নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
কোরআনের প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী মহাজগতের শুরুতে আল্লাহ বিদ্যমান ছিলেন এবং তিনি ছাড়া আর সব কিছু তিনি সৃষ্টি করেছেন। মহাজগতের শুরুতে আল্লাহ ছাড়া আর কোন কিছু বিদ্যমাণ না থাকার কারণ আল্লাহ ছাড়া আর সব কিছু সসীম। সসীমের পূর্বে এর সীমাদাতা থাকতে হয় বিধায় কোন সসীম এর সীমাদাতা আল্লাহর অবস্থানে মহাজগতের শুরুতে বিদ্যমাণ হতে পারেনি।কিন্তু আল্লাহ অসীম বিধায় তাঁর পূর্বে তাঁর সীমাদাতা থাকার প্রয়োজন ছিলো না। সেই কারণে আল্লাহ মহাজগতের শুরুতে বিদ্যমাণ ছিলেন।
অসীম একাধীক হয় না। কারণ অসীমকে একাধীক করতে এর সীমা দিতে হয়। আর সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকে না, বরং সসীম হয়ে যায়। সংগত কারণে মহাজগতের শুরুতে অসীম আল্লাহ একাই ছিলেন। সুতরাং সেই অবস্থানে হিন্দুদের ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিবের তিন জনের ধারণা সঠিক নয়। হতে পারে সৃষ্টিকর্তা হিসাবে যিনি ব্রহ্মা, পালনকর্তা হিসাবে তিনি বিষ্ণু এবং প্রলয় কর্তা হিসাবে তিনি শিব। তাদের তেত্রিশ কোটি হরি মানে এক হরির তেত্রিশ কোটি রূপ। আধুনিক হিন্দুদের বিশ্বাসটা এরকম। তারা একেশ্বরবাদী।
আল্লাহ অসীম বিধায় তিনি নিরাকার। কারণ সকল আকার সসীম। আল্লাহ সসীম নন বিধায় তাঁর আকার থাকার বিষয়টি সঠিক নয়। তবে তিনি আকার ধারণ করতে পারেন। কারণ তিনি সর্বশক্তিমান। তবে আকার ধারণ করলেও দীগন্তে বিলিন আলোর প্রভায় তিনি অসীম হিসাবেই আত্মপ্রকাশ করবেন। আর তাঁর এ আত্মপ্রকাশ হবে বিমোহিত হওয়ার মতই সুন্দর। এটা বিশেষ পরিস্থিতি। সাধারণ তিনি অসীম নিরাকার অবস্থায় বিদ্যমাণ থাকেন। তাঁর রূপদানটাও অসীম বিধায় যারা তাঁর সসীম রূপদান করে তারা মূলত মিথ্যাবাদী। এদেরকে আল্লাহ চিরস্থায়ী জাহান্নামে রাখবেন।
দেহবাদীরা আল্লাহর অঙ্গ থাকার কথা বলে তাঁর দেহ থাকার কথা বলে। বাস্তবতা হলো নিরাকার আল্লাহর অঙ্গসমূহও নিরাকার। সুতরাং নিরাকার অঙ্গের কারণে তাঁর দেহ সাব্যস্ত করা সঠিক নয়। আর নিরাকার অঙ্গের কারণে দেহের কথা বলতে হলেও নিরাকার দেহের কথাই বলতে হবে। সংগত কারণে কোন অবস্থায় তাঁর দেহ সাব্যস্ত করা যায় না। দেহ না থাকা আল্লাহর দেহ সাব্যস্ত করা মূলত কুফুরী। এরাও চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে। আল্লাহ বলেছেন, যে দিকে মুখ ফিরাও সেদিকে আল্লাহর মুখ। অথচ দেহের মুখ এমন সব দিকে থাকে না। সুতরাং আল্লাহর এ মুখ মূলত দেহের মুখ নয়। এটা তাঁর সত্ত্বার মুখ। দেহবাদীরা সত্ত্বার মুখকে দেহের মুখ বানিয়ে কাফের হয়ে যায়।
৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মনে না রাখতে পারলে লিখছি কেমন করে? এ দু’টি শব্দের মধ্যেই রয়েছে মহাজগতের সব হিসাব নিকাশ।
২| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬
কামাল১৮ বলেছেন: আল্লাহর যে দেহ আছে কোরান তা প্রমান করে।এবার আপনি বলুন কোনটা সত্য।
৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহর দেহ থাকলেও তা নিরাকার দেহ। কারণ আল্লাহ বলেছেন যে দিকেই মুখ ফিরাও না কেন সেদিকেই আল্লাহর মুখ। যে মুখের আকার থাকে তা’ সব দিকে না থেকে এক দিকে থাকে। সব দিকে থাকা মুখ হলো নিরাকার মুখ। সেজন্য সে মুখ সব দিকে থাকতে পারে।
৩| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
সব চেয়ে বাজে বৈ!
৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: বই এর কোয়ালিটি পাঠকের কোয়ালিটি অনুযায়ী হয়ে থাকে। পাঠক বাজে হলে তার নিকট ভালো বাই বাজে মনে হতে পারে।
৪| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:২২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
তিনি আরশে বসে আছে।
৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:৫৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তিনি আরশে এবং সকল স্থানে আছেন।
৫| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ১০:২৭
সন্ধ্যা রাতের ঝিঁঝিঁ বলেছেন: মুরুব্বি, অসীম আর সসীম তো বেশ ঝামেলার, পড়তে পড়তে গোলায় ফেলছি। মনে রাখার সহজ পদ্ধতি বলেন।
০১ লা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:১৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঘটনা হলো যা সসীম তার পূর্বে এর সীমাদাতা থাকতেই হয়। আর সীমাদাতা হয় এর ক্রিয়েটর বা সৃষ্টিকর্তা। সুতরাং সসীমের সীমাবদ্ধতাই বলে দেয় এর সৃষ্টিকর্তা আছে। অসীমেরতো সীমাই নাই, সুতরাং এর সীমাদাতা বা সৃষ্টিকর্তা নাই। আর সীমা দাতা না থাকার কারণেই অসীম এমন অসীম হয়েছে। এরকম অসীম অনেক হলেও তারা আলাদা হতে পারবে না। কারণ সীমাদাতা না থাকা। সুতরাং সকল অসীম একত্রিত হয়ে একটা অসীম হবে। সেই অসীমকে একাধীক করা যাবে না। কারণ একধীক করতে সীমা দিতে হয়। আর সীমা দিলে অসীম আর অসীম থাকে না। সেজন্য হিন্দুদের ত্রিশূলের বিষয়টি সঠিক নয়, সেটা হবে বল্লম। ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব মিলে তাদের ত্রিশূলের ধারণা। কিন্তু মূল ঈশ্বর হলেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব হলো তাঁর ভিন্ন রূপ। তো ব্রহ্মার মূল রূপে ভিন্নরূপ মিলিত হয়ে বল্লম তৈরী করবে, ত্রিশূল তৈরী করবে না।
৬| ০১ লা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ৮:২৬
রানার ব্লগ বলেছেন: আর একটু গুছিয়ে লেখেন। এই লেখাটা একটু আগোছালো লাগলো।
০১ লা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:২০
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আমার নিকট অগোছালো মনে হচ্ছে না।
৭| ০১ লা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:০৩
বুনোগান বলেছেন: আল্লাহ্ কি সংখ্যার দিক থেকে অসীম? তাহলে আল্লাহর বহুত্বে বিশ্বাস করতে হয়। আল্লাহ্ কি অসীম স্থান-কালের সর্বত্র বিরাজমান? তাহলে আল্লাহ্ একটি সসীম কিছু যিনি অসীম স্থান-কালের সর্বত্র ঘুরে বেড়ান। তিনি কি অসীম স্থান-কালে সর্ব-ব্যাপী হয়ে আছেন? তাহলে তো তার অবস্থানের বাইরে আর কোন স্থান নেই যেখানে তিনি সসীম কিছু সৃষ্টি করবেন।
০১ লা আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১১:২২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সংখ্যায় অসীম তাঁর গুন যা আয়তনে অসীমকে একাধীক করে না। আল্লাহ অসীম অবস্থায় আছেন নিরাকার অবস্থায়। সুতরাং তাঁর বিদ্যমাণতায় অন্যের অবস্থানে সমস্যা নাই। আমার একটি পদ্য আছে- সৃষ্টিরা বসত করে স্রষ্টার ভিতরে। তারমানে তিনি তাঁর অবস্থানের মধ্যেই সব সৃষ্টি করেন। কেউ কেউ বলে তবে কি তিনি টয়লেটে আছেন? এখন কথা হলো টয়লেটে আলো থাকে, আঁধার থাকে তাতে নাপাক লাগে না। সুতরাং নিরাকার আল্লাহর অসীম হওয়াতে বা তাঁর সর্ব ত্র বিরাজ করায় কোন সমস্যা না।
৮| ০১ লা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:০৬
বুনোগান বলেছেন: ধরুন আল্লাহ্ একটি অসীম সেট যা নিরাকার এবং সমস্ত গুনের আধার। শয়তান একটি সেট। এখন এই সেটটি আল্লাহর অসীম সেটে তখনি অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে যখন আল্লাহর সেটে শয়তানের সকল গুনাবলিই অন্তর্ভুক্ত থাকবে। নয়তো শয়তানের কোন অস্তিত্ব থাকবে না! আবার আল্লাহর সেটটি নিরাকার হলে তার ভিতরের সকল সসীম সেটগুলোই নিরাকার থাকতে হবে। নয়তো সে আল্লাহর নিরাকার সেটে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না!
০১ লা আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৪৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: নিরাকারের মধ্যে গঠিত আকার এবং নিরাকার একই রকম নয়। উভয়ের ,মধ্যে ভিন্নতা আছে। সুতরাং একটার সাথে অন্যটাকে মিলাতে যাওয়া অহেতুক কাজ।
©somewhere in net ltd.
১| ৩১ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি কি এই জীবনে ২টি শব্দ: অসীম ও সসীমকে ঠিক মতো মনে রাখতে সমর্থ হয়েছেন?