নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর জীবন সকলে পায় না, তবে কিছু লোক জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলেন। আর সুন্দর জীবনের জন্য চাই সুন্দর জীবন ব্যবস্থা। নিঃসন্দেহে ইসলাম হল শ্রেষ্ঠ সুন্দর জীবন ব্যবস্থা।

ফরিদ আলম

আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।

ফরিদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের ইসলাম গ্রহণ নিয়ে গুজব... লাভ কার?!

১২ ই মে, ২০১৪ বিকাল ৪:৪০

অং সান সু চি, নীল আর্মস্ট্রং, প্যারিস হিলটন, সুনিতা উইলিয়াম, উইল স্মিথ এবং আরো অনেক জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের ইসলাম গ্রহন নিয়ে মাঝে মাঝেই বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং স্যোশাল সাইট গুলোতে পোষ্ট দেখা যায়। যখনই কেউ এসব দেখে... না জেনে, না বুঝে তা শেয়ার করা শুরু করে দেয়। সত্য মিথ্যার খোঁজও নেই না। এতে মিথ্যাবাদী হয়ে গোনাহগার তো হয়ই তার সাথে ইসলাম বিদ্বেষীদের ফাঁদে পা ফেলে কত বড় বোকামী করে তাও বুঝতে পারেনা। প্রত্যেকটা ‘শেয়ার’ ইসলামের দুশমনদের ‘জয়’ !!



অবাক হচ্ছেন তো?! অবশ্য অবাক হওয়ারই কথা। এই ব্যাপারে বলার আগে কিছু জরুরি কথা জেনে নেই। মহান আল্লাহ বলেন, ‘হে বিশ্বাসীগণ! যদি কোন পাপাচারী (ফাসেক) তোমাদের নিকট কোন বার্তা আনয়ন করে তবে তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখবে যাতে অজ্ঞতাবশতঃ তোমরা কোন সম্প্রদায়কে আঘাত না কর এবং পরে তোমাদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত হও’ (সুরা হুজুরাত/৬)। বিশ্বনবী সা. বলেন, ‘মানুষের মিথ্যা ও পাপের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা শোনে তাই প্রচার করে’ (সহীহুল জা’মে/৪৩৫৬; ৪৩৫৮)। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে একজন মুসলিমের জন্য কিছু শুনলেই তার সত্যতা না জেনে প্রচার করা যাবেনা, গুজব ছড়ানো যাবেনা। এমনকি ‘ওরা মনে করে’, ‘ওরা বলে’ বলেও কিছু প্রচার করা যাবেনা। যেমন নবী সা. বলেন, ‘ওরা মনে করে (এই বলে কোন কথা প্রচার করা) মানুষের কত নিকৃষ্ট অসীলা!’ (সহীহুল জামে/২৮৪৩)।



এবার আসি মুল আলোচনায়, একথা নিশ্চয় জানেন যে বর্তমানে পৃথিবীতে সবথেকে বেশি বর্ধণশীল ধর্ম হল ইসলাম। ইউরোপ, আমেরিকা সহ সারা বিশ্বেই মানুষরা ইসলামকে জানছে এবং কবুল করছে। আর এটা কোন মিথ্যা প্রচার নয়। অনেক গবেষণা হয়েছে এনিয়ে। অনেক রিপোর্টও প্রকাশিত হয়েছে। যেমন, বৃটেনের সোয়ান্সী বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের প্রতি আঘাত ও প্রতিঘাতের ওপর একটা ব্যাপক গবেষনা চালিয়েছে ২০১০ সালে। সেখানে দেখিয়েছে যে, নাইন ইলেভেন পর বৃটেনেই প্রায় এক লক্ষ লোক ইসলাম গ্রহন করেছে। এদের মধ্যে যুবক-যুবতী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিতরাই বেশী। এই রিপোর্ট আরো অনেক মূল্যবান তথ্য বের করেছে। রিপোর্টটি এখানে পড়ুনঃ http://faith-matters.org/images/stories/fm-reports/a-minority-within-a-minority-a-report-on-converts-to-islam-in-the-uk.pdf



ইসলামের এই জয়কেই ইসলাম বিদ্বেষীরা মিথ্যা বলে প্রচার করতে চান। আজ যে সারা বিশ্বে লক্ষ লক্ষ লোক ইসলাম কবুল করছেন সেটাকে তারা গুজব বলে প্রমাণিত করতে চান। আর সেই জন্যই তারা মাঝে মাঝেই প্রচার করেন যে অমুক ইসলাম গ্রহন করেছেন তমুক ইসলাম গ্রহন করেছেন। আর বোকা মুসলিমরা না জেনেই তা শেয়ার করা শুরু করে। আনন্দ করা শুরু করে। কিছুদিন পর প্রমানিত হয় এসব মিথ্যা। হয়ত সেই জনপ্রিয় ব্যক্তি যাদের সম্পর্কে প্রচার করা হয়েছিল তারা ইসলাম কবুল করেছেন তারাই বিবৃতি দিল এসব মিথ্যা। তাহলে ব্যাপারটা কী দাঁড়াল? ইসলামের শত্রুরা একটা সুযোগ পেয়ে গেল এটা বলার যে সবই গুজব। সব রিপোর্ট, সব গবেষণা গুজব। ইসলাম বৃদ্ধি পাচ্ছেনা। কেউ ইসলাম কবুল করছেন না ইত্যাদি ইত্যাদি। তারা এমন একটা পরিবেশ তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে, এমন প্রচার করছে যাতে সত্য গুলোকেও গুজব বানিয়ে ফেলছে। আর এটা হচ্ছে একমাত্র কিছু মুসলিমদের বোকামীতে।



তাই মুসলিম ভাইদের কাছে অনুরোধ করব ইসলামের শত্রুদের এই ফাঁদে পা দেবেন না। কোন কিছু যাঁচাই না করে প্রচার করতে গিয়ে আপনি ইসলামের সেবা তো করছেনই না বরং ইসলাম বিদ্বেষীদের হয়ে কাজ করছেন। তাদের সাহায্য সহযোগিতা করছেন। একথা নিশ্চয় জানেন যে, ১৯৭৯ সালের ১৬ এপ্রিল TIME ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে ‘মাত্র দেড়শত বছরের মধ্যে ইসলামের বিরুদ্ধে ৬০ হাজারেরও অধিক বই লেখা হয়েছে। হিসেব করলে দেখা যাবে প্রতিদিন একের অধিক বই লেখা হয়েছে। যদি ১৯৭৯ সালের আগেই তেমন হয় তবে ৯/১১ এর পর সেই সংখ্যা কত গুণ বেড়েছে তা কল্পনা করাও মুশকিল!! তারা দিন-রাত লেগে আছে কোন না কোন ভাবে ইসলাম বিরোধীতায়। তাদের ফাঁদ গুলোকে চেনা আর তা থেকে সাবধান হওয়া আমাদের জন্য জরুরি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:০৭

সত্যের পথে আরিফ বলেছেন: ভাল

২| ১৩ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:১৮

একজন ঘূণপোকা বলেছেন: জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বদের ইসলাম গ্রহণ নিয়ে গুজব... লাভ কার?!

---- কার লাভ জানি না, তবে ইসলামের ক্ষতি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.