নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শব্দকবিতা : শব্দেই দৃশ্য, শব্দেই অনুভূতি [email protected]

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই

দুঃখের কবিতাই শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভালোবাসা হলো দুঃখ, এক ঘরে কবিতা ও নারী।

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিখ্যাত পলাশউদ্দিন পাগাম সাহেবের প্রথম বই

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৯

বিখ্যাত পলাশউদ্দিন পাগাম সাহেবের প্রার্থনা, তাঁর প্রথম বইটি প্রকাশিত হবার পর ওটি যেন কোনো উঁচুদরের পাঠকের হাতে না পড়ে। তিনি জানেন, কয়েকটা লাইন বা অনুচ্ছেদ পড়েই এঁরা ধরে ফেলবেন - তাঁর লেখক-সত্তা খুবই দুর্বল, হয়ত-বা নাই-ই। তিনি শখের বশে মনের আনন্দ মেটানোর জন্য লিখছেন, তাঁর ভেতরে কোনো ‘মাল’ নেই, পাঠকের এতদ্‌বিষয়ক ‘খোঁচা’ তাকে খুব অস্থির ও ঘায়েল করবে। তা তিনি চান না, কিন্তু বইটি প্রকাশিত হোক, এটা তিনি মনেপ্রাণে চান। তাঁর একটা লেখক-সত্তা আছে; সেই সত্তার প্রকৃত মানদণ্ডটাই তিনি নিক্তিতে মেপে যাচাই করতে চান।

তিনি এটাও মনেপ্রাণে কামনা করছেন, তাঁর বইটা যেন কোনো তোষামোদকারীর হাতে না পড়ে। তিনি জানেন, তোষামোদকারীরা না পড়েই তাঁকে হুমায়ূন আহমেদ কিংবা রবীন্দ্রনাথ বানিয়ে ফেলবেন, কেউবা কয়েক ডিগ্রি সরেস- তাদেরকেও ছাড়িয়ে আরো উপরে উঠিয়ে দিবেন, হয়ত।

যাদেরকে তিনি ঘন ঘন দাওয়াত দিয়ে খাওয়ান, হাই-ফাই রেস্টুরেন্টে ডিনার করিয়ে থাকেন, তাদের জন্যও কোনো সৌজন্য কপি হবে না। তাঁরা তাঁর প্রতিভা ও বইয়ের প্রশংসায় ফেটে পড়বেন, যেন এমন প্রতিভা ও বই পৃথিবীতে তিনিই প্রথম। তিনি এটা জানেন, পরোক্ষভাবে সবাই তাঁর দাওয়াত ও পার্টির প্রশংসা করবেন। তাঁর স্ত্রীর রূপ ও অলঙ্কারের প্রশংসা করবেন নানান উপমায়। কেনা প্রশংসার অন্য নাম চাটুকারিতা। ‘আখাইক্ক্যারা’ শুধু খাওয়ার জন্যই খাওয়ানেওয়ালার গুণকীর্তন করে, ‘সাড়াজাগানো বুদ্ধিজীবী’ বলতে বলতে মুখে ফেনা তুলে ফেলে; তারা কখনো ‘গুণের’ মর্যাদা বোঝে না। ভদ্রলোকদের সামনে এসব বিষয় আলোচনা করা ভদ্রলোকদের জন্য লজ্জাকর ও বিব্রতকর, হৃদয়বিদারকও বটে।

যেখানে তাঁর পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী, যেমন তিনি একটা বিরাট ফেইসবুক গ্রুপের চীফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, একটা ভাইবার গ্রুপ, ওয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ও ব্লগ – যেখানে তিনি অন্যতম কর্ণধার, সেখানেও কাউকে বইটি দেয়া হবে না। তিনি একবার তার মেয়ের বেসুরো গলার গান শেয়ার করেছিলেন। ওরে বাপরে বাপ, ‘বাংলাদেশের ম্যাডোনা’, ‘বাংলার শাকিরা’, ‘দ্বিতীয় রুনা লায়লা’, ইত্যাদি অভিধায় শত সহস্র কমেন্টে সবাই গ্রুপ হ্যাং করে ফেলেছিল। কিছু মাথামোটা গর্দভ আছে, না বোঝে সঙ্গীত, না বোঝে সাহিত্য, পোস্ট দেখামাত্র ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে ওঠে – ‘এমন ট্যালেন্টেড মেয়ে আমি জীবনে দেখি নি।’ অথচ, শামান আর মল্লিক সাহেব কিছুদিন পর পর গান আর কবিতা দেন। এত মার্জিত, সাবলীল! সুললিত সুর! কিন্তু কদাচিৎ তাঁদের পোস্টে ‘লাইক’ বা ‘কমেন্ট’ দেখা যায়। এটা তাঁদের জন্য হৃদয়বিদারক ব্যাপার। তাঁদের কোনো পরিচিতি নেই। তাঁরা কোথাও পার্টি দিতে পারেন না, লেখালেখি বা গান দেয়া ছাড়া।

পরিচিতরা ‘অখাদ্য’কেও উপাদেয় সাব্যস্ত করেন, অশ্রাব্যকেও স্বীকৃতি দেন ‘অনুপম’ সঙ্গীত হিসাবে। আক্কাস সাহেব আর তাঁর স্ত্রী সেদিন যুগল কণ্ঠে গান গাইলেন বর্ষাবরণ অনুষ্ঠানে। মানুষের চক্ষুলজ্জা বলতে কি কিছু থাকতে নেই? তাদের অনাবশ্যক নর্তন-কুর্দন খুবই কদর্য ছিল, পরিবেশনা ছিল অশৈল্পিক ও ভাঁড়ামোতে ভরপুর। অথচ পাগাম সাহেবের প্রতি হিংসায় জ্বলেপুড়ে সদা-অঙ্গার, আক্কাস সাহেবের এমন কতিপয় হিংসুটে দোসর তাদের পরিবেশনাকে এমন বাহবায় ভরে তুললেন, যেন সাক্ষাৎ চিত্রা-জগজিৎ দম্পতি গান পরিবেশন করলেন। এদের একটা খাসলত খুব ঘৃণা করেন পাগাম সাহেব। হোক সামাজিক, হোক সাংস্কৃতিক- সবকিছুতেই এরা স্বজনপ্রীতি ও দলাদলি করে সাদাকে টুকটুকে লাল আর কালোকে দুধে-ধোয়া ফর্সা বানিয়ে ফেলেন।

গ্রামের মোড়ল একদিন কী করলেন, একটা গবেট ধরনের লোককে কয়েকজন শিক্ষিত ছেলের সামনে তার বুদ্ধিমত্তার প্রশংসায় মুখে খই ফোটালেন। আপনি যদি সেই শিক্ষিত ও ভদ্রোচিত যুবকের একজন হয়ে থাকেন, আপনার কেমন লাগবে এরূপ প্রশংসাবর্ষণ দেখে? ক্লাসের মিস কী করলেন, ক্লাসের অন্যতম দুর্বল ছাত্রের হোম ওয়ার্কের খাতাটা সবাইকে দেখিয়ে বললেন, দেখো দেখো- আরিয়ান কত সুন্দর লিখেছে! ছেলেরা অবাক হয়ে দেখলো, আরিয়ানের সমুদয় খাতা কাকের ঠ্যাং আর বকের ঠ্যাঙে ভর্তি।

পাগাম সাহেব বিস্ময় ও বেদনার সাথে লক্ষ করেছেন, একটা গোত্র আছে, তারা ভিন্নগোত্রীয় কবির কবিতাকে ‘কোনো কবিতাই হয় নি’ প্রমাণ করার উদ্দেশ্যে স্বগোত্রীয় কবির লাবছাল কবিতাকে ‘কালোত্তীর্ণ কবিতা’, ‘অসাধারণ কবিতা’, ‘ব্রিলিয়ান্ট কবিতা’, ইত্যাদি উপচে পড়া মন্তব্য দিয়ে ভরে ফেলে শত্রুপক্ষকে মাটিতে মিশিয়ে দিচ্ছেন।

ধরুন, কবি ম্যাকবেল পাটোয়ারী তাদের পছন্দের কবি নন। অতএব, তাঁর কোনো লেখা দেখামাত্র তারা উপর্যুপরি ভর্ৎসনাবর্ষণে পাটোয়ারী কবির চামড়া ছুঁলে ফেলবেন। তেমনি, পাটোয়ারীর কবিত্বকে অসাড় প্রমাণ করার জন্য কবি কুদ্দুস তালুকদারের পুরীষসুলভ লেখাকেও ক্লাসিক কবিতা, তার রাসভতুল্য মেধাকেও ‘অনন্য প্রতিভা’য় আখ্যায়িত করে আনন্দে খেমটা নৃত্য শুরু করেন। এসব দেখতে দেখতে, ভাবতে ভাবতে বিখ্যাত পলাশউদ্দিন পাগাম সাহেবের গায়ে জ্বালা ধরে গেছে; এবং তিনি প্রায়শ ক্ষিপ্ত ও দিশেহারা হয়ে পড়েন। নিজের অজান্তেই তাঁর বুকের ভেতর ধ্বনিত-প্রতিধ্বনিত হয় তাঁর চিরায়ত বাণী – এরা না বোঝে সাহিত্য, না বোঝে সঙ্গীত, এরা যা বোঝে তা সত্যিই নিখাদ লাবছাল। এই গোষ্ঠিপাতানো দলের কেউ তাঁর বইটি পড়ুক, পাগাম সাহেব কস্মিনকালেও তা চান না। এদের হাতে সাহিত্য পড়লে কি নিজের সাহিত্য সম্পর্কে সত্যিকার কোনো মতামত পাওয়া যাবে? যা পাওয়া যাবে তা হবে একচেটিয়া ধনাত্মক, অথবা একচেটিয়া ঋণাত্মক।

পাগাম সাহেব ঐসকল বন্ধুদের হাতেও নিজের বইটি না দেয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন - যারা এক কলম লিখতে পারে না, কিন্তু ১০ পাতার একটা গল্প বা প্রবন্ধ থেকে র‍্যানডম দু-একটা লাইন সামনে ছুঁড়ে বলবে – এখানে ‘হ্যাজ’ হবে না, ‘হ্যাভ’ হবে। এরা বোঝে না যে, বাঙালি হলেই সব লেখা শুদ্ধ হবে না, ইংলিশম্যান হলেই সব লেখা ‘কারেক্ট’ হবে না। এজন্য সবারই মাতৃভাষার ব্যাকরণে ‘অশুদ্ধ থেকে শুদ্ধকরণ’ নামে একটা চ্যাপ্টার থাকে। আর আছে ‘টাইপিং মিস্টেক’, ‘চোখে না পড়া’র মতো নানাবিধ ‘বাগ’। এসব বোধাইরা ছোটোখাটো ‘বাগ’গুলো বের করে লেখকের চোখে আঙ্গুল ঢুকিয়ে দিতে উদ্যত হয়, পাণ্ডিত্যের প্রসাদে বিভোর হয় এই ভেবে, ওরা লেখকের চাইতেও বড়ো লেখক; এতে যে ওদের ‘বোধাইগিরি’ আরো প্রকট হয়, এটা বুঝতে পারে না, হালার বোধাইবর্গ।

তাহলে তিনি কার হাতে দেবেন বইটি? এত বাছাবাছি করলে দুনিয়ায় আর কোনো পাঠকই তো অবশিষ্ট থাকবে না। তিনি চান, নিরঙ্কুশ, নির্মোহ, নিরহঙ্কার, নিরপেক্ষ, খুব সাধারণ মানের কিছু পাঠক তাঁর বইটি পড়ুন, তাঁদের দৃষ্টিতে তিনি যেভাবে প্রতিভাত হবেন, তিনি মনে করেন, প্রকৃত পাগাম-সাহিত্য সেটাই।

অনেক ভাবাভাবির শেষে বিখ্যাত পলাশউদ্দিন পাগাম সাহেব দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিলেন। প্রথমত, তিনি কাউকেই জানাবেন না তার একটি বই প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। এবং স্ট্রাইকিং সিদ্ধান্তটি হলো, বইটি বের হবে বেনামে। ‘শীতের কবলে বসন্ত’ লেখার নীচে সাধারণ ফন্টে লেখকের নাম উঠবে – আব্দুল সোনামিঞা

তসলিমা নাসরিনেরব প্রথম বইটির মাত্র একটি কপি বিক্রি হয়েছিল। ঐ পাঠকই ছিলেন তসলিমা নাসরিনের প্রকৃত পাঠক; আর ঐ বইতেই তিনি ছিলেন অর্গানিক তসলিমা নাসরিন।

লেখককে না চিনে যে পাঠক বইটি পড়বেন, তিনিই প্রকৃত পাঠক; লেখককে না জেনে যে পাঠক পাঠ-প্রতিক্রিয়া জানাবেন, সেটিই হলো একজন লেখক হিসাবে নিজেকে জানার জন্য প্রকৃত চিত্র।

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:০৯

রানার ব্লগ বলেছেন: এটাই। আমি চাই সমালোচবা হোক। আমার মতো আতেল যখন সাহস দেখালো আপনার গল্পের পাগম সাহেবের মতন তখন আর পিছে ফিরে কি লাভ। যা হবে সম্মুখ সমরে।

কেউ যদি আমার বই পড়ে উহাকে টয়লেটে নিক্ষেপ করে উতেও আমার যেমন স্বার্থকতা কেউ যদি ভালোবেসে বুকে তুলে নেয় উহাতেও আমার বিজয় কেতন উড়বে পত পতিয়ে।


জানেন তো ভালোবাসার উলটা পিঠে ঘৃনা বাস করে।

আমি চাই কেউ ঘৃনা করলে মন দিয়ে ঘৃনা করুক৷ ভালোবাসলে মন দিয়েই বাসুক। বই টা কিনেই না হয় প্রমান দিক।

ঘৃনা ও ভালোবাসা উভয়ের জয় হোক।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৩৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: যত বড়ো লেখকই কেউ হোন না, মন যতই উদার হোক না কেন, সমালোচনায় একটু মনোকষ্ট হয়। এই মনোবেদনার কারণ বড়ো লেখকদের কাছে এরকম - হায়, আরো ভালো মানের লেখা লিখতে পারলে এ সমালোচনা হতো না। তিনি তখন লেখাকে আরো শাণিত করতে সচেষ্ট হোন। আমাদের মতো অলেখক/ছোটো লেখকদের সমস্যা সবচাইতে প্রকট - আমরা আশায় থাকি, সবাই এসে আমার লেখার ভূয়সী প্রশংসা করুক। একটাও নেগেটিভ কথা শোনার জন্য মন প্রস্তুত থাকে না।

আপনাকে মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে, যত কড়া কথাই কেউ বলুক না কেন, আপনি মুষড়ে পড়বেন না, বরং তা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করবেন। কেউ অতিরিক্ত প্রশংসা যেমন করবে, কেউ অতিরিক্ত কড়া কথা বলবে, ইচ্ছে করেই। এই কড়া কথাগুলোকে ধারণ করতে পারলেই উৎরে যাবেন।

বর্তমান বইয়ের জন্য শুভ কামনা থাকলো। আগামী আরো বই আসবে, সেই প্রত্যাশাও থাকলো রানা ভাই।

২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার বক্তব্যের সাথে আমি একমত নই।

৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:২৮

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: পলাশুদ্দিন তমাল থেকে পলাশ উদ্দিন পাগাম। পলাশ উদ্দিন কি আপনার পরিচিত কেউ?

পুরীষসুলভ, রাসভতুল্য শব্দ দুটোর সঠিক অর্থ না জানলে পাঠক পুরুষসুলভ ও রাসভারী ভেবে বিভ্রান্ত হতে পারে। আসল অর্থ জানলে বুঝতে পারবে, কী বুঝানো হয়েছে।

মধ্যম মানের লেখকদের বই প্রকাশ ও লেখার এক সুনিপুণ চিত্র ফুটে উঠেছে। যাদের লেখা সাহিত্য বিচারে উতরে যাবার মতন নয়, আবার ফেলে দেবার মতনও না, তাদের লেখার চিত্র ফুটে উঠেছে গল্পে।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: পলাশউদ্দিন আসলে পরিচিত কেউ না। লাগাম, পাগাম, ইত্যাদি সহযোগে কিছু চরিত্রের নাম দিয়েছি, নিছক বেখেয়ালে। এরকম নাম আছে আমার বেশ কয়েকটা গল্পেই।

পুরীষসুলভ, রাসভতুল্য শব্দ দুটোর সঠিক অর্থ না জানলে পাঠক পুরুষসুলভ ও রাসভারী ভেবে বিভ্রান্ত হতে পারে। আসল অর্থ জানলে বুঝতে পারবে, কী বুঝানো হয়েছে।

যারা বোঝার তারা ঠিকই বুঝে নেবেন, যেমন আপনি বুঝেছেন। তবে, সব লেখায় সব অর্থ সব সময়ই যে সব পাঠক বুঝবেন, তাও না। কত লেখায় কত অর্থই তো বুঝি না, তবে মূলভাবটা ধরতে পারাটাই আসল।

সুন্দর কমেন্টটির জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:২৩

শ।মসীর বলেছেন: লেখক কি শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারবেন, যুগের চাওয়ার সাথে তাল না মিলিয়ে :)

২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
:)

কেউ না কেউ নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকবেনই, পাগাম সাহেব তাদের একজন :)

অনেকদিন পর ব্লগে দেখে ভালো লাগলো শামসীর ভাই। শুভেচ্ছা রইল।

৫| ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: পাগম সাহেবের চরিত্রটা চমৎকার এঁকেছেন।
ইটালিক্সে লাবছাল কথাটি সে রকম হয়েছে!
পুরীষসুলভ আর রাসভতুল্য শব্দ দুটোর অর্থ জানা ছিল না; এখন জেনে নিলাম।

অন্যদের কথা জানি না, আমার প্রথম কবিতার বইটি প্রকাশিত হবার পর মনে মনে ভাবতাম, না জানি কত বড় একটা কাজ করে ফেলেছি! আনডিজার্ভিং প্রশংসা পেয়ে বুক ফুলে যেত। এখন তো অনেকটা 'লজ্জায় বাঁচি না' অবস্থা!

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার বইগুলো প্রকাশের পর অবশ্য কখনো বেশি উচ্ছ্বসিত হই নি। একটু লজ্জা লজ্জা লাগতো - এত মহান ও নামকরা লেখকের বই প্রকাশিত হচ্ছে, তাদের সাথে নিজের বই প্রকাশের কথাটা কাউকে বলা ছিল ভীষণ লজ্জার একটা ব্যাপার। তবে, আমি 'সবুজ অঙ্গন' নামে একটা লিটল ম্যাগাজিন বের করতাম। আমার চূড়ান্ত উচ্ছ্বাস ছিল ওটা প্রকাশের পর।

কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ, স্যার।

৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১২:৪০

জাহিদ অনিক বলেছেন: পাগামসাহেবের মানসিক অবস্থা বুঝতে পারা যাচ্ছে। একজন লেখকের বই বের করার পরে সর্বোপরি অবস্থা কেমন হতে পারে- সেটা নিয়েই যেহেতু লিখেছেন তাই এটাকে লেখকদের মনস্তাত্ত্বিক দিক নিয়ে খেলা করার একটা সফল উদ্যোগ বলতেই হবে।

আর পাগাম সাহেব যে তাঁর বইটি নিয়ে বেশ দুশ্চিন্তাতেই আছেন, সেটা পুরোপুরি বোধয় প্রকাশ পেয়েছে এই যে টার্মটা ব্যবহার করেছেন পাগাম-সাহিত্য এটার মধ্য দিয়ে। লেখক মাত্রই কিছুটা হলেও চাইবেন কেউ কেউ যেন তাঁর নিজস্ব সাহিত্য আঙিনায় এসে হেঁটে চলে দেখে যাক যে তাঁর দুয়ারেও নানা রকম শব্দের বসবাস। তাই এই পাগাম সাহেবের পাগাম-সাহিত্য ধারণাটা তো অবশ্যই সলিড এন্ড ভ্যালিড।

মুশকিল টা হলো, উনি নিজেও জানেন যে - লেখা যত বড় উঁচু অথবা ওঁচা যাইহোক না কেন- কারো নেই সময় ও ঐকান্তিক ইচ্ছে, যে পাগাম-সাহিত্য সম্পূর্ণটা পড়ে বুঝে সেটা আবার লেখকের সাথে আলোচনা করতে এসে তাকে বুঝতে না দিয়েও বুঝিয়ে দিতে হবে যে তাঁর এই লেখালেখিটা ওনার ভীষণ পছন্দ হয়েছে।

লেখক সাহিত্যিকদের এই আলতো অভয়ারণ্য যে কোথাও নেই। হবেও না। তাই বেচারারা বই প্রকাশ করে নিজেরা বিব্রতকর অবস্থায় থাকে, অথবা একদম বেহায়া হয়ে যায়। পাগাম সাহেবের এই বই বের করা নিয়ে আগাম দুশ্চিন্তা তাই শুধু ব্যক্তি-ভেদে বা লেখক-ভেদেই নয়, বরং সমগ্র লেখক-জাতির জন্য প্রযোজ্য।

লেখাটি দারুণ লেগেছে। কবি পাষাণ ফকিরের ব্লগিং,
বিখ্যাত পলাশউদ্দিন পাগাম সাহেবের প্রথম বই এই সিরিজটা চলতে পারে ভাইয়া। একটা আলাদা জনরা হতেই পারে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনেক সুন্দর ও গঠনমূলক কথা বলেছেন প্রিয় কবি। অনেকদিন পর রিপ্লাই দিচ্ছি, সেজন্য দুঃখিত ও লজ্জিত।

চমৎকার কমেন্টের জন্য অনেক ধন্যবাদ।

৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

ZacharyAlbert বলেছেন: Players in https://bitlife-online.io will have the ability to personalize their characters. After selecting your gender and skin tone, you can name or set a variety of other attributes

০৯ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:২২

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: অনলাইন গেমিঙের সময় নাই রে ভাই, আমার ছেলেমেয়েরা খেলে :)

৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৩৪

আজব লিংকন বলেছেন: শুনেছিলাম প্রচারেই প্রসার। এ লেখা পড়ে দেখছি উল্টো চিত্র। আমার মতে, ভালো জিনিস নিয়ে আলোচনা করতে হয়। প্রচার করতে হয়। ঢোল পিটিয়ে না হোক অন্তত নিজ কমিউনিটির মধ্যে কিছু সংখ্যক মানুষের কাছে হলেও প্রচার করতে হয়।

যাইহোক লেখাটি পড়ে ভালো লাগলো। শুভকামনা।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:২১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: লেখাটা পড়ার জন্য শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.