ্ট। শুভ কামনা আল্লাহর প্রিয় জনদের জন্য। আমরাও যেন সেই কাতারে সামিল হতে পারি আল্লাহর নিকট আমাদের সেই প্রার্থনা।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৩৭

বিটপি বলেছেন: আল্লাহ মানুষের সাথে যোগাযোগ করেন না - এটা ভাবার কারণ কি? আমি একবার অনেক বড় একটা বিপদে পড়েছিলাম। রাত দুটা থেকে চারটা পর্যন্ত জায়নামাজে বসে পুরোটা সময় কেঁদেছি। এমন সময় আমার মনে হল যেন আমি একটা আশ্বাস পেয়েছি যে বিপদ কেটে যাবে। এই ব্যাপারটা কিভাবে হল? আমার মন তো কোন অবস্থাতেই প্রস্তুত ছিলনা এরকম কিছুর জন্য! এই ঘটনার পরে জানেন, আমার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে গিয়েছিল।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কিন্তু আল্লাহ তাদের সাথে যোগাযোগ করেন না। মোহাম্মদ (সা) ১৫ বছর সাধনার পর জীব্রাঈলের (আ) সাক্ষাৎ পেলেন। তারা বিনা কষ্টে সরাসরি আল্লাহর সাক্ষাৎ পেতে চায়। মামা বাড়ীর আব্দার আর কি?

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


পুরো রমজানে আপনার পোস্টসমূহ পড়লে সওয়াবের কাজে হয়ে যায় কিনা।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:০৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মানুষের করা প্রশ্ন গুলো উত্তর লিখতে চেষ্টা করি। সাওয়াব দেওয়ার মালিক আল্লাহ। আর যারা আমার পোষ্ট পড়ে তাদেরকে সাওয়াব দেওয়ার মালিকও আল্লাহ।

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৩৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এমনি এমনি হওয়া পদ্ধতি আল্লাহর ক্ষেত্রে এসে ফেল মেরেছে। হাহাহা!

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:১১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সব নিজে নিজে হলে আল্লাহ নেই কেন? নিজে নিজে যখন সবই হলে গেল তখন আল্লাহ আর কার আশায় বসে রইলেন? এ নাস্তিক গুলো সব এলামেলো কথা বলে। সেজন্যই এদের কথা মানুষ গ্রহণ করতে পারে না।

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪

নাহল তরকারি বলেছেন: আপনার ধর্মীয় পোস্ট কি ওরা পছন্দ করে?

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১২:২৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ওরা প্রশ্ন করে আমি উত্তর দেই। ওদের পছন্দ-অপছন্দ আমার বিবেচ্য বিষয় নয়।

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: এই পৃথিবী সৃষ্টির পর, যা করার মানুষ করেছে। রাস্তাঘাট, নদী শাসন, দালান কোথা এক কথায় আজকের আধুনিক সভ্যতা তৈরি করার পেছনে সমস্ত অবদাম মানুষের। কোন নবী বা কোনো ফেরেশতার নয়।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৩:০৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সাধারণ মানুষ তাদের কাজ করেছে। নবির কাজ নবি করেছে। আল্লাহর কাজ আল্লাহ করবেন। একজন এক কাজ করেছে বলে অন্য জন্য অন্য কাজ করতে পারবে না, এমন কোন নিয়ম নেই।

৬| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৩

নূর আলম হিরণ বলেছেন: আপনি বলছেন, “মানুষের এসব কীর্ত্তি আল্লাহকে মানসিকভাবে আহত করে।”
আবার বলছেন, কারো প্রতি আল্লাহর কোন গরজ নেই স্টেটমেন্ট দুটি সাংঘর্ষিক হয়ে গেল না?

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মানুষ আল্লাহকে কষ্ট দেয় এরজন্য তাকে শাস্তি দেওয়া দরকার। সেই ব্যবস্থা আল্লাহ করেছেন জাহান্নামের মাধ্যমে। তারপর আর মানুষের প্রতি আল্লাহর গরজ কি? আপনি কি মনে করেন জাহান্নামের শাস্তিতেও মানুষের কুলাচ্ছে না? না ভাই জাহান্নামের শাস্তিই মানুষের জন্য যথেষ্ট হবে। সুতরাং এরপর আর এ ছোট্ট প্রাণীতে আল্লাহর আর কোন গরজ নেই।

৭| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪

পাজী-পোলা বলেছেন: যদি সব কিছু এমনি হতে পারে তবে সৃষ্টি কর্তার প্রয়োজন কী? যদি সৃষ্টি কর্তা নিজে নিজে সৃষ্টি হতে পারেন তবে পৃথিবী কেন নয়?

জীবাণু আমাদের মেরে ফেলে তাই আমাদের ভ্যাক্সিন নিতে হয়। জীবাণু আমাদের মনে কষ্ট দেয় না। যদি আমাদের এক আঙ্গুলের ইশারায় জীবাণুরা ধ্বংস হয়ে যেত, যদি আমাদের হুকুম ছাড়া জীবাণু সৃষ্টি না হতো, চলতে না পারতো। তবে আমাদের ভ্যাক্সিন নেওয়ার কোন প্রয়োজন পরতো না।

অবশ্য তখন হয়তো আমরা জীবাণুদের বলতাম, আমাদের আনুগত্য স্বীকার করো নইলে অন্তত কাল জাহান্নামে জ্বলবে। সবল সবসময় দূর্বলের উপর অত্যাচার করে। দূর্বল কে নিজের কথা মত চলাতে যায়। যেমন রাষ্ট্র চায় জনগণকে, মহাজন চায় শ্রমিকদের, মালিক চায় কর্মচারিদের। এজন্যই বোধয় জাহান্নাম তৈরী করেছেন ইশ্বর।

পাগলের সুখ মনে মনে, বলে ও ব্যাটা মৃত্যুর পর বুঝবে শিক কোথা দিয়ে ঢোকে। আমি তো থাকবো ফুল বাগানে, হুর পরীদের শয্যায় নিয়ে।

আপনাদের লেখা আমার খুব ভালো লাগে। মানে আমি নিজে থাকি হীনমন্যতায়, ভাবি এসব লিখলে মানুষ কী ভাববে! নিজের লেখা আমার অত্যান্ত নিম্নমানের মনেহয়। এসব লেখা দেখলে আত্মা বিশ্বাস পাই।

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: একজন নিয়ন্ত্রণকারী যে আছে সে বিষয় স্পষ্ট। তিনি যদি দাবী করেন তিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন তাতে আমার বিশ্বাস করতে সমস্যা কোথায়? পৃথিবী এমনি এমনি হওয়ার চেয়ে কেউ সৃষ্টি করলে সৃষ্টি হওয়া তো আরো সহজ। কেউ কিছু করলে সেটা হয় এটা তো আমি প্রতিনিয়ত দেখছি। তাহলে আল্লাহর পায়ে পা দিয়ে তাঁর সাথে আমার ঝগড়া করার কি দরকার? তিনি যখন দাবী করলেন তিনি সব কিছু সৃষ্টি করেছেন। আর তাঁর দাবীকৃত কিছু এমনি এমনি হতে তো আমি দেখিনি। তাহলে তাঁর দাবীতে একমত পোষণ করতে আমার সমস্যা হচ্ছে কেন? পৃথিবী যদি এমনি এমনি হতে পারে তো আল্লাহও তো এমনি এমনি হতে পারেন। আর এমনি এমনি তো আর সব কিছু হচ্ছে না। সুতরাং মেনে নিলাম আল্লাহ এমনি এমনি হয়ে আর সব তিনি সৃষ্টি করেছেন। অহেতুক তাঁর দাবী অস্বীকার করে আমি জাহান্নামের ঝুঁকির মধ্যে পড়তে চাই না। এটাই হলো আমার মুমিন হওয়ার মূল বিষয়। যার সাহস আছে সে জাহান্নামের ঝুঁকি নিয়ে আল্লাহর কথা অবিশ্বাস করুক। আমি তো তার পাকা ধানে মই দিচ্ছি না। আমি আল্লাহ ভীরু মানুষ। আমার জাহান্নামের ঝুঁকি গ্রহণ করার মত অত সাহস নাই। সুতরাং আমি চলছি আল্লাহর পথ ধরে।

৮| ১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আল্লাহ কি আহত বা ব্যথিত হন? বা ক্ষিপ্ত হন? আল্লাহর কি আহত, ব্যথিত বা ক্ষিপ্ত হওয়ার দরকার আছে?

১৬ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:৫৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: শাস্তি কি তবে খুশী হয়ে দিবেন? অথচ যে শাস্তির কথা বলা আছে তাতো সাংঘাতিক।

৯| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১২:৪৭

ভবিষ্যত বলেছেন: পৃথিবীতে কোয়ালিটির বিচারে বাংলাদেশের মানুষ সবচেয়ে পিছিয়ে আছে । কোয়ালিটি বলতে আমি শুধুমাত্র কর্ম বা আমল কে আমি বুঝেয়েছি। ১ আউট অব ১০ - - আর এ কারনে আল্লাহ আমাদের সাথে কথা বলবেননা। আল্লাহ কে পেতে হলে আনেক গুলো ছোট ছোট সৎ কর্ম করতে হবে এবং এটা একমাত্র পথ! নামাজ / রোজা / হজ / যাকাত সব ঐচ্চিক

১৮ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৯:৩৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহকে খুশী রাখার সব কাজই মুমিন-মুসলিমের করা উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.