![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।
‘মুসলিমদের উচিত এই সব হিন্দুদের ধন্যবাদ জানানো’ এই শিরোনামে আজকের কলমে একটি লেখা ছেপেছে। লেখাটি সঈদ যুবাইর আহমাদের, অনুবাদ করেছেন এডউইন আসীমকুমার বালা। লেখাটা পড়ে খুব ভালোও লাগল। ভালো এই জন্য লাগল যে বি.জে.পি, আর.এস.এস –এর মতো মুসলিম বিদ্বেসী দল যেমন ভারতে আছে তেমনই লক্ষ লক্ষ এমন হিন্দু ভাইও আছে যারা মুসলিমদের জন্য লড়ে চলেছেন। আবার খারাপ লেগেছে এইজন্য যে এই সব লোকেদের সাথে মুসলিমরা কাধে কাধ মেলায়নি বা এদের আন্দোলনে তেমনভাবে সামিল হয়নি। প্রথমেই লেখক মুসলিমদের সমালোচনা করে বলেছেন মুসলিমদের উপর অত্যাচার দেখেও মুসলিমরা চুপ থাকে, বড় কোন আন্দোলনে নামেনা। সংগ্রাম না করে গণতন্ত্রে কিছুই পাওয়া যায়না একথা তারা বুঝতে পারেনা। লেখক আরো বলেছেন, আফগানিস্থান, ইরাকে যখন হামলা হয় তখন মুসলিমরা বসে বসে আগুন তাপ ছিল অথচ আমেরিকার বিভিন্ন শহরে, ব্রিটেনে, প্যারিসে হাজার হাজার অমুসলিমরা রাস্তায় নেমেছিল। ইরাক হামলার সময় তো রাজনীতিবিদ, অভিনেতা, সাংবাদিক, সাহিত্যিক সকলেই রাস্তায় নেমেছিলেন। এই লেখায় খুব সুন্দর একটা প্রশ্ন তুলেছেন, ভারতের মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর যে ধরনের নির্যাতন ও অন্যায় অবিচার চলছে তার বিরুদ্ধে তীব্র লড়াই করছে কারা? মুসলিম রাজনীতিক, মুসলিম মানবাধিকারকর্মী, মুসলিম পুলিশ অফিসার, মুসলিম সাংবাদিক, মুসলিম লেখক বা ধর্মীয় সংগঠন গুলি? আজ্ঞে নাহ। মুসলিমদের বিরুদ্ধে এসব নির্যাতন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়ছে আমাদের হিন্দু ভাই বোনেরা, হিন্দু রাজনীতিবিদ, হিন্দু মানবাধিকারকর্মী, হিন্দু পুলিশ অফিসার, হিন্দু আইনজীবি, হিন্দু সাংবাদিক-লেখকরাই মুসলিমদের হয়ে অক্লান্ত লড়াই করে চলেছে। লেখক বেশ কয়েকজন উল্লেখযোগ্য কর্মীর নামও উল্লেখ করেছেন লেখায়। বর্তমানে ভারতে মুসলিমদের সব চেয়ে বড় সমস্যা হল সন্ত্রাসবাদী সন্দেহে গ্রেফতার ও বিনা বিচারে ৮-১০ বছর জেল। এই অবিচারের বিরুদ্ধে বিশাল প্রতিরোধ গরে তুলেছেন বেশ কিছু হিন্দু ভাই বোনেরা। এর মধ্যে ‘গুলেইল’ ও ‘রিহাই মঞ্চ’ উল্লেখযোগ্য। আর দুঃখের বিষয় হল এই আন্দোলন গুলোতে মুসলিমদের পক্ষে তেমন সাড়া মিলছেনা। গত এক মাস ধরে রিহাই মঞ্চের সাথে জড়িত ভাই বোনেরা উত্তর প্রদেশের লখনৌর রাস্তায় অনিদির্ষ্টকালের জন্য ধর্ণায় বস আছেন। তাদের দাবি তিনটি, ১. খালিদ মুজাহিদের গ্রেফতার ও তাকে হত্যা করার অপরাধে অভিযুক্ত দোষী পুলিশ অফিসারদের গ্রেফতার করা। ২. আর.ডি নিমেশ কমিশনের প্রস্তাবিত রিপোর্টের ভিত্তিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করা। ৩. সন্ত্রাসী কান্ডের মিথ্যা অভিযোগে ধৃত মুসলিম যুবকদের মুক্তি। লজ্জার ব্যপার হল দু-একটি মুসলিম সংগঠন এবং তিন-চার জন মুসলিম ব্যক্তিত্ব ছাড়া মুসলিম সমাজের কোন পরিচিত নেতাই সামিল হোননি এই ধর্ণায়। মুসলিমদের অবস্থা দেখে আমার নচিকেতার ‘মধ্যবিত্ত’ গানটির কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। ভাবটা এমন, কেউ মরছে মরুক আমি ভালো থাকলেই হল, অথচ সে যে কিছুদিন পরে মরবে আর তখন সবাই দেখবে তা সে বুঝতে পারেনা।
২| ২৪ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৪
অেসন বলেছেন: মানবিক কারনে মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়াবে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে- এটাই স্বাভাবিক। এখানে ধর্মীয় বিভাজন কাম্য নয়।
৩| ২৪ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫
নাজ_সাদাত বলেছেন: প্রথমত এমন একটা পত্রিকার নাম করলেন যেটা দলদাস। যে পত্রিকার সঙ্গে জুড়ে আছে মমতা আর সারদার(চিটফাণ্ড) নাম। ফলে এই পত্রিকা আমি ছুয়েও দেখিনা। ফলে আসল লেখাটা কি সেটা জানা হলনা আমার। আপনার ধারাবিবরন মতে যা বুঝলাম সেটা থেকে আমার মনে হয় এই প্রবন্ধের লেখক শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছেন। আমি অনেক মনে করার চেষ্টা করেও মনে করতে পারছি না কোনদিন ইরাক,আফগানিস্থান নিয়ে হিন্দুরা মুসলিমদের ভাল বেশে পথে নেমেছিল। বামফ্রন্ট গত ভাবে বিক্ষিপ্ত কিছু মিছিল হয়েছিল, তাও লোকজন বিশেষ কিছু হয়নি। এটা রাজনৈতিক কারনে হয়েছিল। এর বাইরে যারা রাস্তায় সত্যিকারে রাস্তায় ছিল তারা নিজেদের হিন্দু বলেন না। বরং তাঁদের যদি হিন্দু বলা হয় তাহলে তারা রেগে যান। হিন্দু পলিশ এর কথা এসেছে যখন তখন বলি এর থেকে মিথ্যা কিছু হয়না। কারা সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দিয়ে মুসলিম হত্যা করছে হে?
অল্প কিছু মানবতাবাদী মানুষ যারা হিন্দুধর্ম থেকে বেরিয়ে এসেছেন তারাই এক মাত্র মুসলিমদের উপর অত্যাচারের বিপক্ষে কথা বলেন। মমতার দালাল এই পত্রিকা আসলে মমতার মত মিথ্যাচারে লিপ্ত।
৪| ২৪ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৭
দুরন্ত-পথিক বলেছেন: শোনেন,ভারতে হিন্দু ব্যাতিত সকল মুসলিম রা ২য় শ্রেনীর নাগরিক,যেটা আমাদের দেশে নাই।অখানে একজন মুসলিম এর ভাল একটা চাকুরী পাইতে জীবন যৌবন সবি যায়। আর বাংলাদেশে এই রকম কোন সমস্যা নাই,যদিও এখান কার হিন্দুরা কখনও কৃতজ্ঞয়তা স্বীকার করেনা।
৫| ২৫ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৫
সুমন্ত বলেছেন: অপেক্ষা করেন যে ভাবে হিন্দুর সংখ্যা কমতেছে, তাতে অচিরেই হিন্দু বিহীন দেশ পাবেন অপনারা।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪২
অপর্না হালদার বলেছেন: চমৎকার লিখেছৈন ।
বয়ান ভালো লাগলো ।
বাংলাদেশে মুসলিমরা হিন্দুদের নিয়ে আছে খূব বিপাকে ।
হিন্দুরা সন্ধ্যা আরোতি করলে, হিন্দুদের ধর্মীয় সংগীত শুনলে- নামাজ হয়না (হিন্দুদের কিন্তু মসজিদের আযান শুনলে কিছু হয়না ), হিন্দুরা চাকুরী পেলে ওদের নাকি খুব কষ্ট হয় । হিন্দুরা নাকি ভারত প্রেমি বেশি হয়, মুসলিমরা কিন্তু খুব দেশপ্রেমিক হয় ।
যাই হোক আমি কিছু লিখলে যদি কেহ কষ্ট পান ।
ধর্ম শান্তির জন্য, এই শান্তির জন্য যারা ধর্মকে ব্যবহার করে অশান্তি সৃষ্টি করে তাদেরকে মন থেকে ঘৃনা করি - সে হিন্দু হোক, মুসলিম হোক বা খ্রিস্টানই হোক ।
ধন্যবাদ ।