নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার সনেটের কবি।

ফরিদ আহমদ চৌধুরী

বিষয় যতই জটিল হোক,ভাবতে ভালো লাগে

ফরিদ আহমদ চৌধুরী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাজহাব বিষয়ে ডাঃ জাকির নায়েক ও ডঃ এম এ আলী

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১৬


বাগদাদে অবস্থিত আবু হানিফা মসজিদ

ডাঃ জাকির নায়েক লা-মাজহাবী বা আহলে হাদীস বা গাইরে মুকাল্লীদ। ডাঃ জাকির নায়েক বিষয়ে ডঃ এম এ আলী একটি পোষ্ট দিয়েছিলেন। তাতে আমি এক ডজন মন্তব্য করি। আমার মন্তব্যের প্রতি উত্তরে ডঃ এম এ আলী যা বলেছেন তা’নিম্নে উপস্থাপন করা হল-
আপনার সবগুলি সুন্দর মুল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ । আমিও আমার অতি ক্ষুদ্র জ্ঞানে ইসলামে শুধুমাত্র কোরান ও হাদিস অনুসরনে একটি মাত্র মজহাব বা পদ্ধতি কিংবা মেথডলজির পক্ষপাতি । যেহেতু কোরান একটি এবং রাসুলের( স.) মুখ নিসৃত কথা বা কর্মপদ্ধতি বা জীবনধারার কোন দ্বিতিয়টি নেই সেহেতু আমাদের ইসলামিক ফিকাহও হবে শুধু মাত্র একটি পদ্ধতি বা মজহাব নির্ভর এর মধ্যে আর কোন ফিতনা থাকতে পারেনা । কোন বিষয়ে কারো যদি কোন দ্বিমত থাকে তবে তিনি যুক্তি দিবেন কোরান ও হাদিসের আলোকে , তাই বলে তিনি তিনি কোন ফিতনা, দল বা বিভক্তির সৃস্টি করতে পারেন না ।

আপনি এ বিষয়ে অনেক বিজ্ঞ, আপনার মন্তব্য হতে অনেক কিছু জানতে পারলাম । নতুন করে বলার কিছু নেই । তবে যেহেতু অনেক পাঠকই এ মন্তব্যের বিষয় পাঠ করেন সেহেতু ইমাম আবু হানিফা (র.) সম্পর্কে আরো কিছু কথা মালা এ মন্তব্যের প্রতি উত্তরে যোগ করতে চাই । যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তবে বললে তা শুদ্ধ করে নিব ।

ইমাম আবু হানিফা(রহ.) ইরাকের কুফায় ৫ সেপ্টেম্বর ৬৯৯ ইংরেজী মোতাবেক ৮০ হিজরীতে জন্ম গ্রহণ করেন।এবং ১৪ জুন ৭৬৭ ইংরেজী ১৫০ হিজরী ইন্তেকাল করেন। সাহাবী আনাস ইবনে মালিক (র.) এর সাথে সাক্ষাত হওয়ার কারনে তিনি একজন তাবেঈ। ইমাম আবু হানীফা রহ. অন্যুন আটজন সাহাবীর সাক্ষাত লাভ করেছেন।

আবু হানীফা( রহ.) ষোল বছর বয়সে পিতার সাথে হজ্বে গমন করে মসজিদুল-হারামের দরছের হালকায় বসে আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন সাহাবীর জবানী হাদিস শ্রবণ করার মাধ্যমে এলমে-হাদিসের সাথে তাঁর সরাসরি পরিচিতি ঘটে। আবু হানীফা( রহ.) জীবনী পাঠে জানা যায় তিনি তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এশার নামাজের এক অযুতে ফজরের নামাজ আদায় করতেন এবং প্রায় রাতেই নামাজে দাঁড়িয়ে কোরান খতম দিতেন , তিনি যে কত সহয্রবার কোরান খতম দিয়েছেন তার কোন ইয়ত্তা নেই এবং বিচারক বাদশাহ মনসুরের আদালতের প্রধান বিচারক ( কাজী ) হওয়ার মত পুর্ণতা নেই বলে বাদশার অনুরোধকে তিনি প্রত্যাখান করেছেন , এবং সে জন্য তিনি দীর্ঘদিন কারাবাস করে নেখানেই শাহাদত বরণ করেছেন । এ হেন একজন ইমাম যে দ্বীনের সেবায় নিয়োজিত ছিলেন তাতে কারো কোন সন্দেহ নেই ।

যাহোক , প্রথম যৌবনের সীমিত কিছুদিন ছাড়া ইমাম আবু হানীফার জীবনের শেষ মুহূর্তটি পর্যন্তটি ছিল ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকটে কন্টকিত। তাঁর কর্মজীবনের শুরুতেই উমাইয়া শাসনের পতন এবং আব্বাসীয়দের খেলাফতের উত্থান ঘটে। আব্বাসীয়দের দাবী ছিল খোলাফায়ে-রাশেদীনের শাসন ব্যবস্হা পূনঃপ্রতিষ্ঠা এবং শাসন ক্ষমতায় আহলে-বাইতের প্রাধান্য স্হাপন। যে কারণে সমসাময়িক বিশিষ্ট আলেম ওলামাগণের পাশাপাশি ইমাম আবু হানীফাও রাষ্ট্রবিপ্লব ঘটানোর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় শরীক হয়েছিলেন।

সেই বিস্ফোরণমূথী রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পরিবেশের মধ্যেই ইমাম আবু হনীফা কুরআন-সুন্নাহ এবং সাহাবীগণের জীবনপদ্ধতি মন্থন করে এলমে-ফেকাহ বা বিধান শাস্ত্র রচনা করে গেছেন। সর্বকালের মুসলমানদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য বিজ্ঞান সম্মত বিধিবিধান সম্বলিত এগরো লক্ষাধীক মাসআলা সংকলিত করে গেছেন তিনি। তাঁর সংকলিত মৌলিক মাসআলা-মাসায়েলের সুত্রগুলির মধ্যে এমন একটিও খুঁজে পাওয়া যাবে না, যার সমর্থনে কুরআন, হাদিস বা সাহাবীগণের আছার এর সমর্থন নাই। এর দ্বারাই অনুমিত হয় যে, তাঁর জ্ঞানের পরিধি কতটুকু বিস্তৃত ছিল ।

যে কোন সমস্যার সমাধান অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানীফা (র. ) এর অনুসৃত নীতি ছিল, প্রথমে কুরআনের শরণাপন্ন হওয়া। কুরআনের পর হাদিস শরীফের আশ্রয় গ্রহণ করা। হাদিসের পর সাহাবায়ে কেরাম গৃহীত নীতির উপর গুরুত্ব দেওয়া। উপরোক্ত তিনটি উৎসের মধ্যে সরাসরি সামাধান পাওয়া না গেলে তিনটি উৎসের আলোকে বিচার-বুদ্ধির (কেয়াসের) প্রয়োগ করা।
The sources from which Abu Hanifa derived Islamic law; in order of importance and preference, are: the Qur'an, the authentic narrations of the Muslim prophet Muhammad (known as hadith), consensus of the Muslim community (ijma), analogical reasoning (qiyas), juristic discretion (istihsan) and the customs of the local population enacting said law (urf). The development of analogical reason and the scope and boundaries by which it may be used is recognized by the majority of Muslim jurists, but its establishment as a legal tool is the result of the Hanafi school. While it was likely used by some of his teachers, Abu Hanifa is regarded by modern scholarship as the first to formally adopt and institute analogical reason as a part of Islamic law।

তাঁর সুস্পস্ট বক্তব্য ছিল, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে কোন ধরনের হাদিস বা সাহাবীগণের অভিমতের সাথে যদি আমার কোন বক্তব্যকে সাংঘর্ষিক মনে হয়, তবে আমার বক্তব্য অবশ্য পরিত্যাজ্য হবে। হাদিস এবং আছারে সাহাবা দ্বারা যা প্রমাণিত সেটাই আমার মাযহাব। (তাফসীরে মাযহারী, খায়রাতুল-হেসান)।

ইমাম ইবনে হাযম ( র.) বলেন, আবু হানীফা( র. ) এর সকলল ছাত্রই এ ব্যাপারে একমত যে, নিতান্ত দূর্বল সনদযুক্ত একখানা হাদিসও তাঁর নিকট কেয়াসের তুলনায় অনেক বেশী মুল্যবান দলিলরূপে বিবেচিত হবে। (খায়রাতুল-হেসান) সম্ভবত এ কারণেই পরবর্তী যুগে মুসলিম উম্মাহর মধ্যে যে সব কালজয়ী প্রতিভার জন্ম হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশ ইমাম আবু হানীফার (র.) মাযহাব অনুসরণ করেছেন।
As the fourth Caliph, Ali had transferred the Islamic capital to Kufa, and many of the first generation of Muslims had settled there, the Hanafi school of law based many of its rulings on the prophetic tradition as transmitted by those first generation Muslims residing in Iraq. Thus, the Hanafi school came to be known as the Kufan or Iraqi school in earlier times. Ali and Abdullah, son of Masud formed much of the base of the school, as well as other personalities from the direct relatives (or Ahli-ll-Bayṫ) of Moḥammad from whom Abu Hanifa had studied such as Muhammad al-Baqir (thus apparently creating a link between Sunnis and Shias). Many jurists and historians had reportedly lived in Kufa, including one of Abu Hanifa's main teachers, Hammad ibn Sulayman।

হযরত মোজাদ্দেদ আলফেসানী (র.) বক্তব্য হচ্ছে- এই ফকীরের উপর প্রকাশিত হয়েছে যে, এলমে-কালামের বিতর্কিত বিষয়গুলি মধ্যে হক হানাফী মাযহাবের দিকে এবং ফেকাহর বিতর্কিত মাসআলাগুলির অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হক হানাফী মাযহাবের দিকে এবং খুব কম সংখ্যক মাসআলাই সন্দেহযুক্ত। (মাবদা ও মাআদ)

শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দেস দেহলভী (র.) হারামাইন শরীফে কাশফ যুগে যে সব তথ্য অবগত হয়েছেন, সে সবের আলোকে লিখেছেন- হযরত নবী করিম সাল্লাল্লাহু আমাকে অবগত করেছেনযে, হানাফী মাযহাব একটি সর্বোত্তম তরিকা। ইমাম বুখারীর সময়ে যেসব হাদিস সংকলিত হয়েছে, সেগুলোর তুলনায় আবু হানীফার র. সিদ্ধান্তগুলি সুন্নতে-নববীর সাথে অনেক বেশী সামন্জস্যপূর্ণ (ফুযুলুল-হারামাইন)।

সুতরাং যারা এ কথা বলতে চায় যে, হানাফী মাযহাব সহীহ হাদীসের সাথে সামন্জস্যপূর্ণ নয় বা ইমাম আবু হানীফা (র.) বহু ক্ষেত্রে হাদিসের প্রতিকূলে অবস্হান গ্রহণ করেছেন, তাদের বক্তব্য যে নিতান্তই উদ্ভট তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। বরং হানাফী মাযহাব হচ্ছে কুরআন-সুন্নাহর এমন এক যুক্তিগ্রাহ্য ও সুবিন্যস্ত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ যা সর্বযুগের মানুষের নিকটই সমভাবে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। বাতিল ডাক্তার নায়েকের মত আরো অনেকেই আসবে কারণ তারা পয়দা হয়না, তাদেরকে পয়দা করা হয় ইসলামে বিভক্তি ও ফেতনা সৃষ্টি করার জন্য । এরকম কিছু মানুষ আসবে আর ভেসে যাবে, সাথে তার কিছু অনুসারীকেও ভাসিয়ে নিয়ে যাবে ভ্রান্তির সাগরে ।
ধন্যবাদ আপনার মুল্যবান তথ্যগুলির জন্য ।
আল্লাহ আমাদের সকলকে সহজ সরল পথে চলার তৌফিক দান করুন । আমীন

বিঃদ্রঃ বিশ্বের শতকরা আশিভাগ মুসলমান ইমাম আবু হানিফার অনুসারী।

হানাফী মাজহাব বিষয়ে ডঃ এম এ আলী

মুসলীম দেশ সমূহে দেখাগেছে, পুরাতন মতের স্থলে নতুন মতের আমদানী হলে নতুন মত সবাই গ্রহণ করেনা, এতে নতুন ও পুরাতন মতের দুই দল হয়ে লড়াই-যুদ্ধ করে দেশটা জাহান্নামে পরিণত হয়, প্রমাণ আফগানিস্তান, পকিস্তান, ইরাক ইয়েমেন ও সিরিয়া।ডাঃ জাকির নায়েক ও পিস টিভি আমাদের দেশে আহলে হাদীস নামে একটা নতুন মতের আমদানী করেছে।সরকার পিচ টিভি বন্ধ করলেও আহলে হাদীসের প্রচারণা বন্ধ হয়নি।আমরা ৭১ এর যুদ্ধের রেশ কাটিয়ে মাত্র দাঁড়াতে শুরু করেছি। এখন আহলে হাদীসের ফেতনায় জড়িয়ে দেশে গৃহযুদ্ধের সৃষ্টি করা হলে আমরা হয়তো আর দাঁড়াতে পারব না।আহলে হাদীসের মতের সঠিকতা খুঁজতে গিয়ে আমি এ মতের কোন সঠিকতা খুঁজে পাইনি।আহলে হাদীস বাংলাদেশের শতকরা নিরানব্বইজন মুসলমান যে হানাফী মজহাব অনুসরন করছে সে মাজহাব অনুসরন করা সঠিক নয় বলে জোর গলায় প্রচার করছে। তাদের ক্যানভাসার ডাঃ জাকির নায়েকের প্রতি আমাদের অনেকের আবার মহাপ্রেম! তো হানাফী মাজহাবের বিরুদ্ধে আহলে হাদীসের অভিযোগের কোন সত্যতা আমি খুঁজে পাইনি। এ ব্যাপারে আমি গবেষক ডঃ এম এ আলীকে খোঁজ নিতে অনুরোধ করি। তিনি এ বিষয়ে আমাকে যা জানালেন তা’হলো-
আমি ইমাম হানিফফা (র.) এর উপর এই মুহুর্তে শুধু পড়াশুনাই করছি । উনার মজহাব ও উনার উপরে লিখিত পুথি পুস্তিকাদি যতটুকু পারছি পাঠ করছি । আমি খুবই স্লো লারনার । কোন একটি লাইন বুঝতে আমার কয়েকদিন লেগে যায় । জানিনা , তাঁর বিশাল কর্মভান্ডার কতদিনে কতটুকু পাঠ করতে পারব । দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তাঁর মত গুণীজনের বিষয়ে জানার তাওফিক দেন ।
আমি উনার পদ্ধতির বিষয়ে বেশী আগ্রহী । হানাফী মজহাব সম্পর্কে এখন পর্যন্ত যতটুকু জানতে পেরেছি তাতে দেখা যায় এতে সংস্কারের কোন অবকাশ নেই এবং এটা সংস্কার করার জন্য প্রয়োজনীয় ইসলামী জ্ঞান, গরীমা ও বিচক্ষনতা এখন পর্যন্ত কারো মধ্যে দেখা যায়নি , আর আমার জ্ঞানাতো এব্যপারে একেবারেই নেই । আমি শুধু বিভিন্ন গুণীজনের লিখা পাঠ করে কিছু জানতে পারি , এটুকুই আমার জানার দৌঁড় ।
হানাফি পদ্ধতির বিষয়ে বিভিন্ন গুণীজনের লিখা পাঠে যতটুকু জেনেছি তাতে দেখা যায় হানাফি ফিকাহ নিন্মলিখিত কিছু বৈশিষ্টের জন্য বিশ্ব মুসলিম সমাজে বহুলভাবে অনুসৃত এবং ভবিষ্যতেও অবিকলভাবে অনুসরণযোগ্য :
১)হানাফি পদ্ধতিতে ( মজহাবে ) যুক্তির সামসঞ্জতা রয়েছে অনেক বেশী
২) হানাফি পদ্ধতি অপরাপর পদ্ধতির তুলনায় সরল ও সহজে প্রতিপালন যোগ্য ।
৩) কৃষ্টি –কালচারের জন্য যা প্রয়োজন তা অন্যান্য পদ্ধতি( মজহাবের) তুলনায় হানাফি পদ্ধতিতে রয়েছে অনেক বেশী।
৪) হানাফি পদ্ধতিতে বাস্তব জীবন ব্যবস্থার অংশ ব্যপক , সুদৃঢ় এবং নিয়মতান্ত্রিক ।
৫) হানাফি পদ্ধতি অনুযায়ী রাস্ট্র ও বিচার ব্যবস্থা পরিচালনা করা অত্যন্ত সহজ, কারণ এতে প্রজা সাধারণ বিশেষত অমুসলিম প্রজাদের দাবী ও চাহিদার প্রতি যথাযথ লক্ষ্য রাখা হয়েছে ।
৬) কোরান ও সুন্না হতে আহরিত মাসয়ালা- মাসায়েল হানাফি ফিকাতে অত্যন্ত সুদৃঢ় ও যুক্তিসঙ্গতভাবে অনুসারিত ও বর্ণিত ।
৭) হানাফি ফিকাতে কোরান ও হাদিস এবং একাধিক হাদিসের সংষ্লিষ্টতার ক্ষেত্রগুলি এমনভাবে সমন্বয় করা হয়েছে যার ফলে হাদিস ও কোরানের সংস্লিষ্ট কোন আয়াতই আমলের আওতা বহির্ভুত থাকেনি ।
আশা করি আমাকে কোন ভুল বুঝবেন না ।আল্লাহ আমাদের সহায় হোন । আমীন

সুতরাং আমি বাংলাদেশের মুসলমানদের বলব। আগে ইসলাম সম্পর্কে জানুন।আমরা বাংলাদেশের সব মুসলমান একমতে ছিলাম আগামীতেও যেন একমতে থাকেতে পারি আল্লাহ যেন আমাদের সেই সৌভাগ্য নসিব করেন - আমিন।

মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

টুনটুনি০৪ বলেছেন: মাননীয় ডঃ এম এ আলী সব কিছুই যত্ন সহকারে করেন। আল্লাহ তাঁর মঙ্গল করুন।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন:
আল্লাহ টুনটুনির জীবন সুন্দর করুন।

২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ভাই সবসময় সবকিছু বিশদভাবে আলোচনা করেন। আমার কাছে অসাধারণ লাগে। অনেক কিছু সম্পর্কে জানতে পারি আলী ভাইয়ের কাছথেকে। এর তাঁর কাছে আমি সবসময় কৃতজ্ঞ।

আপনার প্রতিও সবসময় আমার মুগ্ধতা থাকে। আপনিও খুব সুন্দর করে সবকিছু উপস্থাপন করতে পারেন। আমার কাছে ভালো লাগে।

আলী ভাইয়ের জন্য সবসময় শুভকামনা থাকে। আপনার জন্যও অনেক শ্রদ্ধা, শুভকামনা। ভালো থাকবেন।

৩| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫

মানবী বলেছেন: আমাদের দক্ষিন এশিয়ায় এক শ্রেনীর কাঠমোল্লা ইসলাম ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করে। এক্ষেত্রে নিত্য নতুন নিয়ম আর বিধি নিষেধের বেড়াজালে মানুষকে বেঁধে রাখলে তাদের ব্যবসার সুবিধা। আর তাই সহজেই কুরআন আর সহীহ হাদিসকে পাশ কাটিয়ে এরা নিজেদের মতো নতুন নতুন ফতোয়া জারি করে, যা যুগ যুগ ধরে মেনে চলায় বড় একটা অংশের কাছে ইসলামের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে হয়। তাঁদের ভুল গুলো দেখিয়ে দিলেও তাঁরা চোখ রাঙ্গিয়ে তেড়ে আসেন। বড় বড় পন্ডিত ব্যক্তি অথচ মাজহাবের নামে কিছু আচার যে কুরআন পরিপন্থী হচ্ছে তা তাঁরা অনুধাবনে অক্ষম।

ইসলাম ধর্ম সমগ্র বিশ্বে এক ও অভিন্ন হবার কথা। শুধু মাত্র কু্রআন আর পাঁচটি সহীহ্ হাদিসের বাইরে কোন কিছু বিশ্বাস মানতে চেষ্টা করা বিদা'ত।
দীর্ঘদিন আগে আমি ছোট্ট একটি প্রচেষ্টা করেছিলাম । আপনারা এবিষয়ে আলোচনা করছেন, সচেতনতা সৃষ্টি করছেন জেনে ভালো লাগলো।

আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ফরিদ আহমদ চৌধুরী এবং ডঃ এম এ আলী।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বড় বড় পন্ডিত ব্যক্তি অথচ মাজহাবের নামে কিছু আচার যে কুরআন পরিপন্থী হচ্ছে তা তাঁরা অনুধাবনে অক্ষম। এটা আপনার ভুল ধারনা।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: শুধু মাত্র কু্রআন আর পাঁচটি সহীহ্ হাদিসের বাইরে কোন কিছু বিশ্বাস মানতে চেষ্টা করা বিদা'ত। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ক্বোরআন ও হাদীসের বাইরে কোন ফতোয়া দেননি। এগুলো ফেতনাবাজদের মিথ্যাচার।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:২৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ৯ নং মন্তব্যের প্রতি মন্তব্যগুলো পড়ুন।

৪| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৩৬

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ইসলাম সম্প্রকে অনেক কিছু জানতে পাড়লাম। ধন্যবাদ। বিশ্বাস

৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ ভোর ৪:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


"বাতিল ডাক্তার নায়েকের মত আরো অনেকেই আসবে কারণ তারা পয়দা হয়না, তাদেরকে পয়দা করা হয় ইসলামে বিভক্তি ও ফেতনা সৃষ্টি করার জন্য । এরকম কিছু মানুষ আসবে আর ভেসে যাবে, সাথে তার কিছু অনুসারীকেও ভাসিয়ে নিয়ে যাবে ভ্রান্তির সাগরে । "

-ইসলামে তো বিভক্তির কিছু নেই; সবাই কুরান ও হাদিস মেনে চলছেন; শিয়া, সুন্নী, ওয়াহাবী ও কুর্দী বিভক্তি হচ্ছে গোত্র-বিভক্তির ফলে; রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা দখলের জন্য দ্বন্দ্ব চলছে আরবে; ভারতে তো কোন কিছু নেই, জাকির নায়েক কি বলছেন?

ইসলামে নতুনভাবে বিভক্তি হবে না, সব গোত্র ইতিমধ্যে কোন না কোন ভাগে আছেন।

৬| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মানবীর মন্তব্যর সাথে আমিও একমত। বিদায় হজ্বে আল্লাহর নবী বলে গেছেন,তোমাদের জন্য আমি দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি এক কোরান আর দুই আমার মূখ নিসৃত হাদিস। তাহলে আমরা আজকাল কোরান হাদিস ছেড়ে মানুষের মন গড়া কথায় কি ভাবে আমল করি।তাহলে আমরা আল্লাহ ও তার রাসূলকে মানছি নাকি কোন মানুষকে অনুসরন করছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৩২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বিদায় হজ্বে আল্লাহর নবী বলে গেছেন,তোমাদের জন্য আমি দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি এক কোরান আর দুই আমার মূখ নিসৃত হাদিস। মহানবীর (সঃ) এ কথা বাস্তবায়নের জন্য ক্বোরআন ও হাদীসের সমম্বয় সাধন করে ফিকাহ সংকলন করা হয়েছে। সুতরাং ফিকাহ অনুসরন করলেই এ হাদীস পালন করা হবে। শুধু হাদীস পালন করলে তা’ হবেনা। আর শুধু ক্বোরআন পালন কররেই তা’ হবেনা। আর দু’একত্রে করলে তার নাম হবে ফিকাহ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: বিদয়াত মুক্ত ইসলাম
ইসলামে যা নতুন তা’ই বিদয়াত, তবে স্থান কাল পাত্র বস্তু ও ব্যক্তি এর মধ্যে গণ্য নয়।ব্যক্তি এর মধ্যে গন্য হলে যিনি আগে মুসলমান ছিলেন না নতুন মুসলমান হয়েও তিনি বিদয়াতী সাব্যস্ত হবেন।যে দেশ আগে মুসলমান দেশ ছিলনা নতুন মুসলমান দেশ হয়েও সে দেশ বিদয়াতী সাব্যস্ত হবে।সাহাবায়ে কেরামের যুগে ছিলনা এমন সব বস্তু বিদয়াত সাব্যস্ত হবে।সাহাবায়ে কেরামের পর সব কাল বেদাত সাব্যস্ত হবে। যা সঠিক নয়।স্থান কাল পাত্র বস্তু ও ব্যক্তি বিদয়াতে গন্য না হওয়ার কারন ইসলাম এসবে গন্য নয় । ইসলাম যাতে গন্য নয় তার নতুন ইসলামে নতুন গন্য হওয়া সম্ভব নয়। আর ইসলাম এসবে গন্য না হওয়ার কারণ ইসলাম ক্রিয়া বা কাজ। সুতরাং যে কাজের নাম ইসলাম সে কাজে নতুন কোন কাজ আমদানী এবং সেই কাজ সংক্রান্ত দল ইসলামে বিদয়াত।
মহানবী (সঃ) বলেছেন, ‘কুল্লু বিদয়াতিন দলালাহ – প্রত্যেক বিদয়াত (নতুন কাজ বা নতুন মত বা নতুন পথ বা নতুন দল)পথ ভ্রষ্টতা।তবে পুরাতন কাজ এলোমেলো হলে তা’গুছিয়ে নেওয়া বিদয়াত নয়। কারণ না গুঁছালেতো আপনি পুরাতন কাজটা ফিরত পাচ্ছেন না, তবে উহা পালন করবেন কেমন করে? তারমানে পুরাতন কাজ নষ্ট বা খুঁত যুক্ত হলে এর সংস্কার সাধন বিদয়াত নয়।
বিদয়াত ভ্রষ্টতা হওয়ার কারণ এতে ইসলামে বিভাজন তৈরী হয়।আর বিভাজন তৈরী হওয়ার কারণ সবাই নতুন মতে আসেনা বরং কিছু সংখ্যক পুরাতন মতে থেকে যায়। এতে করে নতুন পুরাতন বিভাজন হয়। আর ক্বোরআন ও হাদীস ইসলামে বিভাজন হারাম করেছে এবং সবাইকে একমত ও এক পথে থাকতে বলেছে।আর মহানবী (সঃ) নতুন মতকে ভ্রষ্টতা বলেছেন।
ইমাম আবু হানিফা (রঃ)পর্যন্ত মুসলমান বিধি-বিধান গত দিক থেকে একমতে ছিল।ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ক্বোরআন ও হাদীসের আলোকে ইসলামের সব বিধি-বিধান সাজিয়ে গুঁছিয়ে লিপিবদ্ধ করেছেন।সকল মুসলমান তাঁর এ কাজকে গ্রহণকরে সেইমত ইসলাম পালন করতে থাকে। তারমানে তাতে উম্মতের ইজমা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যা এখনো বজায় আছে। সারা বিশ্বের শতকরা আশিভাগ উম্মত, প্রতিষ্ঠিত সেই ইজমায় বহাল রয়েছে।আর মহানবী (সঃ) বলেছেন, ‘ইন্নাল্লাহা লা ইয়াজমাউ উম্মাতিন আলা দালালাতিন – নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার উম্মাতকে পথ ভ্রষ্টতার উপর ঐক্যবদ্ধ করেননা।মহানবীর (সঃ) হাদীস অনুযায়ী ইমাম আবু হানিফার কাজ ও এর অনুসরন খাটি ইসলাম হিসেবে সাব্যস্ত।সুতরাং এর বিপরীত সব মত বিদয়াত ও গোমরাহী।
মুসলীম ভেসধারী আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা কিছু জাল হাদীস বানিয়ে সেগুলোকে ছহী হিসেবে শীয়াদের বুঝাতে সক্ষম হয়। সাবা কিছু মুসলমানের কাছে সনাক্ত হলেও তার গ্রুপের বহু সদস্য সনাক্ত হয়নি। একই ভাবে এ চক্র কিছু লোককে খারেজি বানাতে সক্ষম হয়। এরা এতটাই ইসলাম পালন করতো যে মানুষ এদের সনাক্ত করতে পারেনি।হাদীসের তাবেয়ী পর্যায়ে এদের অবস্থান। এরা মূলত ছহী হাদীসই বর্ণনা করতো তবে কিছু জাল হাদীস ছহী মোড়কে চালান করতো। মনেকরি হাদীস চালান করেছে হজরত ওমরের (রাঃ) নামে, অথচ হজরত ওমর এর ধারে কাছেও নেই।তাঁর হাদীস তিনি চালান করেছেন হজরত ওমরের (রাঃ) নামে। উদ্দেশ্য একটাই মুসলমানদের মাঝে বিভেদ তৈরী করা।আর এ বিবেধ তৈরীর কারণ বানু কোরায়জার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণ।অধিক আমলদার তাবেয়ীদের মাঝে এসব তাবেয়ী রয়েছেন। তাদের অধিক আ্মলদার হওয়ার কারণ পরিচয় লুকানো।
বিভেদ সৃষ্টিকারী হাদীস মসূহের সনদ আমাকে সর্বরাহ করা হলে।আমি প্রথমে হাদীস সমূহ ক্বোরআন দিয়ে যাচাই করব। ক্বোরআন দিয়ে যাচাইয়ের পর সন্দেহ যুক্ত হাদীসের রাবীর সাথে আল্লাহ আমাকে যা জানিয়েছেন তা মিলিয়ে দেখব।হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমরের (রাঃ) নামে এমন হাদীস বেশী চালান করা হয়েছে বলে আমাকে জানানো হয়েছে।হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমরের (রাঃ) হাদীসের তাবেয়ী সনদে থাকা কেহ যদি বানু কোরায়জার ভাই বন্ধু আত্মীয় স্বজন থেকে থাকে, তার মধ্যে যিনি বেশী আমলদার তিনিই সে জাল ছহী হাদীসের রাবী।আমাকে একজন তাবেঈর নাম স্বপ্নে জানানো হয়েছে। আমি যার নাম আগে জানতামনা। তার পর নেট সার্চ দিয়ে তাঁর বিষয়ে অনেক কিছু জেনেছি। ইসলামে বহু বিভেদে তাঁর অবদান রয়েছে।তাঁর সব হাদীস জাল নয়। ক্বোরআন দিয়ে জাল সনাক্ত করে বাদ দিলেই হবে।
হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমরের নামে জাল হাদীস বানিয়ে চালান করার কারণ ইনি মুসলমানদের খুব আস্তাভাজন ছিলেন। অবশ্য যে জ্বাল রাবী অকাম করেছেন তিনিও মুসলমানদের খুবি আস্তা ভাজন। তিনি মুসলমানদের বিভাজন তৈরী করার জন্য অল্প কিছু হাদীস জাল করেছেন। যা এখন ছহী হিসেবে বিভিন্ন হাদীস গ্রন্থে বিদ্যমান রয়েছে। অথচ ও গুলো মোটে হাদীসই নয়।এখন লাগবে আমাকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান। এমন জটিল কাজ আমার একার পক্ষে করা প্রায় অসম্ভব।
ছহী নামে বিরাজমান জাল হাদীস সমূহ সনাক্ত করা না গেলেও ক্বোরআন ও ছহীহাদিসের আলোকে ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসরন ছহী সাব্যস্ত।এরপরো কারো পথ ভ্রষ্ট হতে ইচ্ছে করলে কার কি করার আছে। আল্লাহ আমাদের সঠিক পথে অবিচল রাখুন-আমিন।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ বলেছেন,‘ইন্নাল্লাযিনা তাফাররাকু দ্বীনাহুম ওয়াকানু শীয়াআন লাসতা মিনহুম ফি শাইয়িন, ইন্নামা আমরুহুম ইলাল্লাহি, ছুম্মা ইউনাব্বিয়ুহুম বিমা কানু ইয়াফয়ালুন – যারা তাদের দ্বীনকে পৃথক করেছে এবং বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়েছে তাদের জন্য তোমার কিছুই করার নেই।তাদের কাজের বিষয় আল্লাহর দায়িত্বে। অতঃপর আল্লাহ তাদের কাজের বিষয়ে তাদেরকে অবহিত করবেন’।সূরা আনআম-১৫৯।
এ সংক্রান্ত প্রথম তিনটি দল হলো মোনাফেক, যাকাত অস্বীকারকারী ও ভন্ড নবীর অনুসারী দল।কারণ মুসলমানদের আমলের সাথে তাদের আমলের মিল ছিলনা। মোনাফেকদের কথা আল্লাহ বলেছেন,‘ইন্নাল মুনাফিকুনা হুমুল কাযিবুন – মোনাফেকেরা মিথ্যাবাদী।যাকাত অস্বীকারকারীরা ইসলামের একটি ভিত্তি অস্বীকার করেছে।ভন্ড নবীর অনুসারীদের সঠিকতার কোন প্রমাণ নেই বরং বেঠিকতার প্রমান আছে।
শীয়ারা বলে প্রথম ইমাম হজরত আলী (রাঃ), তারা হজরত আবুবকর (রাঃ), হজরত ওমর (রাঃ) ও হজরত ওসমানকে (রাঃ)অস্বীকার করে। সুতরাং তাদের দ্বীনে ঘাটতি পড়েছে। যারা হজরত আবুবকর (রাঃ), হজরত ওমর (রাঃ) ও হজরত ওসমানকে (রাঃ) স্বীকার করে তাদের শতকরা হার নব্বই আর শীয়াদের শতকরা হার দশ।যেহেতু চোখ থেকে দেহ আলাদা হওয়া সম্ভব নয় কারণ দেহ চোখে থাকেনা বরং দেহ থেকে চোখ আলাদা হওয়া সম্ভব কারণ চোখ দেহে থাকে। বড় ছোট থেকে আলাদা হতে পারেনা কারণ ছোটতে বড় থাকতে পারেনা। নব্বইতে দশ থাকা সম্ভব হলেও দশে নব্বই থাকা কিছুতেই সম্ভব নয়। সুতরাং আয়াত ও বাস্তবতার আলোকে দ্বীন পৃথক করেছে শীয়া।সুতরাং তারা বিভ্রান্ত।
খারেজীরা হজরত আলীকে (রাঃ) অস্বীকার করে অথচ তাঁকে স্বীকার করে শতকরা নিরানব্বই জন।সুতরাং আয়াত ও বাস্তবতার আলোকে দ্বীন পৃথক করেছে খারেজীরা। সুতরাং তারা বিভ্রান্ত।
আহলে ছুন্নাতের চারমাযহাব শতকরা ৮৭ জন, শীয়া খারেজী ও অন্নান্য মাযহাব শতকরা বার জনের বেশী মোট মাযহাবী বা তাকলিদী শতকরা নিরানব্বই জনের বেশী আর আহলে হাদীস বা লা মাযহাবী বা গাইরে তাকলিদী শতকরা একভাগের কম।সুতরাং আয়াত ও বাস্তবতার আলোকে দ্বীন পৃথক করেছে আহলে হাদীস বা লা মাযহাবী বা গাইরে তাকলিদীগন ।সুতরাং তারা বিভ্রান্ত।এ ফিতনার শায়েখ আব্দুর রহমান ও বাংলা ভাই বাংলাদেশে জঙ্গি আমদানী করেছে। যা এখনো চলছে।এদের একজন নেতা ডাঃ জাকির নায়েক। এরা নামাজে বুকে হাত বাঁধে। এরা নিজেদের আহলে হাদীস দাবী করে যদিও তারা আসলে হাদীস মানেনা। আচ্ছা একটা হাদীস মেনে দশটা খেলাফ করলে তাকে কি হাদীস মানা বলে? ক্বোরআনের সাথে এদের আমলের মহা গরমিল বিধায় আহলে ক্বোরআন নাম না নিয়ে এরা আহলে হাদীস নাম নিয়ে মুসলিম মিল্লাতকে বিভ্রান্ত করার কাজে নেমেছে। অনেক টাকা দিয়ে এরা ভাড়াটিয়া ডাঃ জাকির নায়েককে দলের দায়ী বানিয়েছে নিজেদের জাতে তোলার জন্য। হাদীসে এদের কথা বলা হয়েছে যে চিত্তাকর্ষক কথা দ্বারা এরা লোকদের বিভ্রান্ত করবে। যার মধ্যে সামান্য এলেম আছে সে সহজে এদের ধোকাবাজি ধরতে পারে। আর যার এলেম নেই তার কথা বলে আর কি লাভ! আল্লাহ এ ভয়াবহ ফেতনা থেকে আমাদেরকে হেফাজত করুন – আমিন।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ বলেন,‘ওয়ালা তাফাররাকু – তোমরা পৃথক হয়োনা’ সুতরাং যারা মুসলমানদের থেকে পৃথক হয় তারা ইসলামের বাইরে চলে যায়।উহুদ যুদ্ধে একহাজার মুসলমান থেকে তিনশত মুনাফিক আলাদা হয়েছে। ক্বোরআন ও হাদীস উভয় এদের মুসলমান নয় বলে ঘোষণা দিয়েছে। যদিও এরা আগ কাতারে জামাতে নামাজ পড়তো।
ক্বোরআনতো বল্লাম এবং যে ঘটনা বল্লাম উহা হাদীস। উভয় অনুযায়ী যারা সংখ্যায় কম তারা পৃথক হয়েছে যারা সংখ্যায় বেশী তাদের থেকে এবং সংখ্যায় কম যারা আলাদা হয়েছে তাদেরকে ক্বোরআন ও হাদীস মুসলমান নয় বলে ঘোষণা দিয়েছে। যদিও তারা ছিল অতি হুজুর।
আর কিয়াছ বলে চোখ থেকে দেহ আলাদা হওয়া অসম্ভব। কারণ চোখের ভিতর দেহ থাকেনা। বরং দেহ থেকে চোখ আলাদা হওয়া সম্ভব। তেমনি আশি থেকে বিশ আলাদা হওয়া সম্ভব কিন্তু বিশ থেকে আশি আলাদা হওয়া সম্ভব নয়। কারণ বিশের ভিতর আশি নেই বরং আশির ভিতর বিশ আছে। সুতরাং ইসলামে রয়েছে ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারী শতকরা আশিভাগ মুসলমান। আর তাদের থেকে পৃথক হয়ে বিশ ভাগ ইসলাম থেকে বাইরে চলে গেছে।
যেহেতু আশিভাগ মুসলমান ইমাম আবু হানিফার অনুসারী সুতরাং সংখ্যা গরিষ্ঠ উম্মত বা আলেমের মত বা ইজমায়ে উম্মতও ইমাম আবু হানিফার (সঃ) অনুসারীদের পক্ষে।সুতরাং ইসলামের চার মূলনীতি ক্বোরআন হাদীস ইজমা ও কিয়াছ অনুযায়ী বিশুদ্ধ ইসলাম হলো ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ইসলামের যে পথ দেখিয়েছেন সে পথে চলা।
ইমাম আবু হানিফার (রঃ) ইসলামের পথ দেখানোর দরকার হয়েছিল, এর মধ্যে মুসলমান বহু দল হয়ে গিয়েছিল সেই কারণে। ক্বোরআনে আছে সংখ্যা গরিষ্ঠের মত ভুল হতে পারে। তেমন ঘটনা ঘটেছে বদর যুদ্ধে। বন্ধি মুক্তি বিষয়ে অধিকাংশের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে ক্বোরআন সনাক্ত করে কিন্তু ক্বোরআন সে সিদ্ধান্ত বাতিল করেনি। বরং অধিকাংশের ভুল সিদ্ধান্তই কার্যকর হয়েছিল।
আমি আমার মতের পক্ষে অন্তত দশ হাজার প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারব –ইনশাআল্লাহ। তারপরো কারো পথ ভ্রষ্ট হতে মন চাইলে আমার কিছুই করার নেই।
বিঃদ্রঃ ডাঃ জাকির নায়েক ও তার দল আহলে হাদীস ইসলামের বাইরের একটি দল। তারা যাদের মুসলমান বানিয়েছে তারা মুসলমান না হয়ে আহলে হাদীস হয়েছে। আচ্ছা কেউ আহলে ক্বোরআন ওয়াল হাদীস না হয়ে শুধু আহলে হাদীস হলে তারাকি মুসলমান হয়? অবস্থাটা কি? মাথা আছে কিন্তু মগজ নেই।ক্বোরআন বাদ দিয়ে আহলে হাদীস হওয়াতো মগজহীন মাথার মতই। আচ্ছা কেউ যদি বলে ছেলেটা সর্ব রকমে ভাল শুধু মাথাটা নষ্ট তো এমন ছেলের কাছে কেউ মেয়ে দিবে কি? গিরিশ চন্দ্র সেন ক্বোরআনের অনুবাদ করলো বলেই কি তাকে মুসলমান বলা যাবে? তো ডাঃ জাকির ক্বোরআনের যারা ভুল ধরেছে তাদের মোকাবেলা করেছেন বলে তাঁকে মুসলমান বলতে হবে সেটা কেমন কথা? মুসলমান দাবী করলেই যদি কেহ মুসলমান হতো তবেতো মোনাফেকরাও মুসলমান। আচ্ছা আপনারাকি ‘হুদাল্লিল মুত্তাকীন’ কথাটা ক্বোরআনের শুরুতে পাননি? ক্বোরআনই যদি হেদায়েতের জন্য যথেষ্ট হয় তবে ডাঃ জাকিরের অন্য ধর্ম গ্রন্থ অধ্যয়নের মানে কি? এর মানে একটাই জাকিরের দেখাদেখি মুসলমানেরা সেসব গ্রন্থ পড়বে এবং বিভ্রান্ত হবে।কারণ যাদের ক্বোরআনের জ্ঞান নেই তাদের সে সব গ্রন্থ ভাল লাগতে অসুবিধা কোথায়? সুতরাং হজরত আদমকে (আঃ) যে দরবেশভেসী ইবলিশ ধোকা দিয়ে ছিল এরা তারা। চিনতে ভুল করলে জাহান্নামের পথ পরিস্কার। আল্লাহ আমাদেরকে সত্যের পথে অবিচল রাখুন- আমিন।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মহানবী (সঃ) তাঁর বিদায় হজ্জের ভাষনে ক্বোরআন ও হাদীস আঁকড়ে ধরলে হেদায়েত পাওয়ার কথা বলেছেন।তথাপি সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) হাদীস সংকলন করতে দেননি, মানুষ ক্বোরআনের চেয়ে হাদীসের গুরত্ব বেশী দেবে বলে। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) মক্কা মদীনা ও কুফা থেকে সত্তর হাজার হাদীস সংগ্রহ করে সেগুলোর সাথে ক্বোরআনের সমম্বয় করে ফিকাহ সংকলন করলেন। আর এভাবে আল্লাহ ফিকাহতে হাদীস সংরক্ষণ করলেন।সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) বিরুদ্ধে গিয়ে ইমাম আবু হানিফা (রঃ) হাদীস সংকলন করা থেকে বিরত থাকলেন।তাঁর দু’শ বছর পর হাদীস সংকলকগন হাদীস সংকলন করলেন।এখন সহাবায়ে কেরাম (রাঃ) যে আশংকা করেছিলেন সেটাই সত্য হলো।একদল লোক ক্বোরআনের চেয়ে হাদীসের গুরুত্ব বেশী দিয়ে নিজেদের নাম রাখল, ‘আহলে হাদীস’।
মক্কা মদীনা ও কুফায় যারা হাদীস বর্ণনা করতেন ইমাম আবু হানিফা (রঃ) তাদের কাউকে বাদ না দিয়ে সবার সব হাদীস গ্রহণ করলেন।তাঁর দু’শ বছর পর তিনি যে হাদীস পাননি সে হাদীস হাদীস সংকলকেরা কোথায় পেল সেটা কোটি টাকার প্রশ্ন। সে হাদীস যদি মক্কা মদীনার বাইরে পাওয়া গিয়ে থাকে তাও একটা প্রশ্ন। কারণ মক্কা মদীনার লোকেরা যে হাদীস জানেনা সেটা অন্য এলাকার লোকেরা কিভাবে জানে? মহানবীতো (সঃ) মক্কা মদীনায় বসবাস করতেন! তিনি একা কখনো মক্কা মদীনার বাইরে বসবাস করেছেন কি? কাজেই ইমাম আবু হানিফা (রঃ) না পাওয়া হাদীস, তার দু’শ বছর পর হাদীস সংকলকদের পাওয়ার মাঝে কিছু কথা থেকে যায়।বাস্তব কথা হলো ইমাম আবু হানিফা (রঃ) সেসব হাদীস পেয়েছন কিন্তু গ্রহণ করেননি। কারণ সেসব হাদীসছিল মানসুখ। আর মানসুখ হাদীসের আমল করলে আমল বরবাদ হয়।
আচ্ছা মহানবীর (সঃ) সব হাদীস কি সব সাহাবা (রাঃ) জানতেন? না জানলে সে অনুযায়ী আমল করতেন কি ভাবে? এখন বোখরীর (রঃ) দু’একটি হাদীসের সাথে ইমাম আবু হানিফার (রঃ) ফতোয়া না মিল্লে ইমামের অনুসরন না করে ফিতনা করা কি খুব জরুরী? ফিতনাতো হারাম। ছুন্নত পালনের জন্য তবে কি হারামের আমল করতে হবে? অতি বুদ্ধি আর কাকে বলে।কিন্তু ওগুলো ছুন্নত নয়। কারণ মানসুখ হাদীসের আমল আপনি নামাজে করলে তা’ আমলে কাছির হিসেবে গন্য হয়ে আপনার নামাজ বরবাদ করবে।কাজেই এগুলো ইবলিশি খেয়াল যা মুসলমানদের আমল বরবাদ করার জন্য আহলে হাদীস করে থাকে।
মুসলমানরা দেড় হাজার বছর একরকম ইবাদত করেছেন। এখন আহলে হাদীসগন বলছে ভিন্ন কথা। তবেকি এতকাল মুসলমানগন ভুল পথেছিল? আর আহলে হাদীস আধুনিককালে এসে একটা শুদ্ধপথ আবিষ্কার করল। এ এক মহা বিস্ময়কর কথা।বাস্তবে সবটাই শয়তানী। আর তা’মুসলমাদের বিভ্রান্ত করার জন্য।
হাদীস গ্রন্থ সমূহে সে সব হাদীস কেন আছে তা’তো পরিস্কার! আর তা’হলো একদা মহানবী (সঃ) এমন করতেন সে কথা মানুষকে জানানো। তারপর তিনি (সঃ) তা’ বাদ দেওয়ায় ইমাম সে অনুযায়ী ফতোয়া দেননি। এতে বিভ্রান্ত হওয়ার কিছু নেই। তথাপি যারা বিভ্রান্ত হয়েছে তারা শীয়া খারেজীদের মতই বিভ্রান্ত। তাদের সাথে মুসলমানের কোন সম্পর্ক নেই।আমি ঠিক করেছি আমার তিন মেয়ের কোন মেয়েকে এদের কোন ছেলের সাথে বিয়ে দেবনা। আল্লাহ এসব বিভ্রান্ত সম্প্রদায় থেকে আমাদের হেফাজত করুন - আমিন।
বিঃদ্রঃ ক্বোরআনের সব আয়াত যেমন বিধি-বিধান সংক্রান্ত নয়, তেমনি সব হাদীসও বিধি-বিধান সংত্রান্ত নয়।বিধি বিধান সংক্রান্ত ক্বোরআন ও হাদীস নিয়ে ইসলামী আইন শাস্ত্র ফিকাহ।মহানবী (সঃ) ক্বোরআন ও হাদীস আঁকড়ে ধরতে বলেছেন, বিধিবিধান সংক্রান্ত বিষয়ে এ ক্ষেত্রে ফিকাহ টু ইন ওয়ান।
আহলে হাদীসগণ ইসলামের মিমাংসীত বিষয় অমিমাংসীত করে মুসলমানদের বাহাস বিতর্কে লিপ্ত করে বেহুদা কাজে তাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে অমুসলীমদের সামনে মুসলমানদের বেউকুফ হিসেবে উপস্থাপন করছে। তারা এখন তারা দাঁত কেলিয়ে হাসছে আর বলছে যারা দেড়হাজার বছরে ঠিক করতে পারেনা নামাজে হাত কোথায় বাঁধবে তারা নাকি শুদ্ধ, আমরা নাকি ভুল? এবার বুঝুন এরা মুসলমানদের কতটা হেয়নেস্তা হওয়ার কারণ।সময় থাকতে সবাই মিলে এদের প্রতিরোধ করতে না পারলে এ ফেতনা মুসলমানদের অস্তিত্ব সংকটের কারণ হতে পারে।আর এ জন্য ইসলাম বিরোধীরা এদের মদদ দিয়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছে।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইসলামের অপর নাম তাকলীদ
ইসলাম হলো আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি আত্মসমর্পণ। যেহেতু আল্লাহ একমাত্র শান্তি দাতা সেহেতু আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি আত্মসমর্পণ করলে শান্তি পাওয়া যায়। এ জন্য ইসলামের এক অর্থ শান্তি।যেহেতু আল্লাহর ইচ্ছার কথা আল্লাহ সবার কাছে বলেন না সেহেতু যাদের কাছে আল্লাহ তাঁর ইচ্ছার কথা বলেন তাদের তাকলীদ বা অনুসরন না করলে ইসলাম পাওয়ার কোন উপায় থাকেনা।কাজেই যাদের কাছে আল্লাহ তাঁর ইচ্ছার কথা বলেন নাই তাদের ইসলাম হলো আল্লাহ যাদের কাছে তাঁর ইচ্ছার কথা বলেছেন তাদের তাকলীদ বা অনুসরণ করা।সুতরাং তাদের জন্য তাকলীদ বা অনুসরনই ইসলাম।কাজেই তাকলীদের বিরোধীতা করা কুফুরী।
যেহেতু মহানবী (সঃ) ক্বোরআন ও হাদীসের আলোকে মাসয়ালা সমূহ লিপিবদ্ধ করেন নাই। সেগুলো লিপিবদ্ধ করেছেন ফিকাহ এর ইমাম আর সাধারণের পক্ষে ক্বোরআন ও হাদীস থেকে মাসয়ালা খুঁজে বের করে আমল করা সম্ভব নয় সেহেতু সাধারণের জন্য ইমামের তাকলীদ না করার অপারগতা বিদ্যমান।কাজেই যাদের ক্বোরআন ও হাদীস থেকে মাসয়ালা বের করে আমল করার অপারগতা রয়েছে তাদের জন্য ইমামের তাকলীদ করা ফরজ।কারণ এ ছাড়া তাদের পক্ষে আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী আমল করা সম্বব নয়।
আল্লাহর ইচ্ছা তাঁর বান্দা সব একদল হবে বহুদল হবেনা। আল্লাহর এ ইচ্ছা বাস্তবায়ন করতে হলে সবাইমিলে এক ইমামের তাকলীদ করতে হবে।নতুবা বহুদল হওয়া থেকে আত্মরক্ষা কারা যাবে না।ক্বোরআন ও হাদীস অনুযায়ী যে ইমামের অনুসারী বেশী সংখ্যক আল্লাহর বান্দা ও নবীর (সঃ) উম্মত সবাই মিলে সেই ইমামের তাকলীদ করতে হবে। সে হিসেবে সাব্যস্ত ইমাম হলেন ইমাম আবু হানিফা (রঃ)। সুতরাং আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী চলতে হলে ইমাম আবু হানিফার (রঃ) তাকলীদ না করে উপায় নেই।আর এসময় ইমাম আবু হানিফার অনুসরনই একমাত্র ইসলাম। এর কোন বিকল্প নেই। ইমাম যেহেতু ক্বোরআন ও হাদীসের আলোকে মাসালা প্রদান করেছেন সেহেতু ইহাদের ইমামের তাকলীদ বাদ দিয়ে আহলে হাদীস হওয়ার দরকার পড়ল কেন, কিছুতেই বুঝা যাচ্ছে না।একদল থাকা যেখানে ফরজ সেখানে এরা দল থেকে পৃথক হয়ে ফরজ তরক করে কেমন কি আহলে হাদীস হয়? হাদীস কি এদের ফরজ তরক করতে বলেছে নাকি? এতো এক মহা অদ্ভুত বিষয়! আল্লাহ আমাদেরকে তাকলীদ বিরোধী ফিতনাবাজদের থেকে হেফাজত করুন – আমিন।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মাযহাব অর্থ পদ্ধতি। পদ্ধতি হলো ক্বোরআন ও হাদীসের সমম্বয় করে বিধি নির্ধারন করে সেইমত জীবন যাপন। যে এটা নিজেপারে তাকে আর অন্যকে অনুসরন করার দরকার নেই।কিন্তু যে নিজে পারেনা তাকেতো যে পারে তাকে মানতেই হবে। এছাড়া উপায়কি? সুতরাং মাযহাব ক্বোরআন ও হাদীসের বাইরের জাতীয় কিছু নয়।যারা এর বিরোধীতা করে তারা বিভ্রান্ত।
মাযহাবের সংখ্যা বেশী হওয়ার কারণ যারা ক্বোরআন ও হাদীস সম্বয় করে বিধি নির্ধারন করতে পারতেন তাদের সংখ্যাছিল অনেক, তাদেরকে ইমাম বলা হতো। এর মধ্যে চারজনের অনুসারী ছিল।যার ফলে মাযহাব চারটি।
আহলে ক্বোরআন বলছে মাযহাব বাদ ক্বোরআন মানতে হবে। আহলে হাদীস বলছে মাযহাব বাদ হাদীস মানতে হবে।তারচেয়ে মাযহাবইতো ভাল কারণ এতে ক্বোরআন ও হাদীস দু’টোই রয়েছে।তবে আহলে হাদীস বলে তারা ক্বোরআনও মানে। তা মানে মানুক। কিন্তু ক্বোরআন ও হাদীস অনুযায়ী আগেই যেখানে মাযহাব চারটি হয়েছে এখন তবে একটি হবে কেমন করে? চার মাযহাব যদি থেকেই গেল তবে আহলে ক্বোরআন ও আহলে হাদীসের আর দরকার কি? সুতরাং একদল সিলেক্ট করতে লাগবে ইজমা।
ইজমা হিসেব করলে হানাফী মাযহাবে মুসলমান সংখ্যা শতকরা আশিভাগ আর বাংলাদেশে সে সংখ্যা শতকরা পঁচানব্বই ভাগ।সুতরাং হানাফী মাযহাবে সকলের একত্রিত হওয়া সংগত।
ঝামেলা হলো কয়খান হাদীসের সাথে হানাফী মাযহাবের মত মিলেনা।এর কারণ সেইসব হাদীস মানসুখ। যা আমল করলে ইবাদত বরবাদ হবে।আহলে হাদীস সে সব হাদীস মানসুখ মানতে নারাজ। তারা বলছে ইমাম আবু হানিফা (রঃ) সেই সব হাদীস জানতেন না বিধায় সে অনুযায়ী তিনি ফতোয়া দেননি।তাদের এ দাবী সঠিক নয়।
ইমাম আবু হানিফা (রঃ) খোলাফায়ে রাশেদার শেষ খলিফা হজরত আলীর (রাঃ) রাজধানী ইরাকের কূফার বাসিন্দা। তিনি ইসলাম পেয়েছেন তাদের কাছ থেকে যারা ইসলাম পেয়েছেন হজরত আলীর (রাঃ) কাছ থেকে। তারপর তিনি মক্কা ও মদীনায় ছয় বছর থেকে হাদীস সংগ্রহ করেছেন।তো যে হাদীস মক্কা মদীনা ও কূফায় ছিলনা সে হাদীস পরে কোথা থেকে এল? বিষয়টা অদ্ভুত। সুতরাং যে হাদীস ইমাম আবু হানিফা (রঃ) পাননি কিন্তু ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনেক পরে ইমাম বোখারী (রঃ) পেয়েছেন সে হাদীস তবে কি হতে পারে? এখন বোখারী যদি ছহী হয় তবে সেই হাদীস অবশ্যই মানসুখ।তারমানে ইমাম আবু হানিফাও (রঃ) সেই হাদীস পেয়েছেন তবে সে অনুযায়ী ফতোয়া দেননি উহা মানসুখ বলে।কাজেই এখন সেই সব মানসুখ ছহী হাদীসের উপর আমল করলে ইবাদত বরবাদ হবে।কাজেই কলিকালের আহলে ক্বোরআন ও আহলে হাদীসদের কথায় কান দিয়ে নিজের পায়ে নিজে কুড়োল মারার কোন দরকার নেই। মানতে হবে ইসলামের সোনালী যুগের ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ)।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মহানবী (সঃ) তাঁর উম্মতকে ক্বোরআন ও হাদীস অনুযায়ী জীবন যাপন করতে বলেছেন।কিন্তু বিভিন্ন হাদীস সংকলক যে সব হাদীস গ্রন্থ সংকলন করেছেন, এসব হাদীস গ্রন্থ যে মহানবীর (সঃ) হাদীসের সংকলন এমন কথা ক্বোরআন ও হাদীসে নেই।এখন হাদীসে না থাকলে যদি বেদাত হয় তবে এসব ক্বোরআন হাদীসের স্বীকৃতি বিহীন হাদীস গ্রন্থ সমুহের হাদীস মানাও বেদাত হবে।যেমনঃ বোখারী শরীফ যে হাদীস সংকলন এ কথা ক্বোরআন ও হাদীসে নেই।সূতরাং হাদীসে না থাকলে বেদাত হলে বোখারী শরীফ মানাও বেদাত।সুতরাং যে কথায় মাযহাব মানা বেদাত সেই একই কথায় লা মাযহাব ও আহলে হাদীস হওয়াও বেদাত। কারন তারা ইমামের তাকলীদ বাদ দিয়ে যে সব গ্রন্থ মানতে বলছে সে সব গ্রন্থের কোন স্বীকৃতি ক্বোরআন ও হাদীসে নেই।
হাদীস গ্রন্থ সমূহ ও ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসরন ইজমা স্বীকৃত। এখন ইমাম মাযহাব বা তাকলীদ কারীদের বাদ দিলে হাদীস গ্রন্থ সমূহ ও আহলে হাদীসদের পক্ষ থেকে ইজমাও ছুটে যায়।তখন আর সে গুলো হাদীস গ্রন্থই থাকেনা এবং এগুলোর অনুসারীরাও আহলে হাদীস থাকেনা।। আহলে হাদীসগন তাহলে কেমন কি আহলে হাদীস হয়?
শতকরা আশিভাগ মুসলমানের দল কখনো তাদের ইমাম আবু হানিফার (রঃ) তাকলীদ বাদ দিয়ে আহলে হাদীস মত স্বীকার করবে না। তাহলে আহলে হাদীস দলের সঠিকতার ভিত্তি কি? সুতরাং এরা ভিত্তিহীন ও ভুয়া।
হাদীসের ব্যাপারে হানাফীদের ইজমা হলো ইমামের মতের বিপরীত হাদীস মানা যাবেনা, তাই বলে ইমামের মতের পক্ষে ক্বোরআন ও হাদীস নেই ঘটনা এমন নয়।আমি ইমাম আবু হানিফার (রঃ) যে কোন মতের পক্ষে ক্বোরআন ও হাদীস উপস্থাপনে সক্ষম- ইনশাআল্লাহ।আর হানাফীদের বাদ দিলে আহলে হাদীস মতের পক্ষে ইজমাও থাকেনা। তো যাদের মতের পক্ষে না আছে ক্বোরআন না আছে হাদীস না আছে ইজমা তো তারা এ কোন পদের মুসলমান? ইমাম যেহেতু ক্বোরআন ও হাদীস অনুযায়ী ফতোয়া দিয়েছেন তো ইমামের ফতোয়া বাদ দিয়ে অন্য দিকে দৌড়ানোর মানে কি? সুতরাং ভিত্তিহীন এ দল থেকে দূরে থাকা প্রত্যেক মুসলমানের একান্ত কর্তব্য।আল্লাহ আমাদেরকে সত্যের পথে অবিচল রাখুন - আমিন।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আল্লাহ বলেছেন, ‘ওয়ালা তাফাররাকু – তোমরা আলাদা হয়োনা’। মহানবী (সঃ),‘ইন্নাল্লাহা লা ইয়াজমায়ু উম্মতিন আলা দালালাতিন – আল্লাহ আমার উম্মকে পথ ভ্রষ্টতার উপর ঐক্যবদ্ধ করেন না।তিনি আরো বলেছেন,‘ কুল্লু বিদয়াতিন দলালাহ – প্রত্যেক নতুন আবিষ্কার পথ ভ্রষ্টতা’।
সাধারনত ছোটকে বড় থেকে ছোটকে আলাদা ধরা হয়। যেমন বলা হয়, আঙ্গুল থেকে নখ কাটা হয়, এটা বলা হয়না যে, নখ থেকে আঙ্গুল কাটা হয়। মাথা থেকে চুল কাটা হয় চুল থেকে মাথা কাটা হয় না। গরু থেকে লেজ কাটা হয়, লেজ খেকে গরু কাটা হয়না।মাছ থেকে আঁইশ ফেলা হয়, আঁইশ থেকে মাছ ফেলা হয়না। ফল থেকে খোসা ফেলা হয়, খোসা থেকে ফল ফেলা হয় না।
বাস্তবতা হলো, মোনাফেকরা সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) থেকে আলাদা হয়েছে, যারা ছিল ছোট দল এবং নতুন আবিষ্কার। জাকাত অস্বীকারকারী ও ভন্ড নবীর অনুসারীরা সাহাবয়ে কেরাম (রাঃ) থেকে আলাদা হয়েছে, যারা ছিল ছোট দল এবং নতুন আবিষ্কার।হজরত ওসমানের (রাঃ) হত্যাকারীরা সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) থেকে আলাদা হয়েছে,যারা ছিল ছোট দল এবং নতুন আবিষ্কার।খারেজী ও শীয়া সম্প্রদায় সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) থেকে আলাদা হয়েছে, যারা ছিল ছোট দল এবং নতুন আবিষ্কার।সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) পর শতকরা আশিভাগ মুসলমানের দল ইমাম আবু হানিফার (রঃ)অনুসারী দল থেকে যারা পৃথক হয়েছে তাদের প্রত্যেকে ছোট দল এবং নতুন আবিষ্কার।সুতরাং ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারী দলকে পবিত্র ক্বোরআন ও হাদীস ইসলামের সঠিক ও মূল দল প্রমাণ করে এবং যারা এর বিপরীত তাদেরকে পথভ্রষ্ট প্রমাণ করে।
ইমামের ফতুয়াতে রয়েছে ক্বোরআন ও হাদীস, সুতরাং যারা হাদীসের অনুসারী আহলে হাদীস তাদেরকে সঠিক আর ইমামের অনুসারীদেরকে বেঠিক বলার কোন সুযুগ নেই। আর ইমামের কোন কোন ফতুয়া ক্বোরআন ও হাদীসের পরিপন্থি নয় বিধায় মুসলমানেরা ইমামের অনুসারী।ইমামের সকল ফতোয়া ক্বোরআন ও হাদীস সম্মত প্রমাণে আমি সক্ষম – ইনশাআল্লাহ।আর কোন ছহী মানসুখ হাদীসের সাথে ইমামের ফতোয়া না মিলাই স্বাভাবিক। কারণ ছহী মানসুখ হাদীসের বিধান রহিত। আর ছহী মানসুখ হাদীসের আমল ইবাদত বরবাদ করে। ইমামের ফতোয়া হাদীসের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া না গেলেও ক্বোরআনের সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যাবে – ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদেরকে যাবতীয় ফেতনা থেকে হেফাজত করুন এবং সত্যের পথে অবিচল রাখুন আমিন।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইসলামের ফেতনাবাজেরা
বাংলায় বলে দলাদলি, ইংরেজীতে বলে গ্রুপিং, আর আরবীতে বলে ফিতনা। ক্বোরআন ও হাদীস অনুজায়ী ফিতনা জঘন্যতম অপরাধ। এর দ্বারা মুসলমানদের যতটা ক্ষতি হয়েছে তা’ অপরিমেয়। কাজেই ফিতনা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। এরসাথে যারা জড়িত তারা কঠিনতম হিসেবের সমক্ষীণ হবে। এবার তিনি যতবড় ইমাম ও আলেম হননা কেন তার রক্ষা নেই।
ফিতনা স্বাব্যস্ত হয়, ‘ওয়ালা তাফাররাকু – পৃথক বা আলাদা হয়োনা’ আয়াতাংশ দ্বারা।যেহেতু কম থেকে বেশী পৃথক হওয়া সম্ভব নয় সেহেতু বেশী থেকে কম পৃথক হওয়া সাব্যস্ত। কুড়ি বা বিশ থেকে আশি পৃথক হওয়া সম্ভব নয় কারণ আশি, কুড়ি বা বিশে নেই, আর আশি যদি কুড়ি বা বিশে না থাকে তবে পৃথক হবে কেমন করে? কিন্ত একশ থেকে কুড়ি বা বিশ পৃথক হওয়া সম্ভব কারণ কুড়ি বা বিশ একশ এর মধ্যে পাঁচবার রয়েছে। আর এ ভাবেই শতকরা একশ জন মুসলমান থেকে কুড়ি বা বিশ জন আলাদা হয়ে ফিতনা হিসেবে সাব্যস্ত হয়েছে।আর সঠিক শতকরা আশি জন ইসলামের মহা সড়কে রয়েছে যারা ইমাম আবু হানিফার অনুসারী।ইসলামের মহা সড়ক মহানবী (সঃ) থেকে শুরু হয়ে খোলাফায়ে রাশেদীন ও ইমাম আবু হানিফা (রঃ) হয়ে চলমান রয়েছে যা আমি সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণ করেছি।
ফিতনা প্রথম করেছে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের দল, তারপর হজরত ওসমানের (রাঃ)হত্যাকারী আত্মস্বীকৃত পাঁচ হাজার খুনী, তারপর খারেজী, তারপর শীয়া, তারপর মুতাজেলা, তারপর কাদিয়ানী, বর্তমানে রয়েছে আহলে হাদীস।এছাড়াও ছোট খাট অনেক দল রয়েছে।
বিবাদ না করায় ও মুসলমানদের ক্ষতির আলামত না থাকায় মালেকী, শাফেয়ী ও হাম্বলীদের ছাড় পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।তবে এসব দলের অনুসারীদের যতদ্রুত সম্ভব মূল দলে মিশে যাওয়া দরকার।কারণ ইসলামের মহাসড়কের যাত্রীদল ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারীদের মাঝে ক্বোরআন ও হাদীসের খেলাফ কিছুই নেই।যে সব হাদীস দিয়ে ইসলামের মহা সড়কের যাত্রীদলের সাথে ইখতিলাফ করে মুসলমানদের সাথে বিভেদ তৈরীর অপচেষ্টা করা হয় সে সব হাদীস মূলত মানসুখ বা রহিত। যার উপর আমল করলে ইবাদত বরবাদ হবে।আর ইমাম আবু হানিফার (রঃ) ছাত্রদের তার সাথে মতভেদের কথা বেদরকারী কথা কারণ তাঁরা তাঁর ঘরের লোক।তাদের কাজ ভুল সংশোধন, ফিতনা নয় কারণ তারা দল থেকে আলাদা হয়ে পৃথক দলে সামিল হননি।ইমাম মালেক (রঃ), ইমাম শাফেয়ী ও আহমদ ইবনে হাম্বলের বেলায়ও যদি তেমন ঘটতো হবে ভাল হতো। আলাদা দল হয়ে সমস্যা হয়ে গেল। কারন ক্বোরআন ও হাদীস মুসলমানদের এক দলের বেশী অনুমোদন করে না।
ইমাম বোখারী (রঃ)সহ আইম্মায়ে মুহাদ্দেসীন (রঃ), আইম্মায়ে মুজতাহিদীন (রঃ) সহ যারা ইজতিহাদ করেছেন তারা ইজতিহাদ করায় ভুল করেও ছাড়া পাবেন। কিন্তু বিনা ইজতিহাদে ইজমা থেকে আলাদা হয়ে পৃথক দলে সামিল হলে ছাড়া পাওয়ার পথ থাকবেনা। এক্কেবারে সোজা জাহান্নামে যেতে হবে।কেউ নিজেকে মুজতাহীদ দাবী করলেও কাজ হবেনা, যদি না তাঁর মুজতাহীদ হওয়ার ব্যাপারে মুসলমানদের স্বীকৃতি না থাকে।আর মুজতাহীদ না হলে ‘ইকতাদাইতু বি হাজাল ইমাম’ ছাড়া মুক্তির ভিন্ন কোন পথ নেই। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথে অবিচল রাখুন - আমিন।
বিঃদ্রঃ এ কথা কারো বিশ্বাস বা অবিশ্বাসের দরকার নেই শুধু আমি বিশ্বাস করলেই চলবে। আর তা’ হলো আল্লাহ আমাকে হাসরের মাঠের ডিফেন্স ল’ইয়ার নিয়োগ দান করেছেন। সে জন্য তিনি এখন আমাকে দিয়ে আরগুমেন্ট প্রাকটিস করাচ্ছেন এবং স্বয়ং নিজ তত্বাবধানে আমাকে আইন শিখাচ্ছেন।আমি মোটে দুই লাইনও লিখতে পারতাম না। আর এখন কলমের গতি দেখে আমি খুব অবাক হচ্ছি।একথা বলার দরকার হলো একজন আমাকে থামতে বলেছিল।কিন্তু যিনি আমাকে চালাচ্ছেন তিনি সর্ব শক্তিমান। তার ক্ষমতা প্রতিরোধ করে থামার ক্ষমতা আমার নেই। আবার তিনি থামিয়ে দিলে আমার চলার ক্ষমতাও থাকবে না।আমি বলতে পারি আমি নিজের ইচ্ছায় কিছু করছিনা।সুরাং আমি অপারগ।আমাকে খুন করার বহু চেষ্টা হয়েছে কিন্তু সে সব চেষ্টা সফল হয়নি।আল্লাহ আমাকে প্রতিবার রক্ষা করেছেন।তবে আল্লাহ আমাকে তাঁর কাজে তাঁর ইচ্ছামত চালিয়ে তাঁর কিছু কাজ করিয়ে নিলে আমি বরং খুশী। কারণ তাঁর থেকে বেশী মজুরী আশাকরা যেতেই পারে, কারণ তিনি মহান- আল্লাহু আকবার।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মুসলমানদের সঠিক দল নির্ণয়ের সূত্রঃ-
মহানবী (সঃ) বলেছেন তাঁর উম্মত তিহাত্তর দল হবে তার মধ্যে একদল জান্নাতি আর বাহাত্তর দল জাহান্নমী।কোন দল জান্নাতি আর কারা জাহান্নামী এটা সবচেয়ে ভাল বলতে পারেন মহান আল্লাহ, তিনি বলেছেন, ‘ওয়াতাসিমু বি হাবলিল্লাহি জামিয়াও ওয়ালা তাফাররাকু – তোমরা একত্রে আল্লাহর দড়ি ধর আলাদা হয়োনা’।তারমানে আল্লাহ বলেছেন যারা একত্রে আল্লাহর পথে চলে এবং আলাদা হয়না তারা জান্নাতি আর যারা আলাদা হয় তারা জাহান্নামী।ক্বোরআনিক এ সূত্রে যারা মহানবীকে (সঃ) মেনে চলতো সেইসব সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ)জান্নাতি ছিলেন আর যারা মুসলমান পরিচয় দিয়েও সাহাবায়ে কেরাম (রঃ) থেকে আলাদা হয়ে আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই নামক মোনাফেককে মেনে চলে মোনাফেক হয়ে গিয়েছিল তারা জাহান্নামী ছিল।একই ভাবে জাকাত অস্বীকারকারী, ভন্ড নবীর অনুসারী, হজরত ওসমানের (রাঃ) হত্যাকারীরা, খারেজী ও শীয়া সম্প্রদায় সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) থেকে আলাদা হয়ে জাহান্নামী হয়েছে।সাহাবায়ে কেরামের পর শতকরা আশিভাগ মুসলমান ক্বোরআন ও হাদীস পালনে ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারী হয়ে জান্নাতি দলে সামিল হয়েছে।
উপরে যে ক্বোরআনিক সূত্রের কথা বলা হয়েছে এর নাম ইজমা বা সংখ্যা গরিষ্ঠ উম্মতের মত।মহানবী (সঃ) তাঁর সারা জীবন এর উপর আমল করেছেন। তিনি সকল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেন তাঁর সংখ্যা গরিষ্ঠ সাহাবায়ে কেরামের মত বা ইজমা অনুযায়ী। এর মধ্যে একটি সিদ্ধান্ত মহান আল্লাহ ভুল হিসেবে সনাক্ত করলেও তিনি তা বাতিল করেননি বরং সেই ভুল সিদ্ধান্তই তিনি অনুমোদন করেছেন এবং তা’ মহানবী (সঃ) কার্যকর করেছিলেন।সুতরাং মহান আল্লাহর নির্দেশ,অনুমোদন ও মহানবীর (সঃ) আমল অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হলো ইজমা ভুল হলেও অমান্য করার কোন সুযুগ নেই।সাহাবায়ে কেরামের যে ইজমা ভুল ছিল তা’ছিল বদরের যুদ্ধের বন্দীদের মুক্তিপন নিয়ে ছেড়ে দেওয়া সংক্রান্ত ইজমা। মহান আল্লাহ সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) ইজমায় সাব্যস্ত এ সিদ্ধান্তটি ভুল হিসেবে সনাক্ত করেছিলেন যদিও তা’ বাতিল না হয়ে কার্যকর হয়েছিল মহান আল্লাহর অনুমোদন সাপেক্ষে।সুতরাং ইজমায়ে উম্মত মহান আল্লাহ নির্দেশীত ও অনুমোদীত, মহানবীর (সঃ) ও সাহাবায়ে কেরামের আমলে স্বাব্যস্ত ইসলামের অকাট্য মূলনীতি যা অস্বীকার করে ইসলামে থাকার কোন সুযুগ নেই।
ইসলামের তৃতীয় মূলনীতি ইজমা যারা অস্বীকার করে তারা ইসলাম থেকে বেরিয়ে যায়, আর যদি ইজমা মান্যকরা হয় তবে ইসলামের একমাত্র সটিক দল হিসেবে প্রমাণীত হয় ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারীবৃন্দ।তারমানে যারা ইমাম আবু হানিফা অনুসারী নয় তারা ইজমা না মানার কারণে যেমন ইসলামের বাইরে চলে যায়, তেমনি ইজমা মেনেও ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসরন না করায় তারা ইসলামের বাইরেই থাকে।সুতরাং ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারী বৃন্দই মুসলমানদের একমাত্র সঠিক দল।
ইমাম আবু হানিফা (রঃ) যে রাস্তায় সে রাস্তা মহানবী (সঃ) থেকে শুরু হয়ে হজরত আলীর (রাঃ) মাধ্যমে কুফায় এসে ইমাম আবু হানিফার (রঃ)সাথে মিলিত হয়েছে, তারপর ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ও তাঁর অনুসারী বৃন্দের মাধ্যমে সে রাস্তা আমাদের পর্যন্ত পৌঁচেছে।সুতরাং এ রাস্তাটিই যে ইসলামের একমাত্র সঠিক রাস্তা তা সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণীত বা সীরাতুল মুসতাকীম।
সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণীত বিষয় কেউ না মানলে তার দায় তাদের যারা এটা মানে তাদের এ সংক্রান্ত কোন দায়বদ্ধতা নেই।আর বিভ্রান্তদের আল্লাহ কি করবেন সে বিষয়টাও আমাদের ভাববার বিষয় নয়।ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসরন ছাড়া কারো অনুসরন আমি ক্বোরআন ও হাদীস দ্বারা সঠিক প্রমাণ করতে পারছিনা বিধায় আমি সে বিষয়ে ভাবছিনা।
ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ক্বোরআন ও হাদীসের আলোকে আমাদের পথ দেখিয়েছেন।কাজেই তাঁকে মানা ও ক্বোরআন-হাদীস মানা এক কথা। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বলেছেন, তাঁর মতের বিপরীত হাদীস পাওয়া গেলে তাঁর মত বাদ দিয়ে হাদীসের আমল করতে হবে। কিন্তু এমন কোন হাদীস পাওয়া যায়নি, যা পাওয়া গেছে তা মানসুখ হাদীস যা আমল যোগ্য নয়। যা আমল করলে ইবাদত বরবাদ হবে। আর তাই শয়তানের অনুসারীরা সেই সব হাদীসের আমল করিয়ে ইবাদতকারীর ইবাদত বরবাদ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।আয়ুযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রাজিম, আল্লাহ এসব শয়তান থেকে আমাদের ইবাদত হিফাজত করুন – আমিন।
বিঃদ্রঃ হজরত ইব্রাহীমের (আঃ) বংশধর হওয়ার পরেও সৌদি আরবের কুরাইশেরা ক্বাবা ঘরে তিনশ ষাটটি মুর্তি স্থাপন করে আল্লাহর বদলে সেই সব মুর্তিরে ইবাদতে লিপ্ত হয়ে ছিল। সুতরাং তাদের আমল সত্যের মাপকাঠি নয়। যদি তাই হতো তবে সেখানে ইসলাম প্রচারের দরকার ছিলনা। মহানবীর (সঃ) প্রিয় দাদা কি জান্নাতি? উত্তর যদি ‘না’ হয় তবে আমাদের কোন প্রিয় লোক শতয়ানের ধোকায় পড়ে কোন পথে চলে গিয়েছে তা’ ভেবে কোন কাজ নেই। বরং যারা এখন জীবিত তাদের ইসলামের পথ দেখাতে হবে এবং নিজেও সে পথে চলতে হবে। এটাই এখন সবচেয়ে সঠিক কাজ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আহলে হাদীস বলে, তারা ক্বোরআন ও ছহী হাদীস মানে। কিন্তু যে সব গ্রন্থকে তারা হাদীস গ্রন্থ বলে মানে সে সব গ্রন্থ যে হাদীস গ্রন্থ এ সংক্রান্ত ক্বোরআন ও হাদীস নেই। ছহী থাক দূরের কথা এ সংক্রান্ত কোন জাল হাদীসের কথাও শুনা যায়না।সুতরাং তাদের মতে বর্তমানে কোন হাদীস নেই। তবে তারা কি মান্য করে আহলে হাদীস হলো বুঝা মুসকিল।হাদীসে না থাকলে যদি বিদয়াত হয় তবে সবচেয়ে বড় বিদয়াত হলো তারা।
আহলে হাদীসের আহলে হাদীস হতে হলে তাদের ক্বোরআন হাদীস ও ইজমা মানতে হবে, আর তখন হাদীস পাওয়া যাবে। কারন তারা যে সব গ্রন্থকে হাদীস গ্রন্থ মানে সে সব গ্রন্থ ইজমা দ্বারা হাদীস গ্রন্থ হিসেবে সাব্যস্ত।কতিপয় বেউকুফ বলে আমরা মহানবীকে (সঃ) ছাড়া কাউকে মানিনা। আমার প্রশ্ন কি ভাবে মহানবীকে (সঃ) মানবী তিনি কি তোর কানে কানে হাদীস বলেছেন? এখন মহানবীকে (সঃ) মানতে গেলে ইজমা এবং বুখারী (রঃ), মুসলীম (রঃ), আবু দাউদ (রঃ), ইবনে মাযা (রঃ), নেছায়ী (রঃ), তিরমিযি (রঃ), হাকেম (রঃ), দারে কুতনি (রঃ), তাবরানী (রঃ), মালেক (রঃ), আহমদ ইবনে হাম্বল, বায়হাকী (রঃ) সহ আরো অনেককে মানতে হবে। কারণ ইজমা এদের সকলের হাদীসকেই হাদীস বলে এবং এটা বলেনা যে এদের একজনকেও অমান্য করা যাবে।
দেখা যাচ্ছে ইজমা ছাড়া আহলে হাদীস কোন প্রকারেই আহলে হাদীস হতে পারছেনা। আর শতকরা আশিভাগ মুসলমানের ইজমা হলো ইমাম আবু হানিফা (রঃ) কে মান্যকরা সুতরাং তাদের আহলে হাদীস হতে হলে ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ) মান্য করা ছাড়া কোন গতি নেই।কারণ ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসরন অস্বীকার করতে হলে ইজমা অস্বীকার করতে হবে।আর ইজমা অস্বীকার করলে মান্য করার মতো কোন হাদীস পাওয়া যাবেনা। ইজমা অস্বীকার করলে বুখারীর (রঃ) কিতাব ও হুমায়ুন আহমদের কিতাব এক কথা হয়ে যায়। তারমানে তখন কোনটাই আর মহানবীর (সঃ) হাদীস হিসেবে সাব্যস্ত থাকেনা।
আর ইহাও ইজমা যে ইমামের মত হাদীস দ্বার প্রত্যাখ্যান করা যাবে না।কারণ ইমামের মত হলো ক্বোরআন ও হাদীসের যোগফল যা হাদীস থেকে বড়।চার মাজহাবের কথা ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বলেননি, কাজেই ইজমায় ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ) ইমাম মানলে আর কাহাকেও মানার সুযুগ থাকেনা।সুতরাং ক্বোরআন হাদীস ইজমা ও কিয়াছ অনুযায়ী মুসলমানদের দল শুধুই একটি আর তা’হলো ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারী বৃন্দ। আর ক্বোরআন ও হাদীসে মুসলমানদের একদলের কথা বলা আছে।সেই দল ইজমা সাব্যস্ত দল হওয়া ছাড়া উপায় নাই।এর বাইরের যারা তারা সবাই ভুল পথের পথিক। আল্লাহ তাদের ক্ষমা করলে তাদের মুক্তির উপায় আছে। নতুবা তাদের জাহান্নামে যাওয়া ছাড়া গতি নেই।
ইজমা ছাড়া ক্বোরআনও মান্য করা যায়না। কারণ আমি মহানবীর (সঃ) মুখ থেকে ক্বোরআন শুনিনি। সংখ্যা গরিষ্ট বা সকল মুসলমান একখানি গ্রন্থকে ক্বোরআন বলে। সেই সূত্রে সেই গ্রন্থখানিকে আমি ক্বোরআন জানি ও মানি।সুতরাং মহানবীর (সঃ) ইন্তেকালের পর থেকেই ক্বোরআন ও হাদীসের, ক্বোরআন ও হাদীস হওয়ার একমাত্র প্রমাণ ইজমা। কারণ আমরা মহানবীর (সঃ) মুখ থেকে ক্বোরআন ও হাদীস শুনিনি।এখন ইজমা অস্বীকার আর ইসলাম অস্বীকার এক কথা।আর ইজমা মানলে ইমাম আবু হানিফাকে না মেনে উপায় থাকে না।সুতরাং এখন ইসলাম এবং ইমাম আবু হানিফা (রঃ) একই পথে বিদ্যমান।এ পথ ছাড়া আর ইসলাম ছাড়াও এক কথা।আল্লাহ আমাদেরকে সত্যের পথে অবিচল রাখুন – আমিন।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইজমা মানলে ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ) মানা ফরজ। কারণ শতকরা আশিভাগ মুসলমান ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ) ইমাম মানেন।চার মাজহাব সংক্রান্ত ফতোয়া ইমাম আবু হানিফার (রঃ) নয় বিধায় সেটা বাতিল।এতে মুসলমানদের স্বীকৃত দল শুধু একটাই হয়। একাধীক কোন ভাবেই নয়।
ইজমা না মানলে কোন হাদীস গ্রন্থ ছহী নয়। কারণ সেগুলোর ছহী হওয়ার স্বীকৃতি ক্বোরআন ও হাদীসে নেই।তাহলে ইজমা অমান্য করে আহলে হাদীস ছহী হাদীস কোথায় পায় যা দিয়ে তারা ইমাম অস্বীকার করে?
যে ইজমা হাদীস গ্রন্থকে ছহী সাব্যস্ত করে আপনি সেই ইজমা মানবেন, আর যে ইজমা আবু হানিফাকে (রঃ) আপনার ইমাম সাব্যস্ত করে আপনি সেই ইজমা মানবেন না, এটা কোন নীতি? এটাতো পরিস্কার কূ-নীতি।
আর হাদীস হলো মহানবীর (সঃ) কথা কাজ ও অনুমোদন।যা মহানবীর (সঃ) হাদীস নয় বলে প্রমানীত নয় মহানবীর (সঃ) এমন সব হাদীস তাঁর হাদীস হিসেবে স্বীকৃত।যা হাদীস হিসেবে স্বীকৃত তা’ অবশ্য পালনীয়।প্রমান ছাড়া কোন হাদীসকে হাদীস নয় বলা কুফুরী।কোন হাদীসকে ছহী নয় বলা মহানবীর (সঃ) সাথে বেয়াদবী।কারণ যা মহানবীর (সঃ) হাদীস তা’ অছহী হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। মহানবীর (সঃ) হাদীস অছহী বলা নবুয়ত অস্বীকার করার শামিল।কারণ যার হাদীস অছহী তাঁর নবুয়তের দাবীও অছহী।আর অছহী দাবীতে কেউ নবুয়তেরর স্বীকৃতি পেতে পারেনা।সুতরাং হাদীস শুধুই হাদীস এর বাইরে কিছু নয়।কেউ যদি কোন হাদীসকে অস্বীকারন করে তবে তাকে অবশ্যই সে হাদীস মহানবীর (সঃ) হাদীস নয় বলে প্রমাণ করতে হবে। নতুবা সেই হাদীস মান্যতার তালিকা থেকে কিছুতেই বাদ পড়বেনা।হাদীসের মধ্য হতে শুধু মানসুখ হাদীস সনাক্ত করতে হবে। কারণ মানসুখ হাদীসের আমল রহিত।
ক্বাব ইবনে আশরাফ নামক ইহুদী মুসলমানদের মহানবীর (সঃ) অনুসরন থেকে অমুসলমান বানানোর জন্য ব্যাপক কুৎসা রটনা করে কিন্তু সে সফল হয়নি কারণ তার ইহুদী পরিচয় তাকে অসফল করে। মহানবী (সঃ) ক্বাব ইবনে আশরাফকে মৃত্যু দন্ড দিয়েছিলেন।কিন্তু ইহুদী আব্দুল্লাহ ইবনে সাবা ও তার দল বুজর্গ মুসলমানের ভেস ধরে, সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ), তাবেঈ (রঃ) ও তাবে তাবেঈগনের (রঃ) ব্যাপক কূৎসা রটনা করে। ফলে (১) একদল মুসলমান হজরত ওসমানকে (রাঃ) অপরাধী সাব্যস্ত করে (শহীদ) হত্যাকরে যাদের সংখ্যাছিল পাঁচ হাজার।ফলে (২) একদল মুসলমান হজরত আলীকে (রাঃ) কাফের ফতুয়া দিয়ে (শহীদ) হত্যাকরে। এদেরকে খারেজী বলে। এরা খুব বুজর্গ জীবন যাপন করতো।ফলে (৩) একদল মুসলমান হজরত আমর ইবনুল আস (রাঃ) ও হজরত মুয়াবিয়া (রাঃ) কে কাফের ফতুয়া দিয়ে আলাদা দল ঘটন করে। এদেরকে শীয়া বলে।ফলে (৪) একদল মুসলমান তাবেঈ (রঃ) ও তাবে তাবেঈগনকে (রঃ) জয়ীফ স্বাব্যস্ত করে হাদীসে ছহী জয়ীফ ইত্যাদী শ্রেণীভেদ করে। এরাই কালক্রমে শক্তি সঞ্চয় করে এখন আহলে হাদীস নাম নিয়ে মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে।এরা জয়ীফ ফতুয়া দিয়ে হাজার হাজার হাদীস অস্বীকার করে ইসলামের বিভিন্ন ইবাদতকে বিদয়াতন বলছে।
ইমাম বোখারীর (রঃ) অবস্থা দেখুন তিনি ছহী মনেকরে একলক্ষ হাদীস সংগ্রহ করে তিরানব্বই হাজার হাদীস বাদ দিয়ে মাত্র সাত হাজার হাদীস গ্রহণ করেন। এখন তাঁর চেলা আহলে হাদীস বলছে এটা হাদীসে নেই সেটা হাদীসে নেই, তো বাপু তোমাদের গুরু সব হাদীস ফেলে দিলে হাদীসে থাকে কেমন করে? কিন্তু প্রমাণ ছাড়া কোন হাদীস অস্বীকার করা সঠিক নয়।
যারা বিভ্রান্তিতে জড়ীয়ে পড়েছেন তারা ইমামের অনুসারী না হওয়াই স্বাভাবিক।সুতরাং সকল প্রমাণে মুসলমানদের অনুসরনীয় ইমাম একজন ইমাম আবু হানিফা (রঃ)। যাঁকে সব মুসলমান মানলে মুসলামানদের দল একটিই থাকে। আর মুসলমানদের একদল থাকতে আল্লাহ এবং তার নবী (সঃ) বলেছেন।যেহেতু ইমাম সব ফয়সালা ক্বোরআন ও হাদীস মতে প্রদান করেছেন সেহেতু তাঁকে মানলেই ক্বোরআন ও হাদীস মানা হবে। তিনি যে সব হাদীস মানেননি সেগুলো মূলত মানসুখ (বিধান রহিত) হাদীস।
ক্বোরআন ও হাদীসের আলোকে ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসরনের শতভাগ সঠিকতা প্রমাণ করা যায় এবং আমি এর বহু প্রমাণ দিয়েছি।আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথে অবিচল রাখুন (আমিন)।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইমাম আবু হানিফার (রঃ) বিরোধীতার কারণ
প্রথমে ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ) হত্যা করা হলো। তারপর মাজহাবের তিন ইমাম তাঁর বিরোধীতা করলো। ছিয়াছিত্তার ইমামগন তাঁর অনুসারী হয়নি। আর এখন আহলে হাদীস তাঁর অনুসরন থেকে লোকদের ফিরাতে মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে। তথাপি তাঁর অনুসরী শতকরা আশিভাগ মুসলমান। বিষয়টি বিস্ময়কর।
আমি ইমাম আবু হানিফার (রঃ) শতভাগ বিশুদ্ধতার বহু প্রমাণ উপস্থাপন করেছি। এ বিশুদ্ধতার কারনেই মূলত তাঁর অনুসরন থেকে লোকদের ফিরানো যাচ্ছে না এবং যুগে যুগে যারাই ইমাম আবু হানিফার (রঃ) ভুল ধরেছে অবশেষে তারাই ভুল প্রমাণীত হয়েছে।
ভুল বশত যে সব মহামান্য ইমামগন ইমাম আবু হানিফার (রঃ) ভুল ধরেছেন ইসলামে তাদের অবদানও কম নয় সে জন্য আমরা তাঁদের সম্মান করি তবে তাদের ভুলের অনুসরন করতে আমরা অপারগ। ছিয়াছিত্তার ইমামগন হাদীস সংকলন করে খুব একটা বড় কাজ করেছেন সেজন্য আমরা তাঁদের সম্মান করি কিন্তু তাঁদের ইমাম আবু হানিফার অনুসারী না হওয়া আমরা ভুল মনে করি বিধায় আমরা তাদের বিষয়কে আমলে না নিয়ে ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসরন অব্যাহত রেখেছি।কারণ কোন ব্যক্তি তিনি যেই হননা কেন তাঁর ভুলের অনুসরন করা যায়না।
এখন ক্বোরআন ও হাদীস পুরাপুরি বিদ্যমান। ইমাম আবু হানিফার (রঃ) সকল মাসয়ালা এখন ক্বোরআন ও হাদীস দিয়েই সঠিক প্রমাণ করা যায়। এর জন্য এখন আর কিয়াছের দরকার নেই।শুধু এর জন্য আপনাকে কষ্টকরে ক্বোরআন হাদীস থেকে প্রয়োজনীয় প্রমাণ খুঁজে নিতে হবে।ইমাম আবু হানিফার (রঃ) যে সব মাসয়ালা হাদীসের সাথে মিলেনা সেইসব হাদীস মূলত মানসুখ। তারমানে সে সব হাদীসের বিধান রহিত। সে সব হাদীস নামাজে পালন করলে আমলে কাছিরের দায়ে নামাজ বরবাদ হবে।
এখন প্রসঙ্গত একটি প্রশ্ন আসে যিনি এতটা বিশুদ্ধ শতকরা আশিভাগ মুসলমান তাঁর অনুসরী তবে বিশভাগ তাঁর অনুসারী নয় কেন? এর অন্যতম প্রধান কারন ইরাক হজরত আলী (রাঃ), আব্বাসীয় খেলাফত ও ইমাম আবু হানিফা (রঃ) এক সূত্রে গাঁথা। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) মূলত হজরত আলীর (রাঃ) ফটোকপি।শীয়া সহ হজরত আলীর (রঃ) অনুসারী শতকরা নব্বইভাগ মুসলমান।কিন্তু হজরত আলী বিরোধী উমাইয়াদের প্রতি সহনশীল থাকায় শীয়ারা ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারী হয়নি।আর খারেজীরা হজরত আলীর (রাঃ) বিরোধী হওয়ায় ইমাম আবু হানিফার অনুসারী (রঃ) হয়নি।ইমাম শাফেঈর (রঃ) জন্ম গাজায় আর কর্মস্থল মিশরে হওয়ায় সেই অঞ্চলের জনসাধারন তাঁর অনুসারী হয়েছে আঞ্চলিকতার কারণে।কিন্তু ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের জন্ম ও কর্মস্থল ইরাকে হওয়ায় তাঁর অনুসারী নেই বল্লেই চলে। এ অঞ্চলের (ইরান সহ) জনগন শীয়া ও হানাফী।ইমাম মালেকের জন্ম ও কর্মস্থল মদীনায় হওয়ায় আঞ্চলিকতার কারনে সৌদী আরবের জনগন ইমাম মালেকের (রঃ) অনুসরীছিল। তবে এখন তাঁর অনুসরন নেই বল্লেই চলে।তারা এখন প্রায় আহলে হাদীস।কিন্তু যে সব স্থানে এ করণ সমূহ নেই সে সব স্থানে ইমাম আবু হানিফার (রঃ) জয় জয় কার।সংগত কারণে তাঁর অনুসারী শতকরা আশি ভাগ।অবস্থার প্রেক্ষাপটে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত চার ইমামের অনুসরন সঠিক বলে রায় দিয়েছিল।মুসলমানদের চার দলকে এক দল করতে গিয়ে আহলে হাদীস দল সংখ্যা একটা বাড়িয়ে পাঁচটি করেছে। চার দলের লোকেরা ভাবল দল আরো একটা বেড়ে পাঁচটা হলে ক্ষতি কি? সুতরাং তারা নবগতদের সহজ ভাবে মেনে নিল।কিন্তু নবাগতরা যখন বল্ল চার ইমামের অনুসরন না জায়েজ তখন ভেজাল শুরু হল। ইমাম মালেকের (রঃ) অনুসারীরা নবাগতদের দলে যোগ দিলেও ইমাম শাফেঈ (রঃ) ও ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারীরা তাদের দলে যোগ দিচ্ছেনা।এর কারণ আহলে হাদীসের ফতোয়া ভুল।কারণ ইমামের অনুসরন আগে আর তাদের আগমন পরে।এতকাল সকল আল্লাহর বান্দা ও নবীর (সঃ) উম্মত ভুল পথে থাকবে আর সেটা ক্বোরআন ও হাদীসে থাকবে না, এটা হতেই পারেনা। কারণ ক্বোরআনে ও হাদীসে বহু ভবিষ্যতের কথা আছে অথচ সকল মুসলমান ভুল পথে থাকার ঘটনা ক্বোরআন ও হাদীসে থাকবে না এটা কি করে হয়? অথচ ক্বোরআন বলছে উহা হুদাল্লিল মুত্তাকীন। সবাই ভুল পথে যাওয়ার ঘটনা উল্লেখ না করে পথ না দেখালে উহা কেমন কি হুদাল্লিল মুত্তকীন হয়? সুতরাং পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে নবগত এ দলটি মুসলমানদের গোমরাহ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।
ইমাম আবু হানিফার (রঃ) কিছু মাসয়ালা কিছু হাদীসের সাথে গরমিল কিন্তু সে সকল হাদীস মানসুখ।এর প্রমাণ সে সব হাদীস হজরত আলীর (রাঃ) আমলে ছিলনা। কারণ হজরত আলীর (রাঃ) রাজধানী কুফায় বসে তার আমলের বিপরীত ফতোয়া দেওয়া কিছুতেই সম্ভব হতে পারে না।আর হাদীসের ইমামগন ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারী ছিলেন না বিধায় কোন হাদীস গোপন করা হয়েছে কিনা সেটাও একটা প্রশ্ন। সে যাই হোক মানসুখ ছহী হাদীসের চেয়ে হজরত আলীর (রাঃ) আমল অধীক গুরত্বপূর্ণ। হাদীসের ইমামগন হাদীসের মান যাচাই করেছেন, ছহী ও মানসুখ নিরুপন করেননি। এর প্রধান প্রমাণ উটের মূত্রপান সংক্রান্ত মুসলীম শরীফের ছহী হাদীস।
‘ইন্নামাল আ’মালু বিননিয়াত’ হাদীস দ্বারা যারা ভুলক্রমে ভুল পথে তাদের মুক্তির ব্যবস্থা রয়েছে।তবে হাদীসের ইমামগন যে ফিকাহ এর কাজ করেননি সেটা সুস্পষ্ট। একটা মেধাবী টিম তৈরী করাগেলে ছহী মানসুখ হাদীস সমূহ সনাক্ত করা কঠিন হবেনা। আর এখন তা’করা সময়ের দাবী।কারণ ছহী মানসুখ হাদীস আমল বরবাদ করে।
সারাংশে বলব ইমাম আবু হারিফার (রঃ) বিরোধীতার প্রধান কারণ অসনাক্ত ছহী মানসুখ হাদীস, আঞ্চলিকতা ও রাজনৈতিক বিরোধ।নতুবা তাঁর অনুসরী আশিভাগ নয় বরং শতভাগ মুসলীমই হতো।আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথে থাকার ও আসার তাওফিক দান করুন – আমিন।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: শতভাগ বিশুদ্ধ ইসলাম (সংযোজীত সহ)
হজরত আলী (রাঃ) মহানবীর (সঃ) নবুয়তের তেইশ বছর তাঁর সাথে ছায়ার মতো ছিলেন।হজরত আবু বকর (রাঃ), হজরত ওমর (রাঃ) ও হজরত ওসমানের (রাঃ)সাথে তিনি ছায়ার মতো ছিলেন। ইসলামের স্বর্ণ যুগের (নবুয়ত ও খোলাফায়ে রাশেদার) তিপ্পান্ন বছর তিনি ইসলামী বিধিবিধানের কেন্দ্রে অবস্থান করেছেন।কোন হাদীস তিনি জানতেন না এমন কথা সত্য হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।তথাপি যদি তিনি কোন হাদীসের আমল না করে থাকেন তবে সে হাদীস অবশ্যই জাল অথবা মানসুখ।কারন তাঁর ইসলামের অনুসরন মহানবী (সঃ) কর্তৃক সত্যায়িত।সুতরাং তাঁর অনুসারিত ইসলাম শতভাগ বিশুদ্ধ।সেই ইসলাম তিনি কুফায় নিয়ে এসেছেন।সেই ইসলাম ইমাম আবু হানিফা (রঃ) লিপিবদ্ধ করেছেন।সেই ইসলামের বিরোধীতা ইমাম আবু হানিফার (রঃ) জীবদ্ধশায় ছিলনা।পরে ভুল বশত মানসুখ ছহী হাদীস দ্বারা ইমাম আবু হানিফার (রঃ) বিরোধীতা করা হলেও মুসলমানগন সেই বিরোধীতা গ্রহণ করেনি।
হজরত মুয়াবিয়ার (রাঃ) প্রতি সম্মান প্রদর্শন করায় শীয়াগন ইমাম আবু হানিফার অনুসারী হয়নি। খারেজীরা হজরত আলীর (রাঃ) বিরোধী হওয়ায় ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারী হয়নি। আব্বাসীয় খেলাফত ইমাম আবু হানিফার স্বীকৃতি প্রদান করায় উমাইয়া সমর্থকদের অনেকে ইমাম আবু হানিফার অনুসারী হয়নি।তাদের অনেকে মানসুখ ছহী হাদীস দ্বারা যারা ইমাম আবু হানিফার (রঃ) বিরোধীতা করেছে তাদের দলে যোগ দিয়েছে।আহলে হাদীস দলটি সেই দল সমূহের একটি। হাদীসের অনেক ইমামও সেইসব মানসুখ ছহী হাদীসের প্রভাবে ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসরন থেকে বিরত থেকেছে।তথাপি শতকরা আশিভাগ মুসলমান হজরত আলী (রাঃ) থেকে প্রাপ্ত ও ইমাম আবু হানিফা কর্তৃক লিপিবদ্ধ বিশুদ্ধ ইসলামের অনুসারী।হজরত ওসমানের (রাঃ) হত্যাকান্ড ও হজরত আলী (রাঃ ও হজরত মুয়াবীয়ার (রাঃ) দ্বন্দ্ব না হলে ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসরন শতকরা পঁচানব্বই ভাগের বেশী হতো বলে আমি মনে করি।
হেদায়েতের অন্যতম শর্ত হলো ক্বোরআন, হাদীস ও সাহাবায়ে কেরামের সাথে অশোভন আচরন করা থেকে বিরত থাকা।যারা এ অভিযোগে অভিযুক্ত তাদেরকে আল্লাহ গোমরাহীতে নিমজ্জিত করবেন এটাই স্বাভাবিক।কাজেই তাদের ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসরন না করা হিসাবযোগ্য নয়। আর যারা ভুল বশত তাঁর অনুসরন থেকে বিরত ছিলেন আল্লাহ তাঁদেরকে ক্ষমান করুন।আর তাঁদের ভুল মূলত গোমরাহদের গোমরা করার জন্য। সকলি আল্লাহর কুদরত।
হজরত আলীর (রাঃ) অনুসরনের বিপরীত মানসুখ ছহী হাদীসের অনুসরন নামাজে করা হলে উহা আমলে কাছির হিসেবে গন্য হবে এবং নামাজ ভঙ্গ ও বরবাদ হবে।আর কারো নামাজই যদি বরবাদ হয় তবে তার ইসলামের আর থাকে কি? তার গোমরা হওয়া অবধারীত। আল্লাহ আমাদেরকে এসব গোমরা লোক থেকে হেফাজত করুন- আমিন।
সংশ্লিষ্টঃ-

(১ )ইমাম আবু হানিফা (রঃ) নতুন কোন ইসলাম আবিষ্কার করেননি, তিনি মহানবীর (সঃ) প্রচারীত ইসলাম হজরত আলীর (রাঃ) মাধ্যমে প্রাপ্ত হয়ে লিপিবদ্ধ করেছেন মাত্র। যে সব বিষয়কে তাঁর কিয়াছ বলা হয় সেসব বিষয়ের প্রত্যেকটির অনুকূলে আমি ক্বোরআন ও হাদীস উপস্থাপনের যোগ্যতা রাখি-ইনশা আল্লাহ। কাজেই সেগুলো মূলত কিয়াছ নয় বরং ক্বোরআন ও হাদীস সম্মত। ইমাম আবু হানিফার (রঃ) জীবদ্দশায় চার মাজহাব ছিলনা। কাজেই তাঁর পক্ষে চার মাজহারে যে কোন একটি মানলেই হবে এমন বলা সম্ভব নয়। কাজেই এটা ভিত্তিহীন কথা। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বিশুদ্ধ ইসলামের একজন মাননীয় লিপিকার মাত্র। কাজেই তাঁর অনুসরন মানে নিচক তাঁর অনুসরন নয়, বরং তাঁর অনুসরন মানে বিশুদ্ধতম ইসলামের অনুসরন। তিনি ছাড়া অন্য মতভেদীদের অনুসরন যে মোটেও সঠিক নয় ইনশাআল্লাহ তা প্রমাণের সক্ষমতা আল্লাহ আমাকে প্রদান করেছেন। তবে ক্ষুদ্র পরিসরে অতকথা লেখা সম্ভব নয় বিধায় এখানে অতি সংক্ষেপে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।
(২) হজরত আলী (রাঃ) ইসলামের ফটো কাপি যার সত্যায়িতকারী মহানবী (সঃ) , আর হজরত আলীর (রাঃ) ফটো কপি ইমাম আবু হানিফা (রঃ) যা ক্বোরআন ও হাদীস দিয়ে শতভাগ সত্যায়ন করা যায়। কজেই এটাই বিশুদ্ধতম ইসলাম এর একচুল অনুসরন বাদ দেওয়ার কোন সুযুগ নেই।
(৩) ইসলামের স্বর্ণ যুগের সবচেয়ে বেশী অংশের ধারক হজরত আলী (রাঃ)।
(৪) মহান আল্লাহ বলেছেন, তোমরা একত্রে আল্লাহর দড়ি ধর, পৃথক হয়োনা। আয়াত অনুযায়ী মুসলমানদের এক দলের অধীক হওয়ার সুযুগ নেই। হাদীসে এক দল হওয়ার পদ্ধতি হিসেবে বলা হয়েছে, মহানবী (সঃ) বলেছেন, আমার সহাবাগন তারার মতো, তোমরা তাদের যে কোন একজনের অনুসরন করলে হেদায়েত পাবে। হাদীসে তোমরা বলতে মহানবীর (সঃ) সকল উম্মত যারা সাহাবা নন বরং তাদের পরের উম্মত, কারন সাহাবাগন সরাসরি মহানবীর (সঃ) অনুসরন করেছেন। তারমানে সাহাবা যুগর পরের সকল উম্মত মিলে যে কোন একজন সাহাবীর অনুসরন করলে হেদায়েত প্রাপ্ত হবে। তাতেও দল একটার বেশী হওয়ার সুযুগ নেই কারন সবাই মিলে একজন সাহাবার (রাঃ) অনুসরন করলে দল একের বেশী হওয়ার সুযুগ থাকে না। এখন সেই একজন কে হবে? প্রথমত তিনি হবেন যার মধ্যে ইসলামের পুরোটা বিদ্যমান। যারা রাষ্ট্র নায়ক ছিলেন না রাষ্ট্র নায়কের আইটেম না থাকায় তারা এ তালিকা থেকে বাদ পড়বেন। এখন নবুয়ত ও খেলাফতের তিপ্পান্ন বছরের সর্বাধীক সময় যিনি ইসলামের সাথে যুক্ত ছিলেন সেটা বিবেচনায় নিলে সেই একজন হিসেবে হজরত আলী সনাক্ত হন। এছাড়া অগ্রধীকারের আর কোন সূত্র নেই। সুতরাং যারা সাহাবা নন তাদের হজরত আলীর (রাঃ) অনুসারী না হওয়ার সুযুগ নেই। কাজেই হজরত আলীর আমলের বিপরীত ক্বোরআন ও হাদীস মানসুখ হিসেবে সাব্যস্ত হবে। কারণ যারা সাহাবা নন তাদের জন্য ক্বোরআন ও হাদীস স্বীকৃত ইসলামের নমুনা হজরত আলী (রাঃ)।
আমার কথার আরো প্রমাণ যার দরকার সে আমার কাছে আসুক প্রমাণ প্রস্তত রয়েছে ইনশাআল্লাহ।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০০

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মুসলমানের নামাজ
মেরাজের রাতে নামাজ ফরজ হওয়ার পর থেকে মুসলমানেরা নিয়মিত প্রতিদিন পাঁচবার নামাজ পড়ে এবং প্রতিদিন পাঁচবার তারা ইমামের পিছনে নামাজ আদায় করে।কিন্তু সাহবা (রাঃ)যামানার পরপরই তাবেঈ যামানায় এসে হঠাৎ একদিন নামাজে তাদের হাত বুক থেকে নেমে গেল যা তারা টের পায় নাই। তারা যে রাফেউল ইয়াদাইন করতো সে কথাও তারা একদিন ভুলে গেল। বহুকাল পরে সংকলিত হাদীস পাঠ করে তারা অবশেষে তাদের ভুল বুঝতে পারল! এটাওকি সম্ভব? যদি হয় তবে সেটা কিভাবে সম্ভব? নাকি বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারী হাদীস সমূহ মানসুখ। বাস্তবে আসলে কোনটা সম্ভব?
নামাজে মুসলমানদের হাত বুক থেকে নামা ও রাফেউল ইয়াদাইন ভুলে যাওয়ার ঘটনা ঘটল চতুর্থ খলিফা হজরত আলী (রাঃ) ও তাঁর সমর্থক আব্বাসীয় খেলাফতের রাজধানী কূফায়।আব্বাসীয় শাসনের শুরুতে।এটাও কি সম্ভব? নাকি মুসলমানেরা আবু হানিফা (রঃ) নামক একজন ইমাম বলেছিল বলে এটা করে ছিল? কেন তারা এমন করল, তারা কি মহানবীকে (সঃ) বাদ দিয়ে আবু হানিফাকে (রঃ) নবী মেনেছিল? নাউযুবিল্লাহ।
আপনারাকি বলতে পারেন প্রাত্যহীক একটা কাজে পথ ভ্রষ্ট হওয়া ছাড়া এমন কোন ঘটনা কি ঘটতে পারে? তাহলে এ পথ ভ্রষ্ট হওয়ার কারণ কি? নাকি কেউ ভুল বশত মানসুখ হাদীস দিয়ে মুসলমানদের চলমান নামাজ বদলাতে চেয়েছিল? কোনটা সম্ভব?
মুসলমানদের নিকট কে গুরত্বপূর্ণ ছিল হজরত আলী (রাঃ) না ইমাম আবু হানিফা (রঃ)? আর ঘটনা যদি এমন হয় যে হজরত আলীর (রাঃ) নামাজই ইমাম আবু হানিফা (রঃ) লিপিবদ্ধ করেছিলেন, তবে এর বিপরীতে হাদীসের অনুসন্ধানের দরকার আছে কি? হজরত আলী (রাঃ)কি হাদীসের বাইরের কেউ? যদি ঘটনা এমন হয় যে হজরত আলীর (রাঃ) নামাজই ইমাম আবু হানিফা (রঃ) লিপিবদ্ধ করেছিলেন তবে এর বিপরীত হাদীস অবশ্যই মানসুখ তাতে চুল পরিমান সন্দেহের অবকাশ নেই।কারণ মুসলমান হওয়ার আগে ও পরে হজরত আলীর (রাঃ) গোটা জীবনই কেটেছে মহানবীর (সঃ) সাথে।কারণ আব্দুল মোত্তালীব আবু তালেবের উপর মহানবীর (সঃ) লালন পালনের ভার দিয়েছিলেন যিনি ছিলেন হজরত আলীর (রাঃ) পিতা। তারমানে মহানবী (সঃ) ছিলেন হজরত আলীর (রাঃ) পরিবারের একজন সদস্য ও বড় ভাই। হজরত খাদিজা (রাঃ) ছিলেন তাঁর ভাবী। আর ভাবীর সাথেই তিনি প্রথম কাতারের মুসলমান।তারপর মহানবীর (সঃ) জামাতা হয়ে তিনি আবারো মহানবীর (সঃ) পরিবারের সদস্য ছিলেন। কাজেই হজরত আলীর (রাঃ) এমন কোন হাদীস অজানা থাকার কথা নয় যা অন্যরা জানতো।বাস্তব হলো হজরত আলীও (রাঃ) তাঁর নামাজের বিপরীত সেই ছহী হাদীস সমূহ জানতেন তবে মনসুখ হিসেবে। হাদীস বিশারদ ইমাম হাম্মাদের (রঃ) ছাত্র যিনি মক্কা ও মদীনায় ছয় বছর থেকে হাদীস সংগ্রহন করেছেন সেই ইমাম আবু হানিফারও (রঃ) সেসব হাদীস না জানার কথা নয়। সেই সব হাদীস জেনে শুনেই তারা সেই সব হাদীস দিয়ে চলমান নামাজ বদলাননি। এখন কতিপয় বলদ বলছে ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বলেছেন তাঁর ফতুয়ার সাথে হাদীস যদি না মিলে তবে তাঁর ফতুয়া বাদ দিয়ে হাদীস মানতে হবে, তাই বলে যে হাদীস মানসুখ হওয়ার দায়ে ইমাম আবু হানিফা (রঃ) নিজেই মানেননি আমাদেরকে সেই হাদীস মেনে আমাদের নামাজ নষ্ট করতে হবে? সেই সব হাদীস যেহেতু মানসুখ তো সেগুলোর আমলতো আমলে কাছির, আর বাস্তব কথা হলো নামাজে আমলে কাছির করলে নামাজ ভঙ্গ হয়।
কে মহানবীর (সঃ) নামাজ পড়ছেনা তা’জেনে আমাদের দরকার কি? মহানবীর (সঃ) নামাজ কোন ছহী মানসুখ হাদীস দ্বারা স্বাব্যস্ত হবেনা, কারণ এ ইবাদত চলমান।যদি চলমান নামাজ শুধুমাত্র হজরত আলীর (রাঃ) সাথে মিলে থাকে তবে এ ক্ষেত্রে আর কোন শরীফের কোন হাদীসের দরকার নেই। কারণ শরীফের ইমামগন হজরত আলীর (রাঃ) পায়ের ধুলীরও তুল্য নয়।আর ইমাম আবু হানিফাও শরীফের ইমামগনের চেয়ে অনেক সিনিয়র ইমাম।শরীফের ইমামগন তাঁর অনুসরন না করলে কার কি আসে যায়।আমরা শরীফের ইমামগনের উপর ঈমান আনিনি। কাজেই তাদের অনুসরন করা ও না করার কথা আমাদের নিকট নেহায়েত বেদরকারী কথা। আল্লাহ তাঁদের ক্ষমা করুন এবং মানসুখ ছহী হাদীস দ্বারা আমাদের নামাজ নষ্ট হওয়া থেকে আমাদের হেফাজত করুন।
একটা মহা বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে দেড় হাজার বছর পরেও মুসলমান নামাজে কোথায় হাত বাঁধবে তা’ নিয়ে তর্ক করছে! তবে কি তাদের ক্বোরআন ও হাদীস তাদের পথ দেখাতে পারে না? অমুসলীমদের এসব প্রশ্নে বিব্রত হতে হয়।অথচ গোমরা লোকেরা ইসলামের রাজপথ ছেড়ে বিপথে হাঁটছে। আমার মধ্যে যে সব ত্রুটি আছে আমি সে গুলোকে ইসলাম বলি না বরং ওজর বলি এবং আল্লাহ নিকট ক্ষমা চাই। তা’ছাড়া আমি ইসলামের দলিল নই। ইসলামের দলিল হলো ক্বোরআন হাদীস ও সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) আমাল। এ তিনটাকেই আমি সত্যের মাপকাঠি মানি। সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) মাজহাব মানার দরকার নেই। কারন মাজহাবের ইমাম সাহাবায়ে কেরমকে মেনে চলেছেন।কাজেই সাহাবায়ে কেরামের অনুসরনই মাজহাব।মাজহাব বাদ দেওয়া মানে সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) অনুসরন বাদদিয়ে ছহী মানসুখ হাদীস মেনে আমল বরবাদ করা। আল্লাহ আমাদেরকে লা মাজহাবী ফেতনা ও ফের্কা থেকে হেফাজত করুন, আমিন।
বিঃদ্রঃ চলমান ইবাদতের বিপরীত ছহী মনসুখ হাদীস যিনি প্রচার করবেন এটা তাঁর ত্রুটি, এটা অবশ্যই চলমান ইবাদতের ত্রুটি নয়। বুদ্ধিমান মানুষ এসব বুঝে বলেই তাদেরকে কোন ভাবেই কোন অখাদ্য গিলানো যাচ্ছেনা। এমনকি কোন শরীফের দোহাই দিয়েও তা’পারা যাচ্ছেনা। বরং শতকরা আশি ভাগ মুসলমান ইমাম আবু হানিফার (রঃ) দেখানো ছহী পথেই রয়েছে যা মানসুখের বিপরীত হলেও ক্বোরআন ও হাদীসের চুল পরিমানও বিপরীত নয়।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০১

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ও হেদায়েত
ক্বোরআন ও হাদীসের সমম্বয় করে ইসলামী আইন শাস্ত্র তথা ফিকাহ সংকলন করেছেন ইমাম আবু হানিফা (রঃ) যা আব্বাসীয় খেলাফত কর্তৃক গৃহীত হয়।ফোজদারী আইন প্রয়োজন রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র গ্রহণ না করলে সেই আইনের স্বার্থকতা নেই।ইমাম আবু হানিফা (রঃ) সংকলিত ইসলামী আইন শাস্ত্র পরীক্ষিত, নিরীক্ষিত ও বাস্তবায়ীত।ইমাম আবু হানিফা (রঃ) সংকলিত ইসলামী আইন শাস্ত্রের মতো শক্তিশালী আইন শাস্ত্র আর একটিও পৃথিবীতে বিদ্যমান নেই এবং এর সাথে ক্বোরআন ও হাদীসের বিরোধ না থাকা পরীক্ষিত ও নিরীক্ষিত। যা সম্পন্ন করেছেন ততকালীন খেলাফতের (আব্বাসীয় খেলাফতের) প্রধান কাজী ইমাম আবু ইউসুফ (রঃ) এবং তা’ রাষ্ট্রের প্রয়োজনে।যেন তিনি কোন অপরাধীকে ইসলাম বিরোধী দন্ড প্রদান করে আল্লাহর আদালতে অপরাধী সাব্যস্ত না হন।ইমাম আবু হানিফা (রঃ) কাজীর পদ গ্রহণ করেননি, কারণ তিনি নিজের সংকলীত ইসলামী আইন শাস্ত্রের পরীক্ষা ও নিরীক্ষা সম্পন্ন করতে পারেননি। কাজেই ইমাম আবু হানিফা (রঃ) সংকলীত ইসলামী আইন শাস্ত্রের সংকলক ইমাম আবু হানিফা (রঃ) হলেও এর প্রথম সম্পাদক ইমাম আবু ইউসুফ (রঃ)।সম্পাদন করা কালীন তিনি এর ত্রুটি সংশোধন করেছেন।এরপর ইমাম মুহাম্মদ, ইমাম জুফার, ওলামায়ে মোতাকাদ্দেমীন ও ওলামায়ে মোতাআখখেরীন কর্তৃক এ ইসলামী আইন শাস্ত্র পরিশুদ্ধ হয়েছে। ক্বোরআন ও হাদীস মানার সাথে ইসলামী আইন শাস্ত্র তথা ফিকাহ মানায় কোন বিরোধ নেই। যারা ফিকাহ বাদ দিয়ে ক্বোরআন ও হাদীস মানতে বলে তারা শয়তান, কারন ফিকাহ হলো ইসলামের গভীর জ্ঞান। ইসলামের গভীর জ্ঞান বাদ দিয়ে ক্বোরআন ও হাদীস মানায় কোন যুক্তি আছে কি? এখন যদি বলা হয় সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) এটা মেনেছেন কি? এর জবাব হলো সাহাবায়ে কেরাম যা মেনেছেন সেইটাই ফিকাহতে লিপিব্ধ হয়েছে। কাজেই সাহাবায়ে কেরামের মানার সাথে ফিকাহ এর কোন বিরোধ নেই। তাঁদের মানার গ্রন্থ রূপই হলো ফিকাহ। আপনি যদি ক্বোরআন ও হাদীসের সাথে সাহাবায়ে কেরামকেও (রাঃ) মানতে চান তবে আপনাকে ক্বোরআন, হাদীস ও ফিকাহ মানতে হবে।
আমার কথার প্রমাণ হলো, হজরত আলীর (রাঃ) রাজধানী কূফা।ইমাম আবু হানিফার (রঃ) বাসস্থান কূফা।ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ও হজরত আলীর (রাঃ) মধ্যে সময় ও বাসস্থানগত ব্যবধান সামান্য, যারা তাঁর সাথে বিরোধ করেছেন তাদের এ ব্যবধান অনেক বেশী।হজরত আলীর (রাঃ) ইমামতিতে নামাজ আদায়কারী মুসল্লীদের বিপরীত ফতোয়া দিয়ে ইমাম আবু হানিফার পিঠের চামড়া ঠিক থাকার কথা নয়।যেহেতু কূফাবাসী ইমাম আবু হানিফার (রঃ) পিঠের চামড়া না তুলে তাঁকে ইমাম মেনেছেন সেহেতু কূফাবাসীর সত্যায়নে তিনি শুদ্ধ। এরপর পরবর্তীদের প্রচেষ্টায় এটা পরিশুদ্ধ হয়েছে।
মহানবী (সঃ) চাচা আবু তালেবের পরিবারের সদস্য ছিলেন।আবু তালেবের ছেলে আলী (রাঃ)।কাজেই মহানবী আলীদের (রাঃ) পরিবারের সদস্য ছিলেন। নবুয়তের শুরূ থেকে শেষ অবদী হজরত আলী (রাঃ) মহানবীর (সঃ) সাথে ছিলেন। কাজেই হজরত আলীর (রাঃ) ইসলাম বিশুদ্ধ ইসলাম যা ইমাম আবু হানিফা (রাঃ) গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ করেছেন। কাজেই ইমাম আবু হানিফা (রঃ) সংকলীত ইসলাম বিশুদ্ধ ইসলাম।কাজেই এর বাইরে আর কোন ইসলাম তালাস করার দরকার নেই।
ইমাম আবু হানিফার (রঃ) বিরোধীতার কারন, হাসেমী ও উমাইয়া দ্বন্দ্ব, আব্বাসীয় ও উমাইয়া দ্বন্দ্ব, ইরাক ও সিরিয়া-মিশর দ্বন্দ্ব, আরব ও অনারব দ্বন্দ্ব।শীয়ারা ইমাম আবু হানিফার (রঃ) বিরোধী হওয়ার কারন ইমামের হজরত মুয়াবীয়ার (রাঃ) স্বীকৃতি।খারেজীরা ইমাম আবু হানিফার বিরোধী হওয়ার কারন ইমামের হজরত আলীর (রাঃ) স্বীকৃতি।এ সকল দ্বন্দ্বে বাদপড়া বিশভাগ মুসলমান ছাড়া বাকী শতকরা আশিভাগ মুসলমান ইমাম আবুহানিফার (রঃ) অনুসারী। আব্বাসীয় খেলাফত স্বীকৃত ইরাকী ও অনারব ইমাম মানা উমাইয়া, সিরিয়া-মিশর বাসী ও আরব জাতীয়তাবাদের ধারকদের পক্ষে খুব কঠিন ছিল।এ জন্য তারা যুগ যুগে ইমাম আবু হানিফার খুঁত খুঁজে বের করে তাঁর বিরোধীতার চেষ্টা করেছে যদিও তাদের সে খুঁত ধরা সঠিক ছিলানা বিধায় তা’ মসলমানদের দ্বারা গৃহীত হয়নি। হাদীসের প্রসিদ্ধ ইমামগন ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বিরোধী পক্ষের অনুসারী ছিলেন বিধায় তারা ইমাম আবু হানিফার (রঃ) মতের অনুকূল কিছু হাদীসের গুরুত্ব অনুধাবন করতে পারেননি।কিন্তু তাঁদের সংকলীত হাদীস মিয়ারে হক হলেও তাঁরা সেটা নন। কাজেই তাঁরা কার অনুসরন করেছেন এটা আমাদের নিকট বিবেচ্য বিষয় নয়।
যে সকল ছহী হাদীস মানসুখ সেসকল ছহী হাদীস পাঠ করা গেলেও পালন করা যাবে না।ইমাম আবু হানিফার (রঃ) নামাজ ও হজরত আলীর (রাঃ) নামাজ এক নামাজ। কারণ হজরত আলীর (রাঃ) বিপরীত নামাজের কথা বলে হজরত আলীর রাজধারী কূফায় (হজরত আলীর (রাঃ) শাহাদাতের সামান্য পরে) তাঁর পিঠের চামড়া রক্ষা করতে পারার কথা ছিলনা।সুতরাং এ নামাজের বিপরীত হাদীস সমূহ যে মানসুখ তাতে কোন সন্দেহ থাকার কথা নয়।এখন মানসুখ হাদীস মতে নামাজ পড়লে তা’ আমলে কাছির হিসেবে গন্য হবে এবং এতে নামাজ ভঙ্গ হবে।সোজাকথা হজরত আলী (রাঃ) ও ইমাম আবু হানিফার (রঃ) মত বিরুদ্ধ নামাজ হবেনা।তবে এটাকে ভুল হিসেবে ধরে যদি আল্লাহ মাপ করেন সেটা ভিন্ন কথা।
সৌদি বাদশা ও সৌদি আরবের কিছু সংখ্যক লোক ইসলামের দলিল নয়। কারন এ সৌদি আরব যে অঞ্চলে সে অঞ্চলের লোকেরাই ক্বাবা ঘরে ৩৬০ টি মূর্তি ঢুকিয়েছে। যা সেখান থেকে বের করতে মহানবীর (সঃ) একুশ বছর লেগেছে। এখন তারা আবার সিরীয় আলবানী উদ্ভাবীত আহলে খবিশ আমদানী করেছে।যা ইসলামে এক জঘন্য ফেতনা।
ক্বোরআন ও হাদীসের সমম্বয়, গ্রন্থাকারে লিপিবদ্ধ করন দোষনীয় নয়। সেটাই ইমাম আবু হানিফা (রঃ) করেছেন। তাঁকে মান্য করলেই ক্বোরআন ও হাদীস মান্য করা হয়। ক্বোরআন ও হাদীসের মহা সাগর থেকে মাসয়ালা বের করে তা’ মান্যকরা সাধারণের পক্ষে সম্ভব নয়।সাধারন মানুষকে যারা এ কঠিন কাজ করতে বলে তারা শয়তান। তাদের উদ্দেশ্য এতে সাধারণ মানুষ অক্ষম ও বিরক্ত হয়ে ইসলাম ছেড়ে দিবে।
সঠিক কিতাবের সঠিকতা সেই সঠিক কিতাব দিয়েই নির্ণয় করা যায় এর জন্য আর পাঁচটি বেঠিক কিতাব পড়ার দরকার নেই। গীতা ও বাইবেল যারা মান্য করে তাদের নিকট সঠিক হলেও আমাদের নিকট সঠিক নয় (এখানে সবটা বেঠিকের কথা বলা হয়নি, কারণ এ দুই গ্রন্থের অনেক কথাই ক্বোরআনের সাথে মিলে)।যদি এ দু’গ্রন্থ আমাদের নিকট সঠিক হয়ে থাকে তবে আমরা এগুলো মানি না কেন? তেমনি তারাও ক্বোরআনের সবটা সঠিক এ কথা মানে না। ক্বোরআনের কোন কাজে গীতা ও বাইবেল পাঠের কোন দরকার নেই। এমনকি ইসলামের দাওয়াত দেওয়ার জন্যও গীতা ও বাইবেল পাঠের কোন দরকার নেই।গীতা ও বাইবেলের সমালোচনা করাও বেদরকারী। এর দ্বারা গীতা ও বাইবেলের অনুসারীদের ক্বোরআনের সমালোচনা করার কাজে উচকে দেওয়া হয়।কারো নিকট ক্বোরআন সঠিক হয়েগেলে কি বেঠিক তা’ কি আলোচনার দরকার থাকে? যার নিকট ক্বোরআন বেঠিক সে অন্য ধর্ম গ্রন্থ পাঠ করতে পারে। তেমনি যার নিকট গীতা ও বাইবেল বেঠিক সে ক্বোরআন পাঠ করতে পারে।ডাঃ জাকির নায়েক গীতা ও বাইবেল পাঠ করেছেন, সেটা মানুষকে বলছেন, যারা মুসলমান হয়েও ক্বোরআন পড়েনি, তারা যদি কৌতুহল বশত অন্য ধর্ম গ্রন্থ পাঠ করে এবং ক্বোরআন সম্পর্কে অজ্ঞানতা বশত সেই সব ধর্ম গ্রহণ করে তবে মুসলমান সংখ্যা কমেগেল। এখন সমীকরণ হলো মুসলমান বাড়ল কম কমলো বেশী সুতরাং মুসলমান কমলো।ত্রিপিটক পাঠ করে তরুনরা বলছে ক্বোরআনে খুন খারাবির কথা আছে কাজেই বোদ্ধ ধর্ম গ্রহণ কর।এখন দেখানো হচ্ছে খ্রিস্ট ধর্মও ইসলাম থেকে উদার তা’ছাড়া তাদের মধ্যে দলাদলি নেই।এমনকি এখন বলা হচ্ছে হিন্দু ধর্মও ইসলাম থেকে উদার।
ডাঃ জাকির নায়েক সাহেব অন্য ধর্ম গ্রন্থ পাঠ করতে অনুপ্রাণীত করছেন (যেতেু বলছেন তিনি সেসব পাঠ করেছেন)। এদিকে আহলে হাদীস মত দিয়ে মুসলমানদের মধ্যে ফেতনা বা দলাদলি লাগিয়ে দিলেন। এখন মানুষ দেখছে এদিকে ফেতনা আর ওদিকে আছে অনেক ভাল ভাল কথা।তো এবার তবে সে দিকে যাই।এখন যে গুলা ইসলাম ছাড়ছে সেগুলা নামটা ছাড়ছে না বিধায় আমরা টের পাচ্ছিনা আসলে কি হচ্ছে।ওদিকে দু’চারটা লোক ইসলামে আসছে দেখে আমরা আনন্দে গদগদ।এখন চারটা এসে যদি চারশ চলে যায় তবে লাভ কি হলো?
আহলে হাদীস মত এসেছে মুসলমানদের দলাদলি দেখিয়ে ইসলামের উপর অন্য ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব প্রদর্শনের জন্য। নতুবা হঠাৎ করে মাজহাব-লা মাজহাব দ্বন্দ্ব নামক তুফান এসে মুসলমানদের সব কিছু লন্ড-ভন্ড করছে কেন? উহাদের আগমনের আগে মুসলমানরা তবে কি পথ ভ্রষ্ট ছিল? এটা কি করে সম্ভব? এটা ক্বোরআন ও হাদীসে তবে নেই কেন? এত বড় ঘটনাতো ক্বোরআন ও হাদীসে না থাকার কথা নয়! হঠাৎ করে এরা আবার কোন শুদ্ধ এসে ইসলামে হাজির হলো? ঘটনাটা অবাক করার মতো ঘটনা নয় কি?
এতোক্ষণ আমি যা বুঝানোর চেষ্টা করলাম তার সার সংক্ষেপ হলো ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসরনই হলো সীরাত্বল মুসতাকীম বা ক্বোরআন ও হাদীসের পথ। এ ছাড়া তাঁর অনুসারীদের অন্য কিছু ভাবার কোন দরকার নেই।আল্লাহ আমাদেরকে যাবতীয় ফেরকা ও ফেতনা থেকে হেফাজত করুন, আমিন।
বিঃদ্রঃ দয়াকরে কেউ আমার অনুসরন করবেন না বরং সবাই ইসলামের অনুসরন করবেন।সুতরাং আমার আমলের দিকে কারো তাকাবার দরকার নাই।আর আমার চিন্তা কারো দরকার নেই, সেটা আল্লাহর উপর ছেড়ে দিন।ভয় নেই, আল্লাহ চাহেনতো আমি বঞ্চিত হব না।আমি মহানবী (সঃ) থেকে অনেক দূরের মানুষ, তাঁর কাছের মানুষ ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসরন করুন, ইনশা আল্লাহ আপনারা হেদায়েত পাবেন।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ক্বোরআন ও হাদীসের অন্ধ অনুকরন
অবশ্যই ক্বোরআন ও হাদীসের অন্ধ অনুকরন করতে হবে। কিন্তু ক্বোরআন আল্লাহর বাণী এবং হাদীস মহানবীর (সঃ) কথা কাজ ও অনুমোদন। সব গুলোই ক্রিয়া বা কাজ। কাজ কোন অন্ধের হাত ধরে হাঁটাবে এটা অবাস্তব।এর জন্য লাগবে ক্বোরআন ও হাদীস জানা কোন লোক।কাজেই ক্বোরআন ও হাদীসের অন্ধ অনুকরন কোন অন্ধের কাজ নয়। এর জন্য চোখ থাকা প্রয়োজন। তাও কোন যেই সেই চোখ নয় ক্বোরআন হাদীসের সাগর তুল্য জ্ঞান ভান্ডার যিনি এক সঙ্গে দেখতে পান এমন চোখ থাকা চাই। এমন চোখ যাদের আছে তাদের মুজতাহীদ বলে। মুজতাহীদকে ইমাম মানতে বলা বোকামী, সে জন্য তাদেরকে কেউ ইমাম মানতে বলেন না। তারা নিজেরাই এক এক জন ইমাম। তাদের মতো চোখ যাদের নেই তাদেরকে মুজতাহীদ ইমাম মানতে বলা হয়েছে। এটাই ছিল এতকাল ইসলামী আলেম ওলামা ও ইমামদের ফতোয়া।যাতে যারপরনায় নাখোশ আহলে হাদীস। তারা অন্ধদের ক্বোরআন হাদীসের জ্ঞান সাগরে নিক্ষেপ করছে, যারা মোটে সেই সাগরে সাঁতার কাটতে জানেনা। ইহাদের সহজ উদ্দেশ্য অন্ধরা সেই অকুল সাগরে হাবু ডুবু খেয়ে যখন কুলের নাগাল পাবেনা তখন তারা শয়তানের হাত ধরে বিপথে চলে যাবে।ইসলাম বিরোধীদের সৃষ্ট এ দল থেকে আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন।
আমার আলোচনার সিদ্ধান্ত হলো চোখ ওয়ালারা ক্বোরআন ও হাদীসের পথে চলবে আর অন্ধরা তাদের পিছন পিছন চলবে।আর এতেই অন্ধদের ইসলামের পথে চলা হবে।
অনুসরনের কথা যখন আসে তখন পরিস্কার বুঝা যায় সামনে যে আছে সে কোন ব্যাক্তি, কোন কাজ নয়।হজরত আদম (আঃ) থেকে ইসলামে ব্যক্তি অনুসরন প্রচলীত। আর নবীদের (আঃ) নামেই হয়েছে তাদের কওমের নাম।আমাদের বেলায় আমাদের নবীর (সঃ) অনুসারী তাঁর সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ)। সাহাবায়ে কেরামের অনুসারী ইমাম। আমাদের মসজীদের ইমাম ইমামের অনুসারী। আমরা আমাদের মসজীদের ইমামের অনুসারী। আমাদের কোন কিছু জানার দরকার হলে আমারা ইমাম সাহেবগনকে জিজ্ঞাস করি তাঁরা সেটা আমাদের বলে দেন।আর আমাদের ইমামগন মূছল্লীদের সমর্থনেই ইমাম হন। আমরা জানি তাঁরা ইসলাম সম্পর্কে জানেন। এটাই সীরাত্বল মুসতাকীম। আমরা সব সময় আল্লাহর দরবারে প্রতি নামাজে সীরাত্বল মুসতাকীমের প্রার্থনা করি, তিনি সদয় হয়ে আমাদেরকে সীরাত্বল মুসতাকীম দান করেছেন - আলহামদুলিল্লাহ।সুতরাং আহলে খবিশের হাত থেকে আমরা আল্লাহর নিকট আশ্রয় চাই- আউযুবিল্লাহ।
এখন যারা মুসলমানদের একদল বা এক জামায়াত চান তাদের অবশ্যই শুধুমাত্র একজন ইমামের আনুসারী হতে হবে। কারন বাস্তবতা হলো এক জামাতের শুধুমাত্র একজন ইমামই হয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে শতকরা আশিভাগ নায়েবে রাসুল (সঃ) যাঁকে ইমাম মানেন বাকী বিশ ভাগেরও তাঁকেই ইমাম মানা সংগত।এখন কেউ যদি এটা না মেনে ফেতনা করতে চায় তাদের ভাবনায় মাথা নষ্ট করে লাভ নাই। যে আশিভাগ একজন ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ) মেনে আসছেন আমি তাদেরকে তাদের পথে বহাল থাকতে বলি।আমাদের ইমাম ক্বোরআন ও হাদীসের পথ থেকে এক চুলও কখনো সরেননি। এটা শতভাগ সঠিক প্রমাণের যোগ্যতা আল্লাহ আমাকে দান করেছেন, সে জন্য বলি আল হামদুলিল্লাহ।তবে কেউ মনের ভুলেও আমার অনুসরন করবেন না, কারণ আমি ইমাম নহি।গাজি কালুর পুঁথির কালু যেমন বলেছেন ‘আমি নহি আমি নহি রাজারো জামাই’ তেমনি আমিও বলি আমি ইমাম নহি।কারণ ইমাম কে আমলদার হতে হয়।আমি ছোটমোট জান্নাতে যেতে যাই, তাই হয়তো আমলে তত কঠোর নই। ইমাম মানতে হবে তাঁকে যিনি এলেম ও আমলে সমান তাঁকে।ইমাম ক্বোরআন ও হাদীস মেনেছেন। কাজেই ইমামকে মানা আর ক্বোরআন হাদীস মানা এক কথা। এটা কিছুতেই দুই কথা হতে পারে না।আল্লাহ আমাদেরকে শয়তানের ধোকাবাজি থেকে হেফাজত করুন, আল্লাহুম্মা ইহদিনাস সীরাত্বল মুসতাকীম, আমিন।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আহলে হাদীসের অসওয়াছাঃ অন্ধ অনুকরনের তিরস্কার
নাস্তিক ও আহলে হাদীস অন্ধ অনুকরনের তিরস্কার করছে। কিন্তু আল্লাহকে কি করে দেখে মানা যাবে? তাঁকে তো দেখা যায় না।আর ইমামের ইমামতির প্রথম শর্ত ঈমান ও দ্বিতীয় শর্ত অজু। এখন ইমামের মনে ঈমান আছে কি নেই তা’ দেখার কোন কায়দা আহলে হাদীসের জানা আছে কি? তো ইমামের ঈমান যদি দেখা না যায় তবে তার অন্ধ অনু করন না করে উপায় কি?
আহলে হাদীস মতে নামাজ শুদ্ধ করতে ইমামের পাছায় একজনের নাক ফিট করতে হবে, ইমামের পাছায় এক জনের কান ফিট করতে হবে, এবং এক জনের হাত ইমামের পাছায় চাপা দিয়ে রাখতে হবে শুধু এটা জানার জন্য যে ইমামের অযু পলায়ন করে কিনা।আর বাকীরা তখন নামাজ পড়িবে। তবেই হয়ত অন্ধ অনুকরন হতে মুক্তি মিলবে।
তথাপি ভরসা নেই, যদি ইমাম কৌশল করে? যদি সেই তিন জন মিথ্যা বলে?
অথচ মহানবী (সঃ) বলেছেন, আলেমগন তাঁর ওয়ারিশ। সেই আলেমগন ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ) ইমাম মানেন। আমরা আলেমগনকে ইমাম মানি। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বলেছেন তিনি যা বলেছেন তা’ ক্বোরআন হাদীস মতে বলেছেন। কাজেই এটাই সীরাত্বল মুসতাকীম।
উহাদের একজন বল্ল যে ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ক্বোরআন হাদীস মতে কথা বলেছেন কিনা তাহা যাচাই করতে হবে। বলি হাজার বছরেও কি সে কাজ হয়নি? উহাকি এখনো বাকী? তবে লক্ষ লক্ষ ইমাম ও আলেম তবে কি বলে? কিসের ভিত্তিতে তারা তাঁকে ইমাম মানে? তোরা কোথাকার কোন শয়তান যে আমাদের মনে অসওয়াছা সৃষ্টি করছ?
উহারা বলে, ইমাম মানার দরকার নাই। ক্বোরআন ও হাদীস মান। তো ইমাম যদি ক্বোরআন ও হাদীস মানে তো তাকে মানলেইতো ক্বোরআন ও হাদীস মানা হয়! উহারা তবে এটা আবার কি বলে?
আমাদের বাড়ীর পাশের আব্দুল তার নামের ব এর পাছায় দ দিতে কলম তিনটা ভাঙ্গে, সে যাবে গাঁদা গাঁদা তাফসির হাদীস ঘাঁটিয়া মাসলা বাহির করে তারপর উহা মানতে? কি বেউকুফি পরামর্শ! কেন ইমাম সাবতো সব জানে তাঁর কাছ থেকে জানলেইতো হয়! তারা বলে আমাদের শায়খদের মান। কিন্তু তোমাদের শায়খরা যে শয়তান নয় তার কি প্রমান আছে? বাস্তবতা হলো এসব শয়তান উদয় হয়েছে মুসলমানদেরকে বিরক্ত করে ইসলাম থেকে বের করতে। এদের অপচেষ্টায় প্রধান বাধা হক্কানী পীর ও তাবলীগ জামাত। তাই এরা হক্কানী পীর ও তাবলীগ জামাত থেকে লোকদের ফিরাতে উঠে পড়ে লেগেছে। আল্লাহ এদের অসওয়াছা খেকে আমাদের হেফাজত করুন, আমিন।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৭

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মুসলমানদের শেষ কেন্দ্রীয় ইমাম
মুসলমানদের প্রথম কেন্দ্রীয় ইমাম ছিলেন, মহানবী (সঃ)। প্রদেশে তাঁর নিয়োগকৃত শাসনকর্তা ইমাম ছিলেন। আর বিভিন্ন এলাকায় মহানবী (সঃ) ও শাসনকর্তা অনুমোদীত ইমাম ছিলেন সহাবায়ে কেরামগন।সব ইমাম মুসলমানদের মাসয়ালা-মাসায়েল শিক্ষা দিতেন। তো তখন কেন্দ্রীয় ইমাম ও অন্যান্য ইমাম এক সুতায় বাঁধা ছিলেন। হজরত ওসমান (রাঃ) পর্যন্ত এ নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটেনি।হজরত আলীর সময় খারেজীরা কেন্দ্র চ্যুত হয়েছে। রাজনৈতিক দ্বন্ধে হজরত মুয়াবিয়ার (রাঃ) অনুসারীরা আলাদা কেন্দ্রীক হয়েছিল।হজরত আলীর পর উমাইয়া শাসনে আবার মুসলমানরা এক কেন্দ্রীক হলেও সাধারন মুসলমাসগন তখন ইমাম হাসান (রাঃ) ও ইমাম হোসেন (রাঃ) কে ইমাম হিসেবে মানতে শুরু করে। এভাবে খেলাফত থেকে ইমামত পৃথক হয়। এরপর হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে জুবায়েরের (রাঃ) নেতৃত্বে উমাইয়া শাসন বিরোধীদের খেলাফত প্রাতিষ্ঠার প্রচেষ্টা সফল হয়নি।এরপর ইমাম জয়নুল আবেদীন (রঃ) সাধারণের ইমাম হন। উমাইয়া অতি অভক্তি জনিত কারণে শীয়াগন ধর্মীয়ভাবে সাধারণ মুসলমান থেকে আলাদা দলে পরিণত হয়।ইমাম জাফর সাদেক (রঃ) শীয়াদের দখলে চলে যাওয়ায় সাধারণ মুসলমান ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ) ইমাম মানতে শুরু করে। আব্বাসীয় খেলাফত তাঁকে স্বীকৃতি প্রদান করে প্রধান কাজীর পদ প্রদান করে কিন্তু তিনি সে পদ গ্রহণ না করায় তাঁকে হত্যা করে। তারপর তাঁর ছাত্র ইমাম আবু ইউসুফ (রঃ) আব্বাসীয় খেলাফতের প্রধানকাজীর পদ গ্রহণ করেন এবং ইমাম আবুহানিফার (রঃ) নামে ইসলামের বিধি-বিধান জারি রাখেন। তবে আরবেরা অনারব ইমাম মানতে রাজি না থাকায় তাদের কেউ কেউ ইমাম হিসেবে ইমাম মালেক (রঃ), ইমাম শাফেয়ী (রঃ) ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলকে (রঃ) মানতে চেষ্টা করে। এ দলে আব্বাসীয় বিরোধী উমাইয়ারাও ছিল। ইমাম মালেক (রঃ) ও ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের (রঃ) অনুসরন হালে পানি পায়নি।সর্বশেষ অনাবর ইমামের প্রধান্য দূর করার অপচেষ্টার অংশ হিসেবে কিছু সংখ্যক বিভ্রান্ত আরব আহলে হাদীস মতবাদের উদ্ভব ঘটায়।এটাও হালে পানি পাচ্ছেনা।
মহানবী (সঃ), হজরত আবু বকর (রাঃ), হজরত ওমর (রাঃ) ও হজরত ওসমান (রাঃ) মুসলমানদের পুরাপুরি কেন্দ্রীয় ইমাম ছিলেন। হজরত আলী (রাঃ) হজরত মুয়াবীয়ার (রাঃ) সাথে খেলাফত ভাগাভাগির পূর্ব পর্যন্ত মুসলমানদের একক কেন্দ্রীয় ইমাম ছিলেন। মুসলমানদের একক রাষ্ট্র আব্বাসীয় খেলাফতের স্বীকৃতি নিয়ে ইমাম আবু হানিফা (রঃ) হলেন মুসলমানদের শেষ কেন্দ্রীয় ইমাম। এরপর ইমাম আবু ইউসুফ (রঃ), ইমাম মুহাম্মদ (রঃ), ইমাম জুফার (রঃ), ওলামায়ে মুতাক্বাদ্দেমীন ও ওলামায়ে মুতাআখখেরিন ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারী ছিলেন। উমাইয়া বিরোধীতা, আব্বাসীয় বিরোধীতা ও আরব জাতীয়তাবাদের কারণে শতকরা বিশ ভাগ লোক ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারী না হলেও মুসলমানদের আশিভাগ ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারী।
মহানবী (সঃ) ও খোলাফায়ে রাশেদার পর মুসলমানদের একক রাষ্ট্র স্বীকৃত একমাত্র কেন্দ্রীয় ইমাম, ইমাম আবু হানিফা (রঃ)।তাঁর অনুসারীগন তাঁর অন্ধ অনুসারী নন,কারণ তাঁর যে সব ভুল পরিলক্ষীত হয়েছে তা’তাঁরা সংশোধন করেছেন। হাদীসের ইমামগন হাদীসের বিশাল কর্মযজ্ঞ চালাতে গিয়ে ক্বোরআন ও ফিকাহ সংক্রান্ত বিষয়ে দক্ষ হতে পারেননি।এ জন্য আরব জাতীয়তাবাদীদের খফফরে পড়ে তারা বিভ্রান্ত হয়েছেন, আল্লাহ তাঁদের ক্ষমা করুন। হাদীস সত্যের মাপকাঠি হলেও হাদীস সংকলকগন সত্যের মাপকাঠি নন। কাজেই তাঁদের ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসরন না করা ইমাম আবু হানিফার অনুসরন সঠিক না হওয়ার কোন প্রমাণ হতে পারেনা। তাফসীরে কাশশাফ সম্পাদক আল্লামা জারুল্লাহ জামাখশারীর তাফসীর পড়ে সবাই মাওলানা ডিগ্রি লাভ করলেও কোন মাওলানা তাঁকে সঠিক মুসলমান মনে করেননা।কারণ তিনি ছিলেন বাতিল পন্থি মুতাজিলা সম্প্রদায়ের লোক। আমি রবীন্দ্র নাথের বই পড়ব বলে তাঁকে মুসলমান মনে করব এটা সঠিক নয়।
হজরত আলী (রাঃ) পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ইমামগন ক্বোরআন ও হাদীসের সম্বয় করে ইসলামের বিধি বিধান সংকলন না করায় ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসরন জরুরী হয়ে পড়েছে। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) যা করেছেন সে টা তাঁরা কেউ করলে ইমাম আবু হানিফার (রাঃ) অনুসরণ দরকার হতো না।অন্য ইমামের অনুসরন দরকার নেই কারণ তাদের কেউ ইমাম আবু হানিফার (রঃ) সমকক্ষ নয়। মহানবী (সঃ) বলেছেন, ‘লা ইসলামা ইল্লা বিল জামায়াত – জামায়াত ছাড়া ইসলাম নাই’ আর ইমাম ছাড়া যে জামায়াত হয় না, এটা সবাই জানে।এখন সমীকরন দাঁড়াল, ইমাম ছাড়া জামায়াত নাই, জামায়াত ছাড়া ইসলাম নাই, সুতরাং ইমাম ছাড়া ইসলাম নাই। কাজেই ইমাম মানতেই হবে, আর যেহেতু প্রয়োজনের কারনে ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ) না মেনে উপায় নেই, সেহেতু তাঁকে ইমাম মানতেই হবে।ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ছাড়া অন্য কোন ইমামের মান্যতার যোগ্যতা না থাকায় তাদের মান্য করা নেহায়েত অহেতুক বা বেদরকারী কাজ।
ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসরন মানে তাঁর অনুসারী সকল ইমাম ও ওলামায়ে কেরামের অনুসরন।তাঁর ইন্তেকাল ঘটলেও কাঁর অনুসারী ইমাম ও ওলামায়ে কেরাম জীবিত। কাজেই জীবিত লোকের অনুসরন করে তাঁর অনুসরন করা যায়।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইমাম ছাড়া ইসলাম নাই
মহানবী (সঃ) বলেছেন, ‘লা ইসলামা ইল্লা বিল জামায়াত – জামায়াত ছাড়া ইসলাম নাই’ আর ইমাম ছাড়া যে জামায়াত হয় না, এটা সবাই জানে।এখন সমীকরন দাঁড়াল, ইমাম ছাড়া জামায়াত নাই, জামায়াত ছাড়া ইসলাম নাই, সুতরাং ইমাম ছাড়া ইসলাম নাই। এখন প্রশ্ন হলো সাহাবায়ে কেরামের (রাঃ) ইমাম কে ছিল? সঠিক উত্তর হলো, তাঁদের কেন্দ্রীয় ইমাম ছিলেন মহানবী (সঃ) স্বয়ং। প্রাদেশীক ইমাম ছিলেন মহানবী (সঃ) নিযুক্ত শাসন কর্তা। আর প্রত্যেক এলাকার মহানবী (সঃ) অনুমোদীত ইমাম ছিল।মহানবী (সঃ) ছাড়া বাকী ইমামগন ছিলেন সাহাবায়ে কেরামের (সঃ) মধ্য হতে।সুতরাং শতভাগ সত্যকথা হলো সাহাবায়ে কেরাম (রাঃ) ইমাম মানতেন।
মহানবী (সঃ) একাধারে নবী (সঃ), রাছুল (সঃ), আমির ও ইমাম ছিলেন।তাঁকে সম্বোধনের ক্ষেত্রে প্রথম দু’টি ব্যবহার হতো, পরের দু’টি ব্যবহার হতো না। তাই বলে তিনি সে গুলো ছিলেন না এমন কথা জাহেলি কথা।তাঁর প্রতি শতভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্র স্বীকৃতি ছিল। মহানবীর (সঃ) পর মুসলমানদের কেন্দ্রীয় ইমাম হলেন হজরত আবু বকর (রাঃ) , হজরত ওমর (রাঃ), হজরত ওসমান (রাঃ ও হজরত আলী (রাঃ)। তাঁরা একাধারে খলিফা, আমিরুল মুমিনিন ও ইমাম ছিলেন।তাঁদের সম্বোধনের ক্ষেত্রে প্রথম দু’টি ব্যবহার হতো, পরেরটি ব্যবহার হতো না।তাই বলে তাঁরা সেটি ছিলেন না এমন কথা জাহেলি কথা।তাঁদের প্রতি মুসলমানদের ও রাষ্ট্র স্বীকৃতি ছিল।
খোলাফায়ে রাশেদীনের পর ইমাম হলেন ইমাম আবু হানিফা (রঃ)।তাঁর প্রতি মুসলমানদের ও রাষ্ট্র স্বীকৃতি ছিল।এখনো শতকরা আশি ভাগ মুসলমান তাঁকে ইমাম হিসেবে অনুসরন করে।তখন মুসলমানদের একমাত্র রাষ্ট্র (মুসলীম সাম্রাজ্য) ছিল আব্বাসীয় খেলাফত।রাষ্ট্র তাঁকে প্রধান কাজীর পদে মনোনীত করে তাঁর সংকলিত ইসলামের বিধি বিধানের স্বীকৃতি প্রদান করে। তিনি সে পদ গ্রহণ না করলেও তাঁর অনুসারীদের প্রধান সমম্বয়ক ও তাঁর প্রধান ছাত্র ইমাম আবু ইউছুফ (রঃ) সে পদ গ্রহণ করেছেন এবং সেই বিধিতে খেলাফত চলেছে আটশত বছর।
ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারীগন তাঁর অন্ধ অনুসারী ছিলেন না এর বড় প্রমাণ তাঁর অনুসারী বিজ্ঞ ইমাম ও আলেম গন এর প্রয়োজনীয় সংস্কার করেছেন।কাজেই হানাফী ব্যক্তি নয় বরং ব্যক্তি কেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানের অনুসারী।ইমাম আবু হানিফা (রঃ) বলেছেন তাঁর মতের বিপরীতে ছহী হাদীস পাওয়া গেলে তাঁর মত বাদ দিয়ে ছহী হাদীসের উপর আমল করতে হবে।ইমাম আবু হানিফার (রঃ) অনুসারী বিজ্ঞ আলেমগন এ ব্যাপারে ওয়াকিফহাল।কিন্তু দেখা যাচ্ছে যে, যে হাদীস গুলো ছহী হলেও মানসুখ যা ইমাম সাহেব নিজেই গ্রহণ করেননি সে হাদীস গুলোর ক্ষেত্রে তাঁর বক্তব্য ব্যবহার করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চলছে।
হাদীসের ইমামগন হাদীসে দক্ষ হলেও তাফসিরে দক্ষ ছিলেন না।আর তাঁদের ফিকাহ এর জ্ঞান কতটুকু ছিল আল্লাহ মালুম।কাজেই তাঁরা ইমাম সাহেবের অনুসরন করেছেন কিনা এটা বিবেচ্য বিষয় হতে পারে না।আল্লাহ তাঁহাদের ক্ষমা করুন, কারন তাঁরা ইসলামের জন্য অনেক খেটেছেন।আমারা তাদের অনুসরন না করার কারন যিনি ক্বোরআন হাদীস ও ফিকায় দক্ষ আমরা তাঁকে মানি। আমরা একটা নিয়ে বসে নেই।
মহানবী (সঃ) ক্বোরআন ও হাদীস মানতে বলেছেন, ইমাম ক্বোরআন ও হাদীস অনুযায়ী আমাদের চলার পথ দেখিয়েছেন, সুতরাং আমরা ক্বোরআন ও হাদীসের পথে আছি।কাজেই আমাদেরকে কারো মনগড়া ক্বোরআন ও হাদীসের পথ দেখানো নেহায়েত ফাইজলামী।
আল্লাহ বলেছেন,‘তোমরা পরস্পর সংঘবদ্ধভাবে আল্লাহর রজ্জু ধারণ কর পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়োনা’।ইমামের অনুসরন বাদ দিলে মুসলমানদের মতভেদে পরস্পর বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা ঘটা নিতান্ত স্বভাবিক।আমার এ কথা ভুল প্রমাণ করার সাধ্য কারো হবে না –ইনশাআল্লাহ।কাজেই ক্বোরআন ও হাদীস অনুযায়ী জীবন যাপনের জন্যই আমরা ইমাম আবু হানিফা (রঃ) ও তাঁর প্রতিষ্ঠিত ইসলামী প্রতিষ্ঠানের অনুসারী।
পবিত্র ক্বোরআনের ঘোষণা অনুযায়ী হক পথের পথিক মুসলমানদের ‘বরুজিন মুশাইয়াদা – শীশা ঢালা প্রাচীর’ ভাঙ্গার চেষ্টা অনেকেই করেছে এবং ব্যর্থ হয়েছে। এখন সেই চেষ্টা করছে ‘আহলে হাদীস’ আশাকরি অচিরেই তাদের স্বপ্ন ভঙ্গ হবে।
ইমাম আবু হানিফার (রঃ) পর আর কারো প্রতি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান ও তাদের রাষ্ট্রের স্বীকৃতি মিলেনি তা’ছাড়া ফিতনা বাজদের ভন্ডামী প্রমাণ করা যায় এবং হানাফীদের শতভাগ সঠিকতাও ক্বোরআন ও হাদীসের আলোকে প্রমাণ করা যায়।এ সংক্রান্ত বহু প্রমাণ আমি উপস্থাপন করেছি এবং বহু প্রমাণ মৌজুদ রয়েছে। কাজেই যাদের মাথায় মেধা আছে তারা এ পথ ছেড়ে যায়নি এবং যাবেনা কোন দিন। তবে যে সব মাননীয় ভুল বশত ভুল পথে ছিলেন, যাদের উপমা দিয়ে ভন্ডরা ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে, তাঁদের ভুলকে আল্লাহ ক্ষমা করুন, আর আমাদেরকে ফেতনা বাজদের হাত থেকে রক্ষা করুন, আমিন।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইমাম
ইমাম না মানলে যদি ক্বোরআন ও হাদীস অমান্য হয় তবে ইমাম না মেনে উপায় কি? ক্বোরআন ও হাদীস মুসলমানদেরকে বহু দল হতে বারণ করেছে, একদল হতে আদেশ করেছে, এখন ইমাম বাদ দিয়ে সরাসরি ক্বোরআন ও হাদীস মান্য করে কি এক দল থাকা সম্ভব? ক্বোরআন ও হাদীস যদি হাজার জন হাজার রকম বুঝেন তবে তো দলও হাজারটা হবে।এভাবে ক্বোরআন ও হাদীস নিয়ে হাজারটা মতভেদ আছে, এসব দেখে হক্কানী আলেমগন সিদ্ধান্ত নিলেন এক দল থাকার জন্য তারা একজনকেই মানবেন। তো সেই একজন হলেন ইমাম আবু হানিফা (রঃ)। যাঁকে শতকরা আশিভাগ মুসলমান মান্য করেন।
আর বিশ ভাগ তাঁকে অমান্য করে ফিতনায় লিপ্ত। যা ইসলামে না জায়েজ।
চার মাজহাবের ধারনা সঠিক নয়, কারণ এটি পরিস্কার ক্বোরআন ও হাদীসের খেলাফ।কারণ চার হলে আর এক দল হয় কেমন করে? তবে ইমাম আবু হানিফার (রঃ) কোন ভুল হলে তা’ সংসোধন করা যেতে পারে।যদিও তাঁর যা ভুল ধরা হয়েছে এর সব গুলোই ভুল ধরতে ভুল করা।তারমানে ভুল তাদের হয়েছে যারা ভুল ধরেছে।প্রকৃত অবেস্থায় এটি একটি খালেছ দল।
মহানবী (সঃ) ইমাম মেহেদী (আঃ) আসার ভবিষ্যত বাণী প্রদান করেছেন।ইসলাম বিরোধীরা ইমাম মেহেদীকে (আঃ) না মানার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসবে মুসলমানদেরকে ইমাম না মেনে ক্বোরআন ও হাদীস মানার প্ররোচনা প্রদান করার জন্য মুসলমানদের ভিতরেই আহলে খবিশ নামক দলটি তৈরী করেছে।অথচ ইমাম ছাড়া ক্বোরআন ও হাদীস মানা যায় না। মহানবীর পর যাঁরা তাঁর স্থলাভিষিক্ত হবেন তাঁদের জন্য প্রথমে খলিফা শব্দটি বরাদ্ধ হয়। এর মেয়াদ ত্রিশ বছর যা মহানবী (সঃ) বলেছেন তা শেষ হয়েছে। এর পর থেকে সেই স্থান নিয়েছেন ইমাম। আর ইমাম মেহেদী সংক্রান্ত ঘোষণা প্রমাণ করে ইমাম না মেনে ইসলাম হয়না।
তাহারা প্রতিদিন পাঁচবার ইমাম মেনে নামাজ পড়ে অখচ আবার বলে তারা ইমাম মানেনা।নামাজের পাশাপাশি সারা বিশ্বের জন্য একজন ইমাম মানা ক্বোরআন ও হাদীসের আদেশ। এ আদেশ অমান্য করে হাজার বার ক্বোরআন হাদীস মানার ঘোষণা প্রদান করা হলেও মূলত এমন ঘোষণা বেকসুর মিথ্যা কথা।
জীবিত কোন ইমাম ইমাম আবু হানিফার (রঃ) স্থলাভিসিক্ত না হওয়ায় এখনো সবাই তাঁকে ইমাম মানেন। ইমাম মেহেদী (আঃ) তাঁর স্থলাভিসিক্ত হওয়ার পর ইমাম আবু হানিফার (রঃ) ইমামত সমাপ্ত হবে এবং ইমাম মেহেদীর (আঃ) ইমামত শুরু হবে।ইসলামের এ রাস্তা ছাড়া দ্বিতীয় কোন রাস্তা নেই।
ইমাম মেহেদী থেকে বাঁচার জন্য অমুসলীমরা কাদীয়ানী মতের সৃষ্টি করেও সফল হয় নাই। আসা করি তাদের ইমাম না মানার খবিশী মতও সফল হবে না- ইনশাআল্লাহ। কতিপয় আরব খবিশী মত গ্রহণ করায় উহা সঠিক হওয়ার যুক্তি সংগত কোন কারণ নেই।কারণ এ আরব রাই ক্বাবা শরীফে তিনশত ষাটটি মূর্তি স্থাপন করে জাহিলিয়াতের প্রমাণ প্রদান করেছিল। এখন আবার তারা আরেক জাহিলিয়াতে আক্রান্ত, আর তা’ হলো ইমাম ছাড়া ক্বোরআন ও হাদীস মানা্ যার সঠিকতার কোন ভিত্তি নাই।

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:০৯

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সঠিক ইসলাম/বেঠিক ইসলাম – পর্ব (২)
মহানবী (সঃ) ক্বোরআন ও হাদীস অনুযায়ী ইসলাম পালনের কথা বলেছেন, সে কথা ইবলিশ আরো জোর দিয়ে বলে।পর্থক্য হলো মহানবী (সঃ) বলেছেন,‘লা ইসলামা ইল্লাবিল জামায়াত – জামায়াত ছাড়া ইসলাম হয় না’।আর ইমাম ছাড়া জামায়াত হয় না।আর ইবলিশ ইমাম মানতে বারণ করে। মানুষকে ইমাম থেকে ফেরাতেই ক্বোরআন ও হাদীস মানার কথা ইবলিশ ঘন ঘন বলছে।কারণ ইমাম বাদ দিয়ে ক্বোরআন ও হাদীস মেনে তো কোন লাভ নেই।নামাজের জামায়াত ছাড়া নামাজ হয়না এ কথা মহানবী (সঃ) বলেননি, তিনি বলেছেন জামায়াত ছাড়া ইসলাম হয়না। সুতরাং এই জামায়াত মুসলমানদের জামায়াত বা দল। আর সেই দলের ইমাম আমাদের অনুসরনীয়।মহানবী (সঃ) ছোট জামায়াত থেকে বড় জামায়াত কে উত্তম বলেছেন। তো মুসলমানদের বড় জামাত হানাফী জামায়াত আলচ্য হাদীস অনুযায়ী সঠিক জামায়াত এবং এর ইমাম আবু হানিফা (রঃ) সঠিক ইমাম।যারা ইমাম আবু হানিফাকে মানেনা তারা হাদীস মানেনা।তারা আহলে হাদীস হওয়ার মিথ্যা দাবীদার।মূলত তারা ইবলিশের অনুসারী আহলে খবিশ।
তা’ছাড়া ইমাম না মেনে ক্বোরআন ও হাদীস মানা সম্ভব নয়। কারণ ক্বোরআন ও হাদীস একতার বথা বলেছে। এখন যেহেতু হাজার জন ক্বোরআন ও হাদীস হাজার রকম বুঝে সেহেতু একা একা ক্বোরআন ও হাদীস অনুযায়ী ইসলাম পালন করতে গেলে মুসলমান কয়েক হাজার দল হয়ে পড়বে। তারচেয়ে সবাইা যদি এক ইমাম মানে তবে সবাই ক্বোরআন ও হাদীস অনুযায়ী এক দল থাকতে পারবে। মুসলমানকে বহুদলে বিভক্ত করে ইসলাম থেকে আলাদা করতেই ইবলিশ ইমাম বাদ দিয়ে ক্বোরআন ও হাদীস মানতে বলে।
ইবলিশের আবিস্কৃত ইসলাম নেংটির মতো, এক দিক ঢাকতে গেলে আরেক দিক উম্মুক্ত হয়ে যায়। আর তাই আহলে খবিশ দেখলে আমার মনে হয় টুপি মাথায় কেউ নেংটা হেঁটে যাচ্ছে

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১১:৩২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ইসলামের মহাসড়কের সর্বশেষ সংস্কারক মহানবী (সঃ) এবং উপকরণ সর্বরাহকারী আল্লাহ। এখন আর পূর্বপথের পরিচয় নেই।মহানবীর (সঃ) পর ইসলামের মহাসড়কের প্রথম ব্রীজ হজরত আবু বকর (রাঃ)। জাকাত অস্বীকারকারীগন সেই ব্রীজ হতে নেমে গেছে, উহাদের রাস্তায় ব্রীজ নেই। তারা বিভ্রান্তির নদীতে ডুবে মরেছে। ইসলামের মহা সড়কের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ ব্রীজ যথাক্রমে হজরত ওমর (রাঃ), হজরত ওসমান (রাঃ) ও হজরত আলী (রাঃ)। খারেজীরা সেই ব্রীজ থেকে নেমে গেছে, উহাদের রাস্তায় ব্রীজ নেই। তারা বিভ্রান্তির নদীতে ডুবে মরছে। ইসলামের মহাসড়কের পঞ্চম ব্রীজ ইমাম আবু হানিফা(রঃ)। যা তৎকালীন সকল মুসলমান ও মুসলমানদের তৎকালীন রাষ্ট্র আব্বাসীয় খেলাফত স্বীকৃত। যারা সেই ব্রীজ থেকে নেমে গিয়েছে,উহাদের রাস্তায় ব্রীজ নেই। তারা বিভ্রান্তির নদীতে ডুবে মরছে। ইসলামে সকল মুসলমান স্বীকৃত ও সকল মুসলমানের রাষ্ট্র স্বীকৃত আর কোন ব্রীজ নেই। পথ একটাই, তা’হলো ব্রীজ দিয়েই ইসলামের মহা সড়কে হাঁটতে হবে। নতুবা ব্রীজের নীচের নদীতে পড়ে ডুবে মরতে হবে। এটা এমন নদী সাঁতরে পাড়ে উঠাও অসম্ভব।
লা মজহাবী বা আহলে হাদীসগন যদি ইমাম আবু হানিফাকে (রঃ) ক্রস মারে তবে সহাবায়ে কেরামের যুগ থেকে তাহাদের যুগ পর্যন্ত গ্যাপ তারা কি দিয়ে ফিলাপ করবে? সেই সময়তো সবাই মাজহাবী ছিল? এতটাকাল মুসলমানরা বিভ্রান্তিতে থাকার কথা তবে ক্বোরআন ও হাদীসে নেই কেন? ক্বোরআন তো হুদাল্লিল মুত্তাকীন। তবে কি তারা বলতে চায় ক্বোরআন হুদাল্লিল মুত্তাকীন নয়? –নাউযুবিল্লাহ। জঘন্য এ বিভ্রান্ত সম্প্রদায়ের অনিষ্ট থেকে আল্লাহ মুসলমানদের হেফাজত করুন, আমিন।

৭| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:০০

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: ইসলাম সম্পকে আমার ধারনা কম। কিন্তু আপনার কিছু বিষয় পরিস্কার হলে আরো খুশি হব। যেমন বেদয়াত -

বিদয়াত মুক্ত ইসলাম ইসলামে যা নতুন তা’ই বিদয়াত, তবে স্থান কাল পাত্র বস্তু ও ব্যক্তি এর মধ্যে গণ্য নয়।ব্যক্তি এর মধ্যে গন্য হলে যিনি আগে মুসলমান ছিলেন না নতুন মুসলমান হয়েও তিনি বিদয়াতী সাব্যস্ত হবেন।যে দেশ আগে মুসলমান দেশ ছিলনা নতুন মুসলমান দেশ হয়েও সে দেশ বিদয়াতী সাব্যস্ত হবে।সাহাবায়ে কেরামের যুগে ছিলনা এমন সব বস্তু বিদয়াত সাব্যস্ত হবে।সাহাবায়ে কেরামের পর সব কাল বেদাত সাব্যস্ত হবে। যা সঠিক নয়।স্থান কাল পাত্র বস্তু ও ব্যক্তি বিদয়াতে গন্য না হওয়ার কারন ইসলাম এসবে গন্য নয় । ইসলাম যাতে গন্য নয় তার নতুন ইসলামে নতুন গন্য হওয়া সম্ভব নয়। আর ইসলাম এসবে গন্য না হওয়ার কারণ ইসলাম ক্রিয়া বা কাজ। সুতরাং যে কাজের নাম ইসলাম সে কাজে নতুন কোন কাজ আমদানী এবং সেই কাজ সংক্রান্ত দল ইসলামে বিদয়াত।

আপনার কথায় এটায় পরিস্কার যে বিদয়াত ইসলাম বিভাজন করে? আমি যতদুর জানি, মহানবী (সা:) এর সময় ইটের বহুতল দালানে থাকা ছিল হারাম।

‘‘এক দিন হুজুরে পাক (ছঃ) কোথাও যাইতেছিলেন। পথিমধ্যে গুম্বুজ বিশিষ্ট একটা উঁচু পাকা কুঠি দেখিতে পাইয়া হুজুর (ছঃ) সাথীদিগকে জিজ্ঞাসা করিয়া জানিতে পারিলেন যে, উহা একজন আনছারী তৈয়ার করিয়াছেন। হুজুর (ছঃ) শুনিয়া চুপ করিয়া গেলেন। অন্য এক সময় সেই ছাহাবী হুজুরে পাক (ছঃ) এর খেদমতে আসিয়া ছালাম করা মাত্র হুজুর (ছ) মুখ ফিরাইয়া লইলেন। হুজুর (ছঃ) হয়ত খেয়াল করেন নাই মনে করিয়া ছাহাবী আবার ছালাম করিলেন। হুজুর (ছঃ) এইবারও উত্তর দিলেন না। লোকটি পেরেশান এবং ব্যতিব্যস্ত হইয়া উপস্থিত ছাহাবাদিগকে কারণ জিজ্ঞাসা করিয়া জানিতে পারিলেন যে, হুজুর (ছঃ) তোমার সেই পাকা কোববাটা দেখিতে পাইয়া মনে হয় তোমার উপর একটু অসন্তুষ্ট আছেন। সাহাবী তৎক্ষণাৎ বাড়ী গিয়া কোববাটা এমন ভাবে ভাগিয়া চুরমার করিয়া দিলেন যে, উহার নাম নিশানাও বাকী রাখিলেন না অথচ পরে আসিয়া জুহুর (ছঃ) কে ইহার সংবাদও দিলেন না। ঘটনাক্রমে হুজুর (ছঃ) ঐ পথে আবার কোথাও যাইবার সময় ঐ কোববাটা তথায় দেখিতে না পাইয়া ছাহাবীদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন যে, কোববাটা কোথায় গেল? ছাহাবারা বলিলেন, সেই দিন হুজুর (ছঃ) এর ইহার প্রতি কিছুটা অসন্তুষ্টি ভাব লক্ষ্য করিয়া আনছারী উহাকে সমূলে উৎখাত করিয়া দিয়াছেন। প্রিয়তম নবী করীম (ছঃ) ইহা শুনিয়া এরশাদ ফরমাইলেন, প্রত্যেক পাকা এরামরতই মানুষের জন্য বিপদ স্বরূপ।

এখন পৃথিবীব্যাপী মানুষের সংখ্যা ৬০০ কোটির বেশি। বাংলাদেশ এর মত ঘনবসতীপূন্য কোন যায়গা বহুতল ভবন ছাড়া মানুষ কিভাবে থাকবে? তার মানে এখানে থাকা বিদয়াত। কেননা সাহাবাদের সময় জনসংখ্যা এত ছিল না। তাদের কে এই সমস্যায় পড়তে হ য় নী।
নবীজি সা: নিজে ও বলে গেছেন, আমার কথার পড়ে তোমরা ও যদি আরো ভালো কিছু কোন আলেম বা বুজুর্গ থেকে পেয়ে থাক, যা তোমাদের জন্য কল্যানকর তোমরা তা অনুসরন করো।
এখন ইসলামে ছবি তোলা হারাম। আপনি হজে গেলে আপনার পাসপোট জন্য ছবি তুলতে হবে? এখন কোন আলেম ছবি তোলার কথা বলতে ই পাড়েন।

আর বুকের উপর হাত তুলে নামাজ পড়লে তারা যদি বিভান্ত এর দলে পরিনত
হয়, কাবার অনেক ইমাম ও তা অনুসরণ করে, তারা ও কি বিভান্ত?

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:০৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আর বুকের উপর হাত তুলে নামাজ পড়লে তারা যদি বিভান্ত এর দলে পরিনত
হয়, কাবার অনেক ইমাম ও তা অনুসরণ করে, তারা ও কি বিভান্ত?
সূরা বাকারার শেষ দিকে আছে, রব্বানা লা তু আখিজনা ইননাছিনা আওআখত্বনা- হে প্রভু যদি আমরা ভুল করি অথবা আমাদের ত্রুটি হয় তবে আমাদের পাকড়াও করোনা। এ আয়াত অনুযায়ী ক্ষমা পেতে পারে। তবে কাজটা ঠিক নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.