![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।
আমরা মুসলিম বলে হিন্দুদের পুজোতে শুভেচ্ছা জানাই না, খৃষ্টানদের মেরি ক্রিসমাস বলিনা, জাতিয় সঙ্গীত বা পতাকার সামনে মাথা নিচু করিনা, বন্দে মাতরম বলিনা তাই বলে কি আমরা হিন্দু, খৃষ্টান বা দেশকে ঘৃণা করি?
ধর্মীয়ভাবে আমরা মৌলবাদী অর্থাৎ ধর্মের মৌলিক বিষয় গুলো মেনে চলি বা মেনে চলার চেষ্টা করি। ইসলামে যেহেতু মূর্তি পুজা নিষিদ্ধ, যীষু আল্লাহ বা আল্লাহর পুত্র নয় তাই আমরা তাদের এই কাজের জন্য শুভেচ্ছা জানাতে পারিনা। যেহেতু এটা আমাদের বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক। তবে তাদের শুভেচ্ছা না জানালেও আমরা তাদের কোন রকম বাঁধা দেয়না বা গালমন্দ করিনা। আল্লাহ বলেন, ‘‘আল্লাহকে ছেড়ে যাদেরকে তারা ডাকে তাদের তোমরা গালি দিও না…..’’[কুরান;৬/১০৮] তিনি আরো বলেন “ধর্মে বল প্রয়োগের কোনো স্থান নেই...” [সুরা বাক্কারাহ/২৫৬]।
ভালোবাসা মনের ব্যাপার। মুখে যতই ভালোবাসি ভালোবাসি বলি আমার ব্যবহারই প্রমান করে দিবে আমি ভালোবাসি কিনা। মোদি, আদবানীর মতো নেতারাও কিন্তু ঈদ বা রমজানের শুভেচ্ছা দেয় তারমানে এই নয় যে তারা মুসলিমদের আপনজন। আমার সাথে মিশলেই আমার হিন্দু বা খৃষ্টান বন্ধুরা জেনে যাবে আমি কেমন? চাই আমি তাদের উতসবে শুভেচ্ছা জানাই বা না জানাই, পুজোর প্রসাদ খায় বা না খায়!
ইসলামে আল্লাহ ছাড়া কারও সামনে মাথা নিচু করে সন্মান প্রদর্শন জায়েয নেই, দেশের বা ভাষার ইবাদত, সিজদা বা এই ধরনের কোন কিছুই জায়েয নয়। তাই আমরা তা করিনা। কিন্তু এর মানে কখনোই এই নয় যে আমরা দেশকে ভালোবাসিনা। সত্যের জন্য, হক পথে প্রয়োজনে দেশ রক্ষা করতে জান দিতেও আমরা রাজি। কিন্তু দেশের উপাসনা করতে রাজি নয়। এমনকি আমাদের মা, যাকে আমরা সবথেকে বেশি ভালোবাসি সেই মায়েরও ইবাদত বা বন্দনা আমরা করিনা। তাকেও আমরা সিজদা করিনা।
শেষ করছি আল্লাহর বাণী দিয়ে, “ওগো মানবজাতি! আমি তোমাদের সৃষ্টি করেছি এক পুরুষ ও নারী হতে এবং পরে তোমাদের বিভক্ত করেছি বিভিন্ন জাতি ও উপজাতিতে যাতে তোমরা একে অপরকে চিনতে পারো। নিশ্চয় তোমাদের মধ্যে সেই ব্যাক্তিই আল্লাহর কাছে বেশী মর্যাদা সম্পন্ন যিনি বেশী আল্লাহভীরু। আল্লাহ হচ্ছেন সর্বজ্ঞেয়, তিনি সবকিছুই জানেন [সুরা হুজুরাত/১৩]
২| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৯
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।সোজা প্রিয়েতে।
৩| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।সোজা প্রিয়েতে।
৪| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১০
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট।সোজা প্রিয়েতে।
৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০২
HHH বলেছেন: সবাইকে নিয়েই আমরা মিলে মিশে থাকতে চাই।
সবাইকে নিয়েই ভালভাবে বাঁচতে চাই।
সবাইকে ভালবেসেই সবার ভালবাসা চাই।
৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৫
পার্থরূপ বলেছেন: হিন্দুদের আমরা মালু বলি কেন?
৭| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৬:২৩
েফরারী এই মনটা আমার বলেছেন: মাল'উন থেকে মালু।মাল'উন অর্থ গজবপ্রাপ্ত।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০
মদন বলেছেন: ++++++++++++++++