![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জন্ম- ১৯৮৭ খ্রিঃ চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলাধীন ২নং বাকিলা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের লোধপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। পিতার নাম মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মাতার নাম ফাতেমা বেগম।
ভিক্ষুককে দান করে দু‘আ করতে বলবেন না।
.
আমরা অনেক সময় ভিক্ষুক বা কোন অভাবগ্রস্তকে কিছু দিয়ে বলি, ‘আমাদের জন্য দু‘আ করবেন।’ এটি বললে এক দিক থেকে লস হয়ে যেতে পারে। কারণ তখন ব্যাপারটা এমন হয় যে, আপনি দানের বিনিময়ে তার থেকে দু‘আ ক্রয় করলেন! তাহলে দানের প্রতিদানতো ভিক্ষুক থেকেই নিয়ে নিলেন। আল্লাহর কাছ থেকে কীভাবে নেবেন?
.
হযরত আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত। আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একটি ভেড়া উপহার দেয়া হলে, তিনি বলেন, ‘‘এটি বণ্টন করে দাও।’’ খাদেম সেটি বণ্টন করলেন। তিনি ফিরে এলে আয়িশা (রা.) তাকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তারা কী বললো?’ খাদেম জানান, ‘তারা বলেছে—বারাকাল্লাহু ফিকুম (আল্লাহ আপনাদের বরকত দিন)’ আয়িশা (রা.) এটা শুনেই বলে ওঠলেন, ‘ওয়া ফিহিম বারাকাল্লাহ’ (আল্লাহ তাদের বরকত দিন)
.
আয়িশা (রা.) আরো বলেন, ‘তারা যা বলেছে আমরাও তাদের অনুরূপ বলে দিচ্ছি। আর আমাদের সওয়াবতো আমাদের থাকছেই!’ [ইবনুস সুন্নি: ২৭৩; হাদিসটির মান জাইয়িদ তথা উত্তম]
.
ইমাম ইবনু তাইমিয়্যাহ (রাহ.) বলেন, ‘আমাদের কাছে এ মর্মে সংবাদ পৌঁছেছে যে, দান-সাদকার ক্ষেত্রেও তিনি অনুরূপ বলতেন।’ [আল-কালিমুত তইয়িব]
.
হাদিসটিতে লক্ষ করুন, আয়িশা (রা.) বা তাঁর খাদেম কিন্তু ভিক্ষুককে এটি বলেননি যে, ‘তুমি আমাদের জন্য বরকতের দু‘আ করো’, বরং ভিক্ষুক স্বেচ্ছায় দু‘আ করেছে। তবুও আয়িশা (রা.) তাঁর দু‘আ তাকেই ফিরিয়ে দিয়েছেন; যাতে আখিরাতে তাঁর দানের প্রতিদানে কোন কমতি না আসে! আর আমরা কী করি? ৫০/১০০ টাকা দিলেই ভিখারীর কাছে দু‘আ চেয়ে বসি!
.
তবে হ্যাঁ, স্বাভাবিকভাবে যে-কারো কাছেই দু‘আ চাওয়া যায়। এতে কোনো সমস্যা নেই। ভিক্ষুকের কাছেও চাওয়া যায়। তবে, দানের পর দু‘আ চাওয়াটা এক ধরনের বিনিময় চাওয়ার মতই হয়ে যায়। দান করার পর দু‘আ চাইলে দানের নেকি পাওয়া যাবে না, এই কথা জোর দিয়ে বলার অবকাশ নেই। তবে, এটি পরিহার করাই উত্তম ও নিরাপদ।
.
আল্লাহ আমাদের আমলগুলো বহুগুণে বাড়িয়ে দিন। আমিন।
২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২২
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: ভিক্ষুক কে টাকা দিলেও স্বাবলম্বী করা যায় না।
৩| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৩২
মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্ বলেছেন: এ কথাটা অনেকেই জানেন না। আপনার এই চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ। যদিও কাছের মানুষ হিসেবে কাজের বুয়াকে অনেকে যাকাত দিয়ে এই ধারণা করেন বুয়া খুশি হলে ঘরের কাজে আরো মনযোগী হবে আমার যাকাতও আদায় হয়ে গেল। কিন্তু এটা ঠিক নয়। যদি নিজের সুবিধার কথা না ভেবে শুধুমাত্র যাকাত আদায়ের উদ্যেশেই দেয়া হয় সমস্যা নেই, কিন্তু এরকম কিছু মনে হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে বুয়াকে যাকাত না দেয়াই উত্তম, বরং তাকে সাধারণ দান সদকা করা যেতে পারে।
৪| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:২০
ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:
আপনি কি ফেসবুকের সব পোস্ট টুকলিফাই করার দায়িত্ব নিয়েছেন? আপনার ব্লগিং ফেসবুক থেকে কপি করেই করতে হবে?
©somewhere in net ltd.
১|
২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:১০
নতুন নকিব বলেছেন:
ভালো বলেছেন। জাজাকুমুল্লাহু খাইরান।