![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।
মহানবী সা. বলেন, ‘অচিরেই শেষ যামানায় একটি নির্বোধ যুব-দল হবে, যারা লোক সমাজে সবার চাইতে উত্তম কথা বলবে। কিন্তু ইমান তাদের গলদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করবে না। তারা দ্বীন থেকে এমনভাবে বের হয়ে যাবে, যেমন তীর শিকার ভেদ করে বের হয়ে যায়......... [বুখারী/৩৬৫৪; মুসলিম, মিশকাত/৩৫৩৫]
ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি ও অতিরঞ্জন, মতভেদের সময় উগ্রবাদী মনোভাব ও কট্টরবাদী সমালোচনা। অবশ্য এমনটি ঘটে দ্বীন সন্বন্ধে সঠিক জ্ঞান না থাকার ফলেই। ফাটা ঢেকির শব্দ বেশি হয়। আর সেই শব্দ তর্ক-বিতর্ক থেকে দ্বন্ধ-দাঙ্গা এবং তার পরেই জিহাদের দুলদুলে সওয়ার করিয়ে সন্ত্রাসবাদে পৌছে দেয়। অবশ্য এই অতিরঞ্জনকারীদের ধর্মবিষয়ক প্রজ্ঞা কম হলেও ইবাদত বিষয়ক প্রচেষ্টা অনেক বেশি। আর এরা সাধারণত আবেগপ্রবণ উদীয়মান যুবক হয়। যাদের উদ্যম বেশি, কিন্তু অভিজ্ঞতা কম। যেমন বিদ্রোহী খাওয়ারেজরা অনুরুপ ছিল।
এই শ্রেণীর যুবকরা জানেনা যে, শরীয়তে মঙ্গল আনয়ন অপেক্ষা অমঙ্গল দূরীকরণ অধিক প্রাধাণ্যপ্রাপ্ত। এরা জানেনা বা মানেনা যে, একই কাজের পশ্চাদে যদি লাভ ক্ষতি দুই থাকে তাহলে লাভ করার চেষ্টা না করে ক্ষতি যাতে না হয় তারই চেষ্টা করতে হয়। অবশ্য লাভের অংশ বিশাল এবং ক্ষতির অংশ কিঞ্চিত হলে সে কথা ভিন্ন।
এরা জানেনা বা মানেনা যে, মন্দকে মন্দ দিয়ে দূর করা যায়না। পেশাব দিয়ে পায়খানা ধুয়ে পবিত্রতা অর্জন হয়না। আগুনকে আগুন বা পেট্রল দিয়ে না নিভিয়ে পানি দ্বারা নিভাতে হয়।
যেমন কোন মন্দ দূর করতে গিয়ে যেন অধিকতর মন্দ সৃষ্টি না হয়ে যায়। নচেত সেই মন্দ দূর করা বাঞ্ছনীয় নয়। আঙ্গুলের ব্যাথা দূর করতে গিয়ে যদি সারা শরীরে ব্যাথা সৃষ্টি হওয়ার আশংকা হয় অথবা মৃত্যুর ভয় থাকে, তাহলে সেই ব্যথা দূর করা নিশ্চয় ভালো নয়।
এরা জানে, ইমানী জোশ চাই, দ্বীনি জযবা চাই, ইওলামী স্পৃহা চাই, স্পিরিট চাই, স্পীড চাই সংগ্রামের তুফান চাই, আন্দোলনের ঝড় চাই, কিন্তু একথা জানেনা বা মানেনা যে এসব কিছুতে লাগাম চাই, ব্রেক চাই, সংযম চাই, বাঁধ চাই, বন্ধন চাই। নচেত মহাসর্বনাশ অবশ্যম্ভাবী।
[সকলকে অনুরোধ করব ‘ধর্মের নামে সন্ত্রাস ও গোঁড়ামী’ বইটি পড়ার। এই কয়েকটি অধ্যায় ভালোভাবে পড়ুন – কাফেরবাদ, সন্ত্রাসবাদ, মুসলিমদের মাঝে সন্ত্রাস সৃষ্টির কারণ, মুসলিম সন্ত্রাসের ঐতিহাসীক প্রেক্ষাপট, উগ্রপন্থীদের বৈশিষ্ট্য,সন্ত্রাস রুখার উপায়।]
এখান থেকে ৫১ নাম্বার বইটি ডাউনলোড করুন - ক্লিক করুন
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:৩৮
ফরিদ আলম বলেছেন: হ্যা, এখানে প্রচুর ভালো বই আছে।
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:৫৭
অপরিপক্ক বলেছেন: লিঙ্কটা ভালো বই নামানোর জন্য খুবই গুরুত্ত্বপূর্ণ