নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর জীবন সকলে পায় না, তবে কিছু লোক জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলেন। আর সুন্দর জীবনের জন্য চাই সুন্দর জীবন ব্যবস্থা। নিঃসন্দেহে ইসলাম হল শ্রেষ্ঠ সুন্দর জীবন ব্যবস্থা।

ফরিদ আলম

আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।

ফরিদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সংখ্যালঘু নির্যাতন, ইসলাম এবং...

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:০৬

‘কোন দেশে রাষ্ট্র তার সংখ্যালঘুদের প্রতি কি রকম পক্ষপাতহীন আচরন করে এবং তাদের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করে, সেটা তার ন্যায়পরায়নতার একটা এসিড মাত্র’।



মাঝে মাঝেই মুসলিম বিদ্বেষীদের সাথে তর্কে সময় শুনতে হয় যে বাংলাদেশ পাকিস্থানে নাকি হিন্দুদের উপর অনেক অত্যাচার হয়, মন্দির ভেঙ্গে দেওয়া হয় ইত্যাদি ইত্যাদি... আমি অনেক দিন আগে লাইব্রেরিতে একটা বইও দেখেছিলাম বাংলাদেশি হিন্দুদের সম্পর্কে, যেখানে লেখা ছিল প্রতি বছর নাকি ১ লক্ষ হিন্দু বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যায়। যাইহোক, বাংলাদেশি ব্লগ গুলোতে ব্লগিং করে এবং অনেক বাংলাদেশি ফ্রেন্ড এফ.বিতে আছে বলে আমিও অনেক বার দেখেছি হিন্দুদের অত্যাচারিত হতে (অবশ্য দাড়ি-টুপি পড়া মুসলিমদেরও অনেক অত্যাচারিত, অপমানিত হতে দেখেছি)। এই সব নির্যাতনকে অনেকেই রাজনৈতিক বলে চালিয়ে দেন। একপক্ষ বলেন হিন্দুদের উপর অত্যাচার জামাত-বি.এন.পি করছে আরেকপক্ষ বলেন এটা আওয়ামী লিগের কাজ। কিন্তু কথা হল একাজ যারাই করুক করছে তো বাংলাদেশীরাই। হচ্ছে তো বাংলাদেশেই। রাজনৈতিক বলে চালিয়ে দিলে তো ভারতের দাঙ্গা গুলোও রাজনৈতিক। বিজেপি ধর্মীয় আবেগকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চাই। সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার অবশ্যই একটা জাতি, একটা দেশের জন্য খুবই অপমানকর। যেমন ভারতের জন্য এটা খুবই অপমানকর যে ভারতে সবথেকে বেশি দাঙ্গা হয়। এত্ত দাঙ্গা হয় যে দাঙ্গা বিরোধী আইন করার প্রয়োজন পড়ে।



তর্কের সময় অনেকেই আমাকে বলেন – ‘আপনারা বলেন ইসলাম শান্তির ধর্ম! কই শান্তি রে ভাই? শান্তি তো দেখতেই পায়না’।



মুসলিমদের জন্য এটা খুবই লজ্জার ব্যাপার যে শান্তির ধর্ম ইসলামকে আমরা মুখেই শুধু প্রচার করি। আমাদের কথায়-আচার-ব্যাবহারে শান্তি ছড়ায় না। ভারতের উগ্র হিন্দুদের আমরা খারাপ বলতে পারিনা কারণ তারা বাংলাদেশী আর পাকিস্থানীদের উদাহরণ দেয়। যদি আমরা মুসলিমরা ইসলামের নির্দেশ মেনে শান্তি ছড়াতাম তাহলে আমরা বলতে পারতাম ‘দেখো তোমরা ভারতীয় মুসলিমদের অত্যাচার করছ অথচ বাংলাদেশে-পাকিস্থানে হিন্দুরা কত শান্তিতে আছে’। অথচ এই কথা তারা আমাদের বলে, আমরা নাকি খুব সুখে আছি বাংলাদেশী হিন্দু বা পাকিস্থানী হিন্দুদের থেকে। সত্যটা আল্লাহই ভালো জানেন।



আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! আল্লাহর উদ্দেশ্যে ন্যায় সাক্ষ্যদানে তোমরা অবিচল থাকবে; কোনো সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ তোমাদেরকে যেন কখনো সুবিচার বর্জনে প্ররোচিত না করে, সুবিচার করবে এটি তাকওয়ার নিকটতর এবং আল্লাহকে ভয় করবে, তোমরা যা কর আল্লাহ তা পুরো খবর রাখেন” [সুরা মায়েদা/৮]



‘হে বিশ্বাসীগণ! আল্লাহকে সাক্ষী রেখে ন্যায়বিচারের উপর অটল থাকো। যদিও এটা তোমাদের, তোমাদের বাবা-মায়ের এবং আত্মীয়-স্বজনের বিরুদ্ধে যায। হোক ধনী অথবা গরীব সবাই আল্লাহর মুখাপেক্ষী। যদি ন্যায়বিচার অস্বীকার কর অথবা ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার কর, তবে জেনে রাখ আল্লাহ তোমাদের সব কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবগত। [সূরা আল নিসা ৪: ১৩৫]



আমরা মদিনা সনদের কথা ভুলেই গেছি হয়ত। রাসুল সা. কি সুন্দরভাবে সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করেছিলেন। মদিনা সনদের কয়েকটি তুলে ধরলাম –



• সনদপত্রে স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়সমূহ একটি জাতি গঠন করবে।

• মুসলিম, খ্রীস্টান, ইহুদী, পৌত্তলিক ও অন্যান্য সম্প্রদায় ধর্মীয় ব্যাপারে পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করবে। কেউ কারো ধর্মীয় কাজে কোন রকম হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।

• রাষ্ট্রের প্রতি নাগরিকের অধিকার ও নিরাপত্তা রক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।

• অসহায় ও দূর্বলকে সর্বাবস্থায় সাহায্য ও রক্ষা করতে হবে।

• সকল প্রকার রক্তক্ষয়, হত্যা ও বলাৎকার নিষিদ্ধ করতে হবে এবং মদীনাকে পবিত্র নগরী বলে ঘোষণা করা হবে।

• কোন লোক ব্যক্তিগত অপরাধ করলে তা ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবেই বিচার করা হবে। তজ্জন্য অপরাধীর সম্প্রদায় কে দায়ী করা যাবে না।

• মুসলমান, ইহুদী ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকেরা পরষ্পর বন্ধুসুলভ আচরণ করবে।

• মুসলমানদের কেউ যদি অন্যায় কিংবা বিশ্বাসঘাতকতা করে তবে সবাই মিলে তার বিরুদ্ধে যথোচিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। নিজ সন্তান বা আত্নীয় হলেও এ ব্যাপারে তাকে ক্ষমা করা যাবে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.