![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।
রবীন্দ্রনাথের তোতাপাখির বুলি আওড়ানোর গল্পটা কিংবা প্রমথ চৌধুরির শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কীত প্রবন্ধ গুলো পড়লেই বোঝা যাবে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা কতটা খারাপ। এই শিক্ষা পুরোপুরি মুখস্থ নির্ভর আর চাকরির জন্য প্রস্তুতি ছাড়া কিছুই নয়। যদি কেউ চাকরি না পাই আর ব্যবসা করতে চাই তবে ১৪-১৫ বছর ধরে পড়া এই শিক্ষা তার কোন কাজেই লাগবেনা। স্কুল কলেজে পড়ে কেউ ভালো মানুষ হয় বলেও আমি মনে করিনা। তবে মিশন গুলোর কথা আলাদা। রামকৃষ্ণ মিশন, আল আমিন মিশন, আজাদ একাডেমি এসবে পড়ে শিক্ষার সাথে সাথে চরিত্র, নৈতিকতা ও ব্যক্তিত্বও তৈরি হয়। আমার মনে হয় বর্তমান ‘পূথিগত শিক্ষা’র সিলেবাসে কয়েকটি বিষয় যোগ করলে অনেক উপকার হবে ছাত্র ছাত্রী, সমাজ এবং দেশের। যেমন –
❖ প্রতিদিন একটি ক্লাস হবে যেখানে নিউস পেপারের বিভিন্ন খবর নিয়ে শিক্ষক এবং ছাত্রদের মাঝে আলোচনা চলবে। দেশ, দুনিয়ার সব ঘটনা নিয়ে চলবে তর্ক-বিতর্ক, আলোচনা।
❖ প্রতি মাসে একটি করে স্কুল ম্যাগাজিন প্রকাশ করা হবে। যেখানে ছাত্র ছাত্রী এবং শিক্ষকগণ লিখবে। এর জন্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে কিছু ফি নেওয়া যেতে পারে অথবা স্কুল ফান্ড থেকেই চলতে পারে এই কাজ। প্রতিটা ছাত্রই এই ম্যাগাজিন পাবে এমন ব্যবস্থাও করা উচিত।
❖ ছাত্র ছাত্রীদের নৈতিকতা, চরিত্র, ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিমত্তা তৈরি করার জন্য ডেল কার্নেগীর মতো লেখকদের বই প্রতিটা ক্লাসেই পড়ানো। অথবা বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ, ধর্মগুরু, বিভিন্ন দেশের মনীষী, শিক্ষনীয় গল্প দিয়ে ভালো বই তৈরি করা যেতে পারে। এই ধরনের শিক্ষা যতদিন ছাত্র ছাত্রীরা না পাবে সমাজ বা দেশ তাদের কাছ হতে উপকারও পাবেনা।
❖ মাধ্যমিকের পরে বিভিন্ন ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে পড়ানো। যেমন, পোল্ট্রি ফার্ম, ডেয়ারী ফার্ম, মাছ চাষ, বিভিন্ন হাতের কাজ, ছোট শিল্প এসব ব্যাপারে ট্রেনিং+জ্ঞান থাকলে পড়াশোনা শেষ করে চাকরির জন্য পাগল হবেনা। দরকার পড়লে নিজেই নিজের কেরিয়ার তৈরি করে নিতে পারবে।
এই রকম আরো কিছু উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এতে করে সত্যিকারের মানুষ তৈরি করা সম্ভব হবে। এখনও আমাদের সমাজে বি.এ, এম.এ পাশ করা মানেই খুব ভালো ছেলে/মেয়ে বলে ধরা হয়। অথচ এই শিক্ষা কখনো ভালোত্বের সার্টিফিকেট দেয়না। সবচেয়ে খারাপ লাগে এসব নিয়ে কেউ আওয়াজ তুলেনা। সবাই ভেড়ার পালের মতো অনুসরণ করে। সবকিছুকে মেনে নেয়। ‘চলো পাল্টাই’ বলার লোকের খুব অভাব আমাদের সমাজে।
©somewhere in net ltd.