![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।
দেশের সরকার বা গোয়েন্দা সংস্থা গুলো যদি একটা 'কাল্পনীক' সন্ত্রাসী সংগঠন বা দেশ বিরোধী সংগঠন বানিয়ে প্রচার করে তবে সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রচুর লাভ হয়। যে কোন জঙ্গি হামলা বা দুর্ঘটনাকে সেই কাল্পনীক সন্ত্রাসীদের কাজ বলে চালিয়ে দেওয়া যায়। এছাড়া সরকার বিরোধী যে কোন লড়াইয়ে বা আন্দোলনের সময় ছোট মোট ব্লাস্ট করেও আলোচনার মোর ঘুরিয়ে দেওয়া যায়। এরকম একটা 'কাল্পনীক সংগঠন' সরকার বা গোয়েন্দা সংস্থা গুলোর কাছ থেকে এক টাকাও না নিয়ে তাদের কল্যানের প কল্যান করে যেতে পারে। 'ইন্ডিয়ান মুজাহিদীন' -কেও অনেকে সরকার বা গোয়েন্দাদের তৈরি একটা কাল্পনীক সন্ত্রাসী সংগঠন বলেই মনে করেন। যখন হেডলিকে ধরা হয়েছিল তখন তার কাছ থেকেই নাকি জানা গিয়েছিল ইন্ডিয়ান মুজাহিদীনের কথা। কিছুদিন পর হেডলিকে আমেরিকা নিয়ে গেল আর ভারতে ছেড়ে গেল ইন্ডিয়ান মুজাহিদীন। তারপর থেকেই যে কোন সন্ত্রাসী কারনামার দায়ভার নিচ্ছে ইন্ডিয়ান মুজাহিদীন। যাই কিছু ঘটুক তারসাথে জড়াচ্ছে ইন্ডিয়ান মুজাহিদীনের নাম। আই. এম. মেম্বার সন্দেহে ধরা হচ্ছে যাকে তাকে। আসলে আই.এম বলে কিছু আছে না নাই আল্লাহই ভালো জানেন। যাইহোক, এই ব্যাপারে একটা ছবির কথা বলতেই হয়। ছবিটির নাও ওয়াগ দ্যা ডগ। কাহিনী ছিল এরকম –
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র দুঞ্চ সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্টের একটা মারাত্মক কেলেংকারী ফাঁস হয়ে যায়। প্রেসিডেন্টের দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হবার স্বপ্ন যখন ধূলিস্যাত হবার উপক্রম, তখন তাঁকে বাঁচাবার জন্য তাঁর একজন ঘনিষ্ঠ সহকারী ডেকে আনলেন হলিউডের প্রথিতযশা প্রযোজক স্ট্যানলি মসকে। মসের বিশাল বাড়িটিই একটি শুটিং স্পট। সেখানে তিনি কাজ শুরু করে দিলেন। এক আলবেনীয় চেহারার তরুনীকে ওয়াশিংটনের রাস্তা থেকে নিয়ে আসা হল। তাকে বাড়ির সবুজ লনে নিয়ে গিয়ে তার হাতে একটি বড় প্যাকেট দিয়ে বলা হলো প্যাকেটটি বুকে আঁকড়ে ধরে দৌড়ে যেতে। দেখা গেল সেই ভিডিও চিত্রটি কম্পিউটারে নিয়ে মসের টিম কাজ করছে।
পরের দৃশ্যে দেখা গেল আমেরিকার সবগুলো টিভি চ্যানেলের ব্রেকিং নিউজ হিসাবে এসেছে আলবেনিয়ায় যুদ্ধের খবর। খবরে দেখা গেল নিরীহ গ্রামবাসীর উপর বৃষ্টির মত বোমা পড়ছে। তার মধ্যে প্রিয় বিড়ালছানাটি বুকে জড়িয়ে ধরে একটি তরুনী নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটে যাচ্ছে। তরুনীটি আর কেউ নয়, আগের দৃশ্যে যার ভিডিও চিত্র নেয়া হয়েছিল সেই। মুভি এডিটর মেয়েটির ছবি রেখে তার চারপাশের সবকিছু পাল্টে দিয়ে একটা যুদ্ধের ছবি বানিয়ে দিয়েছে এবং আমেরিকান মিডিয়া তাকেই খবর হিসাবে সারাবিশ্বে প্রচার করছে। অন্যান্য দেশের টিভি চ্যানেল, পত্র-পত্রিকাও জুড়ে থাকলো একই ছবি, একই খবর। এখানেই শেষ নয়। খবরে বলা হল স্যাটেলাইটে পাওয়া তথ্যেও যুদ্ধের সত্যতার প্রমান পাওয়া গেছে। মুহুর্তের মধ্যে সারা বিশ্ব, বিশেষ করে আমেরিকানদের দৃষ্টি প্রেসিডেন্টের কেলেংকারী থেকে ঘুরে কথিত যুদ্ধের দিকে চলে গেল। বিভিন্ন মহল থেকে উক্ত দেশে সৈন্য পাঠাবার দাবী উঠতে থাকলো। উক্ত দেশের প্রবাসীরা মিছিল করে, সিনেটর ও কংগ্রেসম্যানদের কাছে গিয়ে তাদের দেশের সাধারন মানুষদেরকে ডিক্টেটরের হাত থেকে বাঁচানোর আবেদন করতে থাকলো। মানবতাবাদী আমেরিকা নির্যাতিত মানুষের দুঃখে ক্ষণে ক্ষণে কেঁপে উঠতে লাগলো। অবশেষে প্রেসিডেন্ট বাধ্য হলেন উক্ত দেশটিতে সেনা পাঠিয়ে বিশ্ব মানবতাকে রক্ষা করতে।
অসম্ভব নিপুনতার সাথে ছবিটিতে দেখানো হয় কিভাবে মিডিয়াকে ব্যবহার করে আমেরিকার রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, আমেরিকান জনগনকে বোকা বানানো হয় এবং কিভাবে বিশ্বের অন্য প্রান্তের মানুষ, যাদের সাথে আমেরিকার কোন বিরোধ কিংবা বিশেষ বন্ধুত্ব কিছুই নেই, তারা কিভাবে এই খেলার নির্মম শিকারে পরিনত হয়ে যায়। মুভিটি নির্মিত হয়েছিল টুইন টাওয়ার ধ্বংসের কয়েক বছর আগে ১৯৯৭ সালে এবং মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৮ সালেন জানুয়ারীতে। এই জাতীয় ঘটনা আমেরিকার রাজনীতিতে এতো বেশী ঘটে থাকে যে, মুভির কাহিনীকে বাস্তবতারই প্রতিরূপ হিসাবে সবাই দেখেছেন এবং সেসময় কেউই একে অবাস্তব কিংবা অতিরঞ্জিত মনে করেননি।
২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ছাগুরা এরকমই বলে।
বলে ....
মালালার ঘটনা কাল্পনীক, সাজানো ঘটনা ....
বিডিআরের হত্যা সাজানো .. নিজেরাই করেছে।
৭১ এ বুদ্ধিজিবী হত্যা সাজানো .. ভারতের সাহায্যে ..
লাদেন হত্যাও কাল্পনীক, সাজানো ...
৯-১১ র ঘটনা আমরিকানদের সাজানো ....
২১ সে আগষ্ট গ্রেনেড হামলাও সাজানো .. নিজেরাই করেছে
বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা আম্লিগের সাজানো ..
কাদের মোল্লাও কাল্পনিক, অরিজিনাল কশাইরে না পাইয়া ভাল লোকরে ফাসি!
সুধু সায়েদির চান্দে যাওয়ার ঘটনা সত্য!
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২০
ফরিদ আলম বলেছেন: proman hoye gelo ke chagu
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১২
মদন বলেছেন: প্রতিটি দেশেই এই কাহিনী চলে