নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুস্পষ্ট প্রমাণ উপেক্ষা করেই লোকেরা মুসলিম জাতিকে মতভেদে ডুবিয়েছে

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:২৫



সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।

# সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের তাফসির - তাফসিরে ইবনে কাছির
১০৫। মুসনাদে আহমাদে রয়েছে যে, মুয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ান (রা.) হজ্জের উদ্দেশ্যে মক্কায় আসেন। যোহরের নামাজের পর তিনি দাঁড়িয়ে বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, আহলে কিতাব তাদের ধর্মের ব্যাপারে মতানৈক্য সৃষ্টি করে ৭২ দল হয়ে গেছে। আর আমার এ উম্মতের ৭৩ দল হয়ে যাবে।অর্থাৎ সবাই প্রবৃত্তির অধীন হয়ে পড়বে।কিন্তু আরো একটি দল রয়েছে এবং আমার উম্মতের মাঝে এমন লোকও হবে যাদের শিরায় শিরায় কূপ্রবৃত্তি এমনভাবে প্রবেশ করবে যেমন কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত ব্যক্তির শিরায় শিরায় বিষক্রিয়া পৌঁছে যায়। হে আরববাসী! তোমরাই যদি তোমাদের নবি (সা.) কর্তৃক আনিত জিনিসের উপর প্রতিষ্ঠিত না থাক, তবে অন্যান্য লোক তো আরও অনেক দূরে সরে পড়বে।

* ইমাম বোখারী (র.) বা তাঁর মত হাদিস সংকলকগণ বলেছেন এসব হাদিস সহিহ, কিন্তু তাঁদেরকে সহিহ বলেছে কে? তাহলে তাঁদের বিবেচনাকে মূল্য দিতে গিয়ে আমরা মতভেদে ডুবছি কোন কারণে?

সূরাঃ ২ বাকারা,৩১ নং থেকে ৩৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩১। আর তিনি আদমেকে (আ.) সব জিনিসের নাম শিখালেন। তারপর সেগুলো ফেরেশতাদের সামনে হাজির করলেন। তারপর বললেন, যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে আমাকে এসব বস্তুর নাম বলে দাও।
৩২। তারা বলেছিলো, আপনি মহান পবিত্রময়। আপনি আমাদেরকে যা শিক্ষা দিয়েছেন এর বাইরে আমাদের কোন জ্ঞান নেই। নিশ্চয়ই আপনি সর্ব জ্ঞানী, মহাকৌশলী।
৩৩। তিনি বললেন হে আদম! তুমি তাদেরকে ঐসবের নাম বলে দাও!এরপর যখন সে তাদেরকে ঐগুলোর নাম বলে দিলো, তখন তিনি (আল্লাহ) বললেন, আমি কি তোমাদেরকে বলিনি যে, নিশ্চয়ই আমি আকাশ ও পৃথিবীর অদৃশ্য বিষয় সম্পর্কে জানি। আর তোমরা যা প্রকাশ কর এবং যা গোপন কর আমি তাও জানি।

সূরাঃ ৭ আ’রাফ, ১৯ নং থেকে ২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৯। হে আদম! তুমি ও তোমার স্ত্রী জান্নাতে বসবাস কর।আর যা খুশী খাও। আর এ গাছের কাছে যেও না।তাহলে তোমরা যালিমদের মধ্যে গণ্য হবে।
২০। অতঃপর তাদের লজ্জাস্থান যা তাদের নিকট গোপন রাথা হয়েছিল তা’ তাদের কাছে প্রকাশ করার জন্য শয়তান তাদেরকে কুমন্ত্রণা দিল। আর সে বলল, তোমরা না আবার ফেরেশতা হয়ে যাও, অথবা এখানে স্থায়ী হয়ে যাও সেজন্য তোমাদের রব এ গাছ সম্বন্ধে তোমাদেরকে নিষেধ করেছেন।
২১। সে তাদের নিকট কসম করে বলল, আমিতো তোমাদের নছিহতকারীদের একজন।
২২। এভাবে সে তাদেরকে ধোকা দিয়ে নীচু করল।তৎপর যখন তারা সে বৃক্ষফলের মজা গ্রহণ করল তখন তাদের লজ্জাস্থান তাদের নিকট প্রকাশ হয়ে পড়ল।আর তারা নিজেদেরকে জান্নাতের পাতা দ্বারা আবৃত করতে লাগল।তখন তাদের রব তাদেরকে ডেকে বললেন, আমি কি তোমাদেরকে এ গাছের কাছে যেতে মানা করিনি? আর আমি কি বলিনি যে শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য দুশমন?

* আল্লাহ প্রশিক্ষিত বড় আলেম হলেন হযরত আদম (আ.)। তিনিও শয়তানের ধোকায় পড়েছিলেন। তাহলে ইমাম বোখারী (র.) এবং তাঁর মত হাদিস সংকলকগণ শয়তানের ধোকায় পড়ে সহিহ নয় এমন হাদিসকে সহিহ এবং সহিহ হাদিসকে সহিহ নয় বলে মুসলিম জাতিকে বিভেদে জড়াননি তা’ কেমন করে বলি?

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৮৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮৬। আল্লাহ কারো উপর এমন কোন কষ্ট দায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না যা তার সাধ্যাতীত।সে ভাল যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। সে মন্দ যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। হে আমাদের প্রতিপালক যদি আমরা ভুলে যাই অথবা আমাদের ত্রুটি হয় তবে আমাদেরকে পাকড়াও করো না। হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের পূর্ববর্তিগণের উপর যেমন গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছিলে আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করবেন না।হে আমাদের প্রতিপালক এমন ভার আমাদের উপর অর্পণ করবেন না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই।আমাদের পাপ মোছন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে জয়যুক্ত করুন।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

মেশকাত ৫৭৬৪ নং হাদিসের (সাহাবীদের ফজিলত ও মর্যাদা অধ্যায়) অনুবাদ-
৫৭৬৪। হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, আমি আমার প্রতিপালককে আমার ইন্তেকালের পর আমার সাহাবীদের মধ্যে মতভেদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি অহীর মাধ্যমে আমাকে জানিয়ে দিলেন যে, হে মোহাম্মদ! আমার নিকট তোমার সাহাবীদের মর্যাদা হল আসমানের নক্ষত্রদের তুল্য। এর একটি আরেকটির তুলনায় অধিক উজ্জ্বল। অথচ প্রত্যেকটির মধ্যেই আলো বিদ্যমান; সুতরাং তাদের মতভেদ হতে যে কোন ব্যক্তি কোন একটি অভিমত গ্রহণ করবে, সে আমার নিকট হেদায়াতের উপরই প্রতিষ্ঠিত। হযরত ওমর (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, আমার সাহাবীগণ হল তারকাসদৃশ। অতএব তোমরা তাদের মধ্য হতে যে কোন এক জনের অনুসরন করবে হেদায়াত লাভ করবে – রাযীন।

* আল্লাহ প্রশিক্ষিত বড় আলেম নবিগণের (আ.) কাজের ত্রুটি আল্লাহ ক্ষমা করেছেন। তাহলে মহানবি প্রশিক্ষিত সাহাবায়ে কেরামের (রা.)কাজের ত্রুটি আল্লাহ ক্ষমা করেননি সেটা আমরা কেমন করে বুঝি? তাহলে আমরা সাহাবায়ে কেরামের (রা.) সমালোচনা কেন করি? আল্লাহর ক্ষমাপ্রাপ্তদের সমালোচনা করা কি আল্লাহর সাথে বেয়াদবী করা নয়? সুতরাং আমরা সাহাবায়ে কেরামের (রা.)সমালোচনা করব না এবং তাঁদের কাজের ত্রুটির অনুসারীও হব না।

হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) অনুসারী হয়ে আমরা বিতর নামাজ এক রাকাত পড়ব না, আমরা সাহাবায়ে কেরামের (রা.)সর্ববৃহৎ দলের অনুসারী হয়ে বিতর নামাজ তিন রাকাত পড়ব।হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) অনুসারী হয়ে আমরা তাঁর আমিরুল মুমিনিন হযরত আলীর (রা.) সাথে যুদ্ধ করাকে সঠিক মনে করব না।হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) অনুসারী হয়ে আমরা ইয়াজিদকে খলিফা মনে করব না। হযরত আবুযর গিফারীরর অনুসারী হয়ে আমরা আমিরুল মুমিনিন হযরত ওসমানের (রা.) সামালোচনা করব না। বরং সকল ক্ষেত্রে আমরা সাহাবায়ে কেরামের সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকব। আমরা সকল সাহাবাকে (রা.) সত্যের মাপকাঠি মানব তবে তাঁদের কাজের ত্রুটিকে অনুসরনযোগ্য মনে করব না।

হযরত আয়েশার (রা.) কাজে ত্রটি হয়েছে তিনি সেটা স্বীকার করেছেন। তাঁর কাজের ত্রুটি ছিলো জঙ্গেনজামাল যুদ্ধ। হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) কাজের ত্রুটি ছিলো সিফফিন যুদ্ধ, তিনি তারপরে খলিফার সাথে সমঝোতা করে তাঁর খেলাফত মেনে নিয়েছেন। জেনাকারিনী সাহাবী নিজেই জেনার দন্ড গ্রহণ করেছেন। সুতরাং সব সাহাবার (রা.) কাজেই আমাদের জন্য হেদায়াত আছে, সেজন্য সব সাহাবা সত্যে মাপকাঠী। আর নবিগণের কাজের ত্রুটির অনুসারী হওয়ার অনুমতি না থাকায় সাহাবার কাজের ত্রুটির অনুসারী হওয়ার সুযোগ নাই। সুতরাং কোন ফকিহ ও কোন হাদিস সংকলকের কাজের ত্রুটির অনুসারী হওয়র সুযোগ নাই।

সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।

সহিহ মুসলিম, ৪৬১৪ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৬১৪। আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে নবি করিম (সা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করল, সে আল্লাহর আনুগত্য করল। আর যে ব্যক্তি আমার অবাধ্যতা করল সে আল্লাহর অবাধ্যতা করল। যে ব্যক্তি আমিরের আনুগত্য করে সে আমারই আনুগত্য করল। আর যে ব্যক্তি আমিরের অবাধ্যতা করল সে আমারই অবাধ্যতা করল।

সহিহ মুসলিম, ৪৪৫৬ নং হাদিসের (কিতাবুল জিহাদ) অনুবাদ-
৪৪৫৬। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার আমিরের মধ্যে এমন কোন ব্যাপার দেখে, যা সে অপছন্দকরে তবে সে যেন ধৈর্য্য অবলম্বন করে। কেননা, যে লোক জামায়াত থেকে কিঞ্চিত পরিমাণ সরে গেল এবং এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করল সে জাহেলিয়াতের মুত্যুই বরণ করল।

সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।

মেশকাত ২২৪ নং হাদিসের (ইলম অধ্যায়) অনুবাদ-
২২৪। হযরত আওফ ইবনে মালেক আশজায়ী (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্বয়ং আমির অথবা আমীরের পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা কোন অহংকারী ব্যতীত অপর কেউ ওয়াজ করতে পারে না।

* কারো কাজের ত্রুটির অনুসারী হওয়া সঠিক নয় বলে মুসলিমদের সবচেয়ে পরাক্রান্ত খলিফা হারুনুর রশিদ ইমাম আবু হানিফার (র.) কাজের পরিশোধন করে এর নাম হানাফী মাযহাব রেখে তিনি নিজে হানাফী মাযহাবের অনুসারী হয়েছেন। তিনি ইমাম আবু হানিফা (র.) নয়, বরং হানাফী মাযহাবের অনুসারী হয়েছেন। তাহলে আমরা হানাফী মাযহাব ছেড়ে মিাম আবু হানিফা (র.) বা অন্য কারো অনুসারী কেন হচ্ছি?

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।

# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।

# সহিহ আল-বোখারী

সহিহ আল বোখারী, ৪৫৩২ নং ৪৫৩৩ নং হাদিসের (তাফসীর অধ্যায় – ৬২. সূরা আল জুমুআ) অনুবাদ
৪৫৩২। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবি করিমের নিকট বসা ছিলাম। এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুআ অবতীর্ণ হল – যাতে এও আছে ‘আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি’। তিনি বলেন, তারা কারা হে আল্লাহর রাসূল! তিনবার একথা জিজ্ঞেস করার পরও তিনি এ কথার কোন জবাবই দিলেন না। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) হাজির ছিলেন। নবি করিম (সা.) তার উপর হাত রেখে বললেন, ঈমান ছূরাইয়া নক্ষত্রের নিকট থাকলেও অনেক ব্যক্তিই কিংবা যে কোন একজন তা’ পেয়ে যাবে।
৪৫৩৩। আবু হুরায়রা (রা.) নবি (সা.) হতে বর্ণনা করে বলেন, এদের কিছু লোক তা’অবশ্যই পেয়ে যাবে।

# সহিহ মুসলিম

সহিহ মুসলিম, ৬৩৩৯ নং ও ৬৩৪০ নং হাদিসের [ সাহাবায়ে কেরামের (রা.) মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৬৩৩৯।হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। যদি দীন আসমানের দূরবর্তী সুরাইয়া নক্ষত্ররাজির কাছে থাকত, তবে পারস্যের যে কোন ব্যক্তি তা’ নিয়ে আসত; অথবা তিনি বলেছেন, কোন পারসিক সন্তান তা’ অর্জন করত।

সহিহ মুসলিম, ৬৩৪০ নং হাদিসের [ সাহাবায়ে কেরামের (রা.) মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৬৩৪০। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবি করিমের (সা.) নিকট বসা ছিলাম। তখন তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হল। যখন তিনি এ আয়াত পড়লেন, ‘ওয়া আখারিনা মিনহু লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম - আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি’ তখন জনৈক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) এরা কারা? নবি করিম (সা.) তার কোন জবাব দিলেন না। এমন কি সে একবার অথবা দু’ বার কিংবা তিনবার তাঁকে জিজ্ঞাস করল। রাবী বলেন, তখন আমাদের মাঝে সালমান ফারসী (রা.) ছিলেন। রাবী বলেন, নবি করিম (সা.) তাঁর হাত সালমানের (রা.) উপর রাখলেন, এরপর বললেন, যদি ঈমান সূরাইয়া তারকার কাছে থাকত তাহলে অবশ্যই তার গোত্রের লোকেরা সেখান পর্যন্ত পৌঁছত।

# সহিহ তিরমিযী

সহিহ তিরমিযী, ৩৮৬৮ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৮৬৮। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন সূরা আল-জুমুআ অবতীর্ণ হয় এবং তিনি তা’ তেলাওয়াত করেন। তিনি ‘ওয়া আখারিনা মিসহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম- আর তাদের অন্যান্যদের জন্যও যারা এখনো তাদের সাথে মিলিত হয়নি’ পর্যন্ত পৌঁছলে এক ব্যক্তি তাঁকে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! এসমস্ত লোক কারা, যারা এখনো আমাদের সাথে মিলিত হয়নি? তিনি তাকে কিছুই বললেন না। সালমান আল –ফারসী আমাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজের হাতখানা সালমানের (রা.) উপর রেখে বললেন সেই সত্তার কসম যার হাতে আমার প্রাণ! ঈমান সুরাইয়া তারকায় থাকলেও এদের কিছু লোক তা’ নিয়ে আসবে।

সহিহ তিরমিযী, ৩২৪৮ নং হাদিসের (তাফসীরুল কোরআন – সূরা আল-জুমুয়া) অনুবাদ-
৩২৪৮। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সূরা আল-জুমুয়া অবতীর্ণ হওয়াকালে আমরা রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকটেই ছিলাম।তিনি তা’ তেলাওয়াত করেন।তিনি ‘আর তাদের অন্যান্যদের জন্যও যারা এখনো তাদের সাথে মিলিত হয়নি’ (৬২,৩) পর্যন্ত পৌঁছলে এক ব্যক্তি তাঁকে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! যারা এখনো আমাদের সাথে মিলিত হয়নি তারা কারা? নবি করিম (সা.) তার কথায় চুপ রইলেন। বর্ণনাকারী বলেন, তখন সালমান (রা.) আমাদের সাথেই ছিলেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) সালমানের (রা.) উপর হাত রেখে বললেন, সেই মহান সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার জীবন! ঈমান যদি সুরাইয়্যা নক্ষত্রেও থাকে তবুও তাদের মধ্য হতে কিছু লোক তা’ নিয়ে আসবে।

সহিহ বোখারী ৪৯৯ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৯৯। হযরত যুহুরী (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দামেশকে আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট গিয়ে দেখতে পেলাম, তিনি কাঁদছেন। আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বললেন, আমি যা যা দেখেছি তার মধ্যে এ নামাযই আজ পর্যন্ত অবশিষ্ট ছিল। কিন্তু এখন নামাজও নষ্ট হতে চলেছে।

* ইসলাম বিচনষ্ট হওয়র পর বিনষ্ট ইসলামের মেরামত করাকে দায়িত্ব মনে করে পারসিক আলেম ইমাম আবু হানিফা (র.) বিনষ্ট ইসলাম মেরামত করেছেন। তাঁর কাজের ত্রুটি সংশোধন করাকে দায়িত্ব মনে করে খলিফা তাঁর কাজের ত্রুটি সংশোধন করে এর পরিশোধন করে পরিশোধীত হানাফী মাযহাবের অনুসারী হয়েছেন খলিফা। তাহলে আমরা অপরিশোধীত মালেকী, শাফেঈ, ও হাম্বলী মাযহাব মেনে বিভেদে কেন জড়াই? আমাদেরকে কি পাগলা কুত্তায় কামড়াইছে? আমরা কেন শিয়া ও ইবাদী মাযহাব কেন মানি? সেই সব মাযহাব কে পরিশোধন করেছে? আমরা পীর, সালফী, আহলুল হাদিস বা আহলে হাদিসকে কেন মানি? তাদের মাযহাব, মানহায বা মাসলাক কে পরিশোধন করেছে? আমরা তাবলীগের সাদকে কেন মানি তার কাজকে কে পরিশোধন করেছে? আমিরুল মুমিনিন নয় এমন কেউ যে দলে নেই আমরা সেই দলে গিয়ে কেন বিভেদে জড়াই?এখন কোন আমিরুল মুমিনিন নাই। সুতরাং আমরা আমিরুল মুমিনিনের হানাফী মাযহাবেই থাকব।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।

সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের অনুসরন অবশ্যই সঠিক। সুতরাং আমরা আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকব। সেজন্য আমরা তাবলীগের যুবাইর পন্থীদের সাথে থাকব। কারণ সেই দলে তাবলীগের আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল রয়েছে। আমরা সাদ পন্থীদের সাথে থাকব না। কারণ সে দলে আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল নেই। এভাবে সকল ক্ষেত্রে আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের অনুসারী হলে আমাদের মতভেদের দায় মুক্তি থাকবে। নতুবা মতভেদের দায়ে জাহান্নামে যেতে হবে।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৩১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মুসলিম এতদলে বিভক্ত কেন? এ পোষ্ট সেই প্রশ্নের উত্তর। যারা মুমিন নয় তারা এ পোষ্ট পড়া থেকে বিরত থাকলে ভালো হয়।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সব ধর্ম ও মতে মতভেদ আছে। অনেক ক্ষেত্রে মতভেদ নিরসনে মেজরিটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়। ইসলামে আলেমগণের সর্ব বৃহৎ দল স্বীকৃত।

২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৩৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

হযরত আয়েশার কি কোন বাচ্চা কাচ্চা ছিল?!
না থাকলে কেন ?
তার কি শারীরিক কোন সমস্যা ছিল কিনা?

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৪১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তিনি কন্সিভ করেছেন, তবে মা হননি। তাঁর কোন শারিরিক কোন সমস্যা ছিলো কিনা সেটা পরীক্ষা করা হয়নি। আমার মেয়ের অসময়ে সন্তান হয়ে মারাগেছে। পরীক্ষায় তার হরমন সংক্রান্ত সমস্যা ধরা পড়েছে।

৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:১৩

কামাল১৮ বলেছেন: হাদিস ছাড়া কোরান দেখে আপনি কয় বেলা নামাজ পড়বেন আর কি ভাবেই বা পড়বেন।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হাদিস মানতে হবে আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের আমল অনুযায়ী। তাহলে আর হাদিসের কারণে মতভেদে পড়তে হবে না।

৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩০

মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌ বলেছেন: বিতর এক রাকাআত পড়াটা মুয়াবিয়া রাঃ এর আবিষ্কার নয় বরং রাসুলের সুন্নাহ!! নবী(স:) রাতের তাহাজ্জুদের নামায দুই দুই রাকাত করে আদায় করতেন এবং ১ রাকাত বিতর পড়তেন। বুখারী -৯৩৬। আপনি আপনার ব্যাক্তিগত পছন্দ কে সঠিক প্রমাণ করার অনেক চেষ্টা করলেন। আল্লাহ আপনাকে সহ সবাইকে হেদায়েত করুন।


১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হযরত মুয়াবিয়ার (রা) আমল সাহাবায়ে কেরামের (রা) সর্ববৃহৎ দলের আমল ছিলো না। রাসূল (সা) বিতর পড়তেন ঘরে। তিনি কয়রাকাত বিতর কিভাবে পড়তেন সেটা স্বচক্ষে দেখার জন্য হযরত আব্বুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) তাঁর মাকে মহানবির (সা) ঘরে পাঠান। তাঁর রিপোর্ট অনুযায়ী তিন রাকাত বিতর পড়েন। পরে সাহাবায়ে কেরাম (রা) এটার উপর আমল করেন।

# হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.)

সহিহ আল বোখারী, ৩৪৮৭ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৪৮৭। হযরত আবু মুসা আশ’আরী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি ও আমার ভাই ইয়েমেন হতে (মদীনায়) আসলাম এবং বেশ কিছু দিন থাকলাম। আমরা সব সময় ভাবতাম যে, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) নবি (সা.) পরিবারের একজন লোক। কেননা আমরা প্রায়ই তাঁকে ও তাঁর মাকে প্রায়ই নবীর (সা.) নিকট আসতে দেখতাম।

* নবি (সা.) পরিবারের ঘনিষ্ঠ একজন হওয়ায় অধিকাংশ বিষয়ে পরে সাহাবায়ে কেরাম (রা) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের (রা) অনুসারী হন।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ১৩৭ নং হাদিসের (অবতরনিকা অধ্যায়) অনুবাদ-
১৩৭। হযরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি যদি পরামর্শ ছাড়াই কাউকে আমার প্রতিনিধি নিযুক্ত করতাম তাহলে ইবনে উম্মে আবদ (রা.) কেই (আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ) আমার প্রতিনিধি নিযুক্ত করতাম।

* রাসূল (সা.) যাঁকে এতটা পরিশুদ্ধ বলেছেন, তাঁর অনুসারী সাহাবায়ে কেরামকে (রা) অশুদ্ধ বলা যায় না।

সহিহ তিরমিযী, ৩৭৪৩ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭৪৩। হযরত ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার পর তোমরা আমার সাহাবীদের মধ্যে আবু বকর, ওমর ও আম্মারের অনুসরন কর এবং ইবনে মাসউদের উপদেশ শক্তভাবে আঁকড়ে ধর।

* রাসূলের (সা.) আদেশ অনুযায়ী সাহাবায়ে কেরাম (রা) হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের উপদেশ শক্তভাবে আঁকড়ে ধরেছেন।

সহিহ তিরমিযী, ৩৭৪৫ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭৪৫। হযরত আব্দুর রহমান ইবনে ইয়াযিদ (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমরা হোযায়ফার (রা.) নিকট এসে বললাম, আপনি আমাদেরকে এমন এক লোকের খবর দিন, যিনি আচার ও আচরণে অন্যদের তুলনায় রাসূলুল্লাহর (সা.) অধিক কাছের।যাতে আমরা তাঁর কাছ থেকে দীন শিখতে পারি এবং হাদিস শুনতে পারি। হযরত হোযায়ফা (রা.) বলেন, আচার-আচরণ ও চাল-চলনে লোকদের মধ্যে রাসূলুল্লাহর (সা.) অধিকতর কাছের হলেন ইবনে মাসউদ (রা.)। তিনি তাঁর ঘরের খবর আমাদের চেয়ে অধিক জ্ঞাত। রাসূলুল্লাহর (সা.) সাহাবীগণ উত্তমরূপে জানতেন, ইবনে উম্মে আবদ (আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ) তাদের সকলের চেয়ে আল্লাহর অধিক নৈকট্যশীল।

* সেই হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের (রা.) মাযহাবই পরে অধিকাংশ সাহাবার (রা) মাযহাব হয়।

সহিহ তিরমিযী, ৩৭৪৬ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭৪৬। হযরত আলী (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমি যদি কাউকে তাদের পরামর্শ ব্যতীত আমির নিয়োগ করতাম, তবে ইবনে উম্মে আবদকে (আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ) আমির নিয়োগ করতাম।

* সেই হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের (রা.) মাযহাবই পরে হানাফী মাযহাব নামে প্রচলিত হয়।

সহিহ তিরমিযী, ৩৭৪৮ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭৪৮। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমরা চার ব্যক্তির নিকট থেকে কোরআন শিক্ষা কর, ইবনে মাসউদ, উবাই ইবনে কাব, মুয়াজ ইবনে জাবাল ও হোযাইফার স্বাধীন দাস সালেম থেকে।

* সেই হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদের (রা.) মাযহাবই পরে হানাফী মাযহাব নামে প্রচলিত হয়।

সহিহ তিরমিযী, ৩৭৪৯ নং হাদিসের [ রাসূলুল্লাহ (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণের মর্যাদা অধ্যায়] অনুবাদ-
৩৭৪৯। হযরত কাঈসামা ইবনে সাবরা (র.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মদীনায় এসে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করলাম, তিনি যেন আমাকে একজন সৎ সাথী মিলিয়ে দেন। অতএব তিনি আবু হোরায়রাকে আমার ভখাগ্যে ঝুটিয়ে দিলেন। তাঁর পাশে বসে আমি তাঁকে বললাম, আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করে ছিলাম, তিনি যেন আমাকে একজন সৎ সাথী মিলিয়ে দেন।অতএব আপনি আমার জন্য সহজলভ্য হয়েছেন।তিনি (আমাকে) জিজ্ঞাস করেন তুমি কোথা হতে এসেছ? আমি বললাম, আমি কুফার অধিবাসী। আমি ভালোর খোঁজে এসেছি এবং তাই খুঁজছি। তিনি বলেন, তোমাদের মাঝে কি সাদ ইবনে মালেক (রা.) যার দোয়া কবুল হয়, রাসূলুল্লাহর অযুর পানি ও জুতা বহনকারী ইবনে মাসউদ (রা.), রাসূলুল্লাহর (সা.) গোপন তথ্যের খাজাঞ্চী হোযায়ফা (রা.), আমার যাকে আল্লাহর নবির (সা.) ভাষায় আল্লাহ শয়তানের আক্রমণ থেকে বাঁচিয়ে রেখেছেন এবং দুই কিতাবধারী সালমান (রা.) প্রমুখ সাহাবীগণ বিদ্যমাণ নেই? কাতাদা বলেন দুই কিতাব হলো, ইঞ্জিল ও কোরআন।

* হযরত আবু হোরায়রার (রা.) ভাষায় রাসূলের (সা.) সেরা সাহাবাগণ যেখানে কুফায় ইসলামের শিক্ষক সেখানে তাদের জন্য মদীনার আলেমের প্রয়োজন নেই। তথাপি কুফার লোকেরা মদীনার অন্য সাহাবাগণের এলেমও কুফায় আমদানী করে কুফাকে আরো সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁদের মাযহাব হানাফী মাযহাব হওয়ায় এটা অপ্রতিদ্বন্দ্বী।মোনাফেকরা বিভিন্ন অপপ্রচারের মাধ্যমে এর থেকে লোকদেরকে সরিয়ে সঠিক দীনকে প্ররাজিত করার আপ্রাণ চেষ্টা করেও সফল হয়নি।

৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৩৭

অহরহ বলেছেন: হায় হায় কী শুনাইলেন @ জাগতিক ভাইয়া? আল্যা, শয়তান আর মোহাম্মদ এই তিন জন মিলেমিশে এমন হ জ ব র ল ইসলাম বানাইসে যা থেকে মুক্তি পাওয়ার পথ নেই। সবার আগে আপনার আল্যাকে বেত মেরে *ছা লাল করে দেয়া দরকার।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনার মন্তব্য অত্যন্ত নীচু মানের।

৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪২

সোনাগাজী বলেছেন:



কোন সুরাহে আপনার কথা বলা হয়েছে? আপনি যে, আজকের দিনের একটি আধুনিক প্রফেশান পেয়েছেন, ইহার ব্যাখ্যা কোন সুরায় আছে?

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমার পেশা বিষয়ে কোরআনে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই।

৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৯

কামাল১৮ বলেছেন: আলেমরা বিভিন্ন দলে বিভক্ত।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে থাকলে মতভেদ থাকবে না।

৮| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৭

অহরহ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আপনার মন্তব্য অত্যন্ত নীচু মানের।

দুঃখিত জাগতিক ভাইয়া...........কথা দিলাম, এরপর মন্তব্য লিখতে more appropriate word use করব।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:২৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঠিক আছে।

৯| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৮

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আপনার মেয়ের জামাই এ বিষয়ে কী বলে?

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জামাইতো ব্লগে আসে না।

১০| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:০০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার কাছে আপনার এই লেখার সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ হল -

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের অনুসরন অবশ্যই সঠিক। সুতরাং আমরা আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকব। সেজন্য আমরা তাবলীগের যুবাইর পন্থীদের সাথে থাকব। কারণ সেই দলে তাবলীগের আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল রয়েছে। আমরা সাদ পন্থীদের সাথে থাকব না। কারণ সে দলে আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল নেই।

মওলানা সাদের কিছু কথা বিতর্কের সৃষ্টি করেছে। কিন্তু উনি নিজেকে সংশোধন করতে নারাজ।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যেহেতু আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলকে কোরআন ও হাদিস সঠিক সাব্যস্ত করে সেহেতু তাঁদের বিপরীতে কোন ব্যক্তির অনুসরন ইসলাম নয়। যেমন কোন কোন সালাফী বলে তারা হানাফঠী মাযহাব নয় তারা ইমাম আবু হানিফাকে মানে। অথচ আমিরুল মুমিনিন হারুনুর রশিদ হানাফী মাযহাব অনুমোদন করেছেন, কিন্তু আমিরুল মুমিনিন আবু জাফর আল মানসুর ইমাম আবু হানিফাকে হত্যা করেছেন। আর আল্লাহ আমিরকে মানতে বলেছেন। তিনি কোন ব্যক্তিকে মানতে বলেননি। সুতরাং আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল যাঁকে আমির স্বীকার করেছেন তাঁকে অমান্য করে তাঁর বিপরীতে কোন ব্যক্তিকে মানার সুযোগ নাই। আর আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল যাকে আমির মানেননি তাকেও আমির মানার সুযোগ নাই। যেমন ইয়াজিদকে আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল আমির মানেন না। সেজন্য ইমাম হোসেনও (রা) ইয়াজিদকে আমির না মেনে শাহাদাতের পথ বেছে নিয়েছেন।

১১| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫

এম ডি মুসা বলেছেন: আপনি এত গুলো আয়াত একসাথে না দিয়ে আপনি একি বিষয়বস্তু নিয়ে যে আয়াত গুলো দিলে ভালো হতো,, সুবিদা হতো বুঝতে,, তবে একটা বিষয়ে উপর কি কি কথা বলা আছে এই রকম আরকি।ি

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মতভেদ কেন এবং এর থেকে বাঁচার পথ দেখাতে গিয়ে আমাকে এসব উপস্থাপন করতে হয়েছে। তকে সহজ কথা হলো আলেমদের সর্ববৃহৎ দল সঠিক। মুসলিমগণ তাঁদের সাথে থাকলে তাদেরকে এতদলে বিভক্ত হতে হতো না। ইসলাম কিন্তু সংখ্যা গরিষ্ঠ আলেম সঠিক সেটা বলে না, ইসলাম বলে আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল সঠিক। মনে করেন ২০% আলেম হলেন আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল এবং বাহাত্তর দলে বিভক্ত ৮০% আলেম। তাহলে এক দলে ঐক্যবদ্ধ ২০% আলেম যদি আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল হয় তাহলে ইসলাম তাদের দলকেই সঠিক দল বলে সাব্যস্ত করবে। এ সহজ কথাটা বুঝতে না পেরে মুসলিম তিহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছে। মুসলিমরা বড় আলেম মনে করে এমন সব লোকেরাই মুসলিমদেরকে বিভ্রান্ত করে তিহাত্তর দলে বিভক্ত করেছে। তাবলীগ জামাতের সাদ এমন এক লোক। সারা দৃনিয়ার সব আলেমও যদি বলে তার কথা ঠিক নয় তথাপি সে বলবে তার কথাই সঠিক। আর অজ্ঞ লোকেরা তার অনুসারী হয়ে আলাদা দল হয়ে গেল। পথভ্রষ্ট আলেম এবং তাদের অজ্ঞ অনুসারীরর কারণেই মুসলিম এত দল। পথভ্রষ্ট আলেমের অনুসরন বাদ দিয়ে যদি মুসলিম আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলে চলে আসে তাহলে তারা সহজে ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে।

১২| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:১৮

আলামিন১০৪ বলেছেন: ভাই, আমি আপনার মতের উপর পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে বলছি
আল্লাহ তাআলা ইচ্ছা করলে হাদিসে বর্ণিত বিস্তারিত বিষয়গুলোকে কোরআনে অন্তর্ভূক্ত করতে পারতেন, তাতে এত ফেরকার উদ্ভব হতো না। তাই আমি মনে করি হাদিসের বর্ণনার পার্থ ক্য আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী হয়েছে আর এর কারণে মতপার্থক্য দোষণীয় নয় । আল্লাহ আমাদের অন্তরের অবস্থা জানেন। আশা করি তিনি আমাদের ভূল হাদিসের উচর আমলের জন্য দায়ী করবেন না। তবে মত পার্থক্যের জন্য আপনি যদি অন্য একজন মুসলিমের সাথে শত্রৃুতা পোষণ করেন, রক্তপাত করেন, সে জন্য আল্লাহর নিকট আপনাকে জবাব দিতে হবে। বিদায় হজ্জ্বের ভাষণ আরেকবার দেখুন।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমি আলেমগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে বলেছি। আর কোরআন ও হাদিসে তাঁদের সঠিকতার সনদ আছে। সুতরাং যারা তাঁদের বিরোধীতা করে তারা হলো ফিত না। ফিতনার সাথে আল্লাহ কি করতে বলেছেন?

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৯। আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে থাকবে যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং আল্লাহর দীন সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।অতঃপর যদি তারা বিরত হয় তবে তারা যা করে আল্লাহতো এর দর্শক।

# এ ফিতনা খুব অসুবিধা জনক। মুসলিমদের যে কোন কাজে এরা বাধার সৃষ্টি করে মুসলিমদের অগ্র যাত্রাকে থামিয়ে দেয়। একজন আলেম যদি মনে করে তিনি ইসলাম যা বুঝেছেন সেটাই সঠিক, আলেমগণের সর্ববৃহৎ দল যদি বলেন, আপনি সঠিক নন, তিনি যদি এটা না মানেন তবে তিনি পথভ্রষ্ট আলেম। তিনি সহ তাঁর অনুসারী দল হলো ফিতনা। এ ফিতনার বিরুদ্ধে আল্লাহ যুদ্ধ করেতে বলেছেন।

১৩| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৭

আলামিন১০৪ বলেছেন: বাঁধা না দিলে সেটা ফিতনা হবে না। ফিতনা হলো বিশৃঙ্খলা। মতেভেদ আর ফিতনা এক নয়।
আপনার হাদিসের যে বর্না দিয়েছেন সেটা অন্য বর্ণনায় সংক্ষিপ্ত আকারে এসেছে
”আমার উম্মতগণ কোন ভূল বিষয়ে একমত হবে না” এর অর্থ, যে বিষয়ে ঐকমত আছে তার সঠিকতা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কেনরে ভাই আলেমদের সর্ববৃহৎ দলের মতে একমত হয়ে মতভেদ দূর করলে সমস্যা কি? আর আল্লাহ তো মতভেদের জন্যই মহাশাস্তির কথা বলেছেন। আপনি মতভেদকে হালকা করে দেখছেন কেন? আর এর সমাধান করা গেলে আমি কার জন্য এটা জিইয়ে রাখব? আমি কি পথভ্রষ্ট আলেমের ইজ্জত রক্ষায় মুসলিমদের মতভেদ জিইয়ে রাখব?

১৪| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:০৬

আলামিন১০৪ বলেছেন: সাহাবীদের মধ্যে মত পার্থক্য ছিল আপনি কি জানেন? মুয়াবিয়ার কথঅ বলছিনা, প্রথম চার খলিফা যাঁদের বিষয়ে দুনিয়াতে থাকাকালীন বেহেস্তের সুসংবাদ দিয়ে গিয়েছিলেন রাসুল(সঃ)। এমনকি একজন তো দীর্ঘদিন বাইয়াত হননি, পরে কয়েক বছর (ঠিক মনে নেই) পর এক রকম জোড় করে বাইয়াত নেওযা হয়েছিল। আরো জানেন কি, যে নিকাহ মুতা এর বিষয়ে সাহাবীদের মধ্যে মত পার্থক্য এত চরমে পৌছেছিল যে ওমর (রাঃ) এক সময় রাস্ট্রীয় ডিক্রি জারী করেস যে “আমি ওমর এটা নিষিদ্ধ ঘোষণা করলাম”

আপনি জানেন কি, সম্পদ জমা করার বিষযে এক বিখ্যাত সাহাবী এক নিষিদ্ধ বলেছিলেন, পরে সেটা বিশৃঙ্খলার পর্যায়ে যাওয়াতে খলিফা তাকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিলেন।
আরো অনেক মতভেদ ছিল সাহাবীদের মধ্যে।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:০৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সাহাবায়ে কেরাম (রা) মতভেদ করলে তাঁদের শাস্তি হবে না এটা আপনাকে কে বলেছে? সাহাবা জাহান্নামে যাবেন না, এটা ঠিক আছে। কিন্তু জান্নাত তো আটটা। সাহাবা হয়ে যদি কেউ আট নং জান্নাতে যায় এবং সাহাবা না হয়েও যদি কেউ এক নং জান্নাতে যান সেটা হবে সাহাবার জন্য বড় শাস্তি। হযরত আয়েশা (রা) ছিলেন রাসূলের (সা।) সবচেয়ে জ্ঞানী স্ত্রী। কিন্তু সবাই জানে তিনি জান্নাতে নারীদের নেত্রী হবেন না। অথচ জান্নাতে নারী নেত্রী হবেন ফিরাউনের স্ত্রী হযরত আচিয়া (আ)। আর রাসূলের (সা) স্ত্রীগণের মধ্যে শুধু হযরত খাদিজা (রা) হবেন জান্নাতে নারী নেত্রী। রাসূলের (সা) কন্যাগণের মধ্যে হযরত ফাতেমা জান্নাতের নারী নেত্রী হবেন। সুতরাং হযরত আলীর সাথে মতভেদের ফল হযরত আয়েশা পাবেন জান্নাতে নারী নেত্রী না হয়ে। এটা তাঁর কম শাস্তি নয়। আল্লাহ বলেছেন মতভেদের শাস্তি মহাশাস্তি সেটা মতভেদকারী পাবেই পাবেই। এবার সেটা যেভাবেই হোক। সাহাবায়ে কেরাম (রা) জান্নাতে কম মর্যাদা পেয়ে শাস্তি পাবেন। নআর যারা সাহাবা নয় মতভেদের কারণে তারা জাহান্নামে যাবে। কালেমার কারণে পরে তারা জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেলেও তাদেরকে একবার জাহান্নামে ঘুরে আসতে হবে।

১৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২১

বাউন্ডেলে বলেছেন: ক্ষমতা,নারী, সম্পদ, সাম্রাজ্যর লোভ ইসলামকে মতভেদে ডুবিয়েছে। তৈরী হয়েছে হাজার প্রকার আকিদা, খানকাহ, মাদ্রাসা, লাখো হাদিস। মুসলিম নামধারীদের মতো নিকৃষ্ট প্রানী দুনিয়ায় এখন বিরল।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: চরমোনাইর দাদা পীর ইল্লাল্লাহ যিকির করেছেন। এখন সারা দুনিয়ার আলেমে এটা সঠিক কাজ নয় বললেও তারা তাদের কথা শুনবে না। এভাবে মনগড়া কাজের পিছে যারা ছুটে তারা মতভেদ থেকে রক্ষা পায় না। পরকালে মতভেদের দায়ে যারা অভিযুক্ত হবে তাদেরকে এর শাস্তি পেতেই হবে। এবার সে যে হোক। মতভেদের দায় সাহাবার হলে জান্নাতে তাঁদের মর্যাদা অন্য দের খেতে কম হবে। তবে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় অবদানের জন্য তাঁরা জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাবেন। আর যারা সাহাবা নয় মতভেদের দায়ে অপরাধী সাব্যস্ত হলে তাদেরকে একবার জাহান্নাম থেকে ঘুরে আসতে হবে। তারপর কালেমার কারণে তারা মুক্তি পাবে।

১৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: পুরো ক্যাচক্যাচানি। যুগের পর যুগ। আর ভালো লাগে না।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এটা মুমিনদের বিষয়। এ ক্ষেত্রে আপনার ভালো লাগা আর না লাগা কোন বিবেচ্য বিষয় নয়।

১৭| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১০

অহরহ বলেছেন: ইসলাম ধর্ম একটা যন্ত্রনা, আপদ। এ থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় কী, জাগতিক ভাইয়া?

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:১১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইসলাম মুমিনের নিকট আপদ নয়। আর মুসলিম রাষ্ট্র সমূহ আসল মুমিনদের হাতে নেই। দূর্বল মুমিন যাদের হাতে মুসলিম রাষ্ট্র সমূহ রয়েছে তাদের থেকে অমুমিনরা মুমিনদের নামে বিদ্যমান রাষ্ট্র সমূহ দখলে নিবে। শুধু মক্কা-মদীনা তারা দখলে নিতে পারবে না। তারপর আসল মুমিন অমুমিনদের সাথে যুদ্ধ করে তাদেরকে পরাজিত করে, বিশ্ব শাসন করবে। সুতরাং ইসলাম নামক আপদ থেকে অমুমিনদের মূলত কোন পথ নেই। তারা দূর্বল মুমিনের সাথে যুদ্ধ করে শক্তি ক্ষয় করার পর আসল মুমিনের মোকাবেলা করার শক্তি তাদের থাকবে না।

১৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:০৩

অহরহ বলেছেন: লেখক বলেছেন: ইসলাম মুমিনের নিকট আপদ নয়। আর মুসলিম রাষ্ট্র সমূহ আসল মুমিনদের হাতে নেই।


তারমানে, সামনের পৃথিবীতে তালেবান, আলকায়দা, আইসিস, বোকোহারাম, তেঁতুল হুজুর, লোটা-কম্বল তবলিক জামাতী..... এরাই মুসলিম বিশ্ব শাসন করবে। বাহ! fascinating বটেই।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এসব কিছুই নয়। নতুন একটা বাহিনী গঠিত হবে। তারাই যা করার করবে।

১৯| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:০১

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: এটা মুমিনদের বিষয়। এ ক্ষেত্রে আপনার ভালো লাগা আর না লাগা কোন বিবেচ্য বিষয় নয়।

সমস্যা হলো এরা শুধু মুসলিম। আজও মানুষ হতে পারেনি।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আপনি কাকে মানুষ মনে করেন এবং কাকে মানুষ মনে করেন না, সেটা মুসলিমদের বিবেচ্য বিষয় নয়।

২০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৫

কামাল১৮ বলেছেন: কোনটা বৃহত বুঝবো কি ভাবে?

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সকল পরিসংখ্যানে সকল ক্ষেত্রে হানাফীরা সর্ববৃহৎ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.