![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।
দুইজন ব্যক্তির মধ্যে কুর’আনের কয়েকটি আয়াতকে কেন্দ্র করে বিতর্ক হচ্ছে।
✦ ১ম ব্যক্তি – আল্লাহর উক্তি ‘আল্লাহ কেবল মুত্তাক্বীনদের নিকট থেকেই (আমল) কবুল করেন’ [সুরা মাইদাহ/২৭] এই কথার উলিল যে, পাপী, অবাধ্য, ফাজের ও ফাসেকের আমল ধ্বংশ, বাতিল ও অগ্রহণযোগ্য। কারণ, কেউ তাদেরকে আল্লাহর মুত্তাক্বী বান্দা বলতে পারেনা।
✦ ২য় ব্যক্তি – এখানে শির্কের কথা বলা হয়েছে। আর মুত্তাক্বীনের অর্থ শির্ক থেকে যারা দূরে থাকে। সুতরাং যে ব্যক্তি শির্ক থেকে দূরে থাকবে, তার আমল কবুল করা হবে। কারণ আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘কেউ কোন সৎকাজ করলে, সে তার দশ গুণ নেকি পাবে’ [সুরা আন’আম/১৬০]
✦ ১ম ব্যক্তি – কিন্তু আল্লাহ তা’আলার এই উক্তি ‘যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আবাধ্যচরণ করে, তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের অগ্নি, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে’ [সুরা জ্বীন/২৩] তোমার ঐ কথার খন্ডন করে।
✦ ২য় ব্যক্তি – এখানে অবাধ্যচরণের অর্থ শির্ক করা, কাউকে আল্লাহর শরীক করা। কারণ আল্লাহ বলেন ‘নিশ্চয় আল্লাহ তারঁ অংশী করার অপরাধ ক্ষমা করেন না। এ ছাড়া অনান্য অপরাধে যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করেন’ [সুরা নিসা/৪৮]
✦ ১ম ব্যক্তি – আল্লাহর উক্তি ‘মুমিন কি ফাসেকের মতই? ওরা কখনো সমান হতে পারেনা’ [সুরা সাজদাহ/১৮] এবং ‘যারা ফাসেক তাদের বাসস্থান হবে জাহান্নাম। যখনই ওরা জাহান্নাম থেকে বের হতে চাইবে, তখনই ওদেরকে তাতে ফিরিয়ে দেওয়া হবে’[সুরা সাজদাহ/২০] এই কথার দলিল যে যারা ফাসেক তারা চিরস্থায়ী জাহান্নামবাসী হবে।
✦ ২য় ব্যক্তি – আয়াতের শেষ প্রান্তে আল্লাহর উক্তি ‘এবং ওদেরকে বলা হবে, যে অগ্নি শাস্তিকে তোমরা মিথ্যা মনে করতে তা তোমরা আস্বাদন কর’। এই কথার দলীল যে, এখানে ফাসেক বলতে উদ্দেশ্য যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুল এবং জাহান্নামের শাস্তিকে মিথ্যা মনে করবে সে। কাবীরাহ গোনাহকর্তা ফাসেক তো আহলে ক্বিবলার মধ্যে গণ্য, পূর্ণ ইমানের মুমিন’।
এই আলোচনা বা তর্ক দেখে সাধারণ মুসলিমরা বুঝে উঠতে পারবে না কোনটা ঠিক এবং কোনটা ভুল। কারণ দুই ব্যক্তির কাছেই আছে যথার্ত যুক্তি এবং উপযুক্ত দলিল। ওদের দুজনেরই ব্যখ্যাকে বলিষ্ঠ মনে হচ্ছে। তবে মজার ব্যাপার হল এরা দুজনই বাতিল বা পথভ্রষ্ট। ১ম জন হল খারেজী, খাওয়ারেজ দলের। যাদের বিশ্বাস কেউ কবীরাহ গুনাহ করলে কাফের হয়ে যাবে এবং সে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হবে। ২য় জন হল মুরজে, মুর্জিয়াহ দলের। যাদের বিশ্বাস ইমান অন্তরে প্রত্যয় এবং মুখে স্বীকার করার নাম এবং ইমান থাকলে পাপ কোন ক্ষতি করতে পারেনা। এই দুটি মতই ভ্রান্ত ও অগ্রহনযোগ্য। যেহেতু সলফদের মত এই দুই মতেরই প্রতিকূল।
চারিপাশে কিছু নিম আলেমের জন্ম হয়েছে, কিছু এমন যুবকের যারা নেটে পড়ে জ্ঞানী। হঠাত কুর’আনে খুলে একটা আয়াত পড়ল নিজে যা বুঝল তা ব্যখা করে মর্জি মতো স্টেটাস দিল বা প্রচার করল। অথচ আমাদের উচিত কর’আনের আয়াতকে সুন্নাহর আলোকে বোঝা, যেভাবে সলফে সলেহীনরা বুঝেছেন সেভাবে বোঝা, তাফ’সীর পড়া। এরা সুন্নাহ এবং সলফদের ব্যাখ্যার পরোয়া না করেই নিজের মন, রায়, ইচ্ছা ও অভিরুচির মাধ্যমে কুর’আনকে বুঝে এবং ব্যাখ্যা করে।
হাক্কানী ও রাব্বানী আলেমদের সংস্পর্শে থাকা খুব জরুরী। আহলে ইলমদের থেকে পথনির্দেশ গ্রহণ করাও জরুরি। না হলে পথভ্রষ্ট হতেই হবে। যেমন গাযওয়া-এ-হিন্দ নিয়ে কিছু যুবক খুব প্রচারনা চালাচ্ছে একটা পেজে। আফগানিস্থান বা ইরাক, সিরিয়ার থেকে নাকি হিন্দুস্থানের বিরুদ্ধে লড়াই করাটাই বেশি পূণ্যের। আহমাদ শরীফের একটা হাদীস নিয়ে ওদের মাতামাতি। ওদের ব্যখ্যায় কোন হাক্কানী আলেমের ফতোয়া নাই, কোন হাক্কানী আলে্মের দলীল নাই। নিজেরাই আহলে ইলম সেজে বসে আছে। আমি কয়েকজন আলেমকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলাম যে যুদ্ধের কথা সে হাদীসে বলা হয়েছে তা হয়েগেছে। যখন মুসলিমরা ভারত জয় করেছিল। নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সুলতান মুহাম্মাদ কাশেম। তাই সব বন্ধুদের বলব হাক্কানী রাব্বানী আলেমদের মত গ্রহণ করুন। আপনার বিচারে সঠিক মনে হলেও তা সঠিক নাও হতে পারে। যেমন উপরের খারেজী ও মারজীদের তর্কে আপাত দৃষ্টিতে সঠিত মনে হয় কিন্তু সঠিক নয়।
আল্লাহ বলেন ‘তুমি বল মন্দ ও ভালো এক বস্তু নয়, যদিও মন্দের আধিক্য তোমাকে মুগ্ধ করে। সুতরাং হে জ্ঞানবান সকল! তোমরা আল্লাহকে ভয় কর, যেন তোমরা অফলকাম হতে পার’ [সুরা মাইদাহ/১০০]
[খারেজী ও মারজীর তর্কটা 'কাফের বলার মৌলনীতি' বই থেকে নেওয়া। গযওয়া-এ-হিন্দ' নিয়ে কোন ভালো আলেমের ফতোয়া বা মতামত থেকলে জানান। আমি এ ব্যাপারে আরো জানতে চাই]
©somewhere in net ltd.