নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর জীবন সকলে পায় না, তবে কিছু লোক জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলেন। আর সুন্দর জীবনের জন্য চাই সুন্দর জীবন ব্যবস্থা। নিঃসন্দেহে ইসলাম হল শ্রেষ্ঠ সুন্দর জীবন ব্যবস্থা।

ফরিদ আলম

আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।

ফরিদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুসলিমরা কেন দুঃখে-কষ্টে? অথচ অন্যরা উন্নত।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০১

চারিদিকে এমন অনেক মানুষ আছে যারা প্রশ্ন করে আমরা মুসলিমরা এত গরীব কেন? কাফেররা তো অনেক বড়লোক। তারা সুখী। তারা বাড়ি গাড়ী নিয়ে সুখে শান্তিতে জীবন কাটাচ্ছে। আর আমরা আছি কষ্টে। আবার এমন মানুষও আছে যাদের নামাজের কথা বা পাপকাজ থেকে দূরে থাকার কথা বললে সে বলে, 'আমি যদি পাপী হতাম তাহলে আল্লাহ আমাকে এতকিছু দিতনা। আমার চাকরী আছে, বড় বাড়ি আছে, গাড়ীও আছে। আর আমি সুখী। আমার রোগ ব্যাধীও হয়না। আর তুমি এত নামাজ রোজা করে কি আছে তোমার'?



এর উত্তর কুর'আন হাদীসেই স্পষ্টভাবে আছে -



'কেউ পার্থিব-সুখ কামনা করলে আমি যাকে যা ইচ্ছা সত্বর দিয়ে থাকি। পরে ওর জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত করি; যেখানে সে নিন্দিত ও (আল্লাহর) অনুগ্রহ থেকে দূরীভুত অবস্থায় প্রবেশ করবে। আর যারা মু'মিন হয়ে পরলোক কামনা করে এবং তার জন্য যথাসাধ্য সাধনা করে, তাদেরই সাধনা স্বীকৃত হবে' [সুরা ইসরা/১৮-১৯]



এছাড়াও এব্যাপারে সুরা হুদ/১৫-১৬; সুরা মু'মিন/৩৯; সুরা আনকাবুত/৬৪; সুরা আন'আম/৩২; সুরা হাদীদ/২০ এবং আরো অনেক আয়াতে বর্ণনা আছে।



একদা মুহাম্মাদ সা. চাটাই এর উপর হেলান দিয়ে শুয়েছিলেন। তাঁর পার্শ্বদেশে চাটাই এর স্পষ্ট দাগ পড়েছিল। তাঁর বগলে ছিল খেজুর গাছের চোকার বালিশ! তা দেখে উমার রা. কেঁদে ফেললেন। নবী সা. জিজ্ঞেস করলেন, 'হঠাত কেঁদে উঠলে কেন, হে উমার? উমার বললেন, 'হে আল্লাহর রাসুল! পারস্য ও রোম সম্রাট কত সুখ-বিলাসে বাস করছে। আর আপনি আল্লাহর রাসুল হয়েও এ অবস্থায় কালাতিপাত করছেন? আপনি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করুন, যেন তিনি আপনার উম্মতকে পার্থিব সুখ-সম্পদে সমৃদ্ধ করেন। পারস্য ও রোমবাসীদেরকে আল্লাহ দুনিয়ার সুখ সামগ্রী দান করেছেন, অথচ তারা তাঁর ইবাদত করে না!

একথা শুনে মুহাম্মাদ সা. হেলান ছেড়ে উঠে বসলেন এবং বললেন, 'হে উমার! এ ব্যাপারে তুমি এমন কথা বল? ওরা হল এমন জাতি, যাদের সুখ সম্পদকে এ জগতেই ত্বরান্বিত করা হয়েছে। তুমি কি চাও না যে, ওদের সুখ ইহকালে আর আমাদের সুখ পরকালে হোক? [বুখারী/৫১৯১; মুসলিম, ইবনে মাজাহ, সহীহুল জা'মে/১৩২৭]

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১২

অলওয়েজ এ্যান্টি গর্ভণমেন্ট বলেছেন: পাগলের সুখ মনে মনে।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

ফরিদ আলম বলেছেন: সুখ কিন্তু মনেরই। মনোবিজ্ঞানীগণ এমনই বলেন।

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৯

মিনেসোটা বলেছেন: প্রফাইল পিক দেইখা ত আপনাকে বিশেষ ইসলামীভাবাপন্ন মনে হইলো না। পাগড়ী নাই, দাড়ি রাখছেন ফ্যাশান করে, চোখে কালা চশমা

আপনি কি ডিসকো হুজুর ?

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

ফরিদ আলম বলেছেন: আপনার পছন্দ হয়নি? এমনি তো চান আপনারা?

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২৮

সুষুপ্ত পাঠক বলেছেন: 'কেউ পার্থিব-সুখ কামনা করলে আমি যাকে যা ইচ্ছা সত্বর দিয়ে থাকি। পরে ওর জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত করি; যেখানে সে নিন্দিত ও (আল্লাহর) অনুগ্রহ থেকে দূরীভুত অবস্থায় প্রবেশ করবে। আর যারা মু'মিন হয়ে পরলোক কামনা করে এবং তার জন্য যথাসাধ্য সাধনা করে, তাদেরই সাধনা স্বীকৃত হবে' [সুরা ইসরা/১৮-১৯][/sb
এ ছাড়া কি-ই বা বলার ছিল চালচুলোহীন প্রফেটের! কিন্তু যখন তিনি প্রিন্স হন, মক্কা-মদিনা কবজায় নেন তখন এই অবস্থা ছিল না। দুনিয়াবী ধন-দৌলত ত্যাগ করেছেন বলে জানি না। কিন্তু তার মক্কার জীবনে গরীব মুসলমানরা তাকে এইসব জিজ্ঞেস করে অস্বস্তিতে ফেলে দিত। তাই ঈশ্বরের নাম করে তিনি নিজেই এইসব সান্ত্বনার কথা লিখে দিতেন।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

ফরিদ আলম বলেছেন: ১। এই ঘটনাটা মদিনার। এই সময় তিনি মদিনা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছিলেন। এবং তিনিই ছিলেন শাসক।

২। তিনি মোটেই চালচুলোহীন ছিলেন না। একথার সপক্ষে দলিল দিতে পারবেন না। এটা বিদ্বেষের শব্দ ছাড়া কিছুই

৩। মদিনার জীবন অথবা মক্কাজয়ের পরের জীবন পড়ে একটা উদাহরণও দিতে পারবেন না যে তিনি বিলাস বহুল জীবনযাপন করতেন।

৪| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫১

ফরিদ আলম বলেছেন: মহাত্মা গান্ধী বলেছেন -
‘মুহাম্মাদ (সা) ছিলেন একজন মহান পয়গম্বর। তিনি সাহসী ছিলেন এবং আল্লাহকে ছাড়া কাউকে ভয় করতেন না। তিনি কখনও এক কথা বলে অন্য কাজ করতেন না। এই পয়গম্বর ছিলেন ফকিরের মতো। তিনি যদি ইচ্ছা করতেন তাহলে প্রচুর সম্পদ করতে পারতেন। আমি যখন তাঁর দুঃখের কাহিনী পড়ি তখন আমার চোখ দিয়ে কান্না ঝরে পড়ে। তিনি, তাঁর পরিবারবর্গ এবং তাঁর সঙ্গীরা কতই না কষ্ট ভোগ করেছিলেন স্বেচ্ছায়। তাই আমার মতো একজন সত্যাগ্রহী তাঁর মতো মানুষকে শ্রদ্ধা না করে থাকতে পারে না। যিনি তাঁর মনকে নিবদ্ধ রেখেছিলেন এক আল্লাহর প্রতি এবং তিনি চিরকাল হেঁটেছেন আল্লাহ ভীরুতার পথে। মানব জাতির প্রতি তাঁর সহানুভূতি ছিল সীমাহীন। (Islam and its holy prophet as judged by the Non Muslim world; page- 20)

ঐতিহাসিক ড. তারাচাঁদ বলেছেন -
‘অমুসলিমদের উচিত গরিব, পদদলিত এবং অনাথদের বন্ধু চিরসত্যবাদী মুহাম্মাদ (সা) সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জানা। মুহাম্মাদ (সা) ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন আরাম ও সুখের জীবন। তিনি কঠোর পরিশ্রম করতেন। নিজের পোষাক ও জুতো নিজ হাতে সেলাই করতেন। তিনি তাঁর শত্রুদের ক্ষমা করেছিলেন, দয়া দেখিয়েছিলেন ক্রীতদাসদের প্রতি। তিনি যেমন সাহসী ও অকুতোভয় ছিলেন, তেমনি ছিলেন ভদ্র ও অমায়িক। আমরা অবশ্যই স্বীকার করব যে ইসলামের বিস্তার তলোয়ার দিয়ে রাজ্যজয়ের মাধ্যমে হয়নি, ইসলামের বিস্তার হয়েছে তাঁর ব্যাক্তিত্বের জাদুতে এবং তাঁর আশ্চর্য বাগ্মীতার প্রভাবে। (Islam and its holy prophet as judged by the Non Muslim world; page- 240)

সি.পি. রামস্বামী লিখেছেন -
‘ইসলাম বলতে কি বোঝায় ? আমি মনে করি এবং বিশ্বের সমস্ত চিন্তাশীল ব্যক্তিও এটা স্বীকার করেন যে বিশ্বের এক এবং একমাত্র সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ধর্ম ইসলাম যা আজ প্রকৃতপক্ষে কাজ করে চলেছে এই বিশ্বে। একজন হিন্দু হয়ে এবং হিন্দু বিশ্বাসের মধ্যে দৃঢ় ভাবে বেষ্টিত হয়েও আমি অত্যন্ত স্পষ্ট ভাবে এ কথা বলছি । (The Eastern times; 22 desember; 1944)

৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: সুষুপ্ত পাঠক আপনি কি মুসলমান ?

উত্তর যদি হ্যাঁ হয় তাহলে বলব ভাই তওবা করুন । ইসলামের আকিদা গুলো ভাল ভাবে জানুন।

উত্তর যদি না হয় তা বলব আসুন সিরাতে রাসুল (সাঃ) নামে একটা বই আছে সেটা পড়ুন।

৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১০

জাভেদ৫০ বলেছেন: ভাই তাহলে নবী করীম (সাঃ) এর জন্মভুমি তাথা পুরা মিডল ইস্টের সবাই পরকালে সুখ পাবে না। আমরা যারা তূতীয় বিশে বাস করি সবাই পরকালে সুখ পাব।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

ফরিদ আলম বলেছেন: আল্লাহর অনুগ্রহ নিয়েও অনেক আয়াত আছে। এসব আয়াত তাদের জন্য যারা পার্থিব জীবনকেই সব কিছু মনে করে আর ইহকালে সুখের জন্যই সব চেষ্টা প্রচেষ্টা করে। পরকালের জন্য উপার্জন করেনা।

৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৫৩

মিনেসোটা বলেছেন: একটু রয়ে সয়ে দাদা, ইন্ডিয়াতে বসে এইসব বুলি সামলে ঝাড়বেন, আরএসএস শুনলে ধর্মযুদ্ধ শুরু করে দেবে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৯

ফরিদ আলম বলেছেন: আমাদের রাজ্যে তো আর.এস.এস এর একটা চুলও নাই গো দাদা। কি দুঃখ!!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.