![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।
পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের অবস্থা কেমন তা এতদিন পশ্চিমবঙ্গের বা ভারতের লোকেরা জানত না। এমনকি মুসলিমরা পর্যন্ত জানত না তুলনামুলক ভাবে তারা কেমন আছে, সরকারী ভাবে সাহায্য কেমন পাচ্ছে, শিক্ষিত হার কত, চাকরির % কত ইত্যাদি ইত্যাদি। মনমোহন সিং এর প্রস্তাবে একটি কমিটি গঠন করা হয় সারা ভারতে মুসলিম সহ অনান্য সংখ্যালঘুদের অবস্থা কেমন তা জানার জন্য। বিচারপতি সাচারে নেতৃত্বে গঠিত সাচার কমিটির রিপোর্ট সারা বিশ্বের মানুষকে অবাক করে দেয় কিভাবে একটা নিদিষ্ট ধর্মের লোক বঞ্চিত হয়ে আসছে। শিক্ষা থেকে, চাকরি থেকে, সরকারী সাহায্য থেকে। বঞ্চিত শুধু বঞ্চিত। ৩৪ বছরের বামফ্রন্ট সরকার দাঙ্গা থেকে তো আমাদের বাঁচিয়েছে কিন্তু অন্য সব ব্যাপারেই শুধু বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে চুপ করিয়েছে। কেউ কিছু বললে সাম্প্রদায়িক উপাধি পেয়েছে। যেখানে ৭% চাকরি ছিল সত্তরের দশকে সেখানে ৩৪ বছরে কমে গিয়ে দের % হয়েছে। ইলেক্ট্রিক পুল যেতে যেতে ঠিক মুসলিম পাড়ার সামনে থেমেগেছে। আর ১ কিমি যেতে পারেনি। মুসলিম এলাকায় স্কুল কলেজ কখনোই হয়নি। উত্তর দিনাজপুর, মালদা, মুর্সিদাবাদ এই তিন জেলায় ৭০-৮০ শতাংসই মুসলিম। তাই কখনোই কোন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেনি। মালদায় দশ বছর আগে গৌড় বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ঘোষিত হলেও আজও কোন কাজ হয়নি। যাক এসব নিয়ে লেখার ইচ্ছে নেই মোটেই। কারণ এগুলো লিখলে তো ব্লগ ভরে যাবে, সাচার কমিটির রিপোর্ট্টাই তো সাড়ে বারো হাজার পাতার।
আজ লিখতে চাইছি মুশতাক হুসেন সম্পর্কে। তিনি পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম ধনী শিল্পপতি। পতাকা ইন্ডাস্ট্রির মালিক। পতাকা বিড়ি, পতাকা চা, পতাকা বিস্কুট....অনেক প্রডাক্ট আছে। পশ্চিমবঙ্গ সহ সারা ভারত বিখ্যাত। তিনি তাঁর কোম্পানীর জন্য যত না জনপ্রিয় তার থেকে বেশি জনসেবা মুলক কাজের জন্য। কখনো কখনো আশ্চর্য হয় ভেবে, একাই কিভাবে এত সব কাজ করেন তিনি। এক বিশাল সামাজীক সংগঠন তৈরি করেছেন। জি ডি ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। এই সোসাইটি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গরীব মেয়েদের বিয়ে, মাদ্রাসা-মিশন আরো অনেক ক্ষেত্রে কাজ করে চলেছে।
মোস্তাক হুসেন রামকৃষ্ণ মিশনের ধাঁচে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের জন্য তৈরি করেন আল-আমিন মিশন। এই মিশনের বিশাল সাফল্য দেখে এরকম প্রায় ৬০ টিরও বেশি মিশন গড়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায়। তিনি প্রায় ৩২ টি মিশনকে বাতসরিক অর্থ সাহায্য করে থাকেন। কয়েক বছর আগে তিনি জি ডি ডায়াবেটিজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সকল মাদ্রাসায় তিনি সাহায্য করেছেন। হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন গরীব মুসলিমদের জন্য।
এবছর মুর্সিদাবাদ জেলার সব কটি ব্লকে প্রাথমিক বিদ্যালয় গড়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। উনার ব্যাপারে এতদিন একটা অভিযোগ ছিল তিনি শুধু সংখ্যালঘুদের জন্যই কাজ করছেন। কিন্তু এই স্কুলে সংখ্যালঘুদের সাথে সাথে অন্যরাও পড়ার সুজোগ পাবেন। ইতিমধ্যে তিনি সরকারী এবং বেসরকারী অনেক পুরুস্কার পেয়েছেন।
আজ পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমরা যেটুকু শিক্ষিত হয়েছে, স্বচ্ছল হয়েছে তার জন্য সরকারের যতটা অবদান আছে তার থেকেও বেশি আছে এই লোকটার। বিশেষ করে মালদা, মুর্সিদাবাদ, বিরভুম, পুরুলিয়া, উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিন ২৪ পরগণা, হুগলি, বাকুঁরা, কলকাতা, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর জেলায় তিনি অনেক কাজ করেছেন।
(লিখতে অনেক কিছুই চেয়েছিলাম, কিন্তু লেখনি ক্ষমতা না থাকাই ঠিক গুছিয়ে লিখতে পারলাম না।)
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৫
ফরিদ আলম বলেছেন: আমার পক্ষ থেকেও সাধুবাদ।
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
ঝটিকা বলেছেন: ভালোই তো লিখেছেন। কিছু তথ্য জানতে পারলাম।আমার ইণ্ডিয়ান মুসলিমদের অবস্থা সম্পর্কে আরো জানতে ইচ্ছা করে।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৬
ফরিদ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ। ইনশাল্লাহ আরো লেখার চেষ্টা করব।
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২১
ইয়াংিক বলেছেন: শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। আরও জানতে চাই
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
ফরিদ আলম বলেছেন: ইনশাল্লাহ লেখার চেষ্টা করব।
৪| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৫
জাহিদ গাছবাড়ী বলেছেন: ভালো লাগলো,
তয় আমিও ভারতে এরকম আজমল ফাউন্ডেশন দেখেছি।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৬
ফরিদ আলম বলেছেন: হ্যা, আজমল ফাউন্ডেশানও খুব ভালো কাজ করে চলেছে।
৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৬:২২
আদিম পুরুষ বলেছেন: একবার দেশ ম্যাগাজিনে আল-আমিন মিশ্নের একটি ফিচার এবং বিজ্ঞাপন দেখেছিলাম। নিঃসন্দেহে মহান উদ্যোগ। আপনার কাছ থেকে এরকম আরো তথ্যবহল লেখা আশা করছি।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৩
ফরিদ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইজান। ইনশাল্লাহ লিখে যাবো।
৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২০
ইভা_110 বলেছেন: উত্তর দিনাজপুর, মালদা, মুর্সিদাবাদ এই তিন জেলায় ৭০-৮০ শতাংসই মুসলিম। তাই কখনোই কোন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেনি। মালদায় দশ বছর আগে গৌড় বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ঘোষিত হলেও আজও কোন কাজ হয়নি। যাক এসব নিয়ে লেখার ইচ্ছে নেই মোটেই। কারণ এগুলো লিখলে তো ব্লগ ভরে যাবে, সাচার কমিটির রিপোর্ট্টাই তো সাড়ে বারো হাজার পাতার।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৫
ফরিদ আলম বলেছেন: কি হল আপা ?
৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪২
কাঙ্গাল মুরশিদ বলেছেন: মুসলিম সমাজ মুলত স্বউদ্যোগে দ্বানের ভিত্তিতেই পরিচালিত হওয়ার কথা। বিষেশ করে যেসকল এলাকায় ইসলামী সরকার প্রতিষ্ঠিত নাই সেখানে এই ধরনের ব্যাক্তি উদ্যোগের বিকল্প কিছুই পাওয়া যাবে না। আমাদের বাংলাদেশেও সকল কওমী মাদ্রাসা এবং বেশ বড় সংখ্যাক অন্যান্যা ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যাক্তি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত।
আমাদের রাস্ট্রের দিকে তাকিয়ে না থেকে নিজ উদ্যোগে এগিয়ে যাওয়ার চেস্টা করতে হবে। একজন মুশতাক হুসেনের স্থানে হাজার হাজার মুস্তাক হুসেনের জন্ম দিতে হবে। সবাই মিলে এগিয়ে এসে সম্মিলিত প্রচেস্টায় যখন কোন কাজের উদ্যোগ নেয়া হয় তখন তাতে আল্লাহর রহমতও বেশী পাওয়া যায়।
সুন্দর কিছু তথ্য দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আশা করি নিয়মিত লিখবেন।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫
ফরিদ আলম বলেছেন: আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। ইনশাল্লাহ আরো লেখার চেষ্টা করব। আপনাকে আমার 'আজাদ ভারতের গোলাম মুসলমান' পোষ্টটা পড়ার অনুরোধ রইল।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৪
কালোপরী বলেছেন: মুশতাক হুসেন কে সাধুবাদ