নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিয়া, ইবাদী, সালাফী, আহলে হাদিস ও মওদূদীবাদীদের কথা প্রতিপালনযোগ্য নয়

০৮ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৩২



সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৩। তোমরা একত্রে আল্লাহর রজ্জু দৃঢ়ভাবে ধর! আর বিচ্ছিন্ন হবে না। তোমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ স্মরণ কর।যখন তোমরা শত্রু ছিলে তখন তিনি তোমাদের অন্তরে প্রীতি সঞ্চার করেছেন, ফলে তাঁর দয়ায় তোমরা পরস্পর ভাই হয়ে গেলে।তোমরাতো অগ্নি কুন্ডের প্রান্তে ছিলে, আল্লাহ উহা হতে তোমাদেরকে রক্ষা করেছেন। এভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য তাঁর নিদর্শনসমূহ স্পষ্টভাবে বিবৃতকরেন যাতে তোমরা সৎপথ পেতে পার।

# সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৩ নং আয়াতের তাফসির - তাফসিরে ইবনে কাছির
বেশ কয়েকটি হাদিসে এমন বর্ণিত রয়েছে- একতার সময় মানুষ ভুল ও অন্যায় থেকে রক্ষা পায়। আবার অনেক হাদিসে মতানৈক্য থেকে ভয় প্রদর্শন করা হয়েছে, কিন্তু এতদ সত্ত্বেও উম্মতের মধ্যে মতপার্থক্য ও অনৈক্যের সৃষ্টি হয়ে গেছে এবং তাদের মধ্যে তেয়াত্তরটি দল হয়েগেছে, যাদের মধ্যে একটি দল মাত্র জান্নাতে প্রবেশ করবে এবং জাহান্নামের আগুনের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে। এরা ঐসব লোক যারা এমন বস্তুর উপর প্রতিষ্ঠিত রয়েছে যার উপর স্বয়ং রাসূল (সা.) ও তাঁর সাহাবীগণ (রা.) প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

সহিহ আল বোখারী, ৬৫৭৮ নং হাদিসের (কিতাবুল ফিতান)-
৬৫৭৮। হযরত যুবায়ের ইবনে আদী (রা.)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আনাস ইবনে মালেকের (রা.) নিকট আগমন করে আমাদের উপর হাজ্জাজের পক্ষ হতে যা হচ্ছে সে সম্পর্কে অভিযোগ করলাম। তিনি বললেন, তোমরা ধৈর্য অবলম্বন কর। কেননা তোমাদের পরবর্তী যুগ পূর্ববর্তী যুগ হতেও নিকৃষ্ট হবে। যখন পর্যন্ত না তোমরা তোমাদের রবের সাথে মিলিত হও। আমি নবি করিমকে (সা.) এ কথা বলতে শুনেছি।

* আল্লাহর সিরাতাম মুসতাকিম হলো তাঁর অভিন্ন পথ। সেটা হলো তাঁর রাসূল (সা.) ও তাঁর রাসূলের (সা.) সাহাবায়ে কেরামের (রা.) পথ। কিন্তু রাসূলের (সা.) নামে মিথ্যা প্রচার করা হয়েছে এবং তাঁর সাহাবায়ে কেরামের (রা.) মাঝে মতভেদ ছিলো। এমতাবস্থায় আল্লাহর রাসূলের (সা.) সাহাবায়ে কেরামের (রা.)সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকতে হবে। এমন দল সমূহ হলো ১। হযরত আবু বকর (রা.) ও তাঁর অনুসারী দল ২। হযরত ওমর (রা.) ও তাঁর অনুসারী দল ৩। হযরত ওসমান (রা.) ও তাঁর অনুসারী দল ৪। হযরত আলী (রা.) ও তাঁর অনুসারী দল। এ চারটি দলের পূর্ববর্তী দল পরবর্তী দলের উপর প্রাধান্য পাবে। এ সূত্রে যা সঠিক সাব্যস্ত তার বিপরীত কোন কথা আল্লাহর সিরাতাম মুসতাকিম হিসাবে বিবেচিত হবে না। কিন্তু শিয়া, ইবাদী, সালাফী, আহলে হাদিস ও মওদূদীবাদী আল্লাহর রাসূলের (সা.) সাহাবায়ে কেরামের (রা.)সর্ববৃহৎ দলকে সত্যের মাপকাঠি মানে না।

সূরাঃ ৪৮ ফাতহ, ২৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৯। মোহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল; তাঁর সহচরগণ কাফিরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনায় তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত দেখবে।তাদের লক্ষণ তাদের মুখমন্ডলে সিজদার প্রভাব পরিস্ফুট থাকবে: তওরাতে তাদের বর্ণনা এরূপ এবং ইঞ্জিলেও তাদের বর্ণনা এরূপই। তাদের দৃষ্টান্ত একটি চারা গাছ, যা থেকে নির্গত হয় নতুন পাতা, অতঃপর ইহা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং পরে কান্ডের উপর দাঁড়ায় দৃঢ়ভাবে যা চাষীদের জন্য আনন্দ দায়ক। এভাবে মুমিনদের সমৃদ্ধি দ্বারা আল্লাহ কাফিরদের অন্তর্জালা সৃষ্টি করেন। যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে আল্লাহ তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহাপুরস্কারের।

সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০০ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০০। মুহাজির ও আনসারদের মধ্যে যারা প্রথম অগ্রগামী এবং যারা ইহসানের সাথে তাদের অনুসরনের কাজ করে, আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট, আর তারাও তাঁর প্রতি সন্তষ্ট।তিনি তাঁদের প্রতি প্রস্তুত রেখেছেন জান্নাত, যার নিম্নদেশে নদী প্রবাহিত, যেথায় তারা চিরস্থায়ী থাকবে। এটা মহাসাফল্য।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

* রাসূলের (সা.) সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনেক সূনাম আল্লাহ করেছেন। তিনি তাঁদেরকে হেদায়াত প্রাপ্তও বলেছেন। তাঁদের ইসলামের শিক্ষক হলেন রাসূল (সা.)- তাহলে তাঁদের সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত না থেকে আমরা শিয়া, ইবাদী, সালাফী, আহলে হাদিস ও মওদূদীবাদীদের কথা কেন শুনব? তাদের শিক্ষক তো রাসূল (সা.) নন। সুতরাং ইসলামের ক্ষেত্রে শিয়া, ইবাদী, সালাফী, আহলে হাদিস ও মওদূদীবাদীদের কথা গৃহিত হবে না।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।

সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।

সহিহ আবু দাউদ, ৩৬০২ নং হাদিসের (জ্ঞান-বিজ্ঞান অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৬০২। কাছীর ইবনে কায়েস (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি দামেশকের মসজিদে আবু দারদার (রা.) কাছে বসে ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি এসে বলে, হে আবু দারদা (রা.) আমি রাসূলুল্লাহর (সা.) শহর মদীনা থেকে আপনার কাছে একটা হাদিস শোনার জন্য এসেছি। আমি জানতে পেরেছি আপনি উক্ত হাদিসটি রাসূলুল্লাহ (সা.) হতে বর্ণনা করেন। এছাড়া আর কোন কারণে আমি এখানে আসিনি। তখন আবু দারদা (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি ইলম অর্জনের জন্য কোন পথ অতিক্রম করে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের পথসমূহের একটি পথ অতিক্রম করান। আর ফেরেশতারা ত্বলেবে এলেম বা জ্ঞান অন্বেষণকারীর জন্য তাদের ডানা বিছিয়ে দেন এবং আলেমের জন্য আসমান ও জমিনের সব কিছুই ক্ষমা প্রার্থনা করে, এমনকি পানিতে বসবাসকারী মাছও তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আবেদের উপর আলেমের ফজিলত এরূপ যেমন পূর্ণিমার রাতে চাঁদের ফজিলত সকল তারকা রাজির উপর। আর আলেমগণ হলেন নবিদের ওয়ারিছ এবং নবিগণ দীনার ও দিরহাম মীরাছ হিসেবে রেখে যান না; বরং তাঁরা রেখে যান ইলম।কাজেই যে ব্যক্তি ইলম অর্জন করল সে প্রচুর সম্পদের মালিক হলো।

* রাসূলের (সা.) সাহাবায়ে কেরামের (রা.)সর্ববৃহৎ দলের পর তাঁর ওয়ারিশ আলেমগণের সর্ববৃহৎদল ইসলামে মাননীয় হবেন। শিয়া, ইবাদী, সালাফী, আহলে হাদিস ও মওদূদীবাদী রাসূলের (সা.) ওয়ারিশ আলেমগণের সর্ববৃহৎদলকেও মানতে রাজি নয়। তাদেরকে বললাম তাহলে আহলে যিকরকে মান।

সূরাঃ ২১ আম্বিয়া, ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৭। তোমার পূর্বে আমি ওহীসহ পুরুষ পাঠিয়েছিলাম; তোমরা না জানলে আহলে যিকরকে জিজ্ঞাসা কর।

সূরাঃ ১৬ নাহল, ৪৩ ও ৪৪ নং আয়তের অনুবাদ-
৪৩।তোমার পূর্বে আমরা পুরুষ ভিন্ন (বার্তা বাহক) প্রেরণ করিনি। আমরা তাদের প্রতি ওহী প্রেরণ করেছিলাম।অতএব আহলে যিকরকে জিজ্ঞাস কর, যদি তোমরা না জান।
৪৪।সুস্পষ্ট প্রমাণ ও কিতাব সমূহ সহ।আর মানুষকে তাদের প্রতি যা অবতীর্ণ করা হয়েছে তা, সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা আপনার প্রতি নাজিল করেছি যিকর। যেন তারা চিন্তা ভাবনা করতে পারে।

* আহলে যিকরের মান্যতা আল্লাহ সাব্যস্ত করেছেন। সুতরাং তাঁদেরকে চিনে তাঁদেরকে অবশ্যই মানতে হবে। কারা আহলে যিকর?

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৯ নং আয়াতের অনুবাদ।
৯। হে মুমিনগণ! জুমুয়ার দিন যখন সালাতের জন্য আহবান করা হয় তখন তোমরা আল্লাহর যিকিরের দিকে দৌড়িয়ে যাও এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ কর। এটাই তোমাদের জন্য কল্যাণকর, যদি তোমরা বুঝ।

সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৭। আর যারা মসজিদ নির্মাণ করেছে ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ইতিপূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম করেছে তার গোপন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের জন্য, তারা শপথ করেই বলবে তারা ভাল কিছু করার জন্যই ওটা করেছে; আর আল্লাহ সাক্ষি দিচ্ছেন নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।

সহিহ সুনানে ইবনে মাজাহ, ৩৯৫০ নং হাদিসের (ফিতনা অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৯৫০। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.)বলতে শুনেছি আমার উম্মত পথভ্রষ্টতার উপর একত্রিত হবে না। যখন তোমরা উম্মতের মাঝে মতপার্থক্য দেখতে পাবে, তখন সর্ববৃহৎ দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকবে।

* যাদের দায়িত্বে সম্পন্ন যিকিরে সামিল হতে আল্লাহ দৌড়ে যেতে আদেশ করেছেন সেই সেই জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দল আহলে যিকর। কারণ মুসলিমদের মাঝে বিভেদ তৈরী করতে যেসব মসজিদ তৈরী করা হয়েছে সেসব মসজিদের জুমুয়ার খতিব আহলে যিকর নয়। সুতরাং জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দলের সাথে মতভেদকারী জুমুয়ার খতিব আহলে যিকর নয়। শিয়া, ইবাদী, সালাফী, আহলে হাদিস ও মওদূদীবাদী জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দলের কথাও মানতে রাজি নয়। তাদের কথা একটাই মানতে হবে কোরআন ও হাদিস। তবে কি জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দল কোরআন হাদিস মানে না? মুজাফফর বিন মহসীন বলল, আবু বকর (রা.), ওমর (রা.), ওসমান (রা.) ও আলীকে (রা.) মানা যাবে না, মানতে হবে কোরআন ও হাদিস। তাহলে মোজাফফর বিন মহসীন কি মনে করে আবু বকর (রা.), ওমর (রা.), ওসমান (রা.) ও আলী কোরআন ও হাদিস মানতেন না? শিয়ারা আবু বকর (রা.), ওমর (রা.), ওসমানকে (রা.) লানত প্রদান করে। ইবাদীরা হযরত আলীকে (রা.) কাফের বলে। আর মওদূদীবাদীও বলে তারা সাহাবায়ে কেরামকে (রা.) সত্যের মাপকাঠি মানে না। কওমীরাও জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দলকে মানতে রাজী নয়। কোরআনের বিভিন্ন রকম ব্যখ্যা করা হয়েছে, হাদিসের নামে মিথ্যা কথা প্রচার করা হয়েছে। তারপর শিয়া, ইবাদী, সালাফী, আহলে হাদিস, মওদূদীবাদী ও কওমী কোরআনের বিবিধ ব্যখ্যা ও পরস্পর বিপরীত হাদিস নিয়ে কামড়া-কামড়ী চালাতেই থাকবে। এরা কোন দিন একদলে ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে না।কোরআনের বিবিধ ব্যখ্যা ও পরস্পর বিপরীত হাদিস নিয়ে শাফেঈ, মালেকী ও হাম্বলীরাও কোন দিন একদলে ঐক্যবদ্ধ হতে পারবে না। কিন্তু জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দলের মান্যতায় ঐক্যবদ্ধ হওয়া সম্ভব। তারা হানাফী, সুতরাং সবাই হানাফী হও। তারা সুন্নী। সুতরাং সবাই সুন্নী হও। তারা তাজিমী সিজদা করে না। সুতরাং এটা পরিহার কর। তারা মীলাদ কিয়াম করে এবং ঈদে মীলাদুন্নবী পালন করে। সুতরাং এসব সবাই কর। জিলাপীর বিরোধীতা করবে না। কারণ জিলাপী মিস্টি। আর মিস্টি খাওয়া সুন্নত। আর সুন্নতের বিরোধীতা করা যায় না।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:০৪

বিষাদ সময় বলেছেন: শাফিঈ, মালিকি , হাম্বলী ইনাদের মাযহাব গৃহিত হবে কি?

০৮ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: জুমুয়ার খতিবগণের সর্ববৃহৎ দল ইনাদের অনুসারী না হওয়ায় ইনাদের মাযহাবও বাতিলের খাতায় যাবে। এছাড়া ইনাদের মাযহাব অমান্যতার আরও কারণ আছে-

সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।

মেশকাত ২২৪ নং হাদিসের (ইলম অধ্যায়) অনুবাদ-
২২৪। হযরত আওফ ইবনে মালেক আশজায়ী (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, স্বয়ং আমির অথবা আমীরের পক্ষ থেকে নির্দেশ প্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা কোন অহংকারী ব্যতীত অপর কেউ ওয়াজ করতে পারে না।

* সংগত কারণে মাযহাবের ক্ষেত্রে আমিরের অনুমোদনের প্রয়োজন আছে। শাফেঈ, মালেকী ও হাম্বলী মাযহাব আমির অনুমোদীত নয় বিধায় এসব মাযহাব প্রতিপালনযোগ্য নয়। হানাফী মাযহাবের অনুমোদন নিতে গেলে আমির হারুনুর রশীদ এর পরিশোধন করে অনুমোদন করেন। সুতরাং আবু হানিফার (র) মাযহাব নয় পালনযোগ্য হলো আমির হারুনুর রশিদ অনুমোদীত হানাপী মাযহাব। আর সেই মাযহাবই জুমুয়ার খতিবগণের সর্ব বৃহৎ দলের আমলে আছে।

২| ০৮ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:১৩

ফেনা বলেছেন: খুবই সুন্দর আলোচনা। মানব জাতিকে মহান আল্লাহ্‌ তাঁর নির্ধারিত সঠিক পথ দেখান। আমীন।

০৮ ই জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৩২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহ ওলামাগণকে মানতে বলেছেন। যারা ওলামা বাদ দিয়ে আলেমের ব্যক্তি অনুসরন করে তারা কোন দিন আল্লাহর সিরাতুম মুসতাকিম খুঁজে পাবে না। আপনার পজেটিব মন্তব্যের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩| ০৮ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:২৪

বিষাদ সময় বলেছেন: অথবা কোন অহংকারী ব্যতীত অপর কেউ ওয়াজ করতে পারে না।
অহংকারী ব্যক্তি ওয়াজ করতে পারবে!!!
কথাটা কি ঠিক আছে।

০৮ ই জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৮

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ২ বাকারা, ৩৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৪। আর যখন আমি ফেরেশতাগণকে বলেছিলাম, তোমরা আদমকে সিজদা কর, তখন ইবলিশ ছাড়া সবাই সিজদা করেছিল; সে অমান্য করল ও অহংকার করল।সুতরাং সে কাফেরদের অন্তর্ভূক্ত হয়েগেল।

* কিন্তু অহংকারীর ওয়াজ গৃহিত হবে না। কারণ এরা ইবলিশের দলভূক্ত। আল্লাহ ইবলিশের কোন ওয়াজ গ্রহণ করেননি। সে বলেছিলো সে আগুনের তৈরী সেজন্য সে মাটির তৈরী আদম (আ) থেকে উত্তম। কিন্তু আল্লাহ তার ওয়াজ গ্রহণ না করে তাকে তাড়িয়ে দিয়েছেন।

৪| ০৮ ই জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৬

রাসেল বলেছেন: আমি শিয়া, ইবাদী, সালাফী, আহলে হাদিস ও মওদূদীবাদীদের সম্পর্কে জানতে চাই। দয়া করে আপনি তাদের সম্পর্কে লিখুন ।

১০ ই জুন, ২০২৪ রাত ২:১১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: শিয়া প্রথম তিন খলিফার খেলাফত স্বীকার করে না, ইবাদী হযরত আলীকে (রা।) কাফের বলে। সালাফী, আহলে হাদিস ও মওদূদীবাদী সাহাবায়ে কেরামকে (রা) সত্যের মাপকাঠি মানে না।

৫| ০৮ ই জুন, ২০২৪ রাত ৮:৫১

কামাল১৮ বলেছেন: তথ্য প্রমান যুক্তি ছাড়া কারো কথাই প্রতিপালনযোগ্য নয়।

১০ ই জুন, ২০২৪ রাত ২:১২

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কোন কিছুর সঠিকতার প্রমাণ থাকা জরুরী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.