নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর জীবন সকলে পায় না, তবে কিছু লোক জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলেন। আর সুন্দর জীবনের জন্য চাই সুন্দর জীবন ব্যবস্থা। নিঃসন্দেহে ইসলাম হল শ্রেষ্ঠ সুন্দর জীবন ব্যবস্থা।

ফরিদ আলম

আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।

ফরিদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানীর কথা

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

# সারা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আলেমদের অন্যতম নাসিরুদ্দীন আলবানীর প্রথম বইয়ের পান্ডুলিপি দেখে শায়খ মাশহুর হাসান কেঁদে ফেলেছিলেন। কারণ সেই পান্ডুলিপি লেখাছিল চিনি, চালের প্যাকেটসহ মানুষের ফেলে দেওয়া লাল রঙের কাগজে। তখন উনার কাছে কাগজ কেনারও পয়সা ছিলনা।



# শায়খ আবু ইসহাক আল-হুওয়াইনী বলেন, একদিন আমরা কয়েকজন নাসিরুদ্দীন আলবানীর বাড়িতে গেলে তিনি নিজেই দরজা খুললেন এবং সহাস্যবদনে আমাদেরকে অভ্যর্থনা জানালেন। আমরা সবাই তাঁর বাড়ীর বাগানে গিয়ে বসলাম। অতঃপর তিনি আমাদেরকে তাঁর সাথে নাশতা করতে বাধ্য করলেন। তিনি নিজে হাতে খাবার এনে আমাদের খাওয়াচ্ছিলেন। আমি উঠে তাঁকে সাহায্য করতে চাইলাম। কিন্তু তিনি ধমক দিয়ে আমাকে বসিয়ে দিলেন। আমি বিব্রতভাবে বললাম, শায়খ! আমি বসে থাকব আর আপনি আমার খেদমত করবেন, এটা তো আমার জন্য খুবই অভদ্রতার পরিচয়। উত্তরে শায়খ আলবানী মনের রাখার মত যে কথাটি বললেন, ‘দেখ, রাসূল (সা.)-এর অনুসরণ করাই হ’ল ভদ্রতা। বরং ভদ্রতার চাইতেও উত্তম’।



# শায়খ আলবানী একদিন নিজের গাড়ি চালাচ্ছিলেন। জনৈক ছাত্র তাঁর গাড়িতে উঠলো। শায়খ আলবানী তখন দ্রুতগতিতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ছাত্রটি ভয় পেয়ে তাঁকে বলল, শায়খ! গাড়ির গতি ধীর করুন। শায়খ বিন বায বলেছেন, জোরে গাড়ি চালানো নিজেকে ধ্বংসে নিপতিত করার শামিল। উত্তরে শায়খ আলবানী বললেন, এই ফৎওয়া গাড়ি চালনায় অদক্ষদের জন্য, আমার জন্য নয়। ছাত্রটি বলল, আমি কি আপনার এই কথাটি শায়খ বিন বাযকে শোনাবো? তিনি বললেন, হ্যা, তাঁকে বল। পরে ছাত্রটি একথা শায়খ বিন বাযকে জানালে তিনি হাসতে লাগলেন এবং বললেন, তাঁকে বল এই ফৎওয়া তাদের জন্য যাদের এ্যাকসিডেন্ট করে রক্তপণ দেয়ার অভিজ্ঞতা হয়নি (সঊদী আরবে দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তিকে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। তাই যাদের একবার এরূপ অভিজ্ঞতা হয়েছে, তারা এমনিতেই সাবধানে গাড়ি চালায়)।



# শায়খ আব্দুল্লাহ বিন ছালেহ (মৃত্যু ১৪৩২হিঃ) বলেন, মদীনায় অনেক বিখ্যাত আলেম-ওলামার সাথে আমার বন্ধুত্ব ছিল। তাঁদের মধ্যে শায়খ আলবানী ছিলেন আমার সবচেয়ে অন্তরঙ্গ বন্ধু। আমরা একত্রে বহুবার সফর করেছি। তিনি একাধারে আমার উস্তাদ এবং বন্ধু ছিলেন। যে বিষয়েই তাঁর সাথে কথা বলা হোক না কেন, তিনি হাদীছ দিয়ে কথা বলতেন এবং সনদের শুদ্ধাশুদ্ধি উল্লেখ করতেন। কুরআন থেকে তিনি এমনভাবে দলীল দিতেন যেন কুরআন তাঁর চোখের সামনে ভাসছে। একবার মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের নিয়ে আমরা মাঠে নামলাম। ছাত্ররা ফুটবল খেলছিল। শায়খ আলবানীও নিজের পোষাক পরিহিত অবস্থাতেই মাঝে মাঝেছাত্ররা ফুটবল খেলছিল। শায়খ আলবানীও নিজের পোষাক পরিহিত অবস্থাতেই মাঝে মাঝে তাদের সাথে খেলছিলেন। আমি বললাম, আপনি করছেন কি? আপনি ফুটবল খেলছেন, অথচ আপনি আলবানী! উত্তরে তিনি বললেন, أتقوى بها على الطاعة وهي لا تلهيني عن ذكر ربي ‘এর দ্বারা আমি আল্লাহ্র আনুগত্যে শক্তি অর্জন করছি। আর এটি আমাকে আমার প্রভুর স্মরণ থেকে উদাসীন করছে না।’

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩০

আল-মুনতাজার বলেছেন: নাসিরুদ্দিন আলবানী কে?শায়খ মাশহুর হাসান কে? দয়া করে জানান।

০৪ ঠা জুন, ২০১৩ রাত ৯:৪১

ফরিদ আলম বলেছেন: নাসিরুদ্দীন আলবানীকে চেনেন না ????!!!!!
উনি পৃথিবী বিখ্যাত রিজাল শাস্ত্রবিদ। মাশহুর হাসান একজন আলেম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.