নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর জীবন সকলে পায় না, তবে কিছু লোক জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলেন। আর সুন্দর জীবনের জন্য চাই সুন্দর জীবন ব্যবস্থা। নিঃসন্দেহে ইসলাম হল শ্রেষ্ঠ সুন্দর জীবন ব্যবস্থা।

ফরিদ আলম

আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।

ফরিদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

এত বড় ফিতনা বা বিশৃঙ্খলার কি আসলেই দরকার আছে?!

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৩

নিউজে দেখলাম আজ আর কাল মিলিয়ে বাংলাদেশে ২৫ জনের বেশি মারা গেছে। এত বড় ফিতনা বা বিশৃঙ্খলার কি আসলেই দরকার আছে?! আব্দুল কাদের মোল্লার শাস্তি হয়েছে অথবা উনি শহীদ হয়েছেন, যাইহোক না কেন তার/তাঁর জন্য এতবড় বিশৃঙ্খলা একদম উচিত নয়। এভাবে দেশকে অচল করে, বহিঃবিশ্বের নাক গলাবার ব্যবস্থা করে দিয়ে ধর্ম বা দেশ কারও কোন লাভ হবেনা। আমাদের কাছে রাসুল সা. এবং সাহাবাদের মতো উত্তম আদর্শ আছেন তাঁদের অনুসরণ করাই আমাদের উচিত। যখন উসমান রা. কে হত্যা করেছিল খারেজীরা তখন চারিদিকে ফিতনার তুফান বয়ে চলছিল। আলী রা. খলিফা হওয়ার পর তা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তিনি চরমপন্থা ব্যবহার করেননি। তিনি ছিন্নভিন্ন উম্মাহকে একতাবদ্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি ফিতনা থেকে রেহাই পেতে মদিনা ছেড়ে ইরাকের কূফা শহরের বাসিন্দা হয়েছিলেন। সেই সময় দুস্কৃতীরা তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপন করে প্রচার করেছিল। যেমন -



তিনি উম্মাহর মাঝে বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করেছেন।

তিনি তৃতীয় খলিফার হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।

তিনি জিহাদ বাতিল করে দিয়েছেন।

তিনি দ্বীনের ব্যাপারে মানুষকে সালিস মেনেছেন... ইত্যাতি।



ইসলামে যে 'ধৈর্য' বলেও কিছু আছে তা আজকালকার মুসলিম ভায়েরা ভুলেই গেছেন হয়ত। মুসলিমরা ধৈর্যহারা কেন হবে? জোশে আবেগে লাগামহীন কেন হবে? আল্লাহর নবী সা. কি ধৈর্যধারণ করেননি? তিনি তো বদ্দু'আ করে সব ধ্বংস করে দিতে পারতেন। তায়েফ থেকে ফিরে এসে তিনি কি ধৈর্যশীলতার পরিচয় দেননি? তিনি কি পাহাড় চাপিয়ে মানুষ ধ্বংস করতে সম্মত হয়েছিলেন?



উমার রা. এর সেই কথা আজ সত্যি হতে দেখছি - 'আমরা সেই জাতি, যে জাতিকে আল্লাহ ইসলাম দিয়ে সুসন্মানিত করেছেন। কিন্তু যখনই আমরা ইসলাম ছেড়ে অন্য কিছুর মাধ্যমে সন্মান আন্বেষন করব, তখনই তিনি আমাদেরকে লাঞ্ছিত করবেন'।



আমাদের মেনে চলা উচিত আল্লাহ তা'আলার এই নির্দেশ -

'ভালো এবং মন্দ সমান হতে পারেনা। মন্দ প্রতিহত করো উৎকৃষ্ট দ্বারা, এর ফলে তোমার সাথে যার শত্রুতা আছে, সে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মতো হয়ে যাবে' [সুরা ফুসসিলাত/৩৪]

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৯

পার্থরূপ বলেছেন: ভারতীয় মালু ,ঘটি, ঘট নিয়া থাক ,বাংলাদেশেরে নিয়া কতা কইস না

২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২২

মদন বলেছেন: মুসলমানদের মাথা গরম হয়েই থাকে :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.