| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহাজাগতিক চিন্তা
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
আওয়ামী লীগ বিতাড়নের ক্রেডিট আওয়ামী লীগ প্রধান জামায়াতকে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সমূহের নির্বাচনী ফলাফলে জামায়াতের ভোট বেড়েছে বলেই মনে হয়। আওয়ামী লীগ বিতাড়নের প্রধান ক্রেডিটের দাবীদার এনসিপির কিছু ভোট তৈরী হয়েছে।এসব ভোট বিএনপি থেকে কমে থাকলে তারা ঝুঁকির মধ্যে আছে।আর আওয়ামী লীগ স্বনামে না থাকলেও ভিন্ন নামে নির্বাচনে থাকবে।সংগত কারণে বিএনপির নির্বাচনে জয়ী হওয়ার গেরান্টি নাই।জনসমর্থনের অবস্থা বুঝার জন্য বিএনপির এমন একটা নির্বাচন দরকার যাতে সরকার গঠিত হবে না। সেটা হতে পারে জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষের নির্বাচন। তাতে বিএনপি তাদের ভোটের অবস্থা বুঝবে। আর ভোটের অবস্থা বুঝে জাতীয় সংসদের নিম্নকক্ষে জয়ী হয়ে সরকার গঠনের জন্য বিএনপি ছক কষতে পারবে। নতুবা আচানক বিএনপি হেরে বসলে এবং জামায়াত ও এনসিপি জোট সরকার গঠন করলে ক্ষমতা বিএনপি থেকে অনেক দূরে চলে যাবে। ড. ইউনুস লন্ডন গিয়ে তারেক রহমানের সাথে কথা বলেছেন তা’ না হয় বুঝলাম, কিন্তু তিনি দেশে বসে ডা. শফিকের সাথে কথা বলেননি সেটা কি করে বুঝলাম? সুতরাং ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিএনপির পক্ষে না গিয়ে জামায়াতের পক্ষেও যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষের নির্বাচন পিআরে আগে হলে একটা সুবিধা আছে। সেই সুবিধা হলো জাতীয় সংসদের উচ্চ কক্ষের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধন এবং জুলাই সনদ পাস করা যাবে। তখন আর জুলাই সনদ পাসের জন্য গণভোটের প্রয়োজন হবে না। আর তাতে নতুন রাষ্ট্রপতিও নিয়োগ দেওয়া যাবে। তাতে ভোটের অবস্থা বেহাল হলে বিএনপি জোটের মাধ্যমে নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতা লাভের চেষ্টা করতে পারবে।
বিএনপি প্রধান পুরাপুরি সুস্থ্য নন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রবাসী। তাদের মহাসচিবেরও রাজনীতি থেকে অবসরের সময় হয়ে এসেছে। এতবড় দল তারা ঠিক নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। অপরপক্ষে জামায়াত বেশ গুছানো। এদিকে জনগণও তাদেরকে একবার সুযোগ দিতে চায়।এদিকে আপা টুককরে দেশে ঢুকে চট করে ক্ষমতায় বসে যেতে চান। সুতরাং ক্ষমতার ভাগ পেতে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির ঐক্য দরকার। যার একমন বহন করতে কষ্ট তার উপর আরো দুই কেজী বেশী চাপালে তার কষ্ট আরো অনেক বেশী বেড়ে যায়। সুতরাং ছোট দলও অনেক সময় ক্ষমতার জন্য ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। সেনা, পুলিশ, বিজিবি, আনসার ও প্রশাসন এরাও কিন্তু জনগণের অংশ। এরাও যদি জামায়াতকে একবার ক্ষমতা দিতে চায় তাহলে বিএনপি বেশ বেকাদায় আছে বলেই মনে হয়। একটা গন্ডগোল তৈরী হয়ে ড. ইউনুসের ক্ষমতার মেয়াদ অনেক বেড়ে গেলে তিনি অখুশী হবেন না। এক্ষেত্রে বানরের পিঠা ভাগের গল্পটা মনে গেল।
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১:০৫
মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: আজ আমার বাসার খুব কাছে জামায়াতের আমির ও চরমোনাই পীর একস্টেজে বক্তৃতা দিয়েছেন। সমাবেশটা বিশাল বড় ছিল। জামায়াতের ভোট বেড়েছে এটা নিশ্চিত। কিন্তু এটা ঠিক কতাটা বেড়েছে এটা বুঝা যাচ্ছে না।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে নভেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৫৭
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: দেখেন যা ভালো মনে করেন ।