![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্ম- ১৯৮৭ খ্রিঃ চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলাধীন ২নং বাকিলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের লোধপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। পিতার নাম মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মাতার নাম ফাতেমা বেগম।
বয়স ৪০ পার হলে রেগুলার যে পরীক্ষার গুলো করা দরকার আপনার সুস্থতার জন্য!
৪০ বছর পার হওয়ার পর শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়া, হরমোনাল ভারসাম্য এবং অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা ধীরে ধীরে পরিবর্তন হতে শুরু করে। এই সময়ে কিছু রোগ যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, থাইরয়েড রোগ, ক্যান্সার, কিডনি ও লিভারের রোগ—নীরবে শুরু হতে পারে। তাই নিয়মিত কিছু রক্ত ও শারীরিক পরীক্ষা করলে রোগ দ্রুত ধরা পড়ে এবং প্রতিরোধ বা চিকিৎসা শুরু করা সহজ হয়।
৪০ বছরের পর নিয়মিত করণীয় পরীক্ষার তালিকা ও ব্যাখ্যা
১. রক্তচাপ মাপা (Blood Pressure Measurement)
উদ্দেশ্য: উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ ও স্ট্রোকের প্রধান কারণ।
ফ্রিকোয়েন্সি: বছরে অন্তত ১–২ বার, বা বেশি ঝুঁকিতে থাকলে প্রতি ৩–৬ মাসে।
২. রক্তে শর্করা পরীক্ষা (Fasting Blood Sugar, HbA1c)
উদ্দেশ্য: ডায়াবেটিস ও প্রি-ডায়াবেটিস শনাক্ত করা।
পরীক্ষা:
Fasting Blood Sugar (FBS) – ৮ ঘণ্টা উপবাসের পর।
HbA1c – শেষ ৩ মাসের গড় রক্তে শর্করা দেখায়।
ফ্রিকোয়েন্সি: বছরে অন্তত ১ বার; ঝুঁকি বেশি হলে ৬ মাসে একবার।
৩. লিপিড প্রোফাইল (Lipid Profile)
উদ্দেশ্য: রক্তে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নির্ণয়; হৃদরোগ ঝুঁকি নিরূপণ।
অন্তর্ভুক্ত:
Total Cholesterol
LDL (খারাপ কোলেস্টেরল)
HDL (ভাল কোলেস্টেরল)
Triglycerides
ফ্রিকোয়েন্সি: ১–২ বছরে একবার; ঝুঁকি বেশি হলে বছরে একবার।
৪. পূর্ণ রক্ত পরীক্ষা (Complete Blood Count - CBC)
উদ্দেশ্য: রক্তশূন্যতা, সংক্রমণ, কিছু রক্তের রোগ শনাক্ত করা।
ফ্রিকোয়েন্সি: বছরে একবার।
৫. লিভার ফাংশন টেস্ট (Liver Function Test - LFT)
উদ্দেশ্য: লিভারের কার্যক্ষমতা মূল্যায়ন, হেপাটাইটিস, ফ্যাটি লিভার শনাক্ত করা।
ফ্রিকোয়েন্সি: বছরে একবার বা উপসর্গ থাকলে দ্রুত।
৬. কিডনি ফাংশন টেস্ট (Renal Function Test - RFT)
উদ্দেশ্য: কিডনির স্বাস্থ্য নির্ণয়; ডায়াবেটিস/হাইপারটেনশনে কিডনির ঝুঁকি বেশি।
অন্তর্ভুক্ত: Serum Creatinine, Urea, eGFR
ফ্রিকোয়েন্সি: বছরে একবার।
৭. থাইরয়েড ফাংশন টেস্ট (TSH, T3, T4)
উদ্দেশ্য: হাইপোথাইরয়েডিজম বা হাইপারথাইরয়েডিজম শনাক্ত।
ফ্রিকোয়েন্সি: প্রতি ১–২ বছরে একবার বা উপসর্গ থাকলে।
৮. ভিটামিন ও মিনারেল চেক
Vitamin D, Vitamin B12, Calcium
উদ্দেশ্য: হাড় ও স্নায়ুর স্বাস্থ্য, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা।
ফ্রিকোয়েন্সি: বছরে একবার বা চিকিৎসকের পরামর্শে।
৯. ইউরিক অ্যাসিড (Uric Acid)
উদ্দেশ্য: গেঁটেবাত (Gout) প্রতিরোধ ও শনাক্ত।
ফ্রিকোয়েন্সি: বছরে একবার।
১০. ইউরিন টেস্ট (Urine Routine & Microscopy)
উদ্দেশ্য: কিডনি ও মূত্রনালীর স্বাস্থ্য যাচাই।
ফ্রিকোয়েন্সি: বছরে একবার।
১১. ইসিজি (ECG)
উদ্দেশ্য: হৃদযন্ত্রের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ, হার্ট অ্যারিদমিয়া বা পূর্ববর্তী হার্ট অ্যাটাক শনাক্ত।
ফ্রিকোয়েন্সি: প্রতি ১–২ বছরে একবার, বা উপসর্গ থাকলে সঙ্গে সঙ্গে।
১২. BMI ও কোমরের মাপ (Body Mass Index & Waist Circumference)
উদ্দেশ্য: ওজন ও ফ্যাট ডিস্ট্রিবিউশন দেখে ডায়াবেটিস/হৃদরোগ ঝুঁকি নিরূপণ।
ফ্রিকোয়েন্সি: বছরে অন্তত ২–৩ বার।
বিশেষ লিঙ্গভিত্তিক পরীক্ষা
পুরুষদের জন্য: Prostate-Specific Antigen (PSA) – প্রোস্টেট ক্যান্সারের স্ক্রিনিং (৪৫+ এ শুরু)।
নারীদের জন্য:
Pap Smear – জরায়ুমুখ ক্যান্সারের স্ক্রিনিং।
Mammogram – স্তন ক্যান্সারের স্ক্রিনিং (৪০+ বছরে নিয়মিত)।
পরামর্শ: এই পরীক্ষাগুলো শুরু করার আগে একজন চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করে ব্যক্তিগত ঝুঁকি ও পারিবারিক রোগের ইতিহাস অনুযায়ী ফ্রিকোয়েন্সি ঠিক করা ভালো।
Disclaimer: I have written this article with the help of chat GPT 5 and my clinical understanding.
১০ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:০৩
মোঃ ফরিদুল ইসলাম বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয়
২| ১০ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১০:১৪
লোকমানুষ বলেছেন: খুব দরকারি ও তথ্যবহুল একটি পোস্ট। ৪০-এর পর নিজের প্রতি বিশেষ রকম সচেতন হওয়া আমাদের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। সময়মতো সচেতন হলে রোগ-বালাই জটিল-রূপ ধারণের পূর্বে সহজেই শনাক্ত ও প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। সুন্দরভাবে বিষয়গুলো উপস্থাপন করার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
১০ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:০৩
মোঃ ফরিদুল ইসলাম বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ প্রিয়।
৩| ১০ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১১:৪৮
কলাবাগান১ বলেছেন: বহু আগে থেকেই বলে আসছি যে সরকার যদি তার কমিউনিটি ক্লিনিকে বছরে একবার ব্লাড টেস্ট , প্রেসার, কোলেস্টেরল sugar level test, মেটফরমিন, PSA ইত্যাদি ৪০ উর্ধের সবাই কে ফ্রি তে দেয়, তাহলে স্বাস্হ্য খাতে পরে যা খরচ হয় তা অর্ধেক এ নেমে আসবে।
৪| ১১ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ১২:২২
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: বৃদ্ধ বয়সে কাউকে যেন ছেলে মেয়ের উপর নির্ভর করতে না হয় বিশেষ করে যখন চলা ফেরা কষ্ট সাধ্য হয়ে পড়ে সে সময়ে নার্সিং হোম প্রতিটা ইউনিয়ন স্থাফন করা হয় তার জন্য নীতি নির্ধারণ করা এবং সরকারের উপর এ ব্যাপারে চাপ সৃষ্টি করা উচিৎ । আপনার লেখা লেখির মাধ্যমে এই দিকটি প্রকাশ হোক এই আশা করি ।
৫| ১১ ই আগস্ট, ২০২৫ সকাল ৯:২০
রাজীব নুর বলেছেন: ৪০ বছর বয়সের পর, ডাক্তারের কাছে যাওয়া বাধ্যতামূলক।
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই আগস্ট, ২০২৫ রাত ৯:৫৩
এইচ এন নার্গিস বলেছেন: সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য এই লেখা টি খুব মূল্যবান ।
বয়স হিসেবে আমাদের খাবার কি হবে তার উপরে একটি লেখা দিন ।