![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ৫ মায়িদা, ৬৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৭। হে রাসূল! তোমার রবের নিকট থেকে তোমার প্রতি যা নাযিল হয়েছে তা’ প্রচার কর। যদি না কর তবে তো তুমি তাঁর রেসালাত প্রচার করলে না। আল্লাহ তোমাকে মানুষ হতে রক্ষা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ কাফির সম্প্রদায়কে সৎপথে পরিচালিত করেন না।
সহিহ বোখারী ২৯ নং হাদিসের (কিতাবুল ঈমান) অনুবাদ-
২৯। হযরত আহনাফ ইবনে কায়েস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বললেন, আমি হযরত আলী (রা.) অথবা হযরত ওসমান (রা.) কে সাহায্য করতে চললাম, (পথে) আবু বাকরাহ (রা.) এর সাথে দেখা হলো। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, কোথায় যাচ্ছ? আমি বললাম, এ ব্যক্তিকে সাহায্য করতে চলছি। তিনি বললেন ফিরে যাও। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ (সা.) কে কলতে শুনেছি, যখন দু’জন মুসলমান তরবারী নিয়ে পরস্পর মুখোমুখী হয়, তখন হত্যাকারী ও নিহত ব্যক্তি উভয় জাহান্নামী হয়। আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল (সা.) এতো হত্যাকারী বলে, কিন্তু নিহত ব্যক্তির ব্যাপারটি কি? তিনি বললেন, সে তার সঙ্গীকে হত্যা করার আকাঙ্খী ছিল।
সহিহ আল বোখারী, ৬৮০৪ নং হাদিসের (কিতাবুল ইয়তেসাম) অনুবাদ-
৬৮০৪। হযরত মুগীরা ইবনে শো’বা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি নবি করিম(সা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, নবি করিম (সা.) বলেছেন, আমার উম্মতের একদল লোক সর্বদা নাহকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠিত ও জয়যুক্ত থাকবে, যতক্ষণ না আল্লাহর নির্দেশ (কেয়ামত) আসবে, সে সময়ও তারা জয়যুক্ত থাকবে।
সহিহ সুনানে নাসাঈ, ৪১০৫ নং হাদিসের (হত্যা বৈধ হওয়া সম্পর্কে অধ্যায়) অনুবাদ-
৪১০৫। হযরত শরীক ইবনে শিহাব (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার আকাঙ্খা ছিল যে, আমি রাসূলুল্লাহর (সা.) কোন সাহাবীর সাথে সাক্ষাত করবো এবং খারেজীদের ব্যাপারে তাঁকে জিজ্ঞাস করবো। ঘটনা চক্রে ঈদের দিন আবু বরযা আসলামীকে (রা.) তাঁর কয়েকজন সাথীর সাথে দেখলাম। আমি জিজ্ঞাস করলাম, আপনি কি খারেজীদের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকট কিছু শুনেছেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমি নিজের কানে শুনেছি, চক্ষে দেখেছি। একদা রাসূলুল্লাহর (সা.) নিকট কিছু মাল আসে। তিনি তাঁর ডান দিকের এবং বাম দিকের লোকদের মধ্যে বন্টন করে দেন এবং যারা তাঁর পিছনে ছিল, তিনি তাদেরকে কিছুই দিলেন না। তখন তাদের মধ্য হতে এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে বলল, হে মোহাম্মদ (সা.) আপনি ইনসাফের সাথে বন্টন করেননি। সে ছিল কাল রং বিশিষ্ট। মুড়ানো মাথা এবং সাদা কাপড় পরিহিত। একথা শুনে রাসূলুল্লাহ (সা.) অতিশয় রাগান্বিত হয়ে বললেন, আল্লাহর শপথ! তোমরা কাউকে আমার পর আমার থেকে অধিক ইনসাফকারী দেখতে পাবে না। অতঃপর তিনি বললেন, শেষ যুগে এমন কিছু লোকের আবির্ভাব হবে, মনে হয় ঐ ব্যক্তি ঐ সকল লোকের মধ্যে হবে। তারা কোরআন তেলাওয়াত করবে, কিন্তু কোরআন তাদের গলার নীচে ঢুকবে না।তারা ইসলাম হতে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন তীর শিকার হতে বের হয়ে যায়। তাদের চিহ্ন হলো তাদের মাথা মুড়ানো থাকবে। তারা এভাবে প্রকাশ পেতে থাকবে এবং তাদের শেষ দলটি দাজ্জালের সাথে বের হবে। যদি তোমরা তাদের পাও, তবে তাদেরকে হত্যা করবে। কেননা, তারা সৃষ্টির মধ্যে সবচাইতে অধম।
* ওহীয়ে গাইরে মাতলু থেকে রাসূল (সা.)হযরত আলী বিষয়ে যা জানলেন তাতে তিনি বিচলিত হলেন। হযরত আলীর (রা.) পক্ষ অবলম্বন করলে তিনিও উম্মতের ক্ষেোভের মুখে পড়েন কিনা সে বিষয়ে তিনি চিন্তিত ছিলেন। এ বিষয়ে আল্লাহ তাঁকে রক্ষা করবেন মর্মে প্রতিশ্রুতি দিলে তিনি হযরত আলী (রা.) বিষয়ে আল্লাহ যা বলতে বললেন সেই কথা সাহাবা (রা.) সমাবেশে বলেছেন।
তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমান (রা.) হত্যার প্রধান দুই অভিযুক্তদের একজনকে হযরত আলী (রা.) খেলাফতের প্রধান সেনাপতি এবং অন্য জনকে মিশরের শাসনকর্তা পদে নিয়োগ দান করেন। অন্য দিকে তিন জন জনপ্রিয় শাসনকর্তা হযরত মুয়াবিয়া (রা.), হযরত মুগিরা বিন শোবা (রা.) ও হযরত আমর ইবনুল আসকে (রা.) খলিফা হযরত আলী (রা.) শাসনকর্তার পদ থেকে বরখাস্ত করেন। এ ঘটনার পর হযরত আলী (রা.) কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান সেনাপতি মালেক উসতার ও শাসনকর্তা হযরত আবু বকরের (রা.) পুত্র মোহাম্মদকে জনগণ হত্যা করে এবং বিপুল সংখ্যক জনগণ হযরত আলীর (রা.) বিপক্ষ হযরত আয়েশা (রা.) ও হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) দলে যোগদান করে। আর বিপুল সংখ্যক জনগণ হযরত আলীর (রা.) পক্ষে যোগদান করা থেকে বিরত থাকে। রাসূলের (সা.) মত মাওলা হওয়ার হাদিস হযরত আলীর (রা.) পক্ষে থাকায় কিছু সংখ্যক জনগণ হযরত আলীর (রা.) পক্ষে যুদ্ধ করে। তাতে করে হযরত আলী হযরত আয়েশার বিপক্ষে যুদ্ধে জয়ী হলেও হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) পক্ষে যুদ্ধে জয়ী হতে সক্ষম হননি। এতে হযরত মুয়াবিয়া (রা.) খেলাফতের একাংশের খলিফা হয়ে গেলেন। তাতে করে হযরত মুয়াবিয়া (রা.) পক্ষ জনগণকে বুঝাতে সক্ষম হলেন যে হযরত মুয়াবিয়া (রা.) পক্ষই মুসলিমদের সঠিক দল। তারপর হযরত মুয়াবিয়া (রা.) পক্ষ নব্বই বছর মুসলিম বিশ্বনেতা থাকে। আব্বাসিয়রা তাদের থেকে নিজেদেরকে বেশী সঠিক মুসলিম দল হওয়ার বিষয় জনগণকে বুঝাতে সক্ষম হওয়ায় তারা সাড়ে সাতশত বছর মুসলিম বিশ্বনেতা থাকে। কিন্তু হযরত আলীর (রা.) পক্ষ অদ্যাবদি আর মুসলিম বিশ্বনেতা হতে পারেনি। তাদের সমস্যা তারা জনপ্রিয় তিন সাহাবা হযরত আবু বকর (রা.), হযরত ওমর (রা.) ও হযরত ওসমানকে (রা.) লানত প্রদান করে। সেজন্য মহাবিপদেও হযরত আলী (রা.) পক্ষের ইরান মুসলিম বিশ্বের অকুন্ঠ সমর্থ পচ্ছে না। হযরত আলী (রা.) পক্ষে জনমত টানার সমস্যার কারণে তাঁর রাজধানী কুফাবাসীও তাঁর পুত্র ইমাম হোসেনের (রা.) পক্ষে যুদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে তাঁর পক্ষে যুদ্ধ করা থেকে বিরত থাকে। যার ফলে ইয়াজিদ পক্ষ সহজে হযরত ইমাম হোসেনের (রা.) ক্ষুদ্র দলকে পরাজিত করে তাঁর মাথা কেটে ইয়াজিদকে উপহার হিসাবে পাঠায়। কিছু সংখ্যক জনগণ হযরত আলীর (রা.) পক্ষে না থাকলে তিনি হয়ত হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) সাথে পরাজয় এড়াতে সক্ষম হতেন না। তিনি তখন পরাজিত হলে তিনি মৃত্যুদন্ডের শিকার হতেন। তিনি পরাজিত না হওয়ায় তিনি খারেজী দমনে অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছেন। তবে শেষতক তাঁর শেষ রক্ষা হয়নি। খারেজীরা তাঁকে হত্যা করে ফেলে। তারপর তাঁর পুত্র হযরত ইমাম হাসান (রা.) হযরত মুয়াবিয়ার (রা.) সাথে আর যুদ্ধ করার সাহস পাননি। রাসূল (সা.) হযরত আলীর (রা.) মত জনপ্রিয়তা হারাননি শুধু রাসূল (সা.) বলে।
১৬ ই জুন, ২০২৫ ভোর ৬:৫৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
* ইসলামে মান্যতার জন্য প্রমাণ সুস্পষ্ট হতে হয়। মাওলা মানে খলিফা সাহাবায়ে কেরাম (রা) সেটা বুঝেননি। সুতরাং হযরত আলীর (রা) পক্ষ নিয়ে অন্য সাহাবায়ে কেরামকে (রা) অসম্মান মুসলিম জাতি কর্তৃ ক গৃহিত হয়নি। সেজন্য মুসলিম জাতির মধ্যে শিয়ারা একটি ছোট এবং ঘৃণিত গ্রুপে পরিণত হয়েছে। ইরান সেই গ্রুপের একটি দেশ হওয়াতে অন্যরা তাদের থেকে দূরে থাকে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই জুন, ২০২৫ রাত ১২:৫৩
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: শিয়া বিশ্বাস অনুযায়ী, নবী (সা.)-এর মৃত্যুর পর মুসলিম উম্মাহর নেতৃত্ব বা খিলাফত ঈশ্বরপ্রদত্ত হওয়া উচিত ছিল, এবং নবী (সা.) নিজেই গাদিরে খুম-এর ভাষণে হযরত আলিকে তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন: “যার আমি মাওলা, তার আলিও মাওলা।” এই বক্তব্যকে শিয়ারা ইমামতের ঘোষণা হিসেবে দেখে, এবং বিশ্বাস করে আলি ছিলেন প্রথম বৈধ ইমাম (নেতা)।