নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
মেশকাত ৫৭৬৪ নং হাদিসের (সাহাবীদের ফজিলত ও মর্যাদা অধ্যায়) অনুবাদ-
৫৭৬৪। হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, আমি আমার প্রতিপালককে আমার ইন্তেকালের পর আমার সাহাবীদের মধ্যে মতভেদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি অহীর মাধ্যমে আমাকে জানিয়ে দিলেন যে, হে মোহাম্মদ! আমার নিকট তোমার সাহাবীদের মর্যাদা হল আসমানের নক্ষত্রদের তুল্য। এর একটি আরেকটির তুলনায় অধিক উজ্জ্বল। অথচ প্রত্যেকটির মধ্যেই আলো বিদ্যমান; সুতরাং তাদের মতভেদ হতে যে কোন ব্যক্তি কোন একটি অভিমত গ্রহণ করবে, সে আমার নিকট হেদায়াতের উপরই প্রতিষ্ঠিত। হযরত ওমর (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আরও বলেছেন, আমার সাহাবীগণ হল তারকাসদৃশ। অতএব তোমরা তাদের মধ্য হতে যে কোন এক জনের অনুসরন করবে হেদায়াত লাভ করবে – রাযীন।
সহিহ বোখারী ২৯ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৯। হযরত আহনাফ ইবনে কায়েস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বললেন, আমি হযরত আলী (রা.) অথবা হযরত ওসমান (রা.) কে সাহায্য করতে চললাম, (পথে) আবু বাকরাহ (রা.) এর সাথে দেখা হলো। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় যাচ্ছ? আমি বললাম, এ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে চলছি। তিনি বললেন ফিরে যাও। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে কলতে শুনেছি, যখন দু’জন মুসলমান তরবারী নিয়ে পরস্পর মুখোমুখী হয়, তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয় জাহান্নামী হয়। আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল (সা.) এতো হত্যাকারী বলে, কিন্তু নিহত ব্যক্তির ব্যাপারটি কি? তিনি বললেন, সে তার সঙ্গীকে হত্যা করার আকাঙ্খী ছিল।
সহিহ আবু দাউদ, ৪৫৭৭ নং হাদিসের (সুন্নাহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৫৭৭। হযরত সাফীনা (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, নবুয়তের খেলাফতের সময়কাল হলো ত্রিশ বছর। তারপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা রাজত্ব বা বাদশাহী দান করবেন।
হযরত সাঈদ (র.) বলেন, সাফীনা (রা.) আমাকে বলেন, তুমি হিসাব কর। আবু বকরের (রা.) শাসনকাল দু’বছর, ওমরের (রা.) দশ বছর, ওসমানের (রা.) বার বছর, আলীর (রা.) ছ’বছর।হযরত সাঈদ (র.) বলেন, আমি সাফীনাকে (রা.) জিজ্ঞেস করি যে, বনু মারওয়ান ধারণা করে যে, আলী (রা.) খলিফাদের অন্তর্ভূক্ত নন। তিনি বলেন, বনু-মারওয়ানরা মিথ্যা বলেছে।
সহিহ আল বোখারী, ৬৮০৪ নং হাদিসের (কিতাবুল ইয়তেসাম) অনুবাদ-
৬৮০৪। হযরত মুগীরা ইবনে শো’বা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি নবি করিম(সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, নবি করিম (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের একদল লোক সর্বদা নাহকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠিত ও জয়যুক্ত থাকবে, যতক্ষণ না আল্লাহর নির্দেশ (কেয়ামত) আসবে, সে সময়ও তারা জয়যুক্ত থাকবে।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ২৭৭৬ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অনুবাদ-
২৭৭৬। আনাস ইবনে মালেকের (রা.) খালা এবং মহানবির (সা.) দুধ খালা উম্মু হারাম বিনতে মিলহান (রা.) থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ (সা.) আমার ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। অতঃপর তিনি হাসতে হাসতে জেগে উঠলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলুল্লাহ (সা.)! কে আপনাকে হাসালো? তিনি বললেন, আমার উম্মতের কতক লোককে আমার নিকট এমন অবস্থায় পেশ করা হয়েছে যে, তারা এই সমূদ্রের উপর সওয়ার হয়েছে, যেমনভাবে বাদশাহ সিংহাসনে আরোহন করে। উম্মু হারাম বললেন, তিনি তাঁরজন্য দোয়া করলেন। এরপর পুনরায় ঘুমিয়ে পড়লেন। অতঃপর প্রথম বারের ন্যায় জাগ্রত হলেন। তারপর উম্মু হারাম (রা.) অনুরূপ বললেন, রাসূলও (সা.) প্রথমবারের অনুরূপ জবাব দিলেন। উম্মু হারাম (রা.) বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁকে বললেন, তুমি প্রথম দলের অন্তর্ভূক্ত থাকবে। আনাস (রা.) বলেন, অতঃপর তিনি তাঁর স্বামী উবাদা ইবনে সামিতের (রা.) সাথে বের হলেন জিহাদ করার জন্য, যখন মুসলিমগণ মু’আবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানের সাথে সর্ব প্রথম নৌযুদ্ধে রওয়ানা করে। অতঃপর তারা জিহাদ থেকে ফিরে এসে সিরিয়ায় অবতরণ করলেন তখন সওয়ার হওয়ার জন্য তাঁর কাছে একটা জন্তুযান আনা হলো। জন্তুযানটি তাকে ফেলে দিল। এতেই তিনি ইন্তিকাল করলেন।
মুসনাদে আহমদ ২/৫৮ নং হাদিসের অনুবাদ-
২/৫৮। হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মাহদি আমার বংশধর। এক রাত্রিতে আল্লাহ তাআলা তাকে নেতৃত্বের যোগ্য বানিয়ে দেবেন। (আল-মুসনাদ-২/৫৮)
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৪০৮৪ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৪০৮৪। হযরত সাওবান (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের একটি খনিজ সম্পদের নিকট তিনজন নিহত হবেন। তাদের প্রত্যেকেই হবেন খলিফার পুত্র। এরপর সেই ধনাগার তাদের কেউ পাবেন না। প্রাচ্য দেশ থেকে কালো পতাকা উড্ডীন করা হবে । তারা তোমাদের এমনভাবে হত্যা করবে, যেমনটি ইতিপূর্বে কোন জাতি করেনি। অতঃপর তিনি আরো কিছু উল্লেখ করেছিলেন, যা আমার মনে নেই। আর তিনি এও বললেন, যখন তোমরা তাঁকে দেখতে পাবে, তখন তাঁর হাতে বায়াত গ্রহণ করবে, যদিও তোমাদের বরফের উপর হামাগুড়ি দিয়ে অতিক্রম করতে হয়। কেননা তিনি আল্লাহর খলিফা মাহদী।
সহিহ তিরমিযী, ২২১৫ নং হাদিসের (কলহ ও বিপর্যয় অধ্যায়) অনুবাদ-
২২১৫। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, খোরাসানের দিক থেকে কালো পতাকাবাহীগণ বের হবে (মাহদীর সমর্থনে)। অবশেষে সেগুলো ইলিয়া (বায়তুল মাকদিস) এ স্থাপিত হবে এবং কোন কিছুই তা’প্রতিহত করতে পারবে না।
* যে হাদিস মানলে অভিন্ন থাকা যায় সে হাদিস মানতে হবে। যে হাদিস মানলে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হতে হয় সে হাদিস মানা যাবে না। যে কোন একজন সাহাবীকে মানতে গিয়ে একদল হযরত আয়েশাকে (রা.) মানলেন, একদল হযরত মুয়াবিয়াকে (রা.) মানলেন, একদল হযরত আলীকে (রা.)মানলেন। একদল হযরত আবু বাকরাকে (রা.) মানলেন।তিনদল যুদ্ধে লিপ্ত হলেন। চতুর্থ দল তাঁদেরকে হেদায়াত প্রাপ্ত নয় মনে করলেন।যুদ্ধের কারণ হযরত ওসমান (রা.) হত্যা সংক্রান্ত ঘটনা। এ ঘটনায় সাহাবায়ে কেরামের (রা.)সর্ববৃহৎ দল হযরত আলীর (রা.) সাথে ছিলেন। কারণ তিনি নবুয়তের খলিফা ছিলেন। হযরত ওসমানও (রা.) নবুয়তের খলিফা ছিলেন। কিন্তু তাঁর হত্যার জন্য তিনি কোন লোককে যুদ্ধ করতে বলেননি। তথাপি যারা খলিফার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করলেন তাঁরা খলিফাকে হারাতে পারলেন না। তিনি নবুয়তের খেলাফতের মেয়াদ ত্রিশবছর পূর্ণ করলেন। তাঁরপর যিনি মুসলিম শাসক হলেন তিনি আর খলিফা ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাদশাহ।সংগত কারণে হযরত আলীর (রা.) দল সঠিক ছিলেন। তবে শিয়ায়ে আলী সঠিক নয়। কারণ হযরত আলীর (রা.) পর খলিফা হলেন মাহদী (আ.)। বার ইমামের সাত জন খলিফা নয়। আর নবুয়তের প্রথম তিন খলিফাকে খলিফার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সুযোগ নাই। কারণ তাঁরা ত্রিশ বছরের মধ্যেই খলিফা হয়েছেন এবং তাঁদেরকে কেউ হারাতে পারেনি। শিয়ারা তাঁদের খেলাফত অস্বীকার করে পথভ্রষ্ট হয়েছে।আর হযরত আবু বাকরার (রা.) দল নিজেদেরকে সঠিক দাবী করলেও মূলত তাঁরা সঠিক ছিলেন না। কারণ তাঁরা আমিরুল মুমিনিনের পক্ষে যুদ্ধ করেননি।
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
সহিহ মুসলিম, ৪৬১৪ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৬১৪। আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে নবি করিম (সা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করল, সে আল্লাহর আনুগত্য করল। আর যে ব্যক্তি আমার অবাধ্যতা করল সে আল্লাহর অবাধ্যতা করল। যে ব্যক্তি আমিরের আনুগত্য করে সে আমারই আনুগত্য করল। আর যে ব্যক্তি আমিরের অবাধ্যতা করল সে আমারই অবাধ্যতা করল।
সহিহ মুসলিম, ৪৪৫৬ নং হাদিসের (কিতাবুল জিহাদ) অনুবাদ-
৪৪৫৬। হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি তার আমিরের মধ্যে এমন কোন ব্যাপার দেখে, যা সে অপছন্দকরে তবে সে যেন ধৈর্য্য অবলম্বন করে। কেননা, যে লোক জামায়াত থেকে কিঞ্চিত পরিমাণ সরে গেল এবং এ অবস্থায় মৃত্যুবরণ করল সে জাহেলিয়াতের মুত্যুই বরণ করল।
* যারা আমিরুল মুমিনিন হযরত আলীর (রা.) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন এবং যাঁরা তাঁর পক্ষে যুদ্ধ করেননি তাঁরা অপরাধ না করলেও ভুল নিশ্চয়ই করেছেন। আর হযরত আয়েশা (রা.) তাঁর ভুল স্বীকারও করেছেন। সুতরাং এটা সাব্যস্ত হলো উম্মতের সর্ববৃহৎ দল যে হাদিস মানবেন আমরা সে হাদিস মানব এবং তাঁরা যে হাদিস মানবেন না আমরা সে হাদিস মানব না। এতেও আপত্তি করে আহলে হাদিস। তারা বলে সংখ্যা গরিষ্ঠের বিষয়ে আল্লাহর আপত্তি আছে। কিন্তু সংখ্যা গরিষ্ঠ এবং সর্ববৃহৎ দল এক না। সংখ্যা গরিষ্ঠ উম্মত তো হযরত আলীর (রা.) পক্ষে ছিলো না, হযরত আলীর (রা.) পক্ষে ছিলো উম্মতের সর্ববৃহৎ দল। পরবর্তীতে সংখ্যা গরিষ্ঠরা ইয়াজিদের পক্ষে যায় এবং সর্ববৃহৎ দল হযরত ইমাম হোসেনের (রা.) পক্ষে থাকে। ঘটনা হলো তিহাত্তর দল মুসলিমের ২০% সর্ববৃহৎ দল হতে পারে, যদিও তারা সংখ্যা গরিষ্ঠ নয়। এখন সর্ববৃহৎ দল কারা?
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।
সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।
সহিহ আবু দাউদ, ৩৬০২ নং হাদিসের (জ্ঞান-বিজ্ঞান অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৬০২। কাছীর ইবনে কায়েস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি দামেশকের মসজিদে আবু দারদার (রা.) কাছে বসে ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি এসে বলে, হে আবু দারদা (রা.) আমি রাসূলুল্লাহর (সা.) শহর মদীনা থেকে আপনার কাছে একটা হাদিস শোনার জন্য এসেছি। আমি জানতে পেরেছি আপনি উক্ত হাদিসটি রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে বর্ণনা করেন। এছাড়া আর কোন কারণে আমি এখানে আসিনি। তখন আবু দারদা (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ইলম অর্জনের জন্য কোন পথ অতিক্রম করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের পথসমূহের একটি পথ অতিক্রম করান। আর ফেরেশতারা ত্বলেবে এলেম বা জ্ঞান অন্বেষণকারীর জন্য তাদের ডানা বিছিয়ে দেন এবং আলেমের জন্য আসমান ও জমিনের সব কিছুই ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি পানিতে বসবাসকারী মাছও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আবেদের উপর আলেমের ফজিলত এরূপ যেমন পূর্ণিমার রাতে চাঁদের ফজিলত সকল তারকা রাজির উপর। আর আলেমগণ হলেন নবিদের ওয়ারিছ এবং নবিগণ দীনার ও দিরহাম মীরাছ হিসেবে রেখে যান না; বরং তাঁরা রেখে যান ইলম।কাজেই যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করল সে প্রচুর সম্পদের মালিক হলো।
* এখন রাসূলের (সা.) ওয়ারিশ ওলামার সর্ববৃহৎ দল মাননীয়। তাতেও আপত্তি। কারণ কেউ নকল পাস আলেম এবং কেউ কওমে লুত কান্ডে জড়িত আলেম। হযরত ওমর (রা.) বললেন আলেম হলেন তিনি যিনি এলেম অনুযায়ী আমল করেন। সুতরাং এ সূত্রে যারা আলেম নয় তাদেরকে বাদ দিয়ে ওলামার সর্ববৃহৎ দল খুঁজে নিতে হবে। আর তাঁরা হলেন আহলে যিকর।
সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭। তোমার পূর্বে আমি ওহীসহ পুরুষ পাঠিয়েছিলাম; তোমরা না জানলে আহলে যিকরকে জিজ্ঞাসা কর।
সূরাঃ ১৬ নাহল, ৪৩ ও ৪৪ নং আয়তের অনুবাদ-
৪৩।তোমার পূর্বে আমরা পুরুষ ভিন্ন (বার্তা বাহক) প্রেরণ করিনি। আমরা তাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করেছিলাম।অতএব আহলে যিকরকে জিজ্ঞাস কর, যদি তোমরা না জান।
৪৪।সুস্পষ্ট প্রমাণ ও কিতাব সমূহ সহ।আর মানুষকে তাদের প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা, সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা আপনার প্রতি নাজিল করেছি যিকর। যেন তারা চিন্তা ভাবনা করতে পারে।
* কারা আহলে যিকর?
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৯ নং আয়াতের অনুবাদ।
৯। হে মুমিনগণ! জুমুয়ার দিন যখন সালাতের জন্য আহবান করা হয় তখন তোমরা আল্লাহর যিকিরের দিকে দৌড়িয়ে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ কর। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা বুঝ।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৭। আর যারা মসজিদ নির্মাণ করেছে ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ইতিপূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম করেছে তার গোপন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের জন্য, তারা শপথ করেই বলবে তারা ভাল কিছু করার জন্যই ওটা করেছে; আর আল্লাহ সাক্ষি দিচ্ছেন নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* যাদের দায়িত্বে সম্পন্ন যিকিরে সামিল হতে আল্লাহ দৌড়ে যেতে আদেশ করেছেন সেই সেই জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দল আহলে যিকর। কারণ মুসলিমদের মাঝে বিভেদ তৈরী করতে যেসব মসজিদ তৈরী করা হয়েছে সেসব মসজিদের জুমুয়ার খতিব আহলে যিকর নয়। সুতরাং জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদকারী জুমুয়ার খতিব আহলে যিকর নয়। সুতরাং যারা আহলে যিকর সাব্যস্ত তাঁদের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মুসলিমকে থাকতে হবে। তাঁরা যে হাদিস মানেন মুসলিম সে হাদিস মানবে এবং তাঁরা যে হাদিস মানে না মুসলিম সে হাদিস মানবে না। যেমন তাঁরা নামাজে শব্দ করে ‘আমিন’ বলে না। সুতরাং মুসলিম নামাজে শব্দ করে ‘আমিন’ বলবে না। যদি কেউ নামাজে শব্দ করে‘আমিন’ বলে তবে ফরজ তরকের গুণাহের কারণে তার নামাজ বাতিল হবে।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।
সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৯। মোহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল; তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবে।তাদের লক্ষণ তাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাব পরিস্ফুট থাকবে: তওরাতে তাদের বর্ণনা এরূপ এবং ইঞ্জিলেও তাদের বর্ণনা এরূপই। তাদের দৃষ্টান্ত একটি চারা গাছ, যা থেকে নির্গত হয় নতুন পাতা, অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষীদের জন্য আনন্দ দায়ক। এভাবে মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা আল্লাহ কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের।
* মুসলিম ঐক্যবদ্ধ থাকবে আহলে যিকরের সর্ববৃহৎ দলের সাথে এবং তারা তাঁদের সাথে মতভেদে জড়াবে না। সুতরাং আহলে যিকরের সর্ববৃহৎ দলের সাথে ঐক্যবদ্ধ থাকা ফরজ এবং তাঁদের সাথে মতভেদে জড়ানো হারাম। সুতরাং নামাজে শব্দ করে ‘আমিন’ বললে ফরজ তরক হয় এবং হারাম কাজ করা হয়। আর নামাজে ফরজ তরক করলে ও হারাম কাজ করলে নামাজ বাতিল হয়। এমন সব লোককে আল্লাহ জাহান্নামে দগ্ধ করবেন। তারপর তারা কালিমার কারণে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেলে পাবে।তবে এদের প্রকাশ্য অঙ্গে আল্লাহ তাঁর অবাধ্যতার একটা দাগ রেখে দিবেন।আহলে যিকরের সর্ববৃহৎ দলের সাথে ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং তাঁদের সাথে মতভেদে না জড়ানো ইসলামের সকল ক্ষেত্রে প্রজোয্য হবে। তবে এক্ষেত্রে সাহাবায়ে কেরাম (রা.) জাহান্নামে যাবেন না। কারণ ত্ঁদের ক্ষেত্রে আল্লাহর ক্ষমার ঘোষণা আছে। এমন অন্য যাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করবেন তারাও জাহান্নামে যাবে না।
৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১০:০১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ২ বাকারা, ২৮৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮৬। আল্লাহ কারো উপর এমন কোন কষ্ট দায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না যা তার সাধ্যাতীত।সে ভাল যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। সে মন্দ যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। হে আমাদের প্রতিপালক যদি আমরা ভুলে যাই অথবা আমাদের ত্রুটি হয় তবে আমাদেরকে পাকড়াও করো না। হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের পূর্ববর্তিগণের উপর যেমন গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছিলে আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করবেন না।হে আমাদের প্রতিপালক এমন ভার আমাদের উপর অর্পণ করবেন না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই।আমাদের পাপ মোছন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে জয়যুক্ত করুন।
* এক হাদিস আরেক হাদিসের উল্টা হলে উভয়টা মানা সম্ভব নয়। আর ইসলামে অসম্ভবের দায় মুক্তি রয়েছে। আর হাদিসকে সহিহ-যঈফ বলেছে মানুষ। এগুলো আল্লাহ এবং রাসূলের (সা) কথা নয়।
২| ৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৩
নতুন বলেছেন: কোন কিছুর সংকলন ঠিক মতন না হলে সেটাতে ঘাপলা থাকবেই।
হাদিসে নামে ভুয়া জিনিস ছড়ানো হয়েছে ব্যক্তি ও গোস্ঠির সার্থ রক্ষার জন্য। তাই হাদিস নিয়ে এতো ভাবার কিছু নাই্।
কোরানের আয়াত ছাগলে খেয়েছিলো হাদিস এমন হাদিসও আছে.... এই হাদিসটা কতটুকু সহী
গ্রন্থের নামঃ সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস নম্বরঃ [1944] অধ্যায়ঃ ৯/ বিবাহ (كتاب النكاح) পাবলিশারঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
بَاب رِضَاعِ الْكَبِيرِ
حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَقَ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ عَمْرَةَ عَنْ عَائِشَةَ و عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ لَقَدْ نَزَلَتْ آيَةُ الرَّجْمِ وَرَضَاعَةُ الْكَبِيرِ عَشْرًا وَلَقَدْ كَانَ فِي صَحِيفَةٍ تَحْتَ سَرِيرِي فَلَمَّا مَاتَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَتَشَاغَلْنَا بِمَوْتِهِ دَخَلَ دَاجِنٌ فَأَكَلَهَا.
পরিচ্ছদঃ ৯/৩৬. বয়স্ক লোকে দুধ পান করলে।
২/১৯৪৪। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রজম সম্পর্কিত আয়াত এবং বয়স্ক লোকেরও দশ ঢোক দুধপান সম্পর্কিত আয়াত নাযিল হয়েছিল, যা একটি সহীফায় (লিখিত) আমার খাটের নিচে সংরক্ষিত ছিল। যখন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তিকাল করেন এবং আমরা তাঁর ইন্তিকালে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়লাম, তখন একটি ছাগল এসে তা খেয়ে ফেলে।
It was narrated that ‘Aishah said: “The Verse of stoning and of breastfeeding an adult ten times was revealed, and the paper was with me under my pillow. When the Messenger of Allah died, we were preoccupied with his death, and a tame sheep came in and ate it.”
মাজাহ ১৯৪৪ সহীহুল বুখারী ১৪৫২, নাসায়ী ৩৩০৭, ২০৬২, মুয়াত্তা মালেক ১২৯৩, দারেমী ২২৫৩, তা’লীক ইবনু মাজাহ। তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ইসহাক সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন ও আজালী বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাসানুল হাদিস। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সালিহ। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৫৭, ২৪/৪০৫ নং পৃষ্ঠা)
হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
০২ রা জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৪৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হাদিস সংকলন সমূহ সঠিকভাবে সংকলিত হয়নি।
৩| ৩১ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭
প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট
০২ রা জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৪৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: উৎসাহ প্রদানের জন্য ধন্যবাদ প্রিয় কবি।
৪| ৩১ শে মে, ২০২৪ রাত ৮:১৯
কামাল১৮ বলেছেন: কোনান থেকে হাদিসের যাচাই বাছাই অনেক উত্তম।তিন লক্ষ হাদিস থেকে যাচাই বাছাই করে সাত হাজার মতো রাখা হয়েছে।কোরানে অনেক উল্টা পাল্টা আছে।একবার বসছে মদ উত্তম।আবার বলছে মদ খেয়ে নামাজে যেও না।শেষমেশ বলছে মদ হারাম।
এমন অনেক কথা আছে।
০২ রা জুন, ২০২৪ সকাল ৮:৫০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সঠিকভাবে বুঝলে কোরআনের কথা উল্টা-পাল্টা মনে হবে না।
৫| ০২ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৪১
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: হাদিস সংকলন সমূহ সঠিকভাবে সংকলিত হয়নি।
তাহলে হাদিস নিয়ে এতো বাড়াবাড়ীর কি দরকার?
যেই জিনিস সঠিক না সেটা মানুষের উপরে চাপিয়ে দেওয়ার কি দরকার?
০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ১২:২৬
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোরআনের সাথে গরমিল নয় এমন হাদিস মানা সুন্নাত।
৬| ০২ রা জুন, ২০২৪ বিকাল ৩:২১
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: @ কামাল১৮, আপনি কি না বুঝে কথা বলেন? পূবেও আমি দেখেছি। আল কোরআনের ঐ আয়াতটি আপনি সত্যি সত্যি পড়লে এই ভাবে কমেন্ট করতেন না। আয়াতটিতে বলছে “মদ বা সুরাহ তে উপকারিতা আছে বটে তবে উপকারিতার চেয়ে অপকারিতার পরিমান বেশি অতএব উহা হতে দুরে থাকো। নইলে সফলকাম হতে পারবে না। ” আর আপনি বিষয়টিকে কোথায় নিয়ে গেলেন। ধর্ম বিরোধীত করতে গেলে আপনার মতো হতে হয়।
০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ১২:২৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ইসলাম সঠিকভাবে বুঝেন না বলেই তিনি ইসলাম থেকে দূরে।
৭| ০৩ রা জুন, ২০২৪ রাত ১:২৭
ডার্ক ম্যান বলেছেন: দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ, এটা কি আসল নাকি জাল হাদীস???????
০৩ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:১১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* উম্মতের সর্ববৃহৎ দল এটাকে সহিহ হাদিস হিসাবে মানে। সেজন্যই একাত্তরে যারা দেশের জন্য প্রাণ দিলেন তাঁদেরকে শহীদ বলা হয়।
৮| ০৩ রা জুন, ২০২৪ ভোর ৬:০৩
অগ্নিবেশ বলেছেন: কোরান এবং সহী হাদিসে ভুল আছে, এমন যদি কেউ মনে করেন, তিনি কাফের। তার বিবি অটো তালাক হয়ে যাবে।
০৩ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:১৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যা রাসূলের (সা) হাদিস নয়, দুষ্ট লোক রাসূলের (সা) নামে হাদিস হিসাবে প্রচার করেছে তাতে ভুল থাকবে না কোন কারণে?
৯| ০৩ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:১৭
অগ্নিবেশ বলেছেন: যা রাসূলের (সা) হাদিস নয়, দুষ্ট লোক রাসূলের (সা) নামে হাদিস হিসাবে প্রচার করেছে, সহি বুখারীর হাদিসে এই রকম একটা
দুস্ট হাদিস দেখান। ত্যানা প্যাচাইন্নেনা।
০৩ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:২০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বোখারী সহিহ সেটা আপনাকে কে বলেছে?
১০| ০৩ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৪০
অগ্নিবেশ বলেছেন: ইমাম বুখারীর পরবর্তীতে অনেক আলেম ও সহিহ আল বুখারীর হাদিস গুলো তাহকীক করে বুঝেছেন যে এতে একটিও যাঈফ বা দুর্বল হাদিস নেই। বুখারীর প্রত্যেকটা হাদিস কঠোর নীতিতে পরীক্ষীত। ইমাম বুখারীর উসুল apply করলে সহিহ মুসলিম এর বেশ কিছু হাদিস ও যাঈফ হয়ে যায়। মূলত সহিহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম দুটোই বিশুদ্ধ ও দুটি ১০০% নির্ভরযোগ্য হাদিস সংকলন।
০৩ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ১:০৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বোখারীকে আপনে সহিহ বললে তো হবে না।
১১| ০৩ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৫
অগ্নিবেশ বলেছেন: ত্যানা না প্যাচাইয়া সহি বোখারীর একখান দুষ্ট হাদিস বয়ান করেন দোহাই লাগি।
০৩ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ১:০৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।
* উম্মতের সর্ববৃহৎ দলের আমলের গরমিল কোন হাদিস গ্রন্থের কোন হাদিস সহিহ মানা যাবে না।
১২| ০৩ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৩৬
অগ্নিবেশ বলেছেন: চাচা, আমি বলেছি, সহিহ বোখারী থেকে সহিহ হাদিস দিতে। আপনি দেখালেন
আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত একটা যঈফ হাদিস, যার রাবির ঠিক নয়।
আবারো বলছি, সহিহ বোখারী থেকে সহিহ হাদিস দিতে যা আপনার কাছে দুষ্ট মনে হচ্ছে।
০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৮
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ১।# স্ত্রী সবাসে বীর্যপাত না হওয়া
সহিহ বোখারী ২৮২ নং হাদিসের (কিতাবুল গোসল) অনুবাদ-
২৮২। হযরত আবু হুরাইরা (রা.)থেকে বর্ণিত। নবি করিম (সা.) বলেছেন, পুরুষাঙ্গ যখন নারীর চার শাখার মাঝে বসে সঙ্গম করে, তখন অবশ্যই তার উপর গোসল ফরজ হয়।
সহিহ বোখারী ২৮৪ নং হাদিসের (কিতাবুল গোসল) অনুবাদ-
২৮৪। হযরত উবাই ইবনে কা’ব (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি জিজ্ঞাস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! কেউ স্ত্রী সহবাস করল কিন্তু বীর্যপাত হল না; তিনি (সা.) বললেন, তার যে অঙ্গ নারীর গুপ্তাঙ্গ স্পর্শ করেছে, তা’ ধুয়ে ফেলবে। তারপর ওযু করে নামাজ পড়বে।
২।# আছরের নামাজের পর নামাজ পড়া
সহিহ বোখারী ৫৫৩ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৫৫৩। হযরত আবু হুরাইরা (রা.)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) দু’টি নামাজ থেকে নিষেধ করেছেন, ফজরের নামাজের পর সূর্য উঠার পূর্বে এবং আছরের নামাজের পর সূর্য অস্তমিত হওয়ার পূর্বে।
সহিহ বোখারী ৫৫৭ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৫৫৭।হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রকাশ্যে বা গোপনে কোন রূপেই রাসূলুল্লাহ (সা.) দু’ রাকা’আত নামাজ পড়া ছাড়তেন না। আর তা’ হল, ফজরের নামাজের পূর্বে দু’ রাক’আত এবং আছরের পরে দু’ রাক’আত।
১৩| ০৩ রা জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৫০
নতুন বলেছেন: পরিচ্ছেদঃ ৬৩/২৭. জাহিলী যুগের কাসামাহ (শপথ গ্রহণ)।
৩৮৪৯. ‘আমর ইবনু মাইমূন (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জাহিলীয়্যাতের যুগে দেখেছি, একটি বানরী ব্যাভিচার করার কারণে অনেকগুলো বানর একত্র হয়ে প্রস্তর নিক্ষেপে তাকে হত্যা করল। আমিও তাদের সাথে প্রস্তর নিক্ষেপ করলাম। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৬২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৬৭)
০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৪০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: এটা কোন হাদিস সংকলনের হাদিস?
১৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২
নতুন বলেছেন: সরি এটা সহী বুখারী ৩৫৬৭
https://www.hadithbd.com/hadith/filter
এখানে এক সাহাবা বানরকে পাথর মেরে হত্যায় সামিল হয়েছে। কারন তিনি ধারনা করেছে অন্য বানরেরা ব্যাভিচারের সাজা দিচ্ছেন।
এটাও সহী হাদিস।
০৪ ঠা জুন, ২০২৪ রাত ৮:০৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: # বোখারী
* আছরের নামাজের পর নামাজ পড়া
সহিহ বোখারী ৫৫৩ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৫৫৩। হযরত আবু হুরাইরা (রা.)থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) দু’টি নামাজ থেকে নিষেধ করেছেন, ফজরের নামাজের পর সূর্য উঠার পূর্বে এবং আছরের নামাজের পর সূর্য অস্তমিত হওয়ার পূর্বে।
সহিহ বোখারী ৫৫৭ নং হাদিসের (সালাতের ওয়াক্ত সমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৫৫৭।হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রকাশ্যে বা গোপনে কোন রূপেই রাসূলুল্লাহ (সা.) দু’ রাকা’আত নামাজ পড়া ছাড়তেন না। আর তা’ হল, ফজরের নামাজের পূর্বে দু’ রাক’আত এবং আছরের পরে দু’ রাক’আত।
# মুসলিম
* পায়খানায় কিবলার দিকে মুখ ও পিছ দিয়ে বসা
সহিহ মুসলিম, ৫০৩ নং হাদিসের (পবিত্রতা অধ্যায়) অনুবাদ-
৫০৩। হযরত আবু হোরায়রা (রা.) কর্তৃক বর্ণিত। রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন পেশাব পায়খানায় বসে তখন সে যেন অবশ্যই কিবলার দিকে মুখ করে না বসে এবং পিঠ দিয়ে না বসে।
সহিহ মুসলিম, ৫০৫ নং হাদিসের (পবিত্রতা অধ্যায়) অনুবাদ-
৫০৫। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একদিন আমি আমার বোন হাফসার গৃহের ছাদে উঠে দেখতে পেলাম রাসূলুল্লাহ (সা.) প্রাকৃতিক প্রয়োজন পূররেণর জন্য শামের দিকে মুখ করে এবং কিবলার দিকে পিছ দিয়ে বসে আছেন।
# আবু দাউদ
* রাফউল ইয়াদাইন
সহিহ আবু দাউদ ৭৪৫নং ((নামায শুরু করা সম্পর্কে অধ্যায়) হাদিসের অনুবাদ-
৭৪৫। হযরত মালিক ইবনে হুয়াইরিছ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবি করিমকে (সা.)তাকবীরে তাহরিমা বলার সময় হাত উঠাতে দেখেছি। আমি তাঁকে রুকুতে গমনকালে এবং তা’ হতে উঠার সময় উভয় হাত কানের উপরিভাগ পর্যন্ত উঠাতে দেখেছি।
সহিহ আবু দাউদ ৭৫০ নং (নামায শুরু করা সম্পর্কে অধ্যায়) হাদিসের অনুবাদ-
৭৫০। হজরত বারা ইবনে আযেব (রা.)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নামায শুরুর সময় রাসুলুল্লাহ (সা.) কেবল একবার কানের নিকট পর্যন্ত হাত উত্তোলন করতেন, এরপর তিনি আর হাত উঠাতেন না।
# ইবনে মাজাহ
* আগুনে পাকানো খাদ্য খাওয়ার পর ওযু করা
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৪৮৬ নং হাদিসের (পবিত্রতা ও তার পন্থাসমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৮৬। হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আগুনে পাকানো জিনিস আহারের পর তোমরা ওযু করবে।
সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৪৮৯ নং হাদিসের (পবিত্রতা ও তার পন্থাসমূহ অধ্যায়) অনুবাদ-
৪৮৯। হযরত জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবি করিম (সা.), আবু বকর (রা.), ও ওমর (রা.) রুটি ও গোশত খেলেন এবং তাঁরা ওযু করেননি।
# নাসাঈ
* হজ্জের নিয়ম পদ্ধতি
সহিহ সুনানে নাসাঈ, ২৭১৮ নং হাদিসের (হজ্জের নিয়ম পদ্ধতি অধ্যায়) অুনবাদ-
২৭১৮। হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসূলে করিম (সা.) ইফরাদ হজ্জ্ব করেন।
সহিহ সুনানে নাসাঈ, ২৭৩১ নং হাদিসের (হজ্জের নিয়ম পদ্ধতি অধ্যায়) অুনবাদ-
২৭৩১। ইমরান ইবনে হুসায়ন (রা.) বলেছেন, আমরা রাসূলুল্লাহর (সা.) সঙ্গে হজ্জ্বে তামাত্তু আদায় করেছি।
# তিরমিযী
* আজান ও ইকামতের বাক্য সংখ্যা
সহিহ তিরমিযী, ১৮৫ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৮৫। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণিত। তিনি বলেন, বিলালকে (রা.) আযানের শব্দগুলো দু’বার এবং ইকামতের শব্দগুলো এক একবার বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সহিহ তিরমিযী, ১৮৬ নং হাদিসের (নামাজ অধ্যায়) অনুবাদ-
১৮৬। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে জায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) এর আযান ও ইকামতের বাক্যগুলো জোড়ায় জোড়ায় ছিল।
* এমন বিভিন্ন পথের নমুনা হাদিসের কিতাব সমূহে আছে হাজারে হাজারে। সুতরাং কোন হাদিসের কিতাব সহিহ বা সহিহ সুন্নাহ খেতাব পাওয়ার যোগ্য নয়।
১৫| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ রাত ৮:০৩
নতুন বলেছেন: দেশে একটা প্রবাদ আছে ১ বাল্টি দুধে ১ ফোটা চোনাই দুধ নস্ট হবার জন যথেস্ট।
এমন একটা ফাউল বিষয়ে ১টা হাদিসই বোখারী হাদিসের সংকলনের কাহিনীর অসাড়ত্ব প্রমানে যথেস্ট।
০৪ ঠা জুন, ২০২৪ রাত ৮:১৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সেজন্য হাদিস কোরআনের গরমিল হলে তা’পালনযোগ্য বিবেচিত হতে পারে না। যারা বলে বোখারী শরিফ সহিহ। আমি তাদেরকে বলি বোখারীকে (র) সহিহ বলেছে কে? তো যে নিজেই সহিহ নয় তার তৈরী সংকলন সহিহ হয় কেমন করে? সুতরাং হাদিস যেখানেই থাকুক তা’ কোরআনের গরমিল হলে তা’ আমলযোগ্য সাব্যস্ত হবে না।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪
কামাল১৮ বলেছেন: যে সহী হাদিস না মানে সে কাফের।এটাও হাদিসের কথা।