নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর জীবন সকলে পায় না, তবে কিছু লোক জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলেন। আর সুন্দর জীবনের জন্য চাই সুন্দর জীবন ব্যবস্থা। নিঃসন্দেহে ইসলাম হল শ্রেষ্ঠ সুন্দর জীবন ব্যবস্থা।

ফরিদ আলম

আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।

ফরিদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বামীদেরও সাজতে হবে!

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০

প্রিয় ব্লগারগণ! নিশ্চয় খেয়াল করে দেখেছেন বিয়ের পরে স্ত্রীরা সবসময় স্বামীর জন্য সেজে গুজে থাকে। তারা সবসময় চেষ্টা করে সুন্দরী থাকার। আর এই কাজটি করে একমাত্র তার প্রাণপ্রিয় স্বামীর জন্য। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এই সুন্দরী স্ত্রীদের স্বামীদের ঐ কাজটি করতে দেখা যায় না। মানে এমন স্বামী পাওয়া মুশকিল যে ভালো করে চুল আঁচড়েছে বা পোষাক পরেছে এই জন্য যে তার স্ত্রীকে ভালো লাগবে। এমনটা হয়ই না। তবে মেয়েরা কি সৌন্দর্য পছন্দ করে না? এই ব্যাপারে একটা ঘটনার কথা বলি-

সুদর্শনা জনৈকা মহিলা কদাকার অপরিচ্ছন্ন স্বামীকে নিয়ে আমীরুল হাযরাত উমার(রা) এর দারস্থ হয়ে বললেন, ‘হে আমীরুল মুমেনীন! আমি এবং আমার স্বামীর মধ্যে যে ব্যবধানটা রয়েছে আপনি তা অবশ্যই লক্ষ করেছেন। অতএব আপনি তার থেকে আমাকে অতি শীঘ্রই উদ্ধার করুন’।

উমার (রা) মহিলাটির দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘কেন কি হয়েছে তোমাদের?’

উত্তর দিতে গিয়ে মহিলাটি বললেন, ‘আমি এবং আমার স্বামীর মধ্যে যে তফাতটি পরিলক্ষিত হয় তাতে আমি অতৃপ্ত ও অসন্তুষ্ট’।

উমার সেই লোকটির প্রতি বিবেচক দৃষ্টপাতে দেখতে পান তার পরিধেয় বস্ত্র রয়েছে ময়লা যুক্ত, অপরিষ্কার। আর তাকে দেখতে লাগছে কদাকার, বিশ্রী। জনৈকা মহিলা ও তার স্বামীর মধ্যে এই ব্যবধানটি দেখে উপলব্ধি করতে পারলেন যে, ঠিক এই জন্যেই মহিলাটি তার স্বামীকে অপছন্দ করেছে। সুতরাং উপস্থিত গণের মধ্যে একজনকে ইশারা করে বললেন, ‘লোকটিকে নিয়ে যাও এবং নখ, চুল কেটে ভালো করে গোসল দিয়ে, নতুন পোষাক পড়িয়ে আমার দরবারে উপস্থিত করো’।

সেই মতো করার পর তাকে উমরের (রা) সামনে উপস্থিত করা হল। আমিরুল মুমেনিন দেখতে পেলেন বেশ-ভূষায় যথেষ্ট পরিবর্তন হয়েছে। আগের চেহারা আর নেই। এখন যেন চেহারা থেকে সৌন্দর্যের ঝিলিক বের হচ্ছে। তার শরীর থেকে সুবাসের ঘ্রান বাতাসের সাথে ভেসে আসছে। সেই লোকটি দরবারে হাজির হওয়া মাত্রই তাকে উমার(রা) সম্বোধন করে বললেন, ‘নাও তোমার স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরে যাও। আর দৈনন্দিন জীবনের মুল্যবান সময় গুলোকে আনন্দে ও উত্সবে অতিবাহিত করো’।

এই কথা শুনে লোকটি তার স্ত্রীর কাছে গেল। কিন্তু সেই মহিলা তাকে পর পুরুষ ভেবে দূরে সরে গিয়ে বলল, ‘হে আল্লাহর বান্দা! তুমি আমিরুল মুমেনিনের সামনে এই রুপ অশ্লীল ব্যবহার করে আমাকে লজ্জা দিও না’। তখন লোকটি তার স্ত্রীকে বোঝালো সে কোন পর-পুরুষ নয় তার স্বামী। স্বামীকে চিন্তে পেরে খুশিতে মহিলা বলল, ‘হে আমার শ্রদ্ধেয় স্বামী! এখন তো আমাদের জীবন সুখ ও আনন্দে ভরা একটি জীবন। তাই চলুন আমরা বাড়ি ফিরে যায় এবং জীবনের মুল্যবান সময় গুলোকে প্রশান্তি ও আনন্দের সাথে কাটায়’।

আমিরুল মুমেনিন দরবারের সকল পুরুষকে সম্বোধন করে বললেন, ‘তোমরা যারা স্বামীর আসনে বসে থাকো, স্ত্রীদের সাথে সৎ ব্যবহার করবে ও সৎ চরিত্রের অধিকারি হবে। তারা যেন জীবনের প্রতিটি মূহুর্তে আনন্দ ও সন্তুষ্টি ভোগ করে। আমি আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি! যারা নারী তারা সৌন্দর্য পিয়ারী। তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাকে পছন্দ করে যেমন তোমরা পছন্দ করে থাকো’।

তাহলে কি বুঝলেন। শুধু আমরা নয় মেয়েরাও চাই তার স্বামী সুন্দর দেখাক। তাই আজ থেকেই কাজটি শুরু করুন। সাজুন। যেমন হাদিসে বলা হয়েছে চুল আঁচড়ানোর কথা, মাথায় তেল দেওয়া, খুশবু লাগানো, মেসওয়াক করা, ভালো পোষাক পড়া, ভালো জুতো পড়া। সেগুলো করুন। দেখবেন দাম্পত্য জীবনে শান্তি, আনন্দ অনেক গুন বেড়ে গেছে। এই কাজটি কোন আহামরি কাজ নয়। যে কেউ কোনরকম পুঞ্জি না লাগিয়েই এই কাজ গুলো করতে পারে।

আর একটা কথা টবে ফুল চাষ করার জন্য, মাছ চাষ করার জন্য, গরু-ছাগল পালন করার জন্য এমনকি কুকুর পোষার জন্যও আমরা অনেক বই পড়ি, চিন্তা ভাবনা করি। কিন্তু আদর্শ স্বামী হওয়ার জন্য কখনোই তা করি না। তাহলে কি কুকুর হওয়ার থেকেও স্বামী হওয়া সহজ?

কবির বেদির একটা কথা বলার লোভ সামলাতে পারছি না। তিনি বলেছিলেন, ‘মেয়েরা ভাবে বিয়ের পর ছেলেরা পালটে যাবে কিন্তু ছেলেরা পাল্টায় না। ছেলেরা ভাবে বিয়ের পরে মেয়েরা পাল্টাবে না কিন্তু তারা পালটে যায়’।

আজ এইটুকুই, এই আলোচনার পক্ষে-বিপক্ষে মন্তব্য আশা করছি।

______________________________



ভিজিট করার অনুরোধ রইল- http://islameraalo.wordpress.com/

______________________________

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩

দিকভ্রান্ত*পথিক বলেছেন: FREE THINKER নিকটির ব্যান চাই। কারণ: নারীদের প্রতি প্রত্যক্ষ অপমান ও ধর্ষকদের সমর্থন দিয়ে ধর্ষিতাদের দায়ী করা।ওর পোস্টে যান ও সবাই রিপোর্ট করবেন প্লিজ....

২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৩

সুলাইমান হাসান বলেছেন: ভালো পরামর্শ । :) :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.