![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।
একজন আদর্শ মুসলিম ব্যক্তিত্ব কেমন হবে তা নিয়ে বিশাল আলোচনা চলতে পারে। দু-এক কথায় এর উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। আব্দুল হামীদ মাদানী খুব সুন্দর বলেছেন, ‘সাধারণভবে মুসলিম নারী পুরুষের গুণাবলী এই যে, তারা লজ্জাশীল হয়, অপরকে কোন প্রকার ব্যাথা দেয়না, শান্তি ও শৃঙ্খলা পছন্দ করে, সকলের জন্য মঙ্গলকামী হয়, সত্যবাদী, মিতভাষী, মিষ্টভাষী, ধৈর্য্যশীল, সহ্যশীল, কৃতজ্ঞ, অল্পেতুষ্ট, আঙ্গীকার পালনকারী আমানতদার সংযমী, জিতেন্দ্রিয়, ভদ্র, সুশীল, শিষ্টাচার, বিনয়ী, হাসিমুখি হয়। তাদের পদস্খলন কম ঘটে, বাজে কথা ও বাজে কাজে থাকে না, লোকের সাত পাঁচে থাকেনা, কাউকে লানত, অভিশাপ ও গালমন্দ করেনা, কারো চুগলি, গীবত করেনা, হিংসুক, কৃপণ, পরশ্রীকাতর ও লোভী হয়না। যারা আল্লাহর জন্য সবকিছু পছন্দ করে ও ভালোবাসে এবং তাঁরই জন্য ঘৃণা করে মন্দ বাসে। তাঁরই জন্য আনন্দিত ও রাগ্বাম্বিত হয়’।
চরিত্র নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বড় সম্পদ। যার চরিত্র নাই তার ব্যক্তিত্ব বিকশিত হয়না। সমাজ চরিত্রবানদের সন্মান করে ভালোবাসে। সুন্দর চরিত্র জীবনের অলংকার ও সবচেয়ে দামি সম্পত্তি। আসুন চরিত্র সম্পর্কীত কিছু তথ্য জেনে নেই -
❖ নবীজী সা. বলেন – ‘তুমি সুন্দর চরিত্র ও দীর্ঘ নীরবতা অবলম্বন কর। সেই সত্ত্বার কসম যাঁর হতে আমার প্রাণ আছে, সারা সৃষ্টি উক্ত দুই (অলংকারের) মতো অন্য কিছু দিয়ে সৌন্দর্যমন্ডিত হতে পারেনা’ [সহীহুল জামে/৪০৪৮]
❖ ‘তোমদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সেই ব্যক্তি যে তার চরিত্রে তোমাদের সকলের চেয়ে উত্তম’ [বুখারী/৬৩৫; মুসলিম/২৩২১]
❖ ‘আল্লাহর নিকট সবচেয়ে প্রিয়তম বান্দা হল সেই যার চরিত্র সুন্দর’ [ত্বাবারানী, সহীহুল জামে/১৭৯]
❖ ‘নিশ্চয় আল্লাহ সুন্দর, তিনি সৌন্দর্য্যকে পছন্দ করেন। তিনি সুউচ্চ চরিত্রকে ভালোবাসেন এবং ঘৃণা করেন নোংরা চরিত্রকে’ [সহীহুল জামে/১৭৪৩]
❖ মানুষকে সুন্দর চরিত্রের চাইতে শ্রেষ্ঠ (সম্পদ) অন্য কিছু দান করা হয়নি’ [ত্বাবারানী, সহীহুল জামে/১৯৭৭]
ভদ্রতা চরিত্রের আরেকটি বড় গুন। ভদ্রতার মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু করতে পারি। অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। পৃথিবীর বিখ্যাত মনীষীদের ব্যাপারে জানলে দেখা যাবে তাঁদের মধ্যেও এই গুনটি ছিল। ভদ্রতা ছাড়া কোন মানুষের পক্ষেই চরিত্রবান বা আদর্শবান হওয়া সম্ভব নয়। কয়েকজন ইসলামী পন্ডিতের বক্তব্য তুলে ধরলাম -
❖ আলী রা. বলেন – ‘যে লোক ভদ্র তার কথাও নম্র। ভদ্রতা উন্নত চরিত্রের লক্ষন, আর নম্রতা উতকৃষ্ট ইবাদতের লক্ষণ’।
❖ ইমাম গাযযালী বলেন – ‘মর্যাদা লাভ হয় জ্ঞানের মাধ্যমে, রক্ত সম্পর্কের মাধ্যমে নয়। সৌন্দর্যের সুষমা বিকশিত হয় শিষ্টাচারের মাধ্যমে, উত্তম পোষাকের মাধ্যমে নয়’।
❖ মুহাল্লাব বলেন – ‘অবাক লাগে যে, লোকে মাল দিয়ে দাস ক্রয় করে, অথচ সুব্যবহার দিয়ে স্বাধীন মানুষ ক্রয় করেনা’।
আমাদের সকলের উচিত আমাদের চরিত্রকে এভাবেই তৈরি করা। কিন্তু দুঃখের বিষয় বেশির ভাগ মুসলিমই আদর্শ মুসলিম ব্যক্তিত্বের অধিকারী নয়। আমি আগেও বেশ কয়েকবার বলেছি ইসলাম প্রতিষ্ঠা হয়েছে মুসলিমদের সুচরিত্র ও সুব্যবহারের ফলে। রসুল সা. সাহাবা রা. বা তাবেঈ বা অনান্য মুসলিম ব্যক্তিত্বের জীবনী থেকেই আমরা এই সত্য সম্পর্কে জানতে পারি। কোথাও পড়েছিলাম ইসলাম গ্রহনকারী বিখ্যাত পপ গায়ক ক্যাট স্টিভেন্স বলেছিলেন ‘ভালো হয়েছে আজকের মুসলিমদের দেখার আগেই আমি কুরান পড়েছিলাম। না হলে এই মুসলিমদের দেখে আমি কখনোই কুরান পড়তে আগ্রহী হতাম না’।
©somewhere in net ltd.