![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রবিবার স্কুল ছুটি। শনিবার রাতে মনির ছেলে দূর্জয় ও মেয়ে কবিতা ঠাকুমার কাছে গল্প শুনে। তাদের একজন ষষ্ঠ ও একজন চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে। রুটিন মাফিক তারা ঠাকুমার ঘরে এল গল্প শুনতে। কিন্তু ঠাকুমার মাথাব্যাথা। তিনি গল্প বলতে পারছেন না। হতাশ হয়ে তারা এল জেঠুর ঘরে। কবিতা বল্ল, জেঠু একটা গল্প বলনাগো। জেঠু রাম লাল বল্ল, আমি গল্প জানিনে।
-তাহলে বানিয়ে বানিয়ে বল।
-আমি গল্প বানাতে জানিনে।
-তা’বল্লেতো হবেনা! গল্প তোমাকে বলতেই হবে।
মাধুবীর বলা গল্পের কথা মনে পড়ে রামের। তিনি বল্লেন, আছা তবে শুন, তারপর যেন আর জ্বালাসনে। রাম মাধুবীর বলা গল্পটা ওদের শুনিয়ে দেয়। কবিতা বলে, তারপর কি? রাম বলে, তারপর জানিনে!
-জানিনা মানে কি?
-জানিনা মানে জানিনা!
-জানিনা বল্লেই হলো? গল্প শেষ না করলে তোমাকে ছাড়ছিনে।
-আচ্ছা ভেজালতো!
-ভেজাল কি আমরা করছি না তুমি করছ? একটু খানি গল্প বলেই বলছ জানিনে।
-তবে একজন গল্পটা জানে।
-কে?
-তোমাদের মাধুবী পিসি।
- ঠিক আছে তোমাকে ছাড়ছি। তবে কাল সকালে পিসিকে হিড় হিড় করে টেনে নিয়ে আসব।
পরদিন সকালে নাস্তা সেরে দু’জন মাধুবীদের বাড়ীতে হাজির। ঘটনা কি জিজ্ঞাস করাতে বল্ল, জেঠু যেতে বলেছে। বলেছে জরুরী কথা আছে। জেঠুর জরুরী কথা মাধুর কি আর তরসয়? মাধু দ্রুত রেডী হয়ে কবিতাদের বাড়ী চলে এল। এসে জানল জরুরী কথা হলো বিচ্ছু দু’টোকে গল্প শুনানো। তিন শ্রোতার সমুক্ষে মাধুবী তার অসমাপ্ত গল্প শুরু করল-
সাত দিন সাত রাত পর নৌকা ভিড়ল অন্য রাজ্যে। সাত দিন ধরেই ছাগলের রাখাল বলে চলছে, এই তিনি এলেন বলে। তারা একটা আসবাব সমেত বাড়ী ভাড়া করল। চন্দ্রবান জানতে চায় টাকা পেল কোথায়? ছাগলের রাখাল বলে সব তাঁর ব্যাবস্থায় হচ্ছে। একমাসেও যখন মন্ত্রী পুত্রের দেখা মিল্লনা তখন চন্দ্রবান হতাশ হলেন। রাখাল বল্ল, তবে আপনাকে রেখে আসি?
-তা’ কি করে হয়? বাবা মৃত্যু দন্ড দিবেন।
-তাহলে কি করবেন?
- কি আর করব। এনেছিস যখন কামাই রুজি করে খাওয়াবি আর কি!
- তা’ ঠিক বলেছেন। পুরুষ যখন হয়েছি। সংসারতো চালাতেই হবে!
- এই হারামজাদা তুই সংসার পেলি কোথায়? রাজ কন্যা হয়ে আমি কি ছাগলের রাখালের সংসার করব? ভুলেও এমন চিন্তা করবিনা। পারলে গিয়ে তাকে নিয়ে আয়।
- আচ্ছা আর ক’দিন দেখি। তারপর না হয়!
-এখন না হয় নিজেই একটু রুজি রোজগার করি। যা আছে তাতে আরো কিছু দিন দিব্যি কেটে যাবে। এর মধ্যে একটা ব্যাস্থা হবে হয়তো।
সে দেশে ছিল মানুষ খেকো এক শক্তিশালী মানুষের মতো প্রাণী। রূপকথায় যাকে রাক্ষস বলে। প্রতিরাতে একজন করে নাগরীক হারিয়ে যায়। কোথায় যায় কেউ জানেনা। তবে রাক্ষসটাকে অনেকে দেখেছে। তার হাতে একটা মানিক থাকে। যার আলোয় সে রাতে পথ চলে। এ রত্ন পৃথিবীতে মোট কয়টা আছে কেউ জানেনা। এ জন্য এটাকে সাত রাজার ধন বলে। তার মানে যে রাজার কাছে এ রত্ন থাকে যে সব রাজার কাছে এ রত্ন থাকেনা তারা তাকে অনেক মান্য গন্য করে। এজন্য এর এমন দাম। এ রত্নের জন্য রাজারা লক্ষ্য স্বর্ণ মূদ্রাও দিতে রাজি। এক দিকে মানিকের লোভ অন্য দিকে নাগরিক হত্যার প্রতিশোধ, দুই কারণে রাজা ঘোষণা করলেন যে এ রাক্ষস মেরে মানিক এনে দিতে পারবে তাকে দশ হাজার স্বর্ণ মূদ্রা পুরস্কার দেওয়া হবে। ছাগলের রাখাল বল্ল, সে এ রাক্ষস মেরে রাজ কন্যার হাতে দশ হাজার স্বর্ণ মূদ্রা এনে দিবে। রাজ কন্যা শুনে হেসে লুটুপুটি। রাজ কন্যা (চন্দ্রবান) বল্লেন, তুই যদি এ কান্ড ঘটাতে পারিস তো স্বীকার করতেই হবে তুই মহাবীর। তো একান্ত যদি মন্ত্রীপুত্র না আসে তবে আমি তোর গলায় ফুলের মালা দিয়ে তোকে পতিত্বে বরণ করব। রাজ কন্যার কথা শুনে ছাগলের রাখালতো আনন্দে আত্মহারা। সে খোলা তলোয়ার হাতে বেরিয়ে পড়ল রাক্ষসের সন্ধানে। এদিকে মাধবীর মা এল মাধবীর সন্ধানে। মাধবী বিকেলে আবার গল্প বলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এ যাত্রা বিচ্ছু দু’টির হাত থেকে রক্ষাপেল এবং বাড়ী ফিরে গেলো।
(চলবে)
২৪ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনার প্রতি শুভেচ্ছা নিরন্তর।
২| ২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ১১:০৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: এবারের পর্ব তো ফাটাফাটি করে ফেলেছেন। অনেক ভালো লাগা রইল। দিনদিন আপনার গল্প লেখার শব্দ প্রয়োগ পাকাপোক্ত হচ্ছে। আজকের গল্পে পাঠক ধরে রাখার ব্যবস্থাটা জোড়াল মনে হলো। একটানে পড়ে ফেললাম ক্লান্তিহীন!! মুগ্ধতা রইল গল্পে।
রাখাল রাজার বীরত্বকাব্য দেখার প্রত্যাশা রেখে দেলাম।
শুভকামনা জানবেন প্রিয় কবি।
২৪ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৫১
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: ঝগড়ার তান্ডবে কেউ এলনা। যাক তবু আপনি এলেন। অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি।
৩| ২৪ শে মে, ২০১৭ সকাল ৮:১৩
সিনবাদ জাহাজি বলেছেন:
চালিয়ে যান ।
২৪ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৫২
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনি যখন বলেছেন দেখি কদ্দুর চালাতে পারি।
৪| ২৪ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:৩৯
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: শুভকামনা জানবেন।
ভাই অাপনি কি প্রথম পাতায় এসেছেন?
২৪ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৭
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আমি এখনো প্রথম পাতায় আসিনি।
৫| ২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:০৩
সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: রাখালের সাহসী পদক্ষেপে মুগ্ধ।
শেষ পর্যন্ত ছাগলরাজের হাতে রাজাধিরাজ নিজের কন্যাকে তুলে দেন কিনা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৪
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার মুগ্ধতায় আমিও মুগ্ধ। শুভেচ্ছা নিরন্তর।
৬| ২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২
সত্যের ছায়া বলেছেন: অনেকগুলো টাইপো আছে। যেমন-
শনী< শনিবার।
এনেচিস< এনেছিস
রাক্ষষ< রাক্ষস
আশা করি ঠিক করে নিবেন।
আর ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম।
২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৬
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: যতটুকু নজরে পড়েছে, ঠিক করেছি। বাবান ঠিক করে দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
৭| ২৪ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৭
নাগরিক কবি বলেছেন: সুন্দর অগ্রগতি
২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৭
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: কিন্তু পাঠকের মন্তব্যের অগ্রগতি না হলে লেখকের লেখার অগ্রগতিও অনেক সময় থেমে যায়। মন্তব্যের জন্য অনেক শুভেচ্ছা প্রিয় কবি।
৮| ২৫ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
এবারের পর্বেও ভাল লাগা , সুন্দর লিখেছেন ভাই,
২৯ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:১০
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি।
৯| ২৫ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৪৫
ধ্রুবক আলো বলেছেন: এখনও পর্যন্ত দারুন, +++
এবার পরের পর্ব পড়বো।
২৯ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১২:১০
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: শুভেচ্ছা নিরন্তর প্রিয় কবি।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:১৭
স্বপ্নের_ফেরিওয়ালা বলেছেন:
খুব সুন্দর গল্প লিখেছেন ভাই ।
শুভ কামনা ।