নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর জীবন সকলে পায় না, তবে কিছু লোক জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলেন। আর সুন্দর জীবনের জন্য চাই সুন্দর জীবন ব্যবস্থা। নিঃসন্দেহে ইসলাম হল শ্রেষ্ঠ সুন্দর জীবন ব্যবস্থা।

ফরিদ আলম

আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।

ফরিদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

জালসা আর কীর্তনের জ্বালায় আধ-মরা

২০ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৪১

বুখারী শরীফে একটা হাদিস পড়েছিলাম, অনেকটা এমন, মসজিদে কিরাত জোড়ে পড়া হতো ফলে মসজিদের পাশের অমুসলিমরা বিরক্ত হতো এবং মাঝে মাঝে গালিও দিত। তাই কিরাত এমন ভাবে পড়তে বলার নির্দেশ দেওয়া হল যাতে আওয়াজ মসজিদের মধ্যেই থাকে। আরেকটা হাদিস বুখারীর; সম্ভবত ইবনে আব্বাস (রা.) তাঁর শিষ্যদের উপদেশ দিচ্ছেন যে, তোমরা লোকেদের কাছে গিয়েই কুর’আন পড়া শুরু করে দিবেনা। যতক্ষন না তারা তোমাদের কিছু শোনাতে বলবেন এবং উতসাহ দেখাবেন।

মোটকথা আমি বলতে চাচ্ছি, দাওয়াত বা ইস’লাহ করার সময় কোনভাবেই যাতে কেউ বিরক্ত না হয়। বিশেষ করে অমুসলিমরা। আমাদের এলাকায় যেসব জালসা হয়ে থাকে তাতে প্রচুর মাইক উঁচু যায়গায় লাগিয়ে জালসা প্রাঙ্গণ থেকে ১০-১৫ কিলোমিটার দুরের লোকেদের কাছেও জবরদস্তি পৌছে দেওয়া হয়। পায়খানা করতে করতেও বাধ্য হয়ে কুর’আন শুনতে হয়। এছাড়া বয়স্ক, রোগী, শিশুদের খুব অসুবিধা হয় এতে। অনেকে ইবাদতে মন দিতে পারেনা মানে নামায বা কুরান তিলাওয়াত করতে পারেনা মাইকের আওয়াজে। যারা লেকচার শুনতে আগ্রহী তারা সকলেই জালসায় উপস্থিত হয়েছেন। তাহলে কেন এত মাইকের তোড়যোড়?

আরেকটা ব্যাপার আমাকে প্রচন্ড বিরক্ত করে, তা হল হিন্দুদের কীর্তন। ৮-১০ দিন ধরে চলে এই আয়োজন। অনেক মাইক লাগানো হয় এলাকা জুড়ে। ২৪ ঘন্টা শুধুই ‘হরে কৃষ্ণ’ বলতে থাকে। অন্য কিচ্ছু নয়। না ধর্মের কথা না বাণী, না কাহিনী-ঘটনা, না আচার ব্যবহার। অথচ যারা এব্যাপারে যারা আগ্রহী তারা সকলে একসাথে বসে একাজ করতে পারে এমন ভাবে হাজার হাজার লোককে কষ্ট দেওয়ার কি মানে হয়?

কখনো কখনো মনে হয় মাইক আবিস্কার কোন ব্যাটাই করেছিল X((



[ এটা একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত।]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:২৫

শ্রীঘর বলেছেন: শীত মৌসুমে ঢাকায় আইসা দেইখা যাইয়েন। সাউন্ড পলুশন কারে কয়!!!

২০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৪২

ফরিদ আলম বলেছেন: শীত মৌসুমে আমাদের এখানেও কান ঝালাপালা হয়ে যায় :(

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.