![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।
বেশ কয়েকবছর আগে আব্দুল্লাহ সালাফী এবং আরো কিছু আলেমের উপর মিথ্যা মামলা করে জেলবন্দি করা হয়েছিল। পুলিশ ভ্যানে একবার আব্দুল্লাহ সালাফীকে নিয়ে যাওয়ার সময় হঠ্যাত ভ্যানটির এক্সিডেন্ট হয়। এতে বেশ কয়েকজন পুলিশ জখম হোন। আব্দুল্লাহ সালাফীও অল্প জখম হয়েছিলেন। এই সময় তিনি সেখান থেকে না পালিয়ে পুলিশদের সাহায্য করতে আর ওঠাতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কে কেমন আছে খোঁজ নিতে থাকেন। পুলিশরা তো অবাক। শেষে বলেই ফেললেন, 'আপনি না পালিয়ে আমাদের সাহায্য করছেন! আমরা বুঝতে পেরেছি আপনি নির্দোষ। মিথ্যা মামলায় আপনাকে ফাঁসানো হয়েছে। ক্ষমা করবেন আমাদের'। তিনিও বললেন এটা তো আপনাদের কাজ। আর মুসলিম হিসেবে এটা আমার কাজ সাধ্যমতো লোকেদের সাহায্য করা....'। এভাবে তিনি তাদের ইসলামে দাও'আত দেওয়া শুরু করলেন।
মুসলিমরা যদি এমন না হয় তবে কিভাবে মুসলিমদের সম্পর্কে অন্যদের ধারণা, সন্মান-শ্রদ্ধা উচ্চ হবে? কিভাবে ইসলামের সৌন্দর্য্য তাদের মুগ্ধ করবে?! আমাদের অবস্থা এখন এমন যে লাইসেন্স তো আছে কিন্তু বন্ধুক নায়। ইসলাম নিয়ে বড় বড় কথা আমরা মুখে বলি, কলমে লিখি কিন্তু আমাদের কথাবার্তায়, আচার আচরণে তা প্রকাশ পায়না।
জেরুজালেম বিজয়ের পর যখন খৃষ্টান-ইহুদিদের সাথে সন্ধি করার জন্য মুসলিম জাহানের খলিফা, বিশাল সাম্রাজের সম্রাট ওমর রা. গিয়েছিলেন তখন প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী জেরুজালেমবাসী ভেবেছিল বিশাল সৈন্য সাথী নিয়ে, বিশাল রথে চেপে, সাঁজগোজ আর ধুমধামের সাথে হয়ত খলিফা আসবেন। কিন্তু যা তারা দেখলেন তা দেখে নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারলেন না। এত বিশাল বড় রাজত্বের সম্রাট আসছেন পায়ে হেঁটে উটের লাগাম ধরে, উটের উপর তাঁর ক্রীতদাস! (তাঁরা ভাগ করে নিয়েছিলেন... একবার ওমর রা. বসবেন একবার তাঁর দাস)। খলিফার কাপড় তালি দেওয়া পুরোনো!!! সামরিক নেতাগণ তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন ভালো জামা গ্রহণ করার জন্য। উত্তরে তিনি বলেছিলেন, 'আল্লাহ আমাকে ইসলামের আশ্রয় দিয়ে ধন্য করেছেন, ভালো জামা, ভালো তুর্কি ঘোড়া আমার দরকার নেই। আমার মর্যাদার জন্য ইসলামই যথেষ্ট'।
২| ২৪ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১২:৪৮
লিপইষ্টিক বলেছেন: মুসলিম রা আজ অন্য কে আকর্ষণ করতে তো পারছে ই না বরং অন্নের দারা আকর্ষিত হচ্ছে। সালাফির ঘটনাটা পরে চোখে পানি চলে আসলো।
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে মে, ২০১৪ রাত ২:০২
রাহাত লতিফ তৌসিফ বলেছেন: ভাইরে এখন আর সেরকম মুসলিম পাওয়া যাবে না। থাকলেও খুব কম। সবাই কম বেশী দলাদলিতে ব্যস্ত।
আল্লাহ তায়ালা মুসলিম জাতির প্রতি রহমতের ছায়া প্রসারিত করুন। আমিন।