নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সুন্দর জীবন সকলে পায় না, তবে কিছু লোক জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলেন। আর সুন্দর জীবনের জন্য চাই সুন্দর জীবন ব্যবস্থা। নিঃসন্দেহে ইসলাম হল শ্রেষ্ঠ সুন্দর জীবন ব্যবস্থা।

ফরিদ আলম

আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।

ফরিদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

অমুসলিম প্রতিবেশির অধিকার

২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৪৭

ইসলামে প্রতিবেশীর হক বা অধিকার নিয়ে যেসব নির্দেশ আছে তা শুধু মুসলিম প্রতিবেশির জন্য নয় বরং অমুসলিম, বিদেশী, অন্য ভাষাভাষির বা অন্য জাতির যে কেউ হতে পারে। বাড়ির পাশে বাড়ি হলেই তিনি সেসব অধিকার পাওয়ার হকদার যে সম্পর্কে বিশ্বনবী সা. নির্দেশ দিয়েছেন। যেমন,



☛ ‘যদি তোমরা চাও যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল তোমাদেরকে ভালোবাসবেন, তাহলে তোমরা আমানত তার মালিককে প্রত্যর্পণ করো, সত্য কথা বল এবং তোমাদের প্রতিবেশীর সাথে সদ্ব্যবহার করো’। (ত্বাবারানী; সহীহুল জা’মে/১৪০৯)



☛ ‘হে মুসলিম মহিলাগণ! তোমরা তোমাদের প্রতিবেশী মহিলাদের জন্য কিছু পাঠানোকে তুচ্ছ ভেবো না; যদিও বা তা ছাগলের খুরই হোক না কেন’। (আহমাদ; বুখারী; মুসলিম; সহীহুল জা’মে/৭৯৮৯)



☛ ‘সে মুমিন নয়, যে ভরপেট খায় অথচ তার পাশে তার প্রতিবেশী উপোস থাকে’। (ত্বাবারানী; হাকেম; সহীহুল জা’মে/৫৩৮২)



☛ ‘যখন তুমি (গোস্ত বা অন্য কিছুর) ঝোল বানাবে, তখন তাতে পানি বেশী করে দিও। অতঃপর তুমি তোমার প্রতিবেশীদেরকে উপঢৌকন দিও’। (মুসলিম/২৬২৫)



এসকল নির্দেশকে সলফে সলেহীনরা মুসলিম-অমুসলিমে ভাগ করেননি বরং সকল প্রতিবেশির সাথেই ভাল ব্যবহার করেছেন, উপহার পাঠিয়েছেন। যেমন, আব্দুল্লাহ বিন আমর বিন আস একটি ছাগল যবেহ করলে, নিজের বাড়ির লোককে বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী ইহুদীকে উপঢৌকন পাঠালে?’ একথা তিনি তিনবার বলেন। অতঃপর বলেন, ‘আমি নবী সা. কে বলতে শুনেছি, ‘জীব্রাইল আমাকে সবসময় প্রতিবেশি সম্পর্কে অসিয়ত ক’রে থাকেন। এমনকি আমার মনে হল যে, তিনি প্রতিবেশীকে ওয়ারেশ বানিয়ে দেবেন’। (বুখারী; মুসলিম)।



ইমাম আবদুল্লাহ ইবনে মুবারাকের (রাহিমাহুল্লাহ) প্রতিবেশী ছিলো একজন ইহুদি। ইমাম নিজের সন্তানদেরকে খাওয়ানোর পূর্বেই সর্বদা সে ইহুদিকে খাওয়াতেন এবং প্রথমে তাকে কাপড় দেয়ার পর সন্তানদের কাপড়-চোপড় দিতেন। এক সময় কিছু লোক ইহুদি লোকটিকে বলেছিলো, “আমাদের কাছে তোমার বাড়িটি বিক্রি করে দাও।” সে উত্তর দিয়েছিলো, “আমার বাড়ির দাম দু’হাজার দিনার, এক হাজার বাড়ির মূল্য এবং আরেক হাজার ইবনে মুবারাক প্রতিবেশী হবার কারণে।”



মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৫০

সত্য৭৮৬ বলেছেন: বাহ! তবে সাথে পবিত্র কোরআনের বাণী থাকলে আরও ভাল হতো।

এখানে আমন্ত্রণ- আপনি কি ইসলামের কথা বলছেন? নাকি অন্যকিছু?

২৫ শে মে, ২০১৪ রাত ১০:৫৫

ফরিদ আলম বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.