নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বঙ্গবন্ধু এবং তাঁর কন্যা মারাত্মকভাবে অজনপ্রিয় হয়েছেন

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৩৪



৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ছিল স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থান। ৭১ এর যুদ্ধ ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যুদ্ধ। কিন্তু যুদ্ধ জয়ের পর বঙ্গবন্ধু গণতন্ত্রের উল্টা পথে হেঁটেছেন।অবশেষে সেনাবিদ্রোহে তিনি নিহত হন।৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান সেনা শাসকের বিরুদ্ধে হয়ে ছিল, কিন্তু যে গণতন্ত্রের জন্য গণঅভ্যুত্থান হয়েছিল সে গণতন্ত্র জনগণ পায়নি বলে সেনাবিদ্রোহ হয়। ৯০ পর্যন্ত সেনা শাসন চলার পর ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী গণঅভ্যুত্থান হয়ে গণতন্ত্রের মাধ্যমে খালেদা জিয়া ক্ষমতা প্রাপ্ত হন। ৯৬ সালে খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের উল্টা পথে হেঁটে ক্ষমতা থেকে উৎখাত হন। ২১ বছর পর ক্ষমতা পেয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জনগণকে সন্তুষ্ট করতে না পারার কারণে আবার খালেদা জিয়া ২০০১ সালে ক্ষমতা পেয়ে যান। কিন্তু পুরাতন অভ্যাস ভুলতে না পারায় খালেদা জিয়া গণতন্ত্রের উল্টা পথে হেঁটে ২০০৬ সালে আবার ক্ষমতা থেকে উৎখাত হন।আবার সেনা শাসন আসে। গণতন্ত্রের মাধ্যমে ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা আবার ক্ষমতা প্রাপ্ত হন। অবশেষে তিনি তাঁর বাবার মত গণতন্ত্রের উল্টা পথে হেঁটেছেন।২০২৪ সালে তিনি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা থেকে উৎখাত হয়ে ভারতে পালিয়ে যান। এদিকে ছাত্র-জনতা স্বাধীনদেশের প্রথম স্বৈরাচার বঙ্গবন্ধুর বাড়ী ভেঙ্গে ফেলে। এখন দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছে। সামনে দেশে গণতন্ত্র কতটুকু প্রতিষ্ঠিত থাকবে সেটা সামনে দেখা যাবে।

৭৫ এর সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও ২০২৪ এর সেনাবাহিনী বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যা করেনি। তারা তাঁকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন। তাদের সহায়তায় এখন দেশ চলছে।তবে ছয় মাস গত হলেও বঙ্গবন্ধুর কন্যার প্রতি ছাত্র-জনতার ক্ষোভ কমেনি।সেনাবাহিনী বিষয়টি দেখছে। তবে শান্তির পথে দেশ পরিচালিত হওয়ার জন্য দেশ গণতন্ত্রের পথে হাঁটা উচিত। সুষ্ঠ ভোটেও খালেদা জিয়ার দল আবার ক্ষমতা পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তবে আবার যদি তারা গণতন্ত্রের উল্টা পথে হাঁটে তাহলে তবে অতি দ্রুত তারা বিপদে পড়তে পারে। কারণ স্বৈরাচারের প্রতি জনতার অতিমাত্রায় অসহিষ্ণু মনভাব প্ররিলক্ষিত হচ্ছে।

গত জানুয়ারীর নির্বাচন সুষ্ঠ হওয়ার দরকার ছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা সে পথে না হেঁটে অতিঅল্প সময়ে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হলেন। তিনি মনে করেছেন পালিয়ে গিয়ে তিনি দ্রুত ক্ষমতায় ফিরতে পারবেন, কিন্তু তাঁর অপেক্ষা বেড়েই চলছে। আমি মনে করি এবার তাঁর রাজনীতি থেকে অবসরে যাওয়া উচিত। তারপর অনুকুল পরিস্থিতি না আসা পর্যন্ত তাঁর নিরাপদ স্থানে থাকা উচিত। কারণ দেশে আসলে তাঁর বিচার হয়ে তাঁর ফাঁসির সম্ভাবনা আছে। পাকিস্তানে ভূট্টোর ফাঁসি হয়ে ছিল। তারপর তাঁর কন্যা ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়েছেন। ফিলিফাইনেও উৎখাত হওয়া দলের ক্ষমতায় ফিরে আসার ঘটনা ঘটেছে। যারা আওয়ামী লীগের ফিরে আসা কামনা করে না, ক্ষমতা পাওয়ার পর তাদেরকে দেশ শাসনে অনেক বেশী দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। নতুবা শেখ হাসিনা না হোক তাঁর দল আবারো ফিরে আসতে পারে।কারণ পরের দল পূর্বের দল থেকে বেশী মন্দ হলে পূর্বের দলের ফিরে আসার নিয়ম রয়েছে।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৪৯

কামাল১৮ বলেছেন: রাজাকারদের কাছে এরা কখনো জনপ্রিয় ছিলো না।শত্রুর দ্বারা অজনপ্রিয় হওয়া ভালো।এতে বুঝা যায় সঠিক পথে আছে।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:২৯

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সঠিক পথে থাকলে পালিয়ে যেতে হবে কেন? ঘটনা চক্রে মনে হচ্ছে রাজাকাররাই এখন জনপ্রিয়। এক যুবককে আমি রাজাকার লেখা গেঞ্জি পরে হাঁটতে দেখা গেছে। অন্য দিকে মুজিববাদ হয়ে গেল ফ্যাসিবাদ।

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ৯:৫৬

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: নাম ডুবিয়েছে হাসিনা।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৩৩

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: তিনি এখনো সেটা বুঝতে পারছেন না। তাঁর এক ভক্তকে উপরে তাঁর সঠিক পথে থাকার কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। জামায়াতও মনে করেছে তাদের একাত্তরের ভূমিকা সঠিক ছিল। আমাদের দেশটা এমনই। এখানে লোকেরা অপরাধ করেও বলে তারা নির্দোষ।

৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:০১

সাইফুলসাইফসাই বলেছেন: ডুবে গেছে নৌকা

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৩৫

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যারা ডুবিয়েছে তারা ভুল কাজ করলে নৌকা আবার ভেসে উঠবে।

৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১০:৫৩

অপু তানভীর বলেছেন: ২০১৪ সাল থেকেই শেখ হাসিনা ধীরে ধীরে দেশের মানুষের কাছে অজনপ্রিয়। তবে সেই সময়েই বঙ্গবন্ধুকে মানুষ ভালোবেসেছে। দিন দিন শেখ মুজিবকে শেখ হাসিনা নিজের স্বার্থের জন্য ব্যবহার করে গেছেন। বলা যায় শুধু তার কারণেই শেখ মুজিব বাংলাদেশের নেতা না হয়ে কেবল আওয়ামীলীগের নেতা হয়ে রয়েছেন।

৫| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ রাত ১২:৩৪

আহরণ বলেছেন: অশিক্ষা, কুশিক্ষা, অসততা, ধর্মান্ধতা, পিছিয়ে চলা, বিজ্ঞান বিমুখতা............ এর জন্য দায়ি......... @ ভাইয়া?

৬| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৪:১৩

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ব্যাপারটা হচ্ছে পাকিস্তানপন্থীরা দেশটির দখল করেছে।
ধরেন পাকিস্তান যদি ৭১এ পরাজিত না হতো আওয়ামী লীগ ও মুক্তিযোদ্ধাদের যা হত তাই বর্তমানে হচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধের সকল ইতিহাস সকল নিদর্শন নিশ্চিহ্ন করা হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মুখ বন্ধ করা হচ্ছে।

কিসের ভিত্তিতে বলছেন হাসিনার ফাঁসি হবে?
এখন পর্যন্ত তো চার্জশিট মানে মূল অভিযোগ পত্র সাবমিট করা হয়নি। শুধু সর্বত্র বলা হচ্ছে গণহত্যা গণহত্যা।

কিসের গণহত্যা? সাধারণ হত্যারই তো কোন প্রমাণ নেই।
ইউনুস বলেছে গণআন্দোলনের মুখে উনি গুলি করার অর্ডার দিয়েছেন।

কিন্তু অন্যত্র বলেছেন।
বিদেশি সংবাদমাধ্যমের কাছে মাহফুজকে নিয়ে বলেছিলেন উনি ক্ষমতা দখলের মেটিকুলাস পরিকল্পনার মূল প্ল্যানার। দু'বছর আগেই এই ষড়যন্ত্র পরিকল্পনা করা হয়েছিল।
কোটা আন্দোলন নামক একটা ফালতু আন্দোলনের নাম ধরে ষড়যন্ত্র চলছিল।

কোটা আন্দোলন নামে নিরীহ একটা আন্দোলনে পুলিশের উপর এবং কারাগারে হামলা করে পুলিশ হত্যা করে অনেক লাশ তৈরি করা হয়েছিল, ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে।

পুলিশ আক্রান্ত হলে গুলি করতে পারবে, পৃথিবীর সর্বত্র এই আইনে পুলিশকে প্রটেকশন দেওয়া আছে। আমেরিকার প্রতিবছর এক থেকে দেড় হাজার মানুষ পুলিশের গুলিতে নিহত হয় এক থেকে দেড় হাজার। মামলা করে কিছু করা যায় না।
এই কথিত আন্দোলনে প্রায় চার হাজার পুলিশ মারা গেছে।
আর গুপ্ত হত্যাসহ ৮০০ লোক মারা গেছে। যদি অনেকে কবর থেকে ফিরে এসেছে বলে জানা যায়। সত্যিকারের তদন্ত হলে অনেক কিছু জানা যাবে।
পুলিশ গুলি করাকে গণহত্যা বলা যায় না।
পুলিশকে গুলি করার জন্য হাসিনাকে হুকুম দেওয়া লাগে না। পুলিশ আইনেই হুকুম দেওয়াই আছে।
এরপরেও জঙ্গিবাদেরা জংলীরা জংলিদের আদালতে হাসিনাকে ফাঁসি দিবে।

৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ভোর ৬:২৭

কু-ক-রা বলেছেন: উহার (হাসান কালবৈশাখির) মন্তব্য বড়ই, বরং অতি মাত্রায় পক্ষপাত দুষ্ট। চার হাজার পুলিশ নাকি মারা গিয়াছে। এইরুপ ডাহা মিথ্যাকথা একমাত্র অন্ধ আওয়ামিলীগার রাই লিখিতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.