![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩। পৃথিবীতে অহংকার প্রকাশ এবং কূট ষড়যন্ত্রের কারণে (অকল্যাণ)।কূট ষড়যন্ত্র এর আহলকে(এর সাথে সংযুক্ত সকল ব্যক্তি) পরিবেষ্ঠন করে। তবে কি এরা অপেক্ষা করছে পূর্ববর্তীদের সুন্নতের? কিন্তু তুমি আল্লাহর সুন্নাতে কখনও কোন পরিবর্তন পাবে না এবং আল্লাহর সুন্নতে কোন ব্যতিক্রমও দেখবে না।
সূরাঃ ১৫ হিজর, ৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৯। নিশ্চয়ই আমরা যিকর নাযিল করেছি। আর আমরা উহার হেফাজতকারী।
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
* আল্লাহর সুন্নাতে পরিবর্তন ও ব্যতিক্রম নাই। হাফেজে কোরআনের মাধ্যমে আল্লাহ এর হেফাজত করেছেন। সুতরাং রাসূল (সা.) ও আমিরের সুন্নাতের অনুসরন হবে আল্লাহর সুন্নাতের মাপকাঠিতে।হাফেজের মাধ্যমে হেফাজত না হওয়ায় রাসূল (সা.) ও আমিরের সুন্নাতে মিথ্যা ঢুকার সম্ভাবনা থাকায় আল্লাহর সুন্নাতের গরমিল রাসূল (সা.) ও আমিরের সুন্নাতের অনুসরন সরাসরি বাতিল সাব্যস্ত হবে।আল্লাহর সুন্নাত কি?
সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।
সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। ঐ কিতাব; যাতে কোন সন্দেহ নেই, যা হেদায়াত মোত্তাকীদের জন্য।
সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।
* আল্লাহর সুন্নাত হলো হিকমাত ও উত্তম ওয়াজ, কিতাব এর হেদায়াত বা পথ নির্দেশ। কিতাব হিকমাত ও উত্তম ওয়াজের গরমিল হলে কিতাব মানসুখ বা রহিত হবে।ইবাদতের নিয়মের ক্ষেত্রে এটি আমির অনুমোদীত ফিকাহ। কারণ রাসূল (সা.) কোন ফিকাহ সংকলনের অনুমোদন প্রদান করেননি, কিন্তু সবচেয়ে পরাক্রান্ত খলিফা আমির হারুনুর রশিদ হানাফী ফিকাহ পরিশোধন করে অনুমোদন প্রদান করেছেন। সুতরাং আমির অনুমোদীত হানাফী ফিকাহ ছাড়া অন্য কিছু হিকমাত, উত্তম ওয়াজ বা ফিকাহ নয়।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।
# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৩। ঐসব রাসূলদের আমরা তাদের কোন জনের উপর কোন জনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কোন জনের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন।আর কোন জনকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। আর আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসাকে প্রকাশ্য মুজেযা দান করেছি। আর তাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছি।আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে নবিগণের পরবর্তী লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু তারা পরস্পর ইখতিলাফ (মতভেদ) করেছিল।তাতে তাদের কিছু লোক মুমিন এবং কিছু লোক কাফের হয়ে গেল। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।
সহিহ আল বোখারী, ৬৫৭২ নং হাদিসের (কিতাবুল ফিতান)-
৬৫৭২। হযরত ওসামা ইবনে যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবি করিম (সা.) মদীনার এক সুউচ্চ অট্টালিকার উপর আরোহন করে বললেন, আমি যা কিছু দেখছি, তোমরা কি তা’ দেখছ? তারা বলল, জী না। তিনি বললেন, আমি দেখছি যে, তোমাদের ঘরের ভিতরে বৃষ্টি পাতের ন্যায় ফিতনা পতিত হচ্ছে।
* আমির অনুমোদীত ফিকাহ না থাকায় সাহাবায়ে কেরাম (রা,) নিজেদের মধ্যে মতভেদ ও পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হয়েছেন। অবশেষে মহাফিতনার তান্ডবে ঈমান সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট চলে যায়। কারবালায় হযরত ইমাম হোসেন (রা.) তাঁর প্রতিপক্ষে কোন মুমিন খুঁজে পাননি। তারা জান্নাতের যুব নেতার মাথা কেটে ইয়াজিদকে উপহার দেয়। আর তাতে সে সন্তুষ্ট হয়। তথাপি কেউ যদি বলে ইয়াজিদের ঈমান ছিল তবে তাকে আমার বলার কিছু নাই।অবশেষে পারসিক ইমাম আবু হানিফা (র.) ফিকাহ সংকলন প্রস্তুত করলে এবং আমির হারুনুর রশিদ তা’ পরিশোধন করলে ঈমান সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থেকে ফিরে আসে এবং ইসলামের স্বর্ণযুগ শুরু হয়। আমির অনুমোদীত ফিকাহের সাথে বেয়াদবি করায় ইহুদী তান্ডবে মধ্যপ্রাচ্য নাজেহাল হচ্ছে।
সূরাঃ ৫৫ রাহমান, ১ নং ও ২নং আয়াতের অনুবাদ-
১। আর রাহমান (পরম মেহেরবান)।
২। তিনিই শিক্ষা দিয়েছেন কোরআন।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১।প্রশংসা আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীর সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর, যিনি বার্তাবাহক করেন মালাইকাকে (ফেরেশতা) যারা দুই-দুই, তিন-তিন অথবা চার-চার পাখা বিশিষ্ট। তিনি তাঁর সৃষ্টিতে যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৮৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮৬। আল্লাহ কারো উপর এমন কোন কষ্ট দায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না যা তার সাধ্যাতীত।সে ভাল যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। সে মন্দ যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। হে আমাদের প্রতিপালক যদি আমরা ভুলে যাই অথবা আমাদের ত্রুটি হয় তবে আমাদেরকে পাকড়াও করো না। হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের পূর্ববর্তিগণের উপর যেমন গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছিলে আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করবেন না।হে আমাদের প্রতিপালক এমন ভার আমাদের উপর অর্পণ করবেন না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই।আমাদের পাপ মোছন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে জয়যুক্ত করুন।
* মোয়াল্লেম আল্লাহ একশতবার দিদারের মাধ্যমে ইমাম আবু হানিফাকে (র.) কোরআন শিক্ষা দেওয়ায় তিনি ফিকাহ সংকলন সম্পূর্ণ করতে সক্ষম হন। তাঁর পূর্বে কেউ সম্পূর্ণ ফিকাহ সংকলন সম্পন্ন করতে সক্ষম হননি। সঠিক ফিকাহ হওয়ায় আমির এটি পরিশোধন করে অনুমোদন করেছেন। অন্য যারা ফিকাহের নামে অফিকাহ দিয়ে মুসলিম জনতাকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছে আমিরগণ তাদেরকে শাস্তি প্রদান করতেন।তাদের সেসব অকাজ কোন আমির অনুমোদন করেননি। সুতরাং আমির অনুমোদীত হানাফী ফিকাহ ছাড়া অন্য কোন পদ্ধতিতে ইবাদত করলে তা’ আল্লাহর দরবারে গৃহিত হবে না। আমির অনুমোদীত ফিকাহের পূর্বে যারা এর অনুসারী হতে পারেননি তাঁরা এ বিষয়ে অপারগ ছিলেন। আল্লাহ তাঁদেরকে ক্ষমা করবেন। কিন্তু আমির অনুমোদীত ফিকাহ বিদ্যমাণ থাকার পরেও এর অনুসরন না করলে এ অপরাধ আল্লাহর দরবারে ক্ষমাযোগ্য হবে না।
১০ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:২৯
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আল্লাহর সুন্নাতের তথ্য কৈ পেলাম সেটা পোষ্টের শুরুতেই আছে।
২| ১০ ই অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: আধুনিক বিশ্বে সুন্নত মানা জরুরী কিছু নয়।
সুন্নত না মানলে কোনো সমস্যা নাই।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই অক্টোবর, ২০২৫ সকাল ১০:৪৬
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আল্লাহর সুন্নাত এমন আজব তথ্য আপনি কৈ পাইলেন হুজুর?
সুন্নাত তো নবীজীর।