নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানব মঙ্গল আমার একান্ত কাম্য

মহাজাগতিক চিন্তা

একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।

মহাজাগতিক চিন্তা › বিস্তারিত পোস্টঃ

লোকেরা ভুল করে কোরআনের ভুল ধরে

২৫ শে জুন, ২০২৫ রাত ১১:৩১



সূরাঃ ২ বাকারা, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। ঐ কিতাব; যাতে কোন সন্দেহ নেই, যা হেদায়েত মোত্তাকীদের জন্য।

* কোরআন হলো হেদায়াত বা পথনির্দেশিকা। পথ তাহলে কি?

সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত জন্তু, শৃংগাঘাতে মৃত জন্তু এবং হিংস্র পশুতে খাওয়া জন্তু, তবে যা তোমরা যবেহ করতে পেরেছ তা’ ব্যতীত, আর যা মূর্তি পুজার বেদির উপর বলি দেওয়া হয় তা এবং জুয়ার তীরদ্বারা ভাগ্য নির্ণয় করা, এ সব পাপ কাজ। আজ কাফেরগণ তোমাদের দ্বীনের বিরুদ্ধাচরণে হতাশ হয়েছে; সুতরাং তাদেরকে ভয় করবে না, শুধু আমাকে ভয় কর। আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন মনোনীত করলাম। তবে কেহ পাপের দিকে না ঝুঁকে ক্ষুধার তাড়নায় বাধ্য হলে তখন আল্লাহ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।

* পথ হলো ইসলাম বা দ্বীন।পথে চলতে লাগে হিকমাত যা হেদায়াত বা পথনির্দেশিকা ঘটিত।

# হেদায়াত ঘটিত হিমাতের নমুনা-

সূরাঃ ৪ নিসার ১১ ও ১২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১। আল্লাহ তোমাদের সন্তান সম্পর্কে নির্দেশ দিচ্ছেনঃ এক পুত্রের অংশ দুই কন্যার অংশের সমান; কিন্তু কেবল কন্যা দুইয়ের অধিক থাকলে, তাদের জন্য পরিত্যাক্ত সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ। আর মাত্র এক কন্যা থাকলে তার জন্য অর্ধাংশ। তার সন্তান থাকলে তার পিতা-মাতা প্রত্যেকের জন্য পরিত্যাক্ত সম্পত্তির এক-ষষ্ঠাংশ; সে নিঃসন্তান হলে পিতামতাই উত্তরাধীকারী হলে তার মাতার জন্য এক তৃতীয়াংশ। তার ভাইবোন থাকলে মাতার জন্য এক-ষষ্ঠাংশ।সবাই সে যা অসিয়ত করে তা’ দেওয়ার এবং ঋণ পরিশোধের পর।তোমাদের পিতা ও সন্তানের মধ্যে উপকারে কে তোমাদের নিকটতর তা’ তোমরা অবগত নও। নিশ্চয়ই এটা আল্লাহর বিধান: আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
১২।তোমাদের স্ত্রীদের পরিত্যাক্ত সম্পত্তির অর্ধাংশ তোমাদের জন্য, যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে।আর তাদের সন্তান থাকলে তোমাদের জন্য তাদের পরিত্যাক্ত সম্পত্তির এক-চতুর্থাংশ; ওসিয়ত পালন এবং ঋণ পরিশোধের পর।তোমাদের সন্তান না থাকলে তাদের জন্য তোমাদের সম্পত্তির এক-চতুর্থাংশ; আর তোমাদের সন্তান থাকলে তাদের জন্য তোমাদের সম্পত্তির এক-অষ্টমাংশ; তোমরা যা ওসিয়ত করবে তা’ ওেয়ার পর এবং ঋণ পরিশোধের পর।যদি পিতা-মাতা ও সন্তানহীন কোন পুরুষ অথবা নারীর উত্তরাধীকারী থাকে তার বৈপিত্রেয় ভাই অথবা বোন; তবে প্রত্যেকের জন্য এক-ষষ্ঠাংশ।তারা এর অধিক হলে সকলে সম অংশিদার হবে এক-তৃতীয়াংশে; এটা যা ওসিয়ত করা হয় তা’ দেওয়ার এবং ঋণ পরিশোধের পর, যদি কারো জন্য ক্ষতিকর না হয়।ইহা আল্লাহর নির্দেশ, আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৮৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮৬। আল্লাহ কারো উপর এমন কোন কষ্ট দায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না যা তার সাধ্যাতীত।সে ভাল যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। সে মন্দ যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। হে আমাদের প্রতিপালক যদি আমরা ভুলে যাই অথবা আমাদের ত্রুটি হয় তবে আমাদেরকে পাকড়াও করো না। হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের পূর্ববর্তিগণের উপর যেমন গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছিলে আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করবেন না।হে আমাদের প্রতিপালক এমন ভার আমাদের উপর অর্পণ করবেন না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই।আমাদের পাপ মোছন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে জয়যুক্ত করুন।

সূরাঃ ৫৪, কামার ১৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৭। কোরআন আমি সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য; অতএব উপদেশ গ্রহণকারী কেউ আছে কি?

* হোদায়াত অনুযায়ী মৃত ব্যক্তির পিতা,মাতা, স্ত্রী ও দুই কন্যার অংশ যোগ করলে চব্বিশের সাতাশ হয়। যা বন্টন অসম্ভব। বন্টন সম্ভব করার জন্য হরকে তিন বাড়িয়ে দিলেই বন্টন সম্ভব হয়। অসম্ভবের পিছনে না দৌড়িয়ে আল্লাহ যা সম্ভব তা করতে বলায় এ ক্ষেত্রে হরকে তিন বাড়িয়ে দিয়ে বন্টন করাই আল্লাহর বিধান। যা হেদায়াত ঘটিত হিকমাত। এ ক্ষেত্রে হেদায়াত না থাকলে হিকমাত হত কি? চব্বিশের সাতাশ তো হেদা্য়াত থেকেই পাওয়া গেল।আর বিধান পাওয়া গেল হেদায়াত ঘটিত হিকমাত দিয়ে। তাহলে এখানে ভুলটা কোথায়? আল্লাহতো হিকমাতই মানতে বললেন।

সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।

সূরাঃ ২ বাকারা, ২৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬৯। তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত দান করেন। আর যাকে হিকমাত দান করা হয় এর ফলে সে নিশ্চয়ই প্রচুর কল্যাণ লাভ করে।মূলত জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না।

সূরাঃ ৩১ লোকমান, ১২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২। আমরা লোকমানকে হিকমাত দান করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তো তা’ করে নিজের জন্য। আর কেউ অকৃতজ্ঞ হলে আল্লাহ তো ধনি ও প্রশংসিত।

সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।

সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।
সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?

* রাসূল (সা.) কিতাব ও হিকমাত শিক্ষা দিয়েছেন। আল্লাহ হিকমাতকে প্রচুর কল্যাণ বলেছেন।যারা হিকমাত প্রাপ্ত হয় তাদেরকে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে বলেছেন। ইবাদতের নিয়মের ক্ষেত্রে এ ঞিকমাত হলো ফিকাহ। কারণ আল্লাহ ফিকাহ দ্বারা ভয় দেখাতে ও সাবধান হতে বলেছেন। সুতরাং হিকমাতের পরিবর্তে কিতাব বা কোরআন মানসুখ এবং হাদিস বাতিল। সংগত কারণে আহলে কোরআন ও আহলে হাদিসদের মুসলিমদের সঠিক দল হওয়া সম্ভব নয়।

# হিকমাতের ক্ষেত্রে কোরআন মানসুখ ও হাদিস বাতিল হওয়ার নমুনা।

সূরাঃ ২৪ নূর, ৩০ নং ও ৩১ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩০। মুমিনদেরকে বল, তারা যেন দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জা স্থানের হেফাযত করে। এত তাদের জন্য উত্তম পবিত্রতা রয়েছে। তারা যা করে সে বিষয়ে আল্লাহ অবহিত।
৩১। মুমিনা বা মুমিন নারীদেরকে বল, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান তা’ ব্যতীত তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে। তাদের ঘাড় ও বুক যেন মাথার কাপড় দ্বারা ঢেকে রাখে। তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভাইয়ের পুত্র, বোনের পুত্র, নিজস্ব নারীগণ, মালিকানাধীন দাসী, যৌন কামনা রহিত পুরুষ এবং নারীদের গোপনাঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ব্যতিত কারো নিকট আভরণ (সাজ এবং সাজের পোশাক) প্রকাশ না করে। তারা যেন তাদের গোপন পোশাক প্রকাশের জন্য সজোরে পা না ফেলে। (এমন পা ফেলার কারণে শাড়ী, ওড়না বা চাদর খসে যেন শাড়ী, ওড়না বা চাদরের নীচের পোশাক দেখা না যায়)।হে মুমিনগণ তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে ফিরে আস, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।

* এ ক্ষেত্রে পুরুষ সার্জেন দৃষ্টি সংযত করলে তার নারী রোগী মারা যাবে। সুতরাং এক্ষেত্রে পুরুষ সার্জেন দৃষ্টিকে সংযত না করে লজ্জা স্থানের হেফাযত করবে। এ ক্ষেত্রে দৃষ্টি সংযত রাখার হুকুম মানসুখ হবে এবং এ সংক্রান্ত সকল হাদিস বাতিল হবে। এ ক্ষেত্রে মা ফাতেমার হাদিস দিয়ে নারী রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিবে না।


সূরাঃ ২ বাকারা, ১৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ
১৪৩। এইভাবে আমি তোমাদিগকে এক মধ্যমপন্থী উম্মতরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি।যাতে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষীস্বরূপ এবং রাসূল তোমাদের জন্য সাক্ষীস্বরূপ হতে পারেন।তুমি এ যাবত যে কিবলা অনুসরন করতেছিলে উহা আমরা এ এ উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত করে ছিলাম যাতে আমরা জানতে পারি কে রাসূলের অনুসরন করে আর কে ফিরে যায়? আল্লাহ যাদেরকে সৎপথে পরিচালিত করেছেন তারা ছাড়া অন্যদের নিকট এটা (সৎপথ)কঠিন।তোমাদের ঈমানকে ব্যর্থ করে দিবেন আল্লাহ এমন নন।আল্লাহ মানুষদের প্রতি স্নেহশীল-দয়াদ্র।

* যারা কিতাবকে হিকমাতের উপর স্থানদেয় তারা চরমপন্থী। মধ্যমপন্থী হিকমাতকে কিতাবের উপর স্থান দেয় এবং এটাই সঠিক। কারণ আল্লাহ তাঁর পথে ডাকতে বলেছেন হিকমাত দিয়ে। হিকমাতের উপর কিতাবকে স্থান দেওয়া চরমপন্থী হলো শিয়া, ইবাদী, সালাফী, আহলে কোরআন ও আহলে হাদিসের দল সমসূহ। নিজেদেরকে ফিকাহের অনুসারী দাবী করলেও শাফেঈ, মালেকী ও হাম্বলী কিতাবকে হিকমাতের উপর স্থান দেয়। সেজন্য তাদের ফিকাহ মূলত কোন ফিকাহ নয়।

সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩। পৃথিবীতে অহংকার প্রকাশ এবং কূট ষড়যন্ত্রের কারণে (অকল্যাণ)।কূট ষড়যন্ত্র এর আহলকে(এর সাথে সংযুক্ত সকল ব্যক্তি) পরিবেষ্ঠন করে। তবে কি এরা অপেক্ষা করছে পূর্ববর্তীদের সুন্নতের? কিন্তু তুমি আল্লাহর সুন্নাতে কখনও কোন পরিবর্তন পাবে না এবং আল্লাহর সুন্নতে কোন ব্যতিক্রমও দেখবে না।

* হিদায়াত গঠিত হিকমাত তথা ফিকাহ আল্লাহর সুন্নাত। কারণ এতে পরিবর্তন নাই। কিন্তু কিতাব তথা কোরআন ও এর বিবরণ হাদিসে মানসুখ থাকায় কোরআন ও হাদিসে পরিবর্তন আছে। সুতরাং যারা কিতাবকে হিকমাত তথা ফিকাহের উপর স্থান দেয় তারা আহলে সুন্নাত নয়। কারণ আল্লাহর সুন্নত তরককারী আহলে সুন্নাত হওয়া সম্ভব নয়।

সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।

সূরাঃ ৬ আনআম, ১৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
১৫৩। আর এপথই আমার সিরাতাম মুসতাকিম (সরল পথ)। সুতরাং তোমরা এর অনুসরন করবে, এবং বিভিন্ন পথ অনুসরন করবে না, করলে তা’ তোমাদেরকে তাঁর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করবে। এভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে নির্দেশ দিলেন যেন তোমরা সাবধান হও।

সূরাঃ ৪ নিসা, আয়াত নং ১১৫ এর অনুবাদ-
১১৫। কারো নিকট সৎপথ প্রকাশ হওয়ার পর সে যদি রাসুলের বিরুদ্ধাচরণ করে এবং মু’মিনদের পথ ব্যতিত অন্যপথ অনুসরন করে, তবে সে যে দিকে ফিরে যায় সে দিকেই তাকে ফিরিয়ে দেব এবং জাহান্নামে তাকে দগ্ধ করব, আর উহা কত মন্দ আবাস।

* আল্লাহর সুন্নাত ফিকাহের সাথে কোরআন-হাদিস দিয়ে যারা মতভেদে জড়ায় তারা বিভিন্ন পথ দেখিয়ে লোকদেরকে আল্লাহর পথ হতে বিচ্ছিন্ন করে।তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে। আর সে মহাশাস্তি হলো জাহান্নাম।কালেমার কারণে এদের জাহান্নাম মুক্তি ঘটলেও এদের প্রকাশ্য অঙ্গে জাহান্নামের চিহ্ন থেকে যাবে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:০২

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আপনার কাছে প্রশ্ন — আরবের লোকজন যখন মূর্তিপূজা করত, তখন আসলে তাদের প্রধান সমস্যা কী ছিল বলে আপনি মনে করেন? প্রতিটি লোক একেকজন দেব-দেবীর পূজা করত, সেজন্য কি তারা ভাল-মন্দের পার্থক্য বুঝত না? নাকি তারা বলত, “আমার দেবতা তোমার দেবতার চেয়ে বড়”—এমন বিষয় নিয়ে ঝগড়া করত?

তারা তো প্রতীকভিত্তিক (পট্টলিক) ধর্ম পালন করত, যা অনেকটা আজকের হিন্দু ধর্মের কাছাকাছি। কিন্তু হিন্দু ধর্মের ধর্মীয় গ্রন্থগুলোতে ন্যায়-অন্যায়, সত্য-মিথ্যা নিয়ে অনেক লেখা আছে, যেগুলো অনুসরণ করলে মানুষের খারাপ কাজ করার সম্ভাবনা কমে যায়।

আপনার কাছে কি মনে হয়, মহান আল্লাহ কেন নবী (সা.)-এর মাধ্যমে আরবদের কাছে নিজেকে প্রকাশ করলেন? যারা সূর্য, চাঁদ বা প্রকৃতির শক্তির উপাসনা করত, তারাও তো একভাবে মহান আল্লাহরই কোনো সৃষ্টির পূজা করছিল। কারণ সৃষ্টির মাঝেই সৃষ্টিকর্তা প্রকাশিত হন।

তাহলে কেন ইসলামে এসব (সূর্য, চাঁদ, মূর্তি ইত্যাদির) উপাসনা নিষিদ্ধ করা হলো ?

২৬ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:২০

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: সৃষ্টিরা বশত করে শ্রষ্টার ভিতরে। কারণ শ্রষ্টা অসীম। সেজন্য সৃষ্টিরা তাঁর সীমানা থেকে বেরিয়ে যেতে পারে না। শ্রষ্টা সৃষ্টির ভিতরে থাকেন না কারণ সৃষ্টি সসীম। সেজন্য সৃষ্টির পুজায় শ্রষ্টার পুজা হয়না বিধায় ইসলামে এসব উপাসনা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

২| ২৬ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:১৩

কামাল১৮ বলেছেন: আল্লাহকে মানলে নারী উপহার দিবে আর না মানলে আগুনে পোড়াবো।সত্য মানার কি সুন্দর উপায়।নারীকে কি দিবে তা কিন্তু বলা নেই।পুরুষকে দিবে ৭০/৭২ টা নারী।কিন্তু নারীকে কি ৭০/৭২টা পুরুষ দিবে।

২৬ শে জুন, ২০২৫ রাত ১২:২৪

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: পুরুষকে ৭০ নারী। সেই সত্তর নারীর প্রত্যেককে সত্তর পুরুণ। সেই সত্তর পুরুষের প্রত্যেককে সত্তর নারী। বিষয়টা গুলিয়ে যাচ্ছে। এটা সম্ভব নয় বলেই করা হচ্ছে না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.