নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিকমাতের পরিবর্তে আল্লাহর কথা মানসুখ ও রাসূলের (সা.) কথা বাতিল হয়

০৮ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৬:১৭




সূরাঃ ২ বাকারা, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। ঐ কিতাব; যাতে কোন সন্দেহ নেই, যা হেদায়েত মোত্তাকীদের জন্য।

সূরাঃ ৫৩ নাজম, ৩ নং ও ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। আর সে মনগড়া কথা বলে না।
৪। এটাতো ওহি যা তার প্রতি ওহি হিসেবেই পাঠানো হয়।

* আল্লাহ কিতাবকে হিদায়াত বলেছেন। কিতাবের বিবরণ হাদিস কিতাব অনুযায়ী হয়ে থাকে।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

* রাসূল (সা.) কিতাব ও হিকমাত শিক্ষা দিয়েছেন।

সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।

* আল্লাহ হিকমাত দিয়ে তাঁর পথে ডাকতে বলেছেন।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬৯। তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত দান করেন। আর যাকে হিকমাত দান করা হয় এর ফলে সে নিশ্চয়ই প্রচুর কল্যাণ লাভ করে।মূলত জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না।

সূরাঃ ৩১ লোকমান, ১২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২। আমরা লোকমানকে হিকমাত দান করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তো তা’ করে নিজের জন্য। আর কেউ অকৃতজ্ঞ হলে আল্লাহ তো ধনি ও প্রশংসিত।

* আল্লাহ হিকমাতকে প্রচুর কল্যাণ বলেছেন এবং এর জন্য আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে বলেছেন।

সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।

সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?

* আল্লাহ হিকমাতকে প্রচুর কল্যাণ এবং এর জন্য আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে বলায় এর পরিবর্তে আল্লাহর কথা মানসুখ ও রাসূলের কথা বাতিল হবে।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
২০১। আর তাদের মধ্যে কিছু লোক বলে, হে আমাদের রব! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দান করুন এবং পরকালে কল্যাণ দান করুন। আর আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন হতে রক্ষা করুন।

* হিকমাত ইহকালিন ও পরকালিন হয়ে থাকে।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে (ওলামা) আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।

সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।

সূরাঃ ১০১ কারিয়া, ৬ নং ও ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। তখন যার পাল্লা ভারী হবে
৭। সেতো লাভ করবে সন্তোষ জনক জীবন।

* হিকমাত হলো কিতাবের আলেমের পাল্লা ভারী জামায়াতের অভিমত।

সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।

* কিতাবের আলেম হলো ফিকাহের আলেম এবং দুরিয়াবী কল্যাণকর সকল কিতাবের আলেম। তাঁদের পাল্লা ভারী জামায়াতের অভিমত হিকমাত। এমন একজন আলেম হলেন হযরত লোকমান। কোরআনে তাঁর নামে একখানা সূরাহ রয়েছে।

সূরাঃ ২৪ নূর, ৩০ নং ও ৩১ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩০। মুমিনদেরকে বল, তারা যেন দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জা স্থানের হেফাযত করে। এত তাদের জন্য উত্তম পবিত্রতা রয়েছে। তারা যা করে সে বিষয়ে আল্লাহ অবহিত।
৩১। মুমিনা বা মুমিন নারীদেরকে বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান তা’ ব্যতীত তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে। তাদের ঘাড় ও বুক যেন মাথার কাপড় দ্বারা ঢেকে রাখে। তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভাইয়ের পুত্র, বোনের পুত্র, নিজস্ব নারীগণ, মালিকানাধীন দাসী, যৌন কামনা রহিত পুরুষ এবং নারীদের গোপনাঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ব্যতিত কারো নিকট আভরণ (সাজ এবং সাজের পোশাক) প্রকাশ না করে। তারা যেন তাদের গোপন পোশাক প্রকাশের জন্য সজোরে পা না ফেলে। (এমন পা ফেলার কারণে শাড়ী, ওড়না বা চাদর খসে যেন শাড়ী, ওড়না বা চাদরের নীচের পোশাক দেখা না যায়)।হে মুমিনগণ তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে ফিরে আস, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।

* চিকিৎষা সংক্রান্ত হিকমাতের আলেম ডাক্তার বললেন, সম লিঙ্গের সার্জেন্ট না থাকায় বিপরীত লিঙ্গের সার্জেন্ট দ্বারা রোগীর সার্জারী না করলে তার প্রাণহানী হবে। এ ক্ষেত্রে কিতাব দিয়ে সার্জেন্টের প্রতি দৃষ্টি সংযত করার আদেশ জারী করা যাবে না। কারণ দৃষ্টি সংযত করলে সার্জেন্ট সার্জারী করতে পারবে না। এটা হিকমাতের পরিবর্তে আল্লাহর কথা মানসুখ হওয়ার নমুনা।

সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬৭ থেকে ৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৭।দেশে ব্যাপকভাবে শত্রুকে পরাভূত না করা পর্যন্ত বন্দী রাখা কোন নবির উচিত নয়। তোমরা পার্থিব সম্পদ কামনা কর। আল্লাহ চান পরকালের কল্যাণ। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৬৮। আল্লাহর পূর্ব বিধান না থাকলে তোমরা যা গ্রহণ করেছ সেজন্য তোমরা মহাশাস্তিতে আক্রান্ত হতে।
৬৯। যুদ্ধে যা লাভ করেছ তা’ বৈধ ও উত্তম বলে ভোগ কর। আর আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।

# আয়াতের শানে নজুল-
মুসনাদে আহমদে রয়েছে যে, বদরের বন্দীদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর সাহাবীদের সঙ্গে পরামর্শ করেন। তিনি তাদের বলেন, আল্লাহ তা’আলা এ বন্দীদেরকে তোমাদের অধিকারে দিয়েছেন। বল তোমাদের ইচ্ছা কি? ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) দাঁড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) তাদেরকে হত্যা করা হোক। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন। পুনরায় রাসূলুল্লাহ (সা.) বললেন, আল্লাহ তা’আলা এদেরকে তোমাদের অধীন করে দিয়েছেন, এরা কাল পর্যন্তও তোমাদের ভাইই ছিল। এবারও ওমর (রা.) দাঁড়িয়ে একই উত্তর দিলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) তাদের ঘাড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হোক।রাসূলুল্লাহ (সা.) এবারও মুখ ফিরিয়ে নিলেন এবং পূণরায় ঐ একই কথা বললেন।এবার আবু বকর সিদ্দিক (রা.) দাঁড়িয়ে গিয়ে আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) আমার মত এই যে, আপনি তাদেরকে ক্ষমা করে দিন এবং তাদের থেকে মুক্তিপণ আদায় করুন। এ কথা শুনে রাসূলুল্লাহর (সা.) চেহারা থেকে চিন্তার ছাফ দূর হয়। তিনি সাধারন ক্ষমা ঘোষণা করেন এবং মুক্তিপন নিয়ে সবাইকে মুক্ত করে দেন। তখন মহিমাম্বিত আল্লাহ এ আয়াত নাযিল করেন। -তাফসিরে ইবনে কাছির।

সহিহ বোখারী ৮২ নং হাদিসের (কিতাবুল ইলম) অনুবাদ-
৮২। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে রেওয়ায়েত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে বলতে শুনেছি যে, নিদ্রিত অবস্থায় আমাকে এক পেয়ালা দুধ দেওয়া হলো। আমি তা পান করলাম। এমন কি আমার নখের ভেতর থেকে তৃপ্তি প্রকাশ পেতে দেখলাম। অতঃপর আমি আমার অবশিষ্ট দুধটুকু ওমর ইবনে খাত্তাবকে প্রদান করলাম। সাহাবীরা বললেন, হে মহান আল্লাহর রাসূল, আপনি এ স্বপ্নের কি তাবীর করছেন? তিনি বললেন, ইলম।

সহিহ আল বোখারী, ৩৪২৩ নং হাদিসের (আম্বিয়া কিরাম অধ্যায়) অনুবাদ-
৩৪২৩। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি। তিনি বলেন, একদা আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। দেখলাম লোকদেরকে আমার সামনে আনা হচ্ছে। ঐসব লোক জামা পরিহিত ছিল। তাদের কারো জামা সিনা পর্যন্ত পৌঁছেছিল। আবার কারো জামা তার চেয়ে নীচ পর্যন্ত পৌঁছেছিল।তারপর আমার সামানে ওমরকে আনা হলো। তার গায়ে এরূপ একটি জামা ছিল যে, সে মাটিতে টেনে চলছিল।সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) আপনি এর অর্থ কি করেছিলেন? তিনি বললেন, দীন ইসলাম।

* রাসূলের (সা.) ছাত্রদের মধ্যে কিতাব ও হিকমাতের উত্তীর্ণ ছাত্র ছিলেন হযরত ওমর (রা.)। তাঁর অভিমতের পরিবর্তে আল্লাহ রাসূলের (সা.) কথাও বাতিল করে দিলেন।সুতরাং হিকমাতের পরিবর্তে আল্লাহর কথা মানসুখ ও রাসূলের (সা.) কথা বাতিল হয়।

সহিহ বোখারী ১৮৭০ নং হাদিসের (কিতাবু সালাতিত তারাবীহ) অনুবাদ-
১৮৭০। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি রমযানের রাতে ঈমানের সাথে এবং ছাওয়াবের আশায় (নামাযে) দাঁড়ায় তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। ইবনে শেহাব বলেন, অতঃপর রাসূলুল্লাহ (সা.) ইন্তেকাল করলেন এবং হকুমও এ অবস্থায়ই রয়ে গেল। তারপর আবু বকর (রা.) এর সম্পূর্ণ খেলাফত আমল এবং ওমরের (রা.) খেলাফত আমলের প্রথম ভাগ এ অবস্থায়ই কেটে গেল। (এ সময়) সকলেই একা একা তারাবীহ পড়ত।ইবনে শিহাব ওরওয়াহ ইবনে জোবায়ের থেকে বর্ণনা করেছেন,আব্দুর রহমান ইবনে আব্দুল কারী বলেছেন, আমি রমযানের এক রাতে ওমর ইবনে খাত্তাবের সাথে মসজিদের দিকে বের হলাম। ;দেখলাম,বিভিন্ন অবস্থায় বহুলোক একা একা নামায পড়ছে।তখন হজরত ওমর (রা.) বললেন,আমার মনেহয় এদের সকলকে একজন কারীর সাথে জামাতভুক্ত করে দিলে সর্বাপেক্ষা ভাল হবে।অতঃপর তিনি তাই করার মনস্থ করলেন এবং তাদেরকে উবাই ইবনে কা’ব (রা.) এর পিছনে জামাতভুক্ত করে দিলেন। এরপর আমি দ্বিতীয় রাতে আবার তাঁর সাথে নামাজে বের হলাম। দেখলাম, লোকেরা তাদের ইমামের সাথে নামাজ পড়ছে। ওমর (রা.) বললেন এটি একটি উত্তম বিদয়াত। রাতের যে অংশে লোকেরা নিদ্রা যায়, তা যে অংশে তারা ইবাদত করে তদপেক্ষা উত্তম।অর্থাৎ রাতের প্রথমভাগ অপেক্ষা শেষ ভাগের নামায অধিক উত্তম। এটিই তিনি বুঝাতে চেয়েছেন।

* রাসূলের (সা.) কিতাব ও হিকমাতের উত্তীর্ণ ছাত্র হযরত ওমর (রা.) উত্তম বিদয়াতকে সাওয়াবের কাজ বলেছেন। সুতরাং জন্তু ও আনআম সাদৃশ লোকেরা এর বিরোধীতা করে। কিন্তু হিকমাতের আলেমের পাল্লাভারী জামায়াতের অভিমতের পরিবর্তে জন্তু ও আনআম সাদৃশ লোকদের কথা গৃহিত হবে না। ডাক্তারের পাল্লাভারী জামায়াত যদি বলে সার্জেন রোগীর গোপনাঙ্গের প্রতি দৃষ্টি সংযত করবে না, তবে েএর বিরোধীতা সঠিক নয়। এনজিও গ্রাম করাতে গিয়ে ডাক্তারের লোক আমার গোপনাঙ্গের পশম কেটেছে। দৃষ্টি সংযত করলে ডাক্তারের লোক আমার গোপনাঙ্গই কেটে ফেলার সম্ভাবনা ছিল।এ ক্ষেত্রে বলা যাবে না গোপনাঙ্গ কাটাগেলে যাক তথাপি গোপনাঙ্গের প্রতি কিতাব অনুযায়ী দৃষ্টি সংযত করতে হবে।সার কথা হলো হিকমাতের কথা বিবেচনায় রেখে কোরআন ও ও হাদিসের আমল করতে হবে। হিকমাত বাদ দিয়ে কোরআন ও হাদিসের আমল করা যাবে না। কোরআন ও হাদিস বাস্তবায়নে অবস্থার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় থাকতে হবে। একটি ঘটনায় রজম বাস্তবায়নে অবস্থার প্রেক্ষাপটে যথেষ্ট বিলম্ব করেছেন। অথচ তেমন একটি ঘটনায় হযরত আয়েশা (রা.) ও হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) দল হযরত আলীর (রা.) বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন। হিকমাত অনুযায়ী এ ক্ষেত্রে হযরত আয়েশা (রা.) ও হযতে মুয়াবিয়া (রা.) সঠিক ছিলেন না। কারণ হিকমাতের আলেমের পাল্লাভারী জামায়াত এ ক্ষেত্রে হযরত আলীর (রা.) পক্ষে ছিলেন। হিকমাত অনুযায়ী হযরত মুয়াবিয়া (রা.) কর্তৃক ইয়াজিদের খলিফা মনোনয়ন সঠিক ছিল না, কারণ সাহাবার শেষ ইমাম হযরত ইমাম হোসেন (রা.) তাঁর এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ছিলেন এবং হিকমাতের আলেমের পাল্লাভারী জামায়াতও ইয়াজিদের বিপক্ষে ছিলেন বা আছেন। কিন্তু জন্তু ও আনআম মার্কা লোকেরা হিকমাত ত্যাগ করে হযরত ইমাম হোসেনের (রা.) মাথা কেটে ইয়াজিদকে উপহার হিসাবে পাঠিয়ে দেয়। কারণ হিকমাতের আলেমের পাল্লাভারী জামায়াত তাদের এ কাজের বিপক্ষে ছিলেন বা আছেন। হিকমাতকে পাত্তা না দেওয়ায় কারবালার জঘণ্য ঘটনা ঘটেছে। এ হিকমাতকে পাত্তা না দিলে মুসলিম জাতির অগ্রগতি সাধিত হবে না। কোরআন ও হাদিস অবস্থার প্রেক্ষাপটে বাস্তবায়িত হয়, অবস্থার প্রেক্ষাপট বাদ দিয়ে কোরআন ও হাদিস মানতে গেলে ইহকাল ও পরকাল বিনষ্ট হয়।

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।

সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।

সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।

* কিতাবে মানসুখ আছে হিকমাতে মানসুখ নাই। সুতরাং হিকমাতের পরিবর্তে কিতাব মানসুখ হবে এবং হিকমাতের পক্ষে কিতাব বাস্তবায়তি হবে। এ বিধি লংঘণ আল্লাহর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে। যারা এমন করে তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে। তাদের এ মহাশাস্তি হলো জাহান্নাম। কালেমার কারণে এদের জাহান্নাম মুক্তি ঘটলেও তাদের প্রকাশ্য অঙ্গে জাহান্নামের চিহ্ন থেকে যাবে। সুতরাং জাহান্নাম থেকে আত্মরক্ষায় হিকমাতের পরিবর্তে কোরআন ও হাদিস উপস্থাপন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। চরমপন্থীরা হিকমাতের পরিবর্তে কোরআন ও হাদিস উপস্থাপনের অকাজটাই বেশী করে মুসলিম জাতির মহাক্ষতি করে। তাদের একদল হযরত আবু বকরকে (রা.) লানত দেয়, অথচ হিকমাতের আলেমের পাল্লাভারী জামায়াত তাদের সাথে নাই। এরা হলো জাহান্নামের বাসিন্দা।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.