| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহাজাগতিক চিন্তা
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
* কিতাব ও হিকমাতের এলেমে আলেম হতে হয়।কিতাব কি?
সূরাঃ ২ বাকারা, ২ নং আয়াতের অনুবাদ-
২। ঐ কিতাব; যাতে কোন সন্দেহ নেই, যা হেদায়াত মোত্তাকীদের জন্য।
সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।
সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।
সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।
* কিতাব হলো ঐকিতাব। এটি ফিকাহ। এটি উত্তম ওয়াজ। ফিকাহ=(কোরআন+হাদিস)-মানসুখ।এটি হেদায়াত।হিকমাত কি?
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬৯। তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত দান করেন। আর যাকে হিকমাত দান করা হয় এর ফলে সে নিশ্চয়ই প্রচুর কল্যাণ লাভ করে।মূলত জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।
সূরাঃ ৩১ লোকমান, ১২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২। আমরা লোকমানকে হিকমাত দান করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তো তা’ করে নিজের জন্য। আর কেউ অকৃতজ্ঞ হলে আল্লাহ তো ধনি ও প্রশংসিত।
* হিকমাত হলো কল্যাণ লাভের হিকমাত। সবচেয়ে বড় হিকমাত হলো নিজের শত্রু ও আল্লাহর শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখার শক্তির সঞ্চয়ের হিকমাত।হযরত লোকমানের (আ.) ছিল চিকিৎসা হিকমাত। হযরত দাউদের (আ.) ছিল প্রকৌশল হিকমাত। হযরত সুলায়মানের (আ.) ছিল ভাষা হিকমাত। হযরত আদমের (আ.) ছিল কৃষি হিকমাত। হযরত হাওয়ার (আ.) ছিল বস্ত্রবুনন হিকমাত। হযরত ইদ্রিসের ছিল দর্জি হিকমাত। হযরত মোহাম্মদ (সা.) ও তাঁর সাহাবায়ে কেরামের (রা.) ছিল যুদ্ধের হিকমাত। যে হিকমাতে কল্যাণ রয়েছে সেটাই হিকমাত সাব্যস্ত হবে। তর্কের হিকমাতও বড় হিকমাত। এরজন্য নিজস্ব ভাষা ও বিদেশী ভাষা লাগে। নিজস্ব ভাষা হলো মাতৃভাষা ও আরবী ভাষা। বিদেশী ভাষা হলো ইংরেজী ভাষা।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩। পৃথিবীতে অহংকার প্রকাশ এবং কূট ষড়যন্ত্রের কারণে (অকল্যাণ)।কূট ষড়যন্ত্র এর আহলকে(এর সাথে সংযুক্ত সকল ব্যক্তি) পরিবেষ্ঠন করে। তবে কি এরা অপেক্ষা করছে পূর্ববর্তীদের সুন্নতের? কিন্তু তুমি আল্লাহর সুন্নাতে কখনও কোন পরিবর্তন পাবে না এবং আল্লাহর সুন্নতে কোন ব্যতিক্রমও দেখবে না।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১১৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৯। হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সাদেকীনদের (সত্যবাদী) সাথে থাক।
* কিতাব (ফিকাহ)+হিকমাত= আল্লাহর সুন্নাত। পূর্নাঙ্গ এলেম হলো আল্লাহর সুন্নাত। এটি যার মধ্যে পূর্নাঙ্গ অবস্থায় নেই সে আলেম নয়।সে হলো ত্বলেবে এলেম। তাকে আলেম বা আল্লামা বলা মূলত মিথ্যা কথা।
সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে। তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৩৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩৯। আর তোমরা তাদের বিরুদ্ধে কিতাল (যুদ্ধ) করতে থাকবে যতক্ষণ না ফিতনা দূরীভূত হয় এবং আল্লাহর দ্বীন সর্বত্র প্রতিষ্ঠিত হয়।অতঃপর যদি তারা বিরত হয় তবে তারা যা করে আল্লাহতো এর দর্শক।
সহিহ আল বোখারী, ৬৫৭২ নং হাদিসের (কিতাবুল ফিতান)-
৬৫৭২। হযরত ওসামা ইবনে যায়েদ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা নবি করিম (সা.) মদীনার এক সুউচ্চ অট্টালিকার উপর আরোহন করে বললেন, আমি যা কিছু দেখছি, তোমরা কি তা’ দেখছ? তারা বলল, জী না। তিনি বললেন, আমি দেখছি যে, তোমাদের ঘরের ভিতরে বৃষ্টি পাতের ন্যায় ফিতনা পতিত হচ্ছে।
* রাসূলের (সা.) মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ফিকাহ ছিল। তিনি এটির পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাও দিয়েছেন। কিন্তু তিনি পূর্ণাঙ্গ ফিকাহ সংকলন ও বিভিন্ন কেন্দ্রে এর শিক্ষার ব্যবস্থা করেননি। ফলে তিনি ইন্তেকালের সময় নিজের ঘরেই মতভেদ ও ফিতনা দেখেছেন।
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৩। ঐসব রাসূলদের আমরা তাদের কোন জনের উপর কোন জনকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছি। তাদের মধ্যে কোন জনের সঙ্গে আল্লাহ কথা বলেছেন।আর কোন জনকে উচ্চ মর্যাদায় উন্নীত করেছেন। আর আমরা মরিয়ম পুত্র ঈসাকে প্রকাশ্য মুজেযা দান করেছি। আর তাকে পবিত্র আত্মা দ্বারা সাহায্য করেছি।আর আল্লাহ ইচ্ছা করলে নবিগণের পরবর্তী লোকেরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু তারা পরস্পর ইখতিলাফ (মতভেদ) করেছিল।তাতে তাদের কিছু লোক মুমিন এবং কিছু লোক কাফের হয়ে গেল। আল্লাহ ইচ্ছা করলে তারা পরস্পর যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হতো না। কিন্তু আল্লাহ যা ইচ্ছা তাই করে থাকেন।
সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ২ নং থেকে ৪ নং আয়াতের অনুবাদ।
২। তিনিই উম্মীদের মধ্যে একজন রাসুল পাঠিয়েছেন তাদের মধ্য হতে, যে তাদের নিকট আবৃত করে তাঁর আয়াত সমূহ; তাদেরকে পবিত্র করে এবং শিক্ষা দেয় কিতাব ও হিকমত; এর আগে তো এরা ছিল ঘোর বিভ্রান্তিতে।
৩। আর তাদের অন্যান্যের জন্যও যারা এখনো তাদের সহিত মিলিত হয়নি। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৪। ওটা আল্লাহরই অনুগ্রহ, যাকে ইচ্ছা তিনি ওটা দান করেন। আর আল্লাহ তো মহা অনুগ্রহশীল।
# সূরাঃ ৬২ জুমুআ, ৩ নং আয়াতের তাফসির- তাফসিরে ইবনে কাছির
৩। এ আয়াতের তাফসিরে আবু হুরায়রা হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদা আমরা রাসূলুল্লাহর পার্শ্বে বসে ছিলাম, এমন সময় তাঁর উপর সূরা জুমুয়া অবতীর্ণ হয়। জনগণ জিজ্ঞাস করেন হে আল্লাহর রাসূল (সা.)! ‘ওয়া আখারিনা মিনহুম লাম্মা ইয়ালহাকু বিহিম’ দ্বারা কাদেরকে বুঝানো হয়েছে? কিন্তু তিনি কোন উত্তর দিলেন না। তিন বার এ প্রশ্ন করা হয়। আমাদের মধ্যে সালমান ফারসীও (রা.) ছিলেন। রাসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর হাতখানা সালমান ফারসীর (রা.) উপর রেখে বললেন, ঈমান যদি সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থাকত তাহলেও এই লোকগুলোর মধ্যে এক কিংবা একাধিক ব্যক্তি এটা পেয়ে যেত।(ফাতহুলবারী ৮/৫১০, মুসলিম ৪/১৯৭২, তিরমিযী ৯/২০৯, ১০/৪৩৩, নাসাঈ ৫/৭৫, ৬/৪৯০, তাবারী ২৩/৩৭৫)।
* সাহাবায়ে কেরামও (রা.) ফিকাহ সংকলন এবং বিভিন্ন কেন্দ্রে ফিকাহ শিক্ষার ব্যবস্থা করেননি। ফলে তাঁরা পরস্পরের সঙ্গে যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত হন। তাতে সাহাবায়ে কেরাম (রা.) মুমিন থাকলেও যারা সাহাবা নয় সাহাবায়ে কেরামের সাথে এমন যুদ্ধে লিপ্ত লোকেরা কাফের হয়ে যায়। এমন কাফের সংখ্যা অধিক পরিমাণে বেড়ে যাওয়ায় ঈমান পৃথিবী ছেড়ে সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট চলে যায়। সেজন্য কারবালায় হযরত ইমাম হোসেন তাঁর প্রতিপক্ষে কোন মুমিন খুঁজে পাননি। তারা তাঁর মাথা কেটে ইয়াজিদকে উপহার দেয়। মদীনাবাসী এর প্রতিবাদ করলে ইয়াজিদ তাঁদেরকে লাঞ্চিত করেথ তখন মদীনার ঘর সমূহে বৃষ্টি পাতের ন্যায় ফিতনা পতিত হয়। অবশেষে একশতবার আল্লাহর দিদার প্রাপ্ত পারসিক ইমাম আবু হানিফা (র.) যার মধ্যে ব্যবসায় হিকমাত ছিল তিনি ফিকাহ সংকলন ও শিক্ষার ব্যবস্থা করলে ঈমান সারিয়্যা নক্ষত্রের নিকট থেকে পৃথিবীতে ফিরে আসে। যারা তাঁর সাথে মতভেদ করেছে তাদের মধ্যে কোন হিকমাত না থাকায় তারা আলেম ছিল না। তারা ছিল ত্বলেবে এলেম। সেজন্য ইমাম আবু হানিফার (র.) সাথে তাদের সকল মতভেদ বাতিল সাব্যস্ত হবে।
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
সহিহ মুসলিম, ৪৫৭৬ নং হাদিসের (কিতাবুল ইমারাহ) অনুবাদ-
৪৫৭৬। হযরত জাবির ইবনে সামুরা (রা.)কর্তৃক বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, বারজন খলিফা অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত ইসলাম পরাক্রান্ত অবস্থায় চলতে থাকবে। তারপর তিনি যে কি বললেন, তা’ আমি বুঝতে পারিনি। তখন আমি আমার পিতার নিকট জিজ্ঞাস করলাম তিনি কি বলেছেন? তিনি বললেন নবি করিম (সা.) বলেছেন, তাঁদের সকলেই হবে কোরাইশ বংশোদ্ভুত।
* সামরিক হিকমাত এবং কিতাবের এলেম সম্পন্ন সবচেয়ে পরাক্রান্ত আব্বাসীয় কুরাইশ খলিফা আমির ও আলেম হারুনুর রশিদ ইমাম আবু হানিফার (র.) ফিকাহ পরিশোধন ও অনুমোদন করলে ইসলামের স্বর্ণ যুগ শুরু হয়। পরে মঙ্গলদের থেকে আব্বাসীয়দের পরাক্রম কমে গেলে খেলাফত বিলুপ্ত হয়ে তুর্কী সালতানাত শুরু হয়। ইংরেজ ও তাদের মিত্রদের থেকে সালতানাতের পরাক্রম কমে যাওয়ায় সালতানাতও বিলুপ্ত হয়ে মুসলিম অমুসলিমের তাবেদারে পরিণত হয়। এখন মুসলিমদের মধ্যে হিকমাত থাকলে ফিকাহ থাকে না। ফিকাহ থাকলে হিকমাত থাকে না। আর পরাক্রমে তারা অমুসলিমদের থেকে অনেক পিছিয়ে। সেজন্য এখন তারা অমুসলিমদের তাবেদারে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য তাদের হিকমাত ও ফিকাহ শিক্ষার সাথে পরাক্রম যোগ করতে হবে। নতুবা তাদের লাঞ্চনার অবসান হবে না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ২:২৬
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: ১১৯। হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সাদেকীনদের (সত্যবাদী) সাথে থাক।
...................................................................................................................
মুসলিম দেশে
তারপরও কেন এত অনাচার ???