![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬৯। তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত দান করেন। আর যাকে হিকমাত দান করা হয় এর ফলে সে নিশ্চয়ই প্রচুর কল্যাণ লাভ করে।মূলত জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না।
সূরাঃ ৩১ লোকমান, ১২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২। আমরা লোকমানকে হিকমাত দান করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তো তা’ করে নিজের জন্য। আর কেউ অকৃতজ্ঞ হলে আল্লাহ তো ধনি ও প্রশংসিত।
সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।
* রাসূল (সা.) কিতাবের সাথে হিকমাতের শিক্ষা দিয়েছেন। আল্লাহ হিকমাতের প্রচুর সুনাম করে হিকমাতের মাধ্যমে তাঁর পথে ডাকতে বলেছেন।সুতরাং হিকমাতের অমান্যতায় মুসলিম শান্তিতে না থেকে অশান্তিতে থাকার কথা।
সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।
* ইবাদতের ক্ষেত্রে হিকমাত হলো ফিকাহ। কারণ আল্লাহ ফিকাহ দিয়ে ভয় দেখাতে এবং ফিকাহ অনুযায়ী সাবধান হতে বলেছেন। আত্মরক্ষার হিকমাত হলো ব্যক্তিগত শত্রু, জাতীয় শত্রু ও রোগ জীবাণু শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখার হিকমাত। এ ক্ষেত্রে চীন একটি দৃষ্টান্ত। চীনের উইঘুর হানাফী ফিকার অনুসারী।মার্শাল আর্টে তারা বিখ্যাত। চিকিৎসা শিক্ষাতেও তারা পারদর্শী।পাক-ভারত যুদ্ধে চীনা অস্ত্রে সন্ত্রস্ত ছিল হিন্দুর ভারত।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।
# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।
সহিহ সুনানে নাসাঈ, ৩১৭৭ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অুনবাদ-
৩১৭৭। হযরত আবু হুরায়রা (রা.)থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আমাদেরকে হিন্দুস্থানের যুদ্ধের আশ্বাস দিয়েছেন। আমি তা’ পেলে তাতে আমার জান মাল উৎসর্গ করব। আর আমি যদি নিহত হই তবে মর্যাদাবান শহীদ বলে গণ্য হব, আর যদি প্রত্যাবর্তন করি, তাহলে আমি আবু হুরায়রা হব আযাদ বা জাহান্নাম হতে মুক্ত।
সহিহ সুনানে নাসাঈ, ৩১৭৮ নং হাদিসের (জিহাদ অধ্যায়) অুনবাদ-
৩১৭৮। হযরত রাসূলুল্লাহর (সা.)গোলাম সাওবান (রা.)থেকে বর্ণিত।তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন আমার উম্মতের দু’টি দল, আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে জাহান্নাম হতে নাজাত দান করেছেন, একদল যারা হিন্দুস্থানের জিহাদ করবে আর একদল যারা ঈসা ইবনে মরিয়মের (আ.) সাথে থাকবে।
* পারসিক ফিকাহ হানাফী ফিকাহ বিশ্ববিস্তৃত। পরসিক মারেফাত হাসান বছরী (র,), রাবেয়া বছরী (র.) ও খাজা মাইনদ্দীন চিশতির (র.) তরিকা বেশ কার্যকর। পারসিক ও পারসিক ভাবাপন্ন মুসলিম ইরাক থেকে বাংলাদেশ সংখ্যায় সবচেয়ে বেশী। সদ্য ইরানী মিসাইলে ইসরায়েল-আমেরিকা সন্ত্রস্ত হয়েছে। এটি ইসরায়েলের আয়রন ডোম ভেদ করেছে।আরবরা ইসরায়েলের সাথে ছয় দিনে হেরে গেছে। কিন্তু ইরান বার দিনে জয়ী হয়েছে। আফগানরা রাশিয়া, আমেরিকা, বৃটিশ ও নেটোর সাথে পরাজিত হয়নি। পাকিস্তান পরাজিত হয়নি ভারতের সাথে। আর বাংলাদেশী সৈন্য জাতীয় সংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু আরবরা ইসরায়েল ও আমেরিকার পা চাটে।সুতরাং হিকমাতে সবচেয়ে এগিয়ে পারসিক ও পারসিক ভাবাপন্ন হা্নাফী। হিন্দুস্থানের সকল যুদ্ধে এরা জয়ী। মোহাম্মদ ঘুরী পৃথিরাজ, বখতিয়ার লক্ষণ সেন, ইলয়াস শাহ গৌরগবিন্দ, আহমদ শাহ আব্দালী মারাঠাকে ভালোভাবে পরাজিত করেছে। শিয়া সিরাজ বৃটিশের সাথে জয়ী হতে পারেনি। অস্ত্র বিদ্যায় হানাফী পাকিস্তান মুসলিমদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে। সেই সাথে তাদের আছে চীনা অস্ত্রের মৌজুদ।হানাফী আব্বাসীয়রা এবং তুর্কীরা শাসক হিসাবে মুসলিমদের শধ্যে সবচেয়ে বেশী প্রভাব শালী। এদিক থেকে ীময়ারা অনেক পিছনে। মুসলিমদের অন্যরা আরো অনেক পিছিয়ে।সুতরাং হিকমাতে হানাফীদের সাথে থাকা মুসলিমদের জন্য সঠিক কাজ।
২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:০৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: একদম সঠিক মন্তব্য।
২| ২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:০৬
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: আজকে অনেক মুসলিম সমাজে যারা বিশ্লেষণ করে, প্রশ্ন তোলে, সত্য-মিথ্যা যাচাই করে—তাদের "ইমান দুর্বল" বলে গালি দেওয়া হয়। চিন্তাশীল মানুষকে দমন করা হয়। হিকমত মানে হলো গঠনমূলক সমালোচনা, সুস্থ বিতর্ক, এবং বাস্তবতার সাথে খাপ খাওয়ানো। কিন্তু আমরা অনেক সময় “অলৌকিক সমাধান” খুঁজি বাস্তবতার মুখোমুখি না হয়ে।মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ নেতৃত্ব হিকমতের সাথে নয়, বরং জোর-জুলুম বা পশ্চিমা মোসাহেবি দিয়ে চলে। ফলে অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি, অযোগ্যতা ও ভাগাভাগি লেগেই থাকে। মাদ্রাসাগুলোর অনেক জায়গায় কেবল মুখস্থকরণকে ইলম বলা হয়, কিন্তু যুক্তি-প্রমাণ, সমসাময়িক জ্ঞান, ইতিহাস চর্চা, কূটনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান—এসবকে বাদ দেওয়া হয়।
২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:১১
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মাদ্রাসাগুলো সঠিক শিক্ষা থেকে দূরে সরে গেছে। তাদের বিদ্যা আছে শিক্ষা খুবই কম।
৩| ২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:০৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ফলাফল কী?
মুসলিম বিশ্ব বিভক্ত: শিয়া-সুন্নি, সালাফি-সুফি, হানাফি-শাফি বিভাজন দিয়ে। যুক্তি ও হিকমতের অভাবে মুসলমানদের সহজে প্ররোচিত করে কট্টরপন্থী বা ভাড়াটে নেতারা। হিকমতের অভাবে মুসলিমরা বিশ্ব রাজনীতিতে বারবার প্রতারিত হচ্ছে—চুক্তিতে, যুদ্ধে, অর্থনীতিতে। তরুণ সমাজ হতাশ, কারণ তারা বাস্তবতার মুখে ধর্মীয় কথার সাথে কোনো মিল খুঁজে পায় না।
২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:১২
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ধর্মের পতাকা যারা বহন করে তারা ধর্মের পুস্তক মনোযোগ দিয়ে অধ্যয়ন করে না।
৪| ২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:০৮
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: তাহলে করণীয় কী ?
ইলম ও হিকমতের পুনর্মিলন ঘটানো — কেবল কিতাব নয়, বাস্তব জীবন বিশ্লেষণ করতে শেখানো। তরুণদের চিন্তা করতে দেওয়া — ভিন্নমতকে “গোমরাহ” বলার বদলে আলোচনায় আনতে শেখা। ধর্মীয় নেতৃত্বে প্রজ্ঞাবান মানুষদের গুরুত্ব দেওয়া — আবেগ নয়, হিকমত দিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচন।
২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:১৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: হিকমাত বা কৌশল ছাড়া কোন কিছুই ঠিকঠাক চলবে না।
৫| ২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: চাচাজ্বী এই পোষ্ট টা কি খুব গুরুত্বপূর্ন??
আমার মাথায় কিচ্ছু ঢুকলো না।
২৭ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:১৩
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: মানুষ ভেদে গুরুত্বের ভিন্নতা আছে। আপনি ইসলাম বিদ্বেষী বিধায় আপনার মাথায় এ সংক্রান্ত কিছু ঢুকার কথা নয়।
৬| ২৭ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:০৬
কাঁউটাল বলেছেন: ছাগল নুরের মাথায় ভাল জিনিস ঢুকবে কিভাবে? পার্ভার্ট একটা।
২৭ শে জুন, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: যে ব্যক্তি জাহান্নামে যেতে চায় তার মাথায় জান্নাত সংক্রান্ত বিষয় ঢুকবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে জুন, ২০২৫ সকাল ১০:০৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কুরআনেই আল্লাহ বলেন:
"যাকে হিকমত দেওয়া হয়েছে, তাকে এক বিরাট কল্যাণ দেওয়া হয়েছে।"
— (সূরা আল-বাকারা: ২৬৯)
হিকমত মানে কেবল বই পড়ে জ্ঞান অর্জন নয়; বরং: পরিস্থিতি বুঝে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া, সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়া, উপযুক্ত কথায়, উপযুক্ত সময়ে, উপযুক্ত জায়গায় কথা বলা, আত্মসচেতন ও বাস্তববাদী নেতৃত্ব গঠন।