![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি শেখ ফরিদ আলম। অনেক ব্লগে লিখি ফৈরা দার্শনিক নামে। বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরে। আমি স্পেশাল কিছুনা। খুবই সাধারণ একজন মানুষ। যার পৃথিবীতে থাকা না থাকাতে কিছুই যায় আসে না কারো। লেখা লেখি করি বলা যাবে না। কারণ ভালো কিছু কখনোই লিখতে পারিনা। তবে আমি কিছু লিখতে চাই। আমি চাই সবাই আমার লেখা পড়ুক আমার ভাবনা গুলোকে জানুক। কিন্তু দুখের বিষয় হল আমি কখনোই এব্যাপারে চেষ্টা-প্রচেষ্টা করিনা। তাই ঘুরে ফিরে সেই একই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, দাঁড়িয়ে আছি, হয়ত দাঁড়িয়ে থাকব আরো অনেক দিন। দেশকে ভালোবাসী। দেশের জন্য কিছু করতে চাই। এর বদলে আমি দেশের কাছে কিছুই চাইনা। কারণে আমি ভারতীয় হিসেবে গর্বিত। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আমার ব্লগে আসার জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ ব্লগিং।
খলীফা উমার ফারুক (রা.) নিজের অভ্যাসমত রাত্রে প্রজাদের অবস্থা জানার উদ্দেশ্যে মদীনা শহর টইল দিতেন। লোকেরা শয্যাগ্রহণ করে আরাম করত। আর তাদের আমীর তাদের সমস্যাবলী অবগত হওয়ার জন্য এবং তাদের প্রয়োজনীয় সাহায্য সহযোগিতার নিমিত্তে শহর প্রদক্ষিণ করতেন। একদিন একটা খোলা মাঠ বেঁয়ে হাটছিলেন। মাঠের এক প্রান্তে একটি তাঁবু খাটানো ছিল। তিনি তাঁবুর ভেতর থেকে একজন মহিলার কান্না ও কাতরানোর আওয়াজ শুনতে পেলেন। উমার (রা.) তা শুনে ঐ দিকেই যাত্রা করলেন। তাঁবুর দরজায় একজন পুরুষ বসেছিল। উমার (রা.) তাকে সালাম দিলেন। জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তুমি কে?’ লোকটি বলল, ‘আমি মরু অঞ্চলের অধিবাসী। এই শহরে আমি অপরিচিত বিদেশী মানুষ। আমীরুল মু’মেনীনের সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে এসেছি। যাতে কিছু সাহায্য লাভ করতে পারি’।
এবার উমার (রা.) ঐ মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ও কে? এবং কেন কাতরাচ্ছে?’। লোকটা একটু বিরক্ত হল। কারন, সে তো জানে যে, সে আমীরুল মু’মেনীনের সাথেই কথা বলছে! লোকটা বলল, ‘আল্লাহর বান্দা তুমি নিজ রাস্তা দেখ। যে কথার সাথে তোমার কোন সম্পর্ক নাই সেই কথা কেন জিজ্ঞেস করছ?!’
উমার তাকে নম্রতার সাথে বলল, ‘ওহে বিদেশী ভাই! তুমি তোমার সমস্যার কথা খুলে বল। যদি সম্ভব হয় তাহলে আমিই তোমার সাহায্য করব’। লোকটা তখন বলল, ‘শোনো! আমার স্ত্রীর প্রসব বেদনা দেখা দিয়েছে। কাছে অন্য কোন মহিলাও নেই যে, তার এই অবস্থায় তাকে সাহায্য সহযোগিতা করবে’।
এই কথা শোনা মাত্রই আমীরুল মু’মেমীন উমার তাঁর বাড়ির দিকে রাওনা হল। তাঁর সহধর্মিনী উম্মে কুলসুমকে ঘুম থেকে জাগালেন। বললেন, ‘আল্লাহ তা’আলা তোমাকে আজ নেকি করবার সুযোগ করে দিয়েছেন’। কুলসুম (রা.) বললেন, ‘নেকি অর্জনের জন্য কি এমন কাজ বলুন?’
উমার (রা.) তাঁর স্ত্রীকে সব খুলে বললেন। তারপর দুজনে মিলে প্রসব করানোর জরুরি জিনিস এবং কিছু খাদ্যসামঘ্রী নিয়ে তাঁবুর নিকটি এলেন। উম্মে কুলসুম (রা.) তাঁবুর ভেতরে গেলেন এবং প্রসব করানোর চেষ্টা করতে লাগলেন। আর উমার (রা.) এবং লোকটি মিলে খাবার তৈরির জন্য ব্যস্ত হলেন। উমার (রা.) নিজে আগুন ধরানোর জন্য ফুঁক দিচ্ছেন।
এদিকে মহিলার প্রসব হয়ে গেছে। তাঁবুর ভেতর থেকে খলিফা পত্নী বললেন, ‘আমীরুল মু’মেনীন! আপনার সাথীকে সুসংবাদ দিন যে, আল্লাহ তাআলা তাকে পুত্র সন্তান দান করেছেন’।
যখন ঐ ব্যক্তি এই কথা শুনল, তখন সে অবাক-হতবাক হয়ে গেল! ইনিই আমীরুল মুমেনীন; যিনি তার সাথে খাবার বানাচ্ছেন! আগুনে ফুঁক দিচ্ছেন!
ঐ দিকে লোকটির স্ত্রীও অবাক। এতক্ষন যে নার্সের মতো তার সেবা করল আর প্রসব করালো সে আসলে বিশাল সালতানাতের আমীরের স্ত্রী! আলী ফাতেমা (রা.) এর কন্যা এবং রসুলুল্লাহ (সা.) এর নাতনী! [সুনহরে আওরাক্ব/ ১৪৬-৪৭ পৃষ্ঠা]
২| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:০৭
জুন বলেছেন: খলিফা উমর (রা,) সত্যি ব্যতিক্রমী চরিত্রের ছিলেন ।
৩| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:১৯
স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: সুবাহানাল্লাহ।
৪| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:২৯
আহলান বলেছেন: এটাই সত্য ...
৫| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৭
বিদ্রোহী চাষী বলেছেন: ভাল লাগল।
৬| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:০৩
ফারিহা নোভা বলেছেন: আসলেই অসাধারণ লাগল।
৭| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:১৮
সাহরাব বলেছেন: "ইসলাম" অহংকার ত্যাগ করার শিক্ষাই সবাইকে দেয়।
৮| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১:৩৩
রাসেল বলেছেন: its a lesson for us. what is the present situation. What is being done from my end.
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:৫৮
আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অসাধারণ ব্যাপার