| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মহাজাগতিক চিন্তা
একদা সনেট কবি ছিলাম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী ছিলাম, এখন সব হারিয়ে মহাচিন্তায় মহাজাগতিক চিন্তা হয়েছি। ভালবাসা চাই ব্লগারদের, দোয়া চাই মডুর।
সূরাঃ ১৬ নাহল, ১২৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২৫।ডাক তোমার রবের পথে, হিকমাত (কৌশল) ও উত্তম ওয়াজের মাধ্যমে। আর তাদের সাথে তর্ক কর উত্তম পন্থায়। নিশ্চয়ই তোমার রব খুব জানেন কে তাঁর পথ ছেড়ে পথভ্রষ্ট হয়। আর তিনি খুব জানেন কোন সব লোক হেদায়াত প্রাপ্ত।
* আল্লাহর পথে ডাকতে যে শিক্ষা লাগে সেইটা ইসলামী শিক্ষা। এটি হিকমাত, উত্তম ওয়াজ এবং তর্কের উত্তম পন্থা। হিকমাত কি?
সূরাঃ ২ বাকারা, ২৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৬৯। তিনি যাকে ইচ্ছা হিকমাত দান করেন। আর যাকে হিকমাত দান করা হয় এর ফলে সে নিশ্চয়ই প্রচুর কল্যাণ লাভ করে।মূলত জ্ঞানী ব্যক্তিরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারে না।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬০ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬০। তোমরা তাদের মোকাবেলার জন্য যথাসাধ্য শক্তি ও অশ্ব-বাহিনী প্রস্তত রাখবে। এর দ্বারা তোমরা সন্ত্রস্ত রাখবে আল্লাহর শত্রুকে, তোমাদের শত্রুকে, এছাড়া অন্যদেরকে যাদের সম্পর্কে তোমরা জাননা, আল্লাহ জানেন।আল্লাহর পথে তোমরা যা ব্যয় করবে এর পূর্ণ প্রতিদান তোমাদেরকে দেওয়া হবে এবং তোমাদের প্রতি জুলুম করা হবে না।
সূরাঃ ৩১ লোকমান, ১২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২। আমরা লোকমানকে হিকমাত দান করেছিলাম এবং বলেছিলাম যে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর।যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সে তো তা’ করে নিজের জন্য। আর কেউ অকৃতজ্ঞ হলে আল্লাহ তো ধনি ও প্রশংসিত।
* হিকমাত হলো প্রচুর কল্যাণ লাভের হিকমাত। এর প্রধান হিকমাত হলো নিজের শত্রু, আল্লাহর শত্রু ও অদৃশ্য শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখার হিকমাত।নিজের শত্রু ও আল্লাহর শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখার হিকমাত হলো সামরিক হিকমাত। জে. মোহাম্মদের (সা.) সামরিক হিকমাত ছিল। সেজন্য পারস্য ও রোমান সাম্রাজ্য তাঁকে আক্রমণ করার সাহস পায়নি।অদৃশ্য শত্রুকে সন্ত্রস্ত রাখার হিকমাত হলো জীবাণু নাশক হিকমাত। হযরত লোকমানের (আ.) ছিল চিকিৎসা হিকমাত ও কাঠের কাজের হিকমাত। হযরত দাউদের (আ.) ছিল সামরিক ও প্রকৌশল হিকমাত। হযরত সুলাইমানের (আ.) ছিল সামরিক ও ভাষা সংক্রান্ত হিকমাত। হযরত আদমের (আ.) ছিল কৃষি হিকমাত। হযরত হাওয়ার (আ.) ছিল বস্ত্রবুনন হিকমাত। হযরত ইদ্রিসের (আ.) ছিল সেলাই হিকমাত।তথ্য প্রযুক্তি হিকমাতের মূলে রয়েছে গানিতিক হিকমাত।ব্যবসায় হিকমাতও একটি জরুরী হিকমাত। সুতরাং প্রচুর কল্যাণ লাভের সকল হিকমাত ইসলামী শিক্ষার অংশ।
সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।
সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।
* উত্তম ওয়াজ হলো ফিকাহ। কারণ এর মাধ্যমে আল্লাহ ভয় প্রদর্শন করতে ও সাবধান হতে বলেছেন। {কিতাব(কোরআন+হাদিস)-মানসুখ=ফিকাহ।তর্কের উত্তম পন্থা হলো উত্তম ভাষা। {নিজস্ব ভাষা(মাতৃ ভাষা+আরবী ভাষা)+বিদেশী ভাষা (ইংরেজী ভাষা)= উত্তম ভাষা। কারণ ভাষাগত দিক ঠিক না থাকলে তর্ক উত্তম হয় না।
# ইসলামী শিক্ষার বিষয় হলো ১। গণিত ২। কমপক্ষে একটি হিকমাত শিক্ষা ৩। মাতৃভাষা ৪। আরবী ভাষা ৫। ইংরেজী ভাষা ৬। কোরআন ৭। হাদিস ৮। ফিকাহ। হিকমাতের কথা আল্লাহ নিজেই আগে বলেছেন। কোরআন, হাদিস ও ফিকাহ বুঝতে মাতৃভাষা ও আরবী ভাষা লাগে এবং এটা বুঝাতে ইংরেজী ভাষা লাগে। ফিকাহ বুঝতে কোরআন ও হাদিস বুঝতে তো হবেই। সবচেয়ে জরুরী শিক্ষা হিসাবে ফিকাহ শিক্ষা ফিনিশিং স্থানে রাখা হয়েছে। উক্ত আটটি বিষয়ের কম শিক্ষা দ্বারা কেউ আলেম হয় না।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১১৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৯। হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সাদেকীনদের (সত্যবাদী) সাথে থাক।
* মানুষের এক জীবনে আলেম হওয়াই মহাকঠিন। আল্লামা হওয়া অসম্ভব। লোকদেরকে আলেম ও আল্লামা খেতাব প্রদান করা মূলত মিথ্যাকথা। এসব মিথ্যাবাদীদের সাথে থাকতে আল্লাহ নিষেধ করেছেন।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২১
জেন একাত্তর বলেছেন:
আল্লাহ আপনাকে কি কি বলেছেন, আপনি সেটা বলুন।