![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।
“কোন দেশে রাষ্ট্র তার সংখ্যালঘুদের প্রতি কি রকম পক্ষপাতহীন আচরন করে এবং তাদের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করে, সেটা তার ন্যায়পরায়নতার একটা আসিড (Asid) মাত্র” - সন্তোষ রাণা
কয়েক বছর আগে ভারত সরকার এক বিশেষ কমিটি গঠন করেন। ভারতের মুসলিমদের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও শিক্ষাগত অবস্থা সম্পর্কে জানার জন্য। কমিটির সভাপতি ছিলেন দিল্লি হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রাজেন্দ্র সাচার। তাঁর নেতৃত্বে এই কমিটি সারা ভারত জুড়ে মুসলিমদের উপর বিশাল সমীক্ষা চালায়। এই সমীক্ষায় যেসকল ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছিল তা হল, মুসলমানরা কি ধরণের কর্মকান্ডের সাথে যুক্ত, তাদের বার্ষিক আয় কেমন, শিক্ষাগত যোগ্যতা কেমন, সরকারী সাহায্য ব্যাংকের ঋণ কেমন পান, কেমন এলাকায় এরা থাকেবন, সেখানে জল, বিদ্যুত, রাস্তাঘাটের অবস্থা কেমন, সম্পত্তি বা জমিজমার পরিমান কত....ইত্যাদি।
প্রায় দের বছর ধরে সমীক্ষা করার পর কমিটি একটি বিশাল রিপোর্ট তৈরি করেন। রিপোর্টটি খুবই বড়। প্রায় ৪৫০ পৃষ্ঠার। নির্ভিক সত্যানুসন্ধানী এই রিপোর্ট প্রকাশিত হবার পর সারা ভারতের সকল পত্রিকা মুসলিম বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন। আলোচনার ঝড় উঠে সারা দেশ জুড়ে। এই কমিটির কাছে অবস্থা ভালো কিভাবে করা যায় সে ব্যাপারেও সুপারিশ চেয়েছিল। এই রিপোর্টে মুসলিমদের অবস্থার সাথে সাথে কিভাবে এই অবস্থা কাটিয়ে উঠা যায় সে সম্পর্কে সুপারিশও ছিল। এই রিপোর্টটির বিশেষ কিছু অংস আপনাদের জানাবো আজ।
তার আগে, সর্বভারতীয় উর্দু নিবন্ধকারের একটি মন্তব্য দেখুন, “পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম জনগোষ্টি যে ভারতে বাস করে এটা পুরানো এবং বহুল প্রচলিত গল্প। নতুন এবং আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিষয় হল তাদের সামাজীক অবস্থান,আর্থিক শোচনীয়তা, কর্মসংস্থানে অস্তিত্বহীনতা এবং রাজনৈতিক শক্তিহীনতা”।সর্বভারতীয় ইংরাজী নিবন্ধকার Dr. S. Ausaf Saied Vasfi লিখেছেন, “Muslim Condition is worse than that of Dalits. The only ‘sector’ where Indian Muslims are more than adequately represented in Jail”. (মুসলিমদের অবস্থা দলিতদের থেকেও সঙ্গীন। একমাত্র সেক্টর যেখানে ভারতীয় মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব রয়েছে ব্যপকতর তা হল জেল)।
২০০১ সালের জনগণনা অনুযায়ী ভারতের লোকসংখ্যা প্রায় ১০২ কোটি ৮৬ লক্ষ। এর মধ্যে ৮০% হিন্দু, ১৩.৪ শতাংশ মুসলিম। বাকী ৭% এর মতো খৃষ্টান, বৌদ্ধ, জৈন ইত্যাদি। কয়েক বছর আগে বেসরকারী একটি সমীক্ষার মতে ভারতে প্রায় ১৮-২০ কোটি লোক মুসলিম। আমেরিকার একটি পত্রিকার মতে ভারতে মুসলিমদের সংখ্যা প্রায় ২৫ শতাংশের মতো। ভারত কখনোই নাকি মুসলিমদের সঠিক সংখ্যা জানায় না।
যাক, এবার সাচার কমিটি রিপোর্টে দিকে আলোকপাত করা যাক। আমি শুধু কয়েকটা ব্যাপার নিয়ে লিখছি। যেগুলো নিয়ে বেশি হৈ হুল্লোর হয়েছিল।
মসলিমদের শিক্ষাগত অবস্থাঃ
শিক্ষা ক্ষেত্রে মুসলিমদের অবস্থা করুণ ও শোচনীয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘মুসলিমরা দু ধরনের অবস্থার মধ্যে রয়েছেন। একদিকে শিক্ষার স্তর নিম্ন, অন্যদিকে শিক্ষার গুনগত মানও নিম্ন। কোন কোন ক্ষেত্রে মুসলিমদের আপেক্ষিক অংশীদারি দীর্ঘকাল ধরে জাতি-ব্যবস্থার শিকার তপশিলি জাতির মানুষদের চেয়েও খারাপ’। পশ্চিমবঙ্গ বিহারের এক হাজার মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামে কোন বিদ্যালয়ই নেই। সারা দেশে মুসলিম প্রধান গ্রাম গুলির এক তৃতীয়াংশে কোন বিদ্যালয় নেই। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় তো নাইই। রিপোর্ট অনুযায়ী, শহর অঞ্চলে মুসলিমদের অন্তত ৬০% স্কুলের দরজায় পা দেবার সৌভাগ্যও হয়নি। উচ্চশিক্ষাতেও মুসলিমদের অবস্থা খুব খারাপ। সারা দেশে প্রতি ১০০ জন স্নাতকের মধ্যে মুসলমান ৬.৩, তপশিলি জাতি ৮.২, অন্যরা ৮৫.৫। টেকনিক্যাল স্নাতকের ক্ষেত্রে মুসলিমদের অবস্থা আরো খারাপ। ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট এর সবকটি শাখা মিলিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে মাত্র ১.৩ শতাংশ মুসলমান। এর কারণ শুধুই সরকারী অমনোযোগীতা, স্কুল কলেজের অভাব। অনেকে আবার বলেছেন মুসলিমরা ছেলেমেয়েদের মাদ্রাসায় পাঠান, স্কুলে নয়। তাই তাদের সঠিক শিক্ষা হয়না। কমিটির এই ব্যাপারেও সমীক্ষা চালিয়েছে। রিপোর্ট মোতাবিক মুসলিম শিশুদের মধ্যে মাত্র ৪% মাদ্রাসায় যায়। মুসলিমদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৫৯.৯%। এটা জাতীয় গড় ৬৫.১% অপেক্ষা অনেক কম।
চাকরির ক্ষেত্রে মুসলিমঃ
স্বাধীনতা অর্জনের সময় চাকরীতে মুসলিমদের অবস্থান ছিল খুব ভালো। তখন চাকরিতে মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব ছিল ৩৪%। সাচার কমিটির রিপোর্ট প্রকাশিত হব্র পর এ-কথা বলেওছেন সিনিয়ার সমাজবাদী মন্ত্রী মুহাম্মাদ আযম খান। তিনি বলেন, ‘১৯৪৭ সালে যখন দেশের স্বাধীনতা অর্জিত হয় তখন দেশের সরকারী চাকরিতে মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব ছিল ৩৪%, আজ এটা দাড়িয়েছে মাত্র ১ শতাংশে। এমনকি তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মসংস্থানে মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব দলিতদের থেকেও কম। এই অবস্থার জন্য কংগ্রেস ছাড়া আর কে দায়ি?” (Quota for all Muslims: Samajwadis by Amita Verma, The asian Age)
এ থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে স্বাধীনতার পর থেকে মুসলিমদের সাথে শুধু শোষন হয়েছে। তাদের অবস্থার একটু উন্নতি হয়নি বরং মহা অবনতি হয়েছে। আরেকটা ব্যাপার বলি, মুসলিমদের আর্থিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে ইন্দিরা গান্ধী ১৯৮০ সালে গোপাল কৃষ্ণ কমিশান নিয়োগ করেন। এই কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী মুসলিমরা শুধু বেকারই নয়, কিছু কিছু এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ তাদের নাম নথিভুক্ত করতেও অস্বীকার। এই রিপোর্টে আরো বলা হয় আশির দশকে মুসলিম আই.এ.এস অফিসারের হার ছিল মাত্র ৩.২৭ শতাংশ, এই.পি.এস অফিসারের হার মাত্র ২.৭ শতাংশ এবং অনান্য কেন্দ্রীয় সরকারী চাকরিতে তাদের হার মাত্র ১.৫৬ শতাংশ। এমনকি রাজ্য স্তরের চাকরিতেও মুসলিমদের হার মাত্র ৬.০১ শতাংশ। অথচ এই রিপোর্ট প্রকাশের ৩০ বছর পরেও মুসলিমদের অবস্থা একই রয়ে গেছে। কোন উন্নতিই হয়নি। সরকার কোন ব্যবস্থাও নেয়নি।
সাচার কমিটির রিপোর্টটি দেখুন-
চাকরিপদ – মোট সংখ্যা – মুসলমানদের সংখ্যা – মুসলমানদের শতকরা হার
আই.এ.এস - ৩,৮৮৩ - ১১৬ – ২.৯৯ %
আই.পি.এস – ১,৭৫৩ – ৫০ – ২.৮৫ %
ইনকাম ট্যাক্স – ৮৮১ – ২৭ – ৩.৬ %
রেলওয়ে ট্রাফিক এবং আকাউন্ট – ৪১৫ - ১১ - ২.৬৫ %
ব্যঙ্ক – --(অজানা) – ২,৪৭৯ – ২.১৮ %
কেন্দ্রীয় দপ্তর – ৮,২৬,৬৬৯ – ৩,৩৪৬ – ৪.৪১ %
রাজ্য সরকারী দপ্তর - - (অজানা) ৪৯,৭১৮ – ৬.০১ %
আরো কয়েকটি ব্যাপার জানুন, ১৯৭১ সালের তালুকদার কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারে ২৬৪ জন আই.এ.এস অফিসারের মধ্যে মাত্র ২ জন মুসলিম। গোপাল কৃষ্ণ রিপোর্ট অনুসারে, উল্লেখযোগ্য মুসলিম জনসংখ্যাবিশিষ্ট তিন রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, আসম ও বিহারের ক্লাস ওয়ান সেক্টারের অফিসারের মধ্যে একজনও মুসলিম নেই। সর্বভারতীয় মোট ২,২৩২ জন ক্লাস ওয়ান অফিসারের মধ্যে মাত্র ৩৬ জন মুসলিম। এর মধ্যে ২২ জনই কেরালার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। উল্লেখ্য, কেরালাতে অনেক মুসলিম আছে। ভারতের সব থেকে শিক্ষিত, স্বচ্ছল, ক্ষমতাশালী মুসলিম কেরালায় আছে।
রাজ্য গুলিতে মুসলিমদের জনসংখ্যা ও চাকরীর হারঃ
রাজ্য------মুসলিম জনসংখ্যা----চাকরির হার
পশ্চিমবঙ্গ – ২৫.২ % - ২.১ %
কেরালা – ২৪.৭ – ১০.৪
উত্তর প্রদেশ – ১৮.৫ -৫.১
বিহার – ১৬.৫ – ৭.৬
আসাম – ৩০.৯ – ১১.২
ঝাড়খন্ড – ১৩.৮ – ৬.৭
কর্ণাটক – ১২.২ – ৮.৫
দিল্লী – ১১.৭ – ৩.২
মহারাষ্ট্র – ১০.৬ – ৪.৪
অন্ধ্রপ্রদেশ – ৯.২ – ৮.৮
গুজরাট – ৯.১ – ৫.৪
তামিলনাড়ু – ৫.৬ – ৩.২
পরিস্কার বোঝা যাচ্ছে মুসলিমদের সংখ্যার অনুপাতে চাকরিতে তাদের প্রতিনিধিত্ব খুবই কম। বার বার কমিশন গঠন করা হয়েছে, কমিশন রিপোর্ট দিয়েছে। সুপারিশও করেছে। কিন্তু সরকার কোন রকমের উদ্যোগ নেয়নি। তাই মুসলিমদের অবস্থার উন্নতিও হয়নি। মুসলিমদের অবস্থা আরো খারাপ হয়েছে, হচ্ছে, হয়ে চলেছে।
দারিদ্র ও ভুমিহীন মুসলিমঃ
ভারতে দারিদ্রসীমার নিচে বসবাস করেন ৩২% মানুষ। যাদের পরিবারের লোকেদের মাথাপিছু খরচ ২৬ টাকার কম তাদেরকে দারিদ্র সীমার নিচে বলে ধরা হয়। স্বাধীন হওয়ার ৬০ বছর পরেও একটি দেশের ৩২% মানূষের দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস নিসন্দেহে লজ্জাকর। কিন্তু তার থেকেও লজ্জার ব্যাপার হল সেই দেশের একটি নিদিষ্ট ধর্মের অনুসারীদের ৪৯.৯ শতাংশ দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস। হ্যা আমি মুসলমানদের কথা বলছি। সাচার কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী ভারতের ৪৯.৯% মুসলিম দারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করে। যা জাতীয় গড়ের থেকে অনেক বেশি। এটা একটা ধর্মনিরপেক্ষ দেশের জন্য খুবই লজ্জার। প্রশ্ন উঠে ভারত কি সত্যিই ধর্মনিরপেক্ষ দেশ?
দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী মুসলিমদের বি.পি.এল অন্তরভুক্তও করা হয়নি। অথচ সারা দেশের প্রায় ২৭% দারিদ্রদের সেই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ফলে তারা অতিরিক্ত রেশন, কমদামে খাদ্যদ্রব্য, বিনা খরচে বিদ্যুতও পাননা। গ্রামীন মুসলিমদের ৬০% ভুমিহীন। ভিটে মাটি ছাড়া চাষ বাষ করার জন্য কোন জমি নেই। অথচ, ১৯৫০ সালের সংবিধান ও সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী জমিদারী প্রথা বিলোপ করা হয়েছিল। এবং নিদিষ্ট সংখ্যক সম্পত্তি ছেড়ে, অতিরিক্ত জমি সরকার গরীব্দের মধ্যে বেটে দেয়। তাহলে কি মুসলমানরা এই জমি থেকে বঞ্চিত হয়েছিল? তাদের কোন জমি দেওয়া হয়নি? কেন আজ ৬০% মুসলিম ভুমিহীন? সরকারের কাছে এইসব প্রশ্নের কোন উত্তরই নাই।
অনান্য জন-গোষ্ঠীর মধ্যে দারিদ্র (শতাংশ হিসেবে)
সম্প্রদায় – শহর - গ্রাম
তপশীলি জাতি- ৩৬.৪ – ৩৪.৮
হিন্দু – ৮.৩ – ৯.০
অনান্য সঙ্খ্যালঘু – ১২.২ – ১৪.৩
দেখা যাচ্ছে তপশীলি জাতি বাদ দিলে সবাই সুখেই আছে। দারদ্রের ছোবল থেকে বেঁচে আছে। অথচ মুসলিমরা দারিদ্রের দংশনে কাতরালেও চিকিতসার কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অবাক করা ব্যাপার হলো দেশের ৪০% মুসলমান প্রধান গ্রামে কোন স্বাস্থ্যকেন্দ্রই নাই। ফ্রীতে চিকিতসা পাওয়া তো দুরের কথা।
বিচার বিভাগ, লোকসভা ও রাজ্যসভাতে মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব খুবই কম। এসব বিষয় নিয়েও লেখা যায়, কিছু তথ্য দেওয়া যায়। কিন্তু এগুলো ততটা ইম্পোর্টান্ট নয়। তাই শিক্ষা, চাকরি এবং দারিদ্রতার কথাই শুধু লিখলাম। লিখতে গিয়ে বার বার মন খারাপ হয়েছে। মনে হয়েছে ধুর ছাই, এসব লিখে কি হবে। শুধু মনের কষ্টই বাড়বে। যাক এনিয়ে আর লেখার ইচ্ছে আপাতত নেই। তবে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের অবস্থা নিয়ে লিখব ইনশাল্লাহ।
সুত্রঃ *সাচার রিপোর্ট, মুসলিমদের বঞ্চনার দলিল; সন্তোষ রাণা
* মুসলমান সমাজ এখন এই সময়; এস.এম শামসুদ্দিন
* আবু রিদা সাহেবের বিভিন্ন প্রবন্ধ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৬
ফরিদ আলম বলেছেন: প্রথমত, রাজেন্দ্র প্রসাদ ভুল হয়েছে। আসলে হবে রাজেন্দ্র সাচার।
দ্বিতীয়ত, আমি ভারতীয়, আমার প্রফাইল দেখুন। আপনি যে কথা বলেছেন তা আমি এই প্রথম শুনলাম। এই ব্যাপারে এর আগে কেউ বলেছেন কি না তাও জানিনা।
যাইহোক, এত বড় লেখাটা পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৩
রামিজের ডিপফ্রিজ বলেছেন: ওহো, সরি, মাপ করবেন। আপনি ইসলামপুরের লোক? আমার ইউনিভারসিটির এক বন্ধু ইসলামপুরে থাকে, সুদেষ্ণা নাম। চেনেন নাকি?
বাই দ্য ওয়ে, আমি সাচার কমিটির রিপোর্টের ব্যাপারে এতবার পড়েছি যে এখন বোরিং লাগে।ছোটবেলা থেকেই ডেভিলস অ্যাডভোকেট টাইপের হতে খুব ভাল লাগে, তাই এখানে দু একটা পাল্টা যুক্তি দিচ্ছিলাম। মেন ব্যাপারটা অস্বীকার করতে চাই না আর অস্বীকার করার কোন হকও নেই।
ধন্যবাদ নেবেন। আমি হুগলি জেলার ছেলে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯
ফরিদ আলম বলেছেন: আপনিও ভারতীয় জেনে খুব ভালো লাগছে। সুদেষ্ণা নামে কাউকে তো চিনি না। যাক ভারতীয় ব্লগার পেয়ে আমাকে খুব ভালো লাগছে।
হুগলি জেলায় তো তারকেশ্বর পড়ে তাইনা? ওখানে আমাদের আত্মীয় আছে মাঝে মাঝে যায়।
৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
শিব্বির আহমেদ বলেছেন: দারুণ লিখেছেন । শুধুমাত্র আপনাকে ধন্যবাদ দেবার জন্যই লগ ইন করলাম ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭
ফরিদ আলম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইজান।
ভালো থাকুন সবসময়।
৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: সাচার কমিটি এর রিপোর্ট টা আগেও দেখেছিলাম ।শুধু মুসলিম না ,ভারতের বেশ কয়েকটি জনগোষ্ঠী পিছিয়ে রয়েছে বা ইচ্ছা করে পিছিয়ে রাখা হয়েছে ,যেমন নর্থ ইস্ট এর বাসিন্দা রা ।আর এর জন্য দায়ী ধর্ম ভিত্তিক রাজনীতি ।
মমতা এই যে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় করলো সংখ্যালঘু ভোট ব্যান্ক ধরে রাখার জন্য ,এটা কোন কাজে লাগবে ?এর থেকে অনেক ভালো হত যদি যাদবপুর ইউনিভার্সিটি এর মতো একটা মুর্শিদাবাদে তৈরি হত ।
আমার মত হলো ধর্ম ভিত্তিক যেকোনো সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তুলে দিতে হবে ।বেসরকারী চলতে পারে কিন্তু সরকারী কখনই নয় ।
প্রত্যেক গ্রামে(১০০০ জনসংখ্যা ) একটি করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।তিনটি গ্রাম নিয়ে একটা হাই স্কুল ।
ধর্ম ভিত্তিক সমস্ত সার্ভে বন্ধ করতে হবে ।একজন ভারতীয় কে ভারতীয় হিসাবে দেখতে হবে ।হিন্দু বা মুসলিম হিসাবে নয় ।
সর্বপরি মুসলিম দের আরো সচেতন হতে হবে ।অধিকার বুঝে নিতে হবে ।আমি প্রায়শই দেখেছি একজন মুসলিম "সংখ্যালঘু" হিসাবে অধিকার চায় ,আর তখনই আমাদের নেতারা ১০ % সংরক্ষণ ,ইমাম ভাতা নামক ভাওতা বাজি করার সুযোগ পেয়ে যান ।আসলে একজন ভারতীয় হিসাবে অধিকার কেড়ে নিতে হবে ।তবেই পাওয়া যাবে অধিকার ।শিক্ষার অধিকার ,প্রগতির অধিকার ।তবে আশা রাখি ,ভারত খুব তারাতারি ঘুরে দাড়াবে ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬
ফরিদ আলম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। খুব ভালো লাগ্লো আপনার মন্তব্য।
ভারতে মুসলিমদের থেকে খারাপ অবস্থা তপশীলি জাতিদের। সাঁওতালদের জন্য খুবই দুঃখ হয়। দেশের আসল মালিক তো তারাই।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যদি সরকার চালায় তবে আবার ধর্ম্নিরপেক্ষতা কিসের। আপনার সাথে সহমত, আলীয়া মাদ্রাসার চেয়ে একটা ভালো ইউনিভার্সিটির খুব দরকার ছিল মুর্সিদাবাদ এলাকায়।
আপনি যে ধরনের উদ্যোগ বা ব্যবস্থা নেবার কথা বলেছেন তা খুব ভালো লাগল। এইধরণের ব্যবস্থা নিলে খুব শীঘ্রই আমাদের দেশ থেকে দারিদ্রতা দূর হবে। নিরক্ষর কেউ থাকবে না।
আবারো অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকবেন।
৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৫
রামিজের ডিপফ্রিজ বলেছেন: সিদ্ধার্থ আমার মনের কথাটি বলেছেন।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩১
ফরিদ আলম বলেছেন: ওকে
৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:০৯
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: "সাঁওতালদের জন্য খুবই দুঃখ হয়। দেশের আসল মালিক তো তারাই।" এই কথা টার জন্য লক্ষ লক্ষ সুকরিয়া ।সত্যিই তাই ।আর আজ ওদের দুর্দশা ....আর কি বলব ।আমার মনে হয় যদি সুধু ঝারখন্ড আর মনিপুর এ ক্রীড়া পরিকাঠামো উন্নত করা যায় ,তাহলেই ভারত কে আর ৬ টা অলিম্পিক পদক নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হবে না ।আমরাও চীনএর মতো হতে পারতাম ।যাই হোক আশা আছে ,দীপিকা কুমারী একজন সাঁওতাল তাও কত কষ্ট করে আর্চারী তে বিশ্বের ১ নং স্থান দখল করেছে ।এরাই ফিউচার ।।সরকার সুধু পরিকাঠামো তৈরি করুক ,বাদবাকি সব আমরাই করে নিতে পারি ।ধন্যবাদ ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৪
ফরিদ আলম বলেছেন: আসলে পুর্বভারত কেন্দ্রসরকারের কাছ থেকে অনেক উপেক্ষিত। আপনি ঠিকই বলেছেন, ভারতীয় হিসেবে চেয়ে নয় অধিকার ছিনিয়ে নিতে হবে। আর এজন্য বুদ্ধিজীবি/জনপ্রিয় লোকেদের দরকার। যারা আনদোলনে নেতৃত্ব দেবে।
আবারো ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:১৬
স্পেলবাইন্ডার বলেছেন: অনেক অজানা তথ্য জানা হল।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৪
ফরিদ আলম বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২০
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: পড়লাম। আলোচনা থেকে আরো কিছু জানা যাবে আশারাখি।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৫
ফরিদ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ। কিছু বললে ভালো লাগত।
৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৩
মেঝদা৬১ বলেছেন: বাংলাদেশের সাধারন ঘটনা। এই দৃশ্য শুধু থানায় না, সব জায়গায়। তারা চিন্তাও করে না, তাদের ঘরে সমত্ত মেয়ে বা বোন আছে। ধিক এই সমাজকে। ধন্যবাদ ভাই। খুব ভাল লিখেছেন।
আমি কাল কিছু টাকা পাঠাবো ইনশাল্লাহ। ধন্যবাদ ফেরদৌসা। কুনোব্যংগ ভাইয়া।
আমি বাংলাদেশের লোক। আমার একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। আমার ভাতিজা পুনে ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সাইন্সে স্ক্লারশিপ নিয়ে পাশ করেছে, সে এখন একটি আমেরিকান কোম্পানীর ৩৩% মালিক এবং মাসে মোটা বেতন পায়। সে যখন অনার্স পরীক্ষায় ফাস্ট ক্লাস ফার্স্ট হলো লিখিত পরীক্ষায় কিন্তু মৌখিক পরীক্ষায় তাকে দ্বিতীয় স্থানে নামিয়ে একজন ভারতীয় ছেলেকে দিল যে লিখিত পরীক্ষায় অনেক কম নম্বর পেয়েছে। এই নিয়া আমার ভাতিজা চ্যালেঞ্জ করলো, সেখানে এই নিয়া বিরাট হট্টগোল হল। মৌখিক পরীক্ষায় আমার ভাতিজাকে ৩০ টা কঠিন কঠিন প্রশ্ন করেছে এবং সবগুলির সঠিক উত্তর দিয়েছে আর ভারতীয় ছেলেকে মাত্র দুইটা প্রশ্ন করেছে। তারপরও চেষ্টা করেছিল দ্বিতীয় স্থান দিতে কিন্তু ইউনিভারসিটির উপর ওয়ালারা জেনে যাওয়াতে বাধ্য হয়ে আমার ভাতিজাকে প্রথম শ্রেনীতে প্রথম করতে বাধ্য হয়েছিল। আমার ভাতিজা সেখান থেকেই এম এস করেছে সেই একই রেজাল্ট নিয়ে। ভারতের মুসলমানদের অবস্থা যে কি তা আমি মাঝে মাঝে যাই, দেখে আসি। ধিক্কার জানাই এইসব ধর্মান্ধ মানুষগুলোকে। সব দেশেই সংখ্যা লঘুদের উপর এই রকম হচ্ছে কিন্তু তার পরিমান ভারতে বেশী।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৫
ফরিদ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ মেজদা।
১০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:২৭
রামিজের ডিপফ্রিজ বলেছেন: সিদ্ধার্থ ভাই কি যাদবপুর ইউনিভারসিটিতে পড়েন নাকি? আমি ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টে থার্ড ইয়ার।
এনিওয়ে, ইমামদের ভাতা দিয়ে যে মুসলিমদের কি লাভ হয় কে জানে? এরা নিজেরাও আধুনিক ঞ্জানবিঞ্জানের ধার ধারে না আর কেউ সেটা করুক তাও চায় না।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৬
ফরিদ আলম বলেছেন: ইমামদের ভাতা নিয়ে আমারও আপত্তি আছে।
এরা নিজেরাও আধুনিক ঞ্জানবিঞ্জানের ধার ধারে না আর কেউ সেটা করুক তাও চায় না।
একথা বুঝতে পারলাম না।
১১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৬
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: না আমি সেন্ট জেভিয়ার্স ।কম্পিউটার সাইন্স ।
আসলে কিছু মানুষ আছে যারা এদেরকে ধর্ম নামক আফিম দিয়ে ভুলিয়ে রাখে ।তাদের কে হাটালেই সব ঠিক হয়ে যাবে ।দেশের উন্নতি করতে গেলে সবার উন্নতি দরকার ।নয়তো একটা ডানা কাটা পাখির মতো অবস্থা হবে ।
আচ্ছা আমাদের দেশে এরকম একটা বাংলা ব্লগ থাকলে কেমন হয় ?
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৩৯
ফরিদ আলম বলেছেন: ।দেশের উন্নতি করতে গেলে সবার উন্নতি দরকার ।নয়তো একটা ডানা কাটা পাখির মতো অবস্থা হবে । সহমত।
আচ্ছা আমাদের দেশে এরকম একটা বাংলা ব্লগ থাকলে কেমন হয় ?
আমার অনেক দিনের ইচ্ছে। আমি সব রকম ভাবে সাহায্য করতে রাজি আছি। দুটো ব্লগ অবশ্য আছে কিন্তু দিনে একটা পোষ্টও কেউ দেয়না। লোটাকম্বল ও কফি হাউসের আড্ডা।
১২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪২
ফরিদ আলম বলেছেন: @ সিদ্ধার্থ. ভাই, একটা ভালো ব্লগ তৈরি করার ইচ্ছে অনেক দিনের। এরকম কিছু লোক জোগাড় করতে পারলে আমরা একটা উদ্যোগ নিতেই পারি। লিল' ম্যাগ সম্পাদক, লেখকদের সাথে যোগাযোগ করে তাদের সাথে নিতে পারি। সারা রাজ্যের লেখক কবিরা এক প্লাটফর্মে হবে, প্রতিদিন লেখা নিয়ে আলোচনা করতে পারবে, আড্ডা দিতে পারবে, সমাজ বা রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা কতই কিছুই না করা যাবে।
১৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪২
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: "এরা নিজেরাও আধুনিক ঞ্জানবিঞ্জানের ধার ধারে না আর কেউ সেটা করুক তাও চায় না।"- এটা কিন্তু ঠিক নয় ।আপনি আমাদের গর্ব কালাম সাহেবের কথা টাও ভাবুন ।
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮
ফরিদ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৪
টাইম নাই রাস্তা বেশি বলেছেন: অনেক অজানা কিছু জানতে পারলাম । সংগ্রহে রাখলাম ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২০
ফরিদ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
১৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৮
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: ফরিদ আলম ভাই দারুন উদ্যোগ হবে ।আমি ব্লগের কোডিং এর ব্যাপার টায় থাকতে পারব ।ইন ফ্যাক্ট এই নিয়ে অনেক আগেই ভেবেছি ।লোটা কম্বল এর অবস্থা দেখে আর সাহস এ কুলায় নি ।
@রামিজের ডিপফ্রিজ ভাই আপনিও আপনার ইউনিভার্সিটি এর ছেলে দের সাথে কথা বলুন ।
দেখা যাক সবাই মিলে কিছু করা যায় কিনা ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৫
ফরিদ আলম বলেছেন: কেমন খরচ হতে পারে এই ব্যাপারে কি আপনার ধারনা আছে ?
১৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৪
শিপন মোল্লা বলেছেন: মন খারাপ হয়ে গেলো।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৭
ফরিদ আলম বলেছেন: দো'আ করবেন
১৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৩
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: রাষ্ট্রের কাছে প্রতিটি নাগরিকেরই অল্প বিস্তর অভিযোগ থাকে। যেহেতু আপনাদের এই ব্যবস্থার সাথে তেমন ভাবে পরিচিত নই সেহেতু এ ব্যাপারে কোনরূপ মন্তব্য করিনি। আপনারা যারা জানেন তাদের আলোচনা থেকে আরো কিছু জানার আশায় মন্তব্য করে পোষ্ট পর্যবেক্ষণে নিয়েছি।
অঃটঃ ইচ্ছা আছে খুব শিঘ্রই কিছুদিনের জন্য পশ্চিমবঙ্গে ব্যাক প্যাকার হওয়ার।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৯
ফরিদ আলম বলেছেন: সাথেই থাকুন ভাইজান।
১৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৫
সংকেত মাহমুদ বলেছেন: আপনেরা ইন্ডিয়ানরা বিএসএফ দিয়া বর্ডারে বাংলাদেশের মানুষদের হত্যা করেন ক্যান ??এভাবে মানুষ হত্যা কি ঠিক ??
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২৪
ফরিদ আলম বলেছেন: ভাই, আমরা তো নিজেই মরছি, আপনাদের কি মারবো
১৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৬
রামিজের ডিপফ্রিজ বলেছেন: @সিদ্ধার্থ : আমি বলতে চাইছিলাম যে এসব ইমামদের যদি আপনি প্রশ্ন করেন "তসলিমা নাসরিন কে?" দেখবেন সবাই তার নাম জানে কিন্তু যদি আপনি প্রশ্ন করেন "আবদুস সালাম কে?" তাহলে দেখবেন সবাই ঘাড় চুলকাচ্ছে (ইচ্ছে করেই ডঃ কালামের নামটা করলাম না কারণ উনি রাজনৈতিক কারণের জন্য খুবই বিখ্যাত )।
কিন্তু কেন? ইলেক্ট্রোউইক থিওরির জনক সালাম অনেক তথাকথিত কাঠমোল্লার চেয়ে ইসলামের সম্মান বাড়িয়েছেন অথচ তাকে জানতে বা তার পদাংক অনুসরণ করতে এই ইমাম সম্প্রদায়ের এত কুড়েমি কেন?
দেখবেন যে কোন ইহুদি রাব্বি গর্ব করে যে আইনস্টাইন ইহুদি ছিলেন কিংবা যেকোন খ্রিস্টান গর্ব করে যে লুই পাস্তুর একজন খ্রিস্টান ছিলেন। এটা পজিটিভ গর্ব। আর আমাদের মহামান্যেরা গর্ব করেন যে তারা একদিন রাস্তায় হাংগামা করে একজন তৃতীয় শ্রেণীর নারীবাদী ও ততোধিক নিম্নমানের লেখিকাকে চুপ করাতে পারেন।
এসব ইমামদের তোল্লা দিয়ে রাজনীতি করলে মুসলিম জনগণের যা হাল হবার তাই হচ্ছে।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২২
ফরিদ আলম বলেছেন: ুঝতে পারলাম আপনার কথা।
২০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৭
সংকেত মাহমুদ বলেছেন: পোষ্টে +++++++++
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২১
ফরিদ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া।
২১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:০৭
ইয়াংিক বলেছেন: ভাললাগা জানবেন। চলতেই থাক। দোয়া করি আপনাদের ব্লগ চালু হক।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১২
ফরিদ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:২১
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: ইলেক্ট্রোউইক থিওরির জনক সালাম অনেক তথাকথিত কাঠমোল্লার চেয়ে ইসলামের সম্মান বাড়িয়েছেন অথচ তাকে জানতে বা তার পদাংক অনুসরণ করতে এই ইমাম সম্প্রদায়ের এত কুড়েমি কেন?
সত্যই আমি জানি না ।কিছু কিছু ইমাম কে দেখি যে মানুষের যাতে মঙ্গল হয় তার জন্য কাজ করছেন কিন্তু বেশিরভাগ সেই মধ্য যুগে পরে আছেন ।নাহলে পোলিও টিকা কারণ কর্মসূচি তে মুর্শিদাবাদে এত ঝামেলা হয় কেন ?নামাজ পরার সময় ওনারা কানে মন্ত্র দেন পোলিও টিকা খওয়া বিধর্মী ।একবার ভাবুন ।আর পাকিস্তানে তো ডাইরেক্ট গুলি করে মারা হয় ।এগুলো যত দিন থাকবে তত দিন সমাজ কিছুতেই এগোতে পারবে না ।
২৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩০
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: @সংকেত মাহমুদ শোনেন পোস্টের লেখকের বাড়ি মুর্শিদাবাদে আর আমার নদিয়া তে ।দুটো পাশাপাশি বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলা ।অনেক জিনিস যা নিজের চক্ষে দেখেছি ।বিস্তারিত বলছি না ।তবে এক চোখে দেখে লাভ নেই ।আমাদের হাজার টা অবজেকশন আছে বাংলাদেশী ডাকাত ,বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী ইত্যাদি ইত্যাদি নিয়ে ।বিশেষ করে সুন্দর বন অঞ্চলে বাংলাদেশী ডাকাতের ভয়ে মাঝি রা মাছ ধরতে যেতে পারে না ।আর আজকেই ৩ টা হুজি জঙ্গি বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে ।মালদহ তে তাই আজ রেড এলার্ট ।এগুলো কি আপনি জানেন ?
২৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৩
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: @ফরিদ আলম ডেডিকেটেড সার্ভার নিয়ে কাজ করলে একটু খরচা আছে ।অন্যথায় নগন্য ।সুতরাং টাকা পয়সা নিয়ে কোনো ভাবনা নেই ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭
ফরিদ আলম বলেছেন: তাহলে কাজ শুরু করা যাক।
২৫| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৫
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: বিস্তারিত বর্ণণার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮
ফরিদ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। এত বড় লেখাটা পড়ার জন্য।
২৬| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৩
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: আর যেসব বি এস এফ জওয়ান রা কাশ্মির এ থেকে এখানে ট্রান্সফার হয় ,ওরা তখনো এটাকেই কাশ্মির বলে ধরে নেয় ।বিপদ !!ওদের হাতে কারুর না ভারতীয় না বাংলাদেশী কারুর নিস্তার নেই ।আমি কলকাতা একটা সীমান্ত হত্যা বিরোধী সংঘঠনে আছি ।এর সল্যুশন এ দুই বাংলা কে এগিয়ে আসতে হবে ।নাহলে সুধু পারস্পরিক দোষারোপ হবে কাজের কাজ কিছুই হবে না ।
২৭| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫১
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: @*কুনোব্যাঙ* এখানে আসলে আমাকে জানাতে ভুলবেন না ।না হয় অর্ধেক টা ডিম দিয়েই মেহেমান কে সেবা করব ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৯
ফরিদ আলম বলেছেন: আদ্দেক ডিমে আমাকে পাগল করসে
২৮| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৪
ইফতেখার কাদির বলেছেন: @সিদ্ধার্থ, আমি আপনার সাথে আছি। সীমান্ত হত্যা বন্ধে এখনই সোচ্চার হতে হবে।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০০
ফরিদ আলম বলেছেন: সীমান্ত হত্যা বন্ধে এখনই সোচ্চার হতে হবে।
২৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫৮
রামিজের ডিপফ্রিজ বলেছেন: @ সিদ্ধার্থ: উফ, সেই অর্ধেক বিস্কুটের গল্প। আমার এক বাংলাদেশী বন্ধু ( পুরুলিয়াতে রামকৃষ্ণ মিশনে একসাথে এক বছর পড়েছিলাম ) র সংগে এই নিয়ে যে কত মজা হয়েছে !!!
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০১
ফরিদ আলম বলেছেন: আদ্দেক বিস্কুট, আদ্দেক ডিম আর আদ্দেক ডিমে খাইসে আমাকে
৩০| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৫
মো: আতিকুর রহমান বলেছেন: varoter manush bachlei ki r morlei ki. Muslim holei ki r hindu holei ki. Tara just moruk atai chai bd ar manush. Kotha gula ami bolcina. Blog theke amar ai dharonata hoice.
৩১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৬
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: আসলে এর আগে অনেক সিধান্ত নেওয়া হয়েছিল যেমন- নকল বুলেট ।কিন্তু কোনটাই তেমন কার্যকর হতে দেখছি না ।দাবি একটাই রাখতে হবে আসল বুলেট ব্যবহার করা যাবে না ।@ইফতেকার কাদির
@রামিজের ডিপফ্রিজ হ্যা এই গল্প টা যে এদের মাথায় কে ঢুকিয়েছে । তবে বাংলাদেশীরা অনেক বিদেশী দামী গাড়ি ব্যবহার করে যা কলকাতার রাস্তায় দেখা যায় না ।
৩২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:০৯
সিদ্ধার্থ. বলেছেন: @মো: আতিকুর রহমান ভুল ধারণা হইসে ।আমরা মরে গেলে আপনার প্রতিবেশী হবে পাকিস্তান আর চীন ।এইরম দুটো প্রতিবেশী পেলে তখন বলবেন ভারত অনেক ভালো ছিল ।
৩৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৩
*কুনোব্যাঙ* বলেছেন: @ সিদ্ধার্থ, অর্ধেক ডিমেই চলবে। অন্তত না খাইয়ে রাখার চাইতে
৩৪| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৩
এই স্বাধীনতা চাইনি আমি বলেছেন: সিদ্ধার্থ সাথে আমিও আছি
৩৫| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:০১
নাজ_সাদাত বলেছেন: অনেকগুলো বিষয় এসেছে লেখাটির পরিপেক্ষিতে। সাচার রিপোর্ট নিয়ে এতো আলোচনা হয়েছে যে সেটা নিয়ে নূতন কিছু বলার অপেক্ষা রাখেনা।
প্রসঙ্গক্রমে যে বিষয় গুল এলো সেগুলো সবটাই তর্কাতীত নয়। এ বিষয়ে বলে রাখা দরকার আলিয়া মাদ্রাসা কে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা হয়েছে বামফ্রন্ট আমলে। এখন সেখানে জীবিকা উপযোগী শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে একটা কোর্স আছে আরবি বিষয়ে। এক্ষেত্রে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিন ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া, হুগলী জেলার মুসলিমদের উপকৃত হওয়ার সম্ভবনা থাকলেও মেকি ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক নেতাদের গোপন হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা সেই সম্ভবনাকে বিনাশ করে দিয়েছে। একথা সত্য বর্তমান মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়ন তাঁদের সল্প বুদ্ধির কারনে এঁদের উন্নত শত্রুতার মোকাবিলা করাতে পারেনি। মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়ন আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের সঙ্গে মাদ্রাসা নাম জুড়ে দেওয়ার যে আন্দোলন করেছিল তা তৃণমূলের বুদ্ধিতে করেছিল। যা আসলেই একটা বোকামো ছিল। সেই সময় আমরা যারা গনিকাতান্ত্রিক গণতন্ত্রের বিপক্ষে ছাত্র রাজনীতি করতাম তারা বহুবার ওদের বলেছিলাম ওদের দাবী হাওয়া উচিত আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় নাম নিয়ে নয় আন্দোলন হওয়া দরকার এই নবগঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তত ৭০ শতাংশ সিট মুসলিম সংরক্ষণের দাবীতে। না হলে আমরা আরও একটা ইসলামিয়া কলেজ আধুনা আজাদ কলেজ কিম্বা সাকওয়াত স্কুল পাব। যা আদতে মুসলিম জনগোষ্ঠীর অর্থে ও রক্তে গঠিত কিন্তু ভোগকারী হল বর্ণহিন্দুরা। আজ যেমন আজাদ কলেজে আরবি ও ফার্সি ছাড়া অন্য বিষয় ভিত্তিক কোর্সে মুসলিম ছাত্র ভর্তির ক্ষেত্রে বৈষম্য করা হয় তেমনটাই আলিয়ার ভবিষ্যৎ। একথা মানা দরকার আসলেই ভারতীয় হিন্দু সমাজ তীব্র ধর্ম বিদ্বেষী এবং সেই বিদ্বেষ থেকে মুসলিমদের শিক্ষার উন্নয়ন আটকে রাখার জন্য নানান ফন্দী ফিকির করে। ফলে চেতনার বিকাশের পথ আজ রুদ্ধ মুসলিম সমাজের। কোনটা তাঁদের জন্য ভাল আর কোনটাইবা খারাপ এটা বোঝার ক্ষমতা আজ হারিয়েছে মুসলিম সমাজ শিক্ষার বিস্তার না হওয়ার কারনে। উদাহরন স্বরূপ বলা যায় মুসলিম প্রধান জেলা গুলতে যেমন স্কুল, কলেজ খোলার ক্ষেত্রে সরকার কোন উৎসাহ দেখায়নি তেমনি যা তারা গড়ে ছিল তাও কেড়ে নেওয়া হয়েছে। খুব ধুরন্ধর ভাবে এ কথা বলার চেষ্টা হয় মুসলিম সমাজে নাকি পিছিয়ে পড়েছে মৌলানাদের কারনে এটাও একটা মিথ্যাচার। দীর্ঘসময় দুই ২৪ পরগনার মুসলিম প্রধান ব্লকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার সুবাদে দেখেছি নিতান্তই মরা গরীবরাই সন্তানদের দু মুঠো অন্নের জোগান দিতে মাদ্রাসায় পাঠান। ওখানে তাঁদের সন্তানরা বিনা টাকা-পয়সায় দু মুঠো ভাত দুপুর ও রাতে পায়। বাকিরা তাঁদের সন্তানদের স্কুলেই পাঠান। আর মৌলানাদের ভূমিকা নামাজ পাঠ, বিবাহ করানো ও মৃতকে দাফন করানোতেই সীমাবদ্ধ। কোন কোন ক্ষেত্রে কিছু ব্যতিক্রম অবশ্য আছে। কিছু মৌলানা একটু বৃহৎ পরিসরে নিজেকে উপস্থাপিত করতে চায় যা সম্পূর্ণটাই ধর্ম ব্যবসা জনিত কারনে। যেমন ধরুন সিদ্দিকুল্লা। এরা মুসলিম সমাজের দুর্দশা তুলে ধরে আন্দোলনের নাম করে জাকাত ও ফিতরা সংগ্রহ করে নিজেদের ভোগে লাগায়। কিন্তু আমার দেখা মতে ওদের বিষয়টা মুসলিম সমাজের বেশীরভাগ মানুষ অবগত। ফলে নিবিড় মুসলিম বসতির ভাঙ্গর বা বসিরহাট নির্বাচন ক্ষেত্রে নির্বাচনী জামানত জব্দ হয় সিদ্দিকুল্লাদের। তাহলে প্রশ্ন আসবে যখন বেশীরভাগ মুসলিম পরিবার তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠায় তথাপি তাঁদের কর্মমুখী শিক্ষার উন্নয়ন হচ্ছে না কেন?? এখানেই বর্ণহিন্দুত্ববাদীরা অনেক গোল দিয়ে রেখেছে। একদম খাস কলকাতার উপকণ্ঠে যেখানে এখন রাজারহাট উপনগরী হচ্ছে সেখানে বারাসাত ২ নং ব্লকের কিছুটা অংশ পড়েছে। ওই অঞ্চলটা মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চল ছিল। মুসলিমের সংখ্যা ৭৩% এর মত ছিল। খড়িবাড়ি থেকে নারায়নপুর পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চল যা আসলে পূর্বাতন রাজারহাট বিধানসভা অধুনা রাজারহাট নিউটাউন বিধানসভা অঞ্চল। ওই অঞ্চলে হাতে গোনা ৬টা স্কুল ছিল। কলেজ একটি তাও প্রায় বছর দশেক এর মত যার বয়স নাম ডিরজিও কলেজ। ৬ টির মধ্যে তিনটি ও কলেজটি অবস্থিত বাকি ২৭ % যেখানে বসবাস করেন সেখানে। বুঝতে নিশ্চয়ই অসুবিধা হওয়ার কথা নয় এই পরিস্থিতি স্কুলছুটের সংখ্যাটাই বাড়াবে।
যতদিন না পর্যন্ত ভারতের বর্ণহিন্দুরা মানবিকতার শিক্ষায় দীক্ষিত হবে ততদিন পর্যন্ত মুসলিম থেকে দলিত পর্যন্ত বাকি সব জনগোষ্ঠী নিপীড়নের স্বীকার হতে থাকবে।
এই নিপীড়নের নানা ফন্দী ফিকির চলবে যেমন চলছে এখন। কাশ্মীরে মুসলিম হত্যার উৎসব করতে প্রতিদিন নানান মনগড়া জঙ্গি সংগঠনের নাম বাজারে ছাড়ছে নর্থ ব্লকের মাতব্বররা বাকি ভারতে মুসলিম নিধন করতে আগে সিমি নাম তৈরি করে বাজারে ছেড়েছিল এখন ছাড়ছে হুজি নামে। কে জানতে চাইছে এর সত্যতা। (নর্থব্লকে R.T.A অস্ত্র যে বিকল) বাকি আদিবাসী-মুলবাসী-দলিতদের মারতে হাতে অস্ত্র আছে মাওবাদী। কে রুখবে এই বর্ণহিন্দুত্ববাদীদের?
পথ কি নেই???
অবশ্যই আছে।
বর্ণহিন্দুত্ববাদীদের সবক শিখিয়ে মানুষের সারিতে দাঁড়া করিয়ে দেওয়ার অস্ত্র হল সাম্যবাদী রাষ্ট্র তৈরি করা। কিন্তু ভোগবাদী, পুঁজিবাদী গোলকধাঁধায় পথিক পথ হারিয়েছে। দরকার একটা লং মার্চের। তবেই আসবে লাল টুকটুকে ভোর। রক্তস্নাত গুজরাট হবে অতীত দরকার পড়বেনা সাচার কিম্বা রঙ্গনাথনকে। সকলের ভাতের থালায় উঠবে গরম ভাতের গন্ধ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১২
ফরিদ আলম বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা পড়ে মুগ্ধ হলাম। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। এই মন্তব্য পোষ্টের গুরুত্ব অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।
আমাদের সব থেকে বড় সমস্যা নেতৃত্বের অভাব। ইমামদের কথা ঠিকই বলেছেন তারা নামায, জানাযা আর বিয়ে পড়ানোর মধ্যেই নিজেদের আবদ্ধ করেছে। অথচ, ওদেরই হওয়া উচিত আমাদের নেতা। সেদিন কলমে পড়লাম বর্ধ্মানের একটি হাই মাদ্রাসায় ৬০% এরও বেশি অমুসলিম পড়ে। আমাদের ঘর থেকেও এখন আমাদের বের করে দেওয়া হচ্ছে। আর আমরা বসে বসে আঙ্গুল চুষছি।
৩৬| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:০৪
লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: ভারতে মুসলমানরা যেই কায়দায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে এতে করে অনেক পিছিয়ে যাচ্ছে বলেই আমার মনে হয় , ভারতে শুধু মুসলমান বৃদ্ধি পেলেই তো হবেনা সুশিক্ষায় শিক্ষিতও হতে হবে । ভারতের মুসলমানরা সুধুই একটা জিনিশ করতে পাড়ে তায় হলো বছর বছরে সন্তান জন্ম দিতে , আর এই সব সন্তান শিক্ষিত হলো না অশিক্ষিত হচ্ছে এটা তাদের এইটা দেখার বিষয় না , মুসলমান বারলেই হলো । আড় মুসলমান ছেলেরা বিয়ের বয়স ২৪ হওয়া লাগেনা ১৬-১৭ বছর হলেই মা বাপে বিয়ে করিয়ে দেয় , নে বাপ এইবার জনসংখ্যা রাঁড়া
আমি অবাক হই , আমার আশে পাশে কিছু ইন্ডিয়ান মুসলমান পোলাপাইন আছে এই গুলা দেখি ১৮-১৯ বছরেই ৩-৪ সন্তানের বাপ হয়ে গেছে
আর বছরে বছরে একটা কইরা জন্ম দিবো , আর আরেকটা কথা না বললেই নয় মুসলমান ছেলেরা ৯০ ভাগই হিন্দু মেয়ের সাথে প্রেম করে
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৪
ফরিদ আলম বলেছেন: হাস্যকর আর অবাস্তব অভিযোগ ছাড়া কিছুই নয়।
৩৭| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
অেসন বলেছেন: তথ্যবহুল পোষ্ট। শিক্ষাকে ভারতীয় মুসলমানদের আরো গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। ধন্যবাদ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৩
ফরিদ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও। শিক্ষা ছাড়া কোন জাতিরই উন্নতি সম্ভব নয়।
৩৮| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৯
এস. এম. রায়হান বলেছেন: তথ্যবহুল লেখা মনে হচ্ছে। আপাতত প্রিয়তে রাখলাম। পরে সময় করে পড়ব।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০২
ফরিদ আলম বলেছেন: আপনি এসেছেন দেখে খুবই ভালো লাগছে।
ভালো থাকবেন।
৩৯| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:২০
বিষণ্ণ বালক বলেছেন: বুঝলাম - ' সংখ্যা লঘু মানেই বঞ্চিত, নির্যাতিত"; সেতা হতে পারে মিসর, বাংলাদেশ, ভারত, বার্মা, শ্রীলঙ্কা যাই ভাবুন না আপনি।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০৩
ফরিদ আলম বলেছেন: হুম...কিন্তু ভারতীয় মুসলিমদের অবস্থা একটু বেশিই খারাপ।
৪০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫
অবাধ্য ভ্রূকুঞ্চন বলেছেন: কি যে ভাল লাগছে এই পোষ্টটি পড়ে। কারণ হলো দুই বাংলার মুসলিম হিন্দু সবাই আজ একটি নির্মম সত্যকে উপলব্ধি করতে পারছি।
আহ্ . . . এই উপলব্ধি যদি সবাই করতে পারতো তাহলে কি যে ভাল হতো! কতই না শান্তিময় হতো এই বসুন্ধরা।
ধন্যবাদ ভারতীয় ভাইদেরকে। আপনারা ভাল থাককেন।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৪
ফরিদ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। খুব ভালো লাগল আপনার মন্তব্য।
৪১| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৯
গেস্টাপো বলেছেন: আপনার পোস্টটা ভাল লাগলো
কিন্তু কিছু কথা বলি।আপনারা কি শুধু মুসলিম হওয়ার জন্যই ভারতে নিগৃহীত হচ্ছেন?কেন মুসলিমদের উপরে ভারতীয়দের এত ক্ষোভ?
এই পোস্টটা দেখেন এখানে
ভারতে যে মুসলিম আছে তা আমি ভুলেই গেছিলাম।আপনাকে কিছু ফেসবুক আইডি দিচ্ছি
এখানে
আরও একজন
ইনি একজন হিন্দু।মুসলিম নাম লাগাইছে এবং একজন কঠিন মুসলিম বিদ্বেষী লোক
সরি টু সে ভাই আমি ভারতের মত মুসলিম বিদ্বেষী লোক আর কোথাও দেখি নাই।আর ভাই এই ভিডিওটা দেখেন একটু।এটা সত্য না মিথ্যা জানি না কিন্তু দেখে খুব কস্ট পাইছিলাম এখানে
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৬
ফরিদ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। লিঙ্ক গুলো দেখছি
৪২| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৬
গেস্টাপো বলেছেন: আর কেউ যদি এখানে সীমান্ত হত্যা বাঃ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ফ্লাডিং করতে আসে তাকে লাথি মেরে পেজ থেকে বের করে দেবেন।আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে জানি ভারতীয় মুসলিমদের দুরবস্থা কি?বাংলাদেশী কেউ ইন্ডিয়ান মুসলিমদের বিরুদ্ধে কমেন্ট করবে না এই জন্য
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৭
ফরিদ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ, শুভেচ্ছা রইল
৪৩| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৯
আদিম পুরুষ বলেছেন: সামুতে ইন্ডিয়ান ব্লগার আছে জানতাম। বাট আপনারা তিন জন ইন্ডিয়ান সেটা জানতাম না। সংখ্যালঘু সে যে দেশেই হোক দ্বিতীয় শ্রেণীর নাগরিক। সাচার রিপোর্ট অনেক আগেই পত্রিকায় পড়েছিলাম। টিভিতে ইন্ডিয়ান বাংলা চ্যানেল গুলোতে যেভাবে বাংলা বলতে দেখি আপনাদের লেখায় সেটার ছাপ নেই। কেমন একটা বাংলাদেশী ভাব আছে আপনাদের লেখায়। ইন্ডিয়া গেলে আপনাদের গাইড হিসেবে পাব আশা করছি খরচ আমার। কলকাতার অতিথিয়তা নিয়ে বেশ কিছু মজার গল্প এখানে চালু আছে/ ''দাদা খেয়ে এসেছেন নাকি ? ''
সিদ্ধার্থ ভাইয়ের ফেসবুক লিঙ্ক থাকলে শেয়ার করার অনুরোধ করছি। বিদেশীরা বাংলা বলে এটা দেখলে এক ধরণের ভাল লাগা অনুভব হয়। ভালো থাকবেন। আমরা ভারত কে দেখি মিডিয়ার চোখে। আপনারা ইন্ডিয়ান বাংলাভাষী ব্লগাররা আপনাদের দেশ নিয়ে আমাদের চেয়ে ভালো জানবেন। দেশ , জাতি , ধর্ম, সংস্কৃতি নিয়ে আপনাদের অনুভূতি নিয়মিত শেয়ার করবেন এটাই আশা করি।
৪৪| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৫৯
নাজ_সাদাত বলেছেন: লিঙ্কনহুসাইন আদতে একটা মনগড়া তত্ত্ব খাড়া করেছে। মোটেই ভারতীয় মুসলিমরা শুধু মাত্র জনসংখ্যা বাড়াতে আগ্রহী নয়। এটা হিন্দুত্তবাদীদের অপপ্রচার। মুসলিমরা শিক্ষায় পিছিয়ে থাকার কারন সরকারের বৈষম্য নীতি। যদি সেটা হত মুসলিমরা সেই ২৫% এ দশকের পর দশক আটকে থাকত না।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১
ফরিদ আলম বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।
৪৫| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৭
বীরেনদ্র বলেছেন: বৃটিশ ভারত ভাগ হয় ধর্মের ভিত্তিতে। ভারত হয় হিন্দু প্রধান এলাকা গুলো নিয়ে আর পাকিস্তান গঠিত হয় মুসলীমদের নিয়ে। ফলে সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু নির্ধারন শুরু হয় ধর্মের ভিত্তিতে। যেমন ভারতে মুসলমানেরা সংখ্যালঘু, তেমনি হিন্দুরা বাংলাদেশে সংখ্যা লঘু। আমাদের প্রথম পরিচয় ভারতীয় বা বাঙ্গলাদেশী । এ ব্যাপারে কিন্তু কারো মধ্যে দ্বিমত নেই। আমি বাংলাদেশী সেটাই আমার প্রথম পরিচয়, দ্বিতিয়তঃ হতে পারে আমার ধর্মীয় পরিচয়, যদিও আমার নাম হিন্দু জনমগত ভাবে আমি হিন্দু , কিনতু সে পরিচয়ে আমি মোটেই আগ্রহী নই। আমি স্বীকার না করলে কি হবে? ধর্মীয় কারনে আমি যে নানাভাবে নিগৃহীত হই বাংলাদেশে তা তো বাস্তব। এটা বলার একমাত্র উদ্দেশ্য যে সংখ্যালঘু সবখানেই অবিচারের সম্মুখীণ। ভারতের মত বাংলাদেশও কোন ব্যাতিক্রম নয়।
স্বাধীনতা অর্জনের সময় চাকরীতে মুসলিমদের অবস্থান ছিল খুব ভালো। তখন চাকরিতে মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব ছিল ৩৪% , েই বক্তব্যের কিরোধিতা করে বলি- এটা ছিল অভিবক্ত বৃটিশ ভারতে। এখনকার ভারতবর্ষে নয়। যদিও এই ৩৪% নিয়েও আমি সন্দেহ পোষন করি কারন হল শিক্ষা দিক্ষায় মুসলমানেরা হিন্দুদের চেয়ে অনেক পিছনে ছিল। সেদিনের অবিভক্ত ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা ৩৪% এর নীচেই ছিল, সে হিসেবে তারা ৩৪% চাকুরী করবে এটা এক অবিশ্বাস্য পরিসংখ্যান।
আর ভাগ হওয়ার পর অধিকাংশ মুসলমান চাকুরীজীবি চলে যায় পাকিস্তানে। ফলে তাদের সংখ্যা কমে যাবে সেটাই স্বাভাবিক। স্বাধীন ভারতে জনসঙ্খ্যার ১৪% হয়ে, ৩৪% চাকুরী করবে এটাও তো আশা করা যায় না, যা বৃটিশ আমলে করত (আপনার দাবী অনুসারে)
স্বাধীন ভারতে জনসংখ্যা অনুপাতে চাকুরীতেও ১৪% ভাগ মুসলমান চাকুরীজীবি নেই এটা বাস্তব। এর কারন কেবল মাত্র ধর্মীয়, তাও নয়। যদি শিক্ষার হার দেখেন সেখানে আপনি দেখিয়েছেন মুসলিমদের শিক্ষার হার হিন্দুদের চেয়ে কম। এটা কি একটা কারন হতে পারে না? আর চাচা মামা, ঘুষ ইত্যাদির কথা না হয় বাদই দিলাম।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৫
ফরিদ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার ব্যখ্যামুলক সুন্দর মন্তব্যের জন্য। সংখ্যালঘুরা সবদেশে সব জায়গায় নির্যাতিত, বঞ্চিত। এটাই হয়ত স্বাভাবীক। কিন্তু ভারতের অবস্তা একটু বেশিই খারাপ এটা নিশ্চয় করবেন।
হ্যা, শিক্ষার ক্ষেত্রে মুসলিমরা পিছিয়ে এর অনেক কারণ আছে। যেমন পড়াশোনার সুযোগই না পাওয়া। যেমন সাচার রিপোর্টে বলা হয়েছে,
"পশ্চিমবঙ্গ বিহারের এক হাজার মুসলিম অধ্যুষিত গ্রামে কোন বিদ্যালয়ই নেই। সারা দেশে মুসলিম প্রধান গ্রাম গুলির এক তৃতীয়াংশে কোন বিদ্যালয় নেই। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় তো নাইই। রিপোর্ট অনুযায়ী, শহর অঞ্চলে মুসলিমদের অন্তত ৬০% স্কুলের দরজায় পা দেবার সৌভাগ্যও হয়নি।"
এছাড়া সংরক্ষনের কথাও বলা যেতে পারে। বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা হিন্দু, ছোট জাতের হিন্দু, তপশীলি জনগোষ্টির লোকেরা সংরক্ষন পায় কলেজ ইউনিভার্সিটিতে। টাকাও পায় অনেক। কিন্তু মসলিমরা এই সুবিধা পায়না। (অবশ্য সাচার কমিটির রিপোর্ট প্রকাশের অনেক রাজ্যেই মুসলিমদের কিছু লোককে ১০% সংরক্ষনের আওতায় এনেছে)। এই সুবিধা পেলে হয়ত মুসলিমদের মধ্যে শিক্ষার হার বারত।
আরেকটা কথা, ১৯৭৩ সালের তালুকদার কমিশন, ১৯৮০ সালের গোপাল কৃষ্ণ কমিশনে মুসলিমদের দুর্দশার কথা তুলে ধরা হয়েছিল, কিন্তু সরকার কোন ব্যবস্থা নেয়নি। কেন ? ব্যবস্থা নিলে, কয়েকটা স্কুল কলেজ তৈরি করলে, ছাত্র ছাত্রীদের আর্থীক সাহায্য করলে কি অবস্থার উন্নতি হতনা। এমনকি ২০০৬ সালের সাচার রিপোর্ট প্রকাশিত হবার ৫ বছর পরেও কি কোন বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
৩৪% চাকরির প্রসঙ্গে তো গোপাল কৃষ্ণ কমিশনেই বলা হয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের কথাই ধরুন বামফ্রন্ট আসার সময় ছিল প্রায় ৮ শতাংস চাকরি ছিল, যা কমতে কমতে মাত্র দের শতাংসে পৌচেছে। এসব কে কি বলবেন?
৪৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৯
মাজহারুল হুসাইন বলেছেন: পদ চিহ্ন রেখে গেলাম ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬
ফরিদ আলম বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাইজান। আপনাদের পদ চিহ্নই আমার উতসাহ যোগায়
৪৭| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৮
রাফা বলেছেন: এতো দেখছি ভয়াবহ অবস্থা!পশ্চিম বঙ্গেই বেশি অবহেলিত মনে হয় ভারতের মুসলমানদের।
অনেক পুর্ব নারকেল-ডাঙ্গা এক বন্ধুর আত্মিয়র বাসায় গিয়েছিলাম।তখনই দেখেছিলাম কি বাজে অবস্থা।
যেখানেই থাকুন ,ভালো থাকুন।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৯
ফরিদ আলম বলেছেন: সারা ভারতের মুসলিমরাই ভালো নেই। পশ্চিমবঙ্গের মুসলিমদের অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। এবার বাম্ফ্রন্ট সরকারের গো হারার পেছনে সাচার রিপোর্টই দায়ি।
ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন।
৪৮| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫২
ডাব্বা বলেছেন: তথ্যগুলো খুব কাজের। ভাল লাগলো আলোচনা। বাই দ্যা ওয়ে, অধিকার আদায় করে নেবার মত জনশক্তি কি আপনাদের আছে? আপনারা কি সংগঠিত? সংগঠিত না হলে কিন্তু সংরক্ষিত হয়ে থাকাই নিরাপদ।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৩
ফরিদ আলম বলেছেন: এতদিন না থাকলেও এখন বিভিন্ন সংগঠন মুসলিমদের সংগঠিত করার চেষ্টা করছে। সংরক্ষিত কই করা হয়েছে
৪৯| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
ডাব্বা বলেছেন: ঐ যে কোটা সিস্টেম এর কথা বলছিলাম।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
ফরিদ আলম বলেছেন: কোটা তো এতদিন ছিলনা। এখন কিছু রাজ্যে করা হয়েছে। যেমন, পশ্চিমবঙ্গ, কেরালা।
৫০| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১৬
ব্লগার রাইয়ান বলেছেন: লিঙ্কনকে অনেক আগেই ছুপা হিন্দু নিক বলে ধারণা করেছিলাম।
ভারতীয়রা দেখি সুশীলতার মুখোশে নিজেদের সাম্প্রদায়িকতা ঢাকতে তৎপর। ঢাক ঢাক গুড়গুড় খেলাটা হিন্দুরা ভালই পারে। মুসলিমরা তার ধারেকাছে দিয়েও যেতে পারে না।
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৫
ফরিদ আলম বলেছেন: হুম..
৫১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২১
ব্লগার রাইয়ান বলেছেন: ৩৪% থেকে ১%!
আপনারা তো হায়েনাদের অভয়ারণ্যে বসবাস করছেন।
৫২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১৫
রওনক বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে দারুন আলোচনা।
যদিও আমি বাংলাদেশি, আপনাদের বিষয়ে পরামর্শ দেয়া সাজে না। তাও বলবো-
সিদ্ধার্থ. ঠিকই বলেছেন: সর্বপরি মুসলিম দের আরো সচেতন হতে হবে ।অধিকার বুঝে নিতে হবে ।
আন্দোলন করতে হবে নিজেদের মধ্যে, প্রকাশ্যে হিন্দুদের মধ্যে নয়। কমিউনিটি গরে তুলে নেজেদের মধ্যে সচেনতা বারাতে হবে। সর্বাপরি নিজেদের মধ্যে ভ্রাতিত্ববোধ জাগ্রত করতে হবে, অন্য ভাইকে যথাযথ সহযোগিতের মনোভাব থাকতে হবে।
এমন হতে পারে অধিকাংশ মুসলমানরাই সহযোগিতের মনোভাব রাখে না। সেক্ষত্রে নিজে থেকে আরম্ভ করতে হবে। আপনি উন্নতি করতে চাইলে আপনাকে কেউই দমিয়ে রাখতে পারবে না।
ভাগ্য নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে একটা ভুল ধারনা আছে, তারা মনে করে মানুষ কি করবে তা ভাগ্যে লেখা আছে। ভাগ্য / অদ্রিষ্ট শব্দটা এসেছে গায়েব বা গযুব শব্দ থেকে, যার অর্থ আজানা বিষয়।
এর অর্থ এই নয় যে ভবিষ্যত আল্লাহ লিখে রেখেছেন আর কপেলে যা আছে তাই হবে, বরং এর অর্থ ভবিষ্যতে কি হবে বা কোন কিছুর পেছনের নিহীত কারন আল্লাহ জানেন Click This Link ।
কোরআনে আমাদের প্রতিপালক বলেছেন, " আমি ততক্ষন কোন জাতিকে সাহায্য করি না যতক্ষন না তারা নিজেরা চেষ্টা করে"।
কোরআনের ভাল অনুবাদ নিয়মিত পড়ুন, দেখবেন আপনাদের সমস্বা সমাধান হয়ে যাবে।
৫৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১৩
এস এইচ খান বলেছেন: খবরের কাগজে সাচার রিপোর্টের সামান্য পড়েছিলাম এবার বিস্তারিত জানলাম! পৃথিবীর স্বঘোষিত গনতান্ত্রিক দেশ যেখানে বছরে গড়ে ২০০ মহিলাকে কেবল ডাইনি বলে পুড়িয়ে মারা হয়!! সেখানে মুসলিমদের অবস্হা কি হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়!
ভাল লেগেছে আপনার লেখা।
৫৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৩
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলেছেন: এখানে একজন বলল ভারতীয় মুসলমানরা নাকি ছেলে মেয়েদের ১৬-১৭ হলেই বিয়ে করিয়ে দেয় তাই শিক্ষিতের হার বেশী না। কথাটি সত্যের অপলাপ মাত্র। মুসলমানেই যদি গণহারে এই ভাবে অল্প বয়সে বিয়ে করে তাহলে বাংলাদেশ, পাকিস্তানে এত মুসলমানদের মধ্যে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার সহ উচ্চ শিক্ষিত হল কিভাবে? স্পষ্টতই শাসকগণের আন্তরিকতা। আজকে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত না হলে মুসলিমদের অবস্থা আরো শোচনীয় হত। ভারতীয় মুসলমানরা পাকিস্তান ও বাংলাদেশের উদাহরণ টেনে আনতে পারে যে "দেখ তারা আলাদা হওয়াতে সেখানকার মুসলমানগণ কত ভাল আছে"। আর ১৯৪৭ সালে বিভাজন না হলে ৭১এ আমরা বাংলাদেশও পেতাম না। একদল ভন্ডের কথা হইল ৭১ ঠিক কিন্তু ৪৭ ভুল। এদের আসলে ভারতেই চলে যাওয়া উচিত। কারণ আমরা ৭১এ পাকিস্তান হতে স্বাধীন হয়ে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশ পেয়েছি কিন্তু ভারতে পুনরায় অন্তর্ভূক্ত হইনি।
৫৫| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১২:৪৯
বিষের বাঁশী বলেছেন: ভাল লাগলো লেখাটি পড়ে, অনেক কিছু জানতে পারলাম।
৫৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১:৪২
বিষের বাঁশী বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম!
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৯
রামিজের ডিপফ্রিজ বলেছেন: প্রথমত আপনার একটি ভুল ( খুব সম্ভবত স্লিপ হয়ে গেছে) শুধরে দিই- বিচারপতির নাম রাজিন্দর সাচার ( রাজেন্দ্র প্রসাদ ছিলেন প্রথম প্রেসিডেন্ট)।
যাই হোক, এবার একজন ভারতীয় মুসলমান হিসেবে কিছু কথা বলি-
১) সিভিল সার্ভিসে মুসলমানদের সংখ্যা কম হওয়াটা আপাতভাবে খুবই আশ্চর্য লাগলেও এটাকে একটু তলিয়ে দেখা দরকার। আপনি ভারতীয় নন, কাজেই আপনার নিচের ব্যাপারগুলি জানার কথা নয়।ভারতে মুসলমানরা থাকেন মূলত পশ্চিমবাংলা, আসাম, বিহার, উত্তর প্রদেশ ও অন্ধ্রপ্রদেশে। আমার ব্যক্তিগত অভিঞ্জতা এই যে এসব রাজ্যের (বাংলা, আসাম, অন্ধ্র বিশেষ করে) সাধারণ যুবকরা (মুসলিম বা হিন্দু নির্বিশেষে) সিভিল সার্ভিসে বা আর্মিতে অন্য রাজ্যের যুবকদের থেকে কম ইন্টারেস্টেড। তবে এটা ঠিক যে এসব সত্ত্বেও মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব বেশ কম, কিন্তু এই ফ্যাক্টরটা মোটেই নগণ্য নয়।
আর একটা অপ্রিয় সত্যি কথা বলি, ভারতে বহু নেতা আছেন যারা মনে করেন ইফতার পার্টিতে গিয়ে গান্ডেপিন্ডে খেয়ে এলেই বা কিছু ইমামদের পয়সা দিয়ে ফিট করলেই বোধহয় মুসলিমদের উন্নতি করে যায়।কিন্তু এতে সস্তা জনপ্রিয়তা মেলে বটে, কাজের কাজ কিছুই হয় না; বরং নেতাদের এই লোকদেখানে মানসিকতার জন্য হিন্দুরাও ক্ষুণ্ণ হয়।