নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সমাজের প্রতিটি ছোট বড় সমস্যার প্রকৃতি নির্ধারণ করা, আমাদের আচার ব্যবহার, সমাজের প্রচলিত কৃষ্টি কালচার, সৃষ্টিশীলতা, চারিত্রিক উদারতা এবং বক্রতা, অপরাধ প্রবৃত্তি, অপরাধ সঙ্ঘঠনের ধাঁচ ইত্যাদির স্থানীয় জ্ঞানের আলোকে সমাজের সমস্যার সমাধান বাতলে দেয়াই অগ্রসর নাগরিকের দায়িত্ব। বাংলাদেশে দুর্নীতি রোধ, প্রাতিষ্ঠানিক শুদ্ধিকরন এবং টেকনোলজির কার্যকরীতার সাথে স্থানীয় অপরাধের জ্ঞান কে সমন্বয় ঘটিয়ে দেশের ছোট বড় সমস্যা সমাধান এর জন্য লিখা লিখি করি। আমার নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি আছে কিন্তু দলীয় সীমাবদ্ধতা নেই বলেই মনে করি, চোর কে চোর বলার সৎ সাহস আমার আছে বলেই বিশ্বাস করি। রাষ্ট্রের অনৈতিক কাঠামোকে এবং দুর্নীতিবাজদের সবাইকে তীক্ষ্ণ ভাবে চ্যালেঞ্জ করার চেষ্টা করি। রাষ্ট্র কে চ্যালেঞ্জ করতে চাই প্রতিটি অক্ষমতার আর অজ্ঞতার জন্য, তবে আঘাত নয়। ব্যক্তিগত ভাবে নাগরিকের জীবনমান উন্নয়ন কে দেশের ঐক্যের ভিত্তিমূল মনে করি। ডাটাবেইজ এবং টেকনোলজি বেইজড পলিসি দিয়ে সমস্যা সমাধানের প্রোপজাল দেবার চেষ্টা করি। আমি মূলত সাস্টেইন এবল ডেভেলপমেন্ট (টেকসই উন্নয়ন) এর নিরিখে- অবকাঠামো উন্নয়ন এবং ডিজাইন ত্রুটি, কৃষি শিক্ষা খাতে কারিগরি ব্যবস্থাপনা ভিত্তিক সংস্কার, জলবায়ু পরিবর্তন, মাইক্রো ইকনমিক ব্যাপার গুলো, ফিনান্সিয়াল মাইগ্রেশন এইসব ক্রিটিক্যাল ব্যাপার নিয়ে লিখার চেষ্টা করি। মাঝে মাঝে চোরকে চোর বলার জন্য দুর্নিতি নিয়ে লিখি। পেশাঃ প্রকৌশলী, টেকনিক্যাল আর্কিটেক্ট, ভোডাফোন।
১।
এই যে রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট বা আইইডিসিআর- এটা প্রতিষ্ঠান হয়ে থাকলে তারাই আজ সরকারকে পথ দেখাতো। ঠিক গত বছরই দেশে একটা ডেঙ্গু মহামারি হয়েছে এবং তখন চিকিৎসক ও গবেষকগণ সবাই বলেছেন এই জীবাণু বৈশিষ্ট্য পাল্টেছে। শুধু ডেঙ্গু মোকাবেলাতেও তাদের প্রস্তুতি দেখি না, পরিসংখ্যান বলছে গত বছরের মার্চের তুলনায় এই বাছর মার্চের প্রথমার্ধে প্রায় চারগুণ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণার দায়িত্বরত ইনস্টিটিউট হিসেবে হিসেবে আইইডিসিআর কি পদক্ষেপ নিয়েছে? শুধু করোনা নয়, ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবও পেয়ে বসেছে দেশে।
আইইডিসিআর চাইলেই মধ্য জানুয়ারি থেকে মধ্য ফেব্রুয়ারিতেই চীনের করোনা পরিস্থাতি বিশ্লেষণ করে সরকারকে প্রস্তুতির জন্য পর্যাপ্ত নির্দেশনা দিতে পারতো। সেখানে এপিডেমিলোজিস্ট রয়েছেন। আমরা দেখি ইন্সটিটিউশানের জরুরী পরামর্শ না শুনলে, ইন্সটিটিউশানের ম্যানেজমেন্ট অন্তত পদত্যাগ করে হলেও জনসম্মুখে এসে পাবলিক প্রেসার ডেভেলপ করেন। বরং আমরা দেখে যাচ্ছি, ক্রমাগত ফেব্রিকেটেড কথা বলেই যাচ্ছেন মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তারা সংক্রমণের যে তথ্য দিচ্ছেন তা আন্তর্জাতিক মহামারি সংক্রামণের মডেলে মিথ্যা প্রতিপন্ন হয়েছে।
২।
"টেস্ট করবো না, প্রমাণিতও হবে না" এই ধ্বংসাত্মক আত্মঘাতী নীতি নিয়েছে তারা, যেহেতু করোনা টেস্টেড নয়, প্রমাণিত নয়- তাই মিডিয়া রিপোর্টও করা যাবে না। আজকে IEDCR হটলাইনে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে অসুস্থ মানুষের সময় যেমন নষ্ট হচ্ছে তেমন মানুষিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে মরার আগেই মরে যাচ্ছেন। অন্যদিকে করোনা বা এর মত সিম্পটম থাকা রোগীদের কোন হাসপাতালই ভর্তি নিচ্ছে না, সরকারি ভয়ে, সংক্রমণের ভয়ে, প্রটেক্টিভ পিপিই না থাকার ভয়ে।
আচ্ছা, সাধারণ মানুষের কি সম্মানজনক মৃত্যুরও অধিকার দিবে না, এই বাকশালী ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র?!
৩।
আইইডিসিআর ছাড়াও আইসিডিডিআরবি, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল, পিজি হাসপাতাল, বারডেম, বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রো বায়োলজি বিভাগের Reverse transcription polymerase chain reaction (rt PCR) রয়েছে, আইসিডিডিআরবি তৈরিও ছিল কিন্তু তাদের পরীক্ষা করতে দেয়া হল না, অথচ চিকিৎসা সেবায় বাংলাদেশের এই প্রতিষ্ঠানের সম্মান বিশ্ববিধিত।
আইইডিআর ছাড়াও আইসিডিডিআরবি, চট্টগ্রামের ভেটেরিনারি অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট, বিআইটিআইডি, ডিজডিএ, নিপসম, আইপিএইচ, বিএমআরআই এ উন্নতমানের গবেষণাগার আছে। ফেসবুকে চট্টগ্রামের বিআইটিআইডিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষার ঘোষণা দেওয়া হলেও আজ পর্যন্ত সেখানে কিটের সংকটে পরীক্ষা শুরু হয়নি বলে জানা গেছে।
রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণার দায়িত্বরত ইনস্টিটিউট পরিণত হয়েছে "রোগ ধামাচাপা, সংক্রমণ বিস্তার ও তথ্য ষড়যন্ত্র গবেষণা" করার কৌশলী প্রতিষ্ঠান। এ যেন, আরেকটা নির্বাচন কমিশন, মানুষের প্রাণ নিয়ে ইঁদুর বিড়াল খেলাই যাদের প্রধান কাজ হয়ে উঠেছে। অথচ প্রতিজন অপরিক্ষিত করোনা রোগীর মৃত্যু এক একটা পুরো এলাকাকে সংক্রমনের কেন্দ্র বানিয়ে দিতে পারে।
আমার মনে হয় এখনও সময় আছে, মীরজাদি ম্যাডামের উচিৎ হবে ব্রাক, নর্থ সাউথ, জন হপকিন্সন ও লন্ডন ইম্পেরিয়াল কলেজের সিমুলেশান মডেল সরকারকে বুঝিয়ে যথাযথ প্রস্তুতির একমুখী পরামর্শ নেয়ার দায়িত্ব নেয়া। যদি সরকার উনার কথা না শুনে, উনার উচিৎ হবে সরে দাঁড়ানো। অন্যথায় বুঝাযাবে উনি "ধামাচাপা" চক্রেরই অংশ।
৪।
A.t.m Golam Kibria ভাই লিখেছেন, "ব্র্যাক, নর্থ সাউথ আর জন হপকিন্সের তিন রিসার্চারের করা যে রিপোর্টটা ফাঁস বা প্রকাশিত হয়েছে, তার ভিত্তি ইম্পেরিয়াল কলেজের এপিডিমিয়োলজিস্ট নিল ফার্গুসনের টিমের করা একটা সিমুলেশান মডেল। নিল ফার্গুসন মহামারীবিদ্যার সবচেয়ে গুরুত্তপূর্ণ লোক, এত গুরুত্তপূর্ণ যে তার রিপোর্টটা বের হবার পরে হোয়াইট হাউসের প্রেস ব্রিফিং এ ওইটা নিয়ে কথা হইছে এবং ইংল্যান্ড তার পুরো স্ট্র্যাটেজি চেইঞ্জ করছে। 'Mitigation' থেকে 'Suppresion' এ গেছে। হি ইজ দ্যা মোস্ট ইনফ্লুয়েন্সিয়াল একাডেমিক অফ দিস প্ল্যানেট রাইট নাউ। এই রিপোর্টে দেখাইছে সরকার যদি ইন্টারভেন না করে তাহলে কি হবে, Mitigation Strategy নিলে কি হবে আর Suppresion Strategy তে কি হবে? একটা জনগোষ্ঠীর ৮১ ভাগের এই রোগ হবে। বয়স্ক আক্রান্তদের সিকিভাগ হাসপাতালে যাবে, যারা হাস্পাতালে যাবে তাদের ৩০ ভাগের ক্রিটিক্যাল কেয়ার দরকার পড়বে এবং যাদের ক্রিটিক্যাল কেয়ার দরকার পড়বে, তাদের পঞ্চাশ ভাগ মারা যাবে। মানুষ মুলত মারা যাবে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটের অপর্যাপ্ততার কারনে, এইটাই তাদের মূল কন্সার্ন।"
দেখুন, প্রতিষ্ঠান একটা দেশের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ! একটা বিশ্ববিদ্যালয়, একজন শিক্ষক বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোর স্ট্র্যাটিজিকে পরিবর্তন করে দিয়েছেন, কল্যাণের জন্য।
আজকে টেস্ট সাপেক্ষে রোগী কোয়ারেন্টাইন ও চিকিৎসার ব্যবস্থা না করে শুধু লকডাউন করার কি মানে আছে? এইযে শ্রমজীবী মানুষ তাদের ভাতা বা রেশন দিবারও কোন উদ্যোগ নেই। এরকম সেবাহীন লকডাউনের উদ্দেশ্য কি- এটা কি মৃত্যু ঠেকাবে না কি অর্থনীতি রক্ষা করবে?
৫।
খবর বেরিয়েছে ব্রাকের স্কুল অফ পাবলিক হেলথের নন কমিউনিক্যাল ডিজিজের ডিরেক্টর ও গবেষক মলয় কান্তি মৃধার (পিএইচডি, ইউ সি ড্যাভিস) বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।
৬।
আমার মনে হয়, এই মুহুর্তে যে ভদ্রলোক সরকারকে প্রস্তুতি নিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করতে পারেন, তিনি হচ্ছে ডা এ বি এম আবদুল্লাহ স্যার। সরকারি বেতনভুক্ত হওয়ায় এটা উনার জন্য একটা কঠিন পরীক্ষাও বটে। আশাকরি স্যার সরকারকে বুঝাতে পারবেন যে, সংক্রমণ ও মৃত্যুর ফেব্রিকেটেড তথ্য বন্ধ করে বাস্তবতা সবাইকে জানানো হোক এবং সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে সতর্ক হোক। সাথে সাথে সরকার মেডিক্যাল সাপ্লাই সংগ্রহে জোর দিক, কূটনৈতিক তৎপরতা চালাক। বিশেষায়িত কিংবা আলাদা হাসপাতাল করুক।ড্রাগ সংগ্রহে মনযোগী হোক। একই সাথে স্যারকে অনুরোধ করি, গবেষকদের হয়রানির পরিবর্তে পুরস্কৃত করার ব্যবস্থা করুন, সরকারকে সঠিক প্রস্তুতির পথ দেখান। সবাই একজনের দিকে তাকিয়ে আছেন, যিনি এতদিন উদযাপন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, গতকাল ছিলেন নির্বাচন নিয়ে। গ্রাম ও শহরের বিভিন্ন এলাকা, হাসপাতালে ভর্তি হতে না পারা রোগীর মৃত্যুর সংবাদ আসছে। ডা এ বি এম আবদুল্লাহ স্যার, প্লিজ তাঁকে কনভিন্স করুন। দেশের ও দশের উপকার করুন।
প্রতিষ্ঠান হীন দেশে, আপনি এবং আপনার মত যারা আছেন, তাঁরাই ইন্সটিটিউশান হয়ে উঠুন। ইতিমধ্যেই আমরা দেখেছি বুয়েটের প্রাক্তন ছাত্ররা পিপিই বানানোর ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়েছেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজ গুলোর মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের দায়িত্বশীলদের অনুরোধ করুন যাতে বাংলাদেশে কভিড-১৯ এর প্রকৃতি ও সংক্রমণ প্যাটার্ণ ইত্যাদি নিয়ে গবেষণা শুরু হয়।
আল্লাহ্ আমাদের সহায় হোন।
২| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫৯
নেওয়াজ আলি বলেছেন: সব বাটপাড় । কাউয়ার কা কা।
৩| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:১৭
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমরা তো পশ্চিমা বিশ্ব এবং ইয়েরোপের চেয়ে অনেক কল্যানশীল সরকারের অধীনে আছি
৪| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৩:৪২
সোহানী বলেছেন: সবছেড়ে এখনো দরকার ফ্রন্ট লাইনে আসা। সরকার সবাইকে আহবান জানাতে পারে সাহায্যের জন্য। বুয়েট কিংবা আরো মেধাবীরা আছে, ওদেরকে কাজে লাগাক। একটি সঠিক পরিকল্পনা, একটি এ্যাকটিভ কমিটি (চামচা বাদ দিয়ে) পারে অনেক কিছু করবে।
৫| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: আপনি আমি সুফি নই। আল্লাহ আমার আপনার আমার উপর বিরূপ হয়ে করোনা দিছে।
বাড়িঘরে থেকে অনুশোচনা করতে থাকি। সুফি সাধকও সবসময় নিভৃতে থাকে।
৬| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৩৫
মলাসইলমুইনা বলেছেন: এর চেয়ে অন্য রকম কিছু হবারতো কথা আসলে ছিল না । ছিল কি ?
আধ মরাদের কি আর ঘা মেরে বাঁচানো যায় ? এখন কাদম্বিনী মরিয়া প্রমান করিবে যে দেশের অবস্থা ছিল আসলেই ভয়ঙ্কর ।
৭| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ১১:৫৯
নতুন বলেছেন: দেশে এতো পন্ডিত, সরকারের ভেতরে এতো পন্ডিত যে তারা বুঝতে পারতেছেনা কি করবে?
এতোদিন বড় বড় কথা বলেছে কিন্তু কোন পরিকল্পনা ছাড়া।
১৭ কোটি মানুষের দেশ, এতে করোনা মহামারীর জন্য কি করা হবে তার কি কোন পরিকল্পনা আছে?
কিভাবে আমাদের দেশে সংক্রামন হতে পারে তার লিস্ট করে সেটা প্রতিরোধের জন্য কাজ করা।
সংক্রামন হলে কিভাবে তাদের চিকিতসা দেবে সেই ব্যবস্তা করা।
টেস্ট করার ব্যবস্তা করা
চিকিতসার জন্য কি কি লাগবে সেটার যোগানের ব্যবস্তা করা।
এই রকমের কাজ গুলি করার জন্য কাজগুলি প্রধানমন্ত্রীর নেত্রীত্রে করার কথা। তিনি শুধুই সবাইর সাথে কথা বলেছেন কিন্তু সিসটেমেটিক ভাবে কিছুই হচ্ছেনা সেটা আমরা কাজে প্রমান পাচ্ছি।
এখনো সময় আছে প্রধানমন্ত্রী বড় প্রযেক্ট সামাল দেওয়ার অভিঙ্গতা আছে তেমন কাউকে এই প্রযেক্টের দায়িত্ব দিন।
আমাদের দেশে তাপমাত্রা ভাইরাসের বিস্তারের অনুকুলে না সেটাই আমাদের জনগনের জন্য আশিবাদ হবে বলে আমি আশা করি।
৮| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ দুপুর ১২:৫১
করুণাধারা বলেছেন: খুব ভালো লিখেছেন, অনেক ধন্যবাদ।
প্রমাণিত না হবার জন্য তারা টেস্ট করছেন না, ফোন ধরছেন না। কেউ সর্দি কাশি,জ্বরে মারা যাবার পরও টেস্ট না করে কাগজ পত্র দেখে বলছেন হার্ট অ্যাটাক (মৌলভীবাজারের বিলাত ফেরত মহিলা)!! সরকার বার বার বলছে কোয়ারে্ন্টিনে না থাকলে জেল জরিমানা হবে, কিন্তু তাদের কথা তোয়াক্কা না করে অনেক বিদেশফেরতরা বাইরে ঘুরছে। আমার চেনা এমন দুজন আছে। তাদের কথা জানাবার জন্য যে দুটো ফোন নং দেয়া আছে সেগুলোতে ফোন করলে শুধু রেকর্ডেড হাত ধোয়া শেখায়। আর মীরজাদী... আমার দেখা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মিথ্যাবাদী মহিলা।
জানিনা আগামী দিনে কি হবে! আমি এজমা রোগী এবং বয়সী...
৯| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এই ধামাচাপা তত্ত্ব টেষ্টই করবোনা, রোগী আসবে কোত্থেকে? এক ভয়ংকার আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত।
যেখানে হু বলছে- পরীক্ষা, পরীক্ষা, এবং পরীক্ষা...
সেখানে এ কি অবস্থা?
টোলারবাগের কেস -তিনি কোন বিদেশী সংশ্লিষ্ট নন, তাই পরীক্ষায় গড়িমসিতে প্রাণ দিয়ে প্রমাণ করতে হলৌ তাঁর করোনা সংক্রমন হয়েছি। আজ ফেসবুকে ভাইরাল যে কেস সেখানেতো স্পষ্ট দিন তারিখ ব্যাক্তির নাম সহ তাদের অবহেলার বিবরণ প্রকাশিত। যেখানে নবাবজাদী থুরি মীরজাদির অবহেলাও সুষ্পষ্ট। যা মূলত সেই আত্মঘাতি নীতিরই ফল।
আশা করি শিঘ্রই শুধু পরীক্ষাতেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন -নিজেরা বাঁচতে এবং দেশবাসীকে বাঁচাতে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাত্র ৩০০ টাকার কিট সহজলভ্য করার উদ্যাগ যাকে সহজ করতে পারে।
১০| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৯
আহমেদ জী এস বলেছেন: এক নিরুদ্দেশ পথিক,
বেতনভুক ও পদলোভী এদের কারনে ক্ষতি যা হবার তা তো হয়েই গেছে। এখন এই ক্ষতির চেইন রি-এ্যাকশন কমাতে সকলের উচিৎ একযোগে কাজ করা। যেহেতু সম্পদের অপ্রতুলতা ( সদিচ্ছা আর দুরদৃষ্টি থাকলে যা কাটিয়ে ওঠা যেতো ) রয়েছে তাই এই মহামারী ঠেকানোর আপাতঃ যে কার্যকরী ব্যবস্থা " সামাজিক দুরত্ব" বজায় রাখা, জানপ্রান দিয়ে সরকার আর জনগণের সেটা যে কোন মূল্যে বজায় রাখতে হবে। এর কোনও বিকল্প নেই। এতে পয়সা লাগেনা মোটেও।
২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৪৫
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এই মহামারী ঠেকানোর আপাতঃ যে কার্যকরী ব্যবস্থা " সামাজিক দুরত্ব" বজায় রাখা, জানপ্রান দিয়ে সরকার আর জনগণের সেটা যে কোন মূল্যে বজায় রাখতে হবে। এর কোনও বিকল্প নেই। এতে পয়সা লাগেনা মোটেও।
১১| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৯:৩৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই মুহুর্তে গণ হোম কোয়ারেন্টিন অর্থৎ জনগন সহ সাম্ভ্যাব্য ভাইরাস ক্যারিয়ারকে ১৪ দিন পৃথক করে রাখা সবচেয়ে কার্যকর একমাত্র পদ্ধতি।
হংকং এর মত বিপুল ঘণবসতি দেশ বর্তমানে এভাবেই সম্পুর্ন করনা মুক্ত।
চীনও এই পদ্ধতিতেই করনা মুক্তির পথে।
এই রোগ প্রতিষেধক টিকা আবিষ্কার না হলেও এই জীবানুর আচরনটা মোটামুটি বুঝা গেছে।
এই করনা ভাইরাস খুব দ্রুত ছড়ালেও। মানুষের দেহ বাদে প্রকৃতিতে বেশিক্ষন বাচে না, তাই ১৪ দিন ঘরবন্ধি করা হলে জীবানু আর ছড়াতে না পেরে বিলুপ্ত হবে হংকং এর মত।
এই পদ্ধতিতে সিংগাপুর, তাইওয়ান, ম্যাকাও ইত্যাদি দেশ বর্তমানে সম্পুর্ন করনা মুক্ত।
২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৪৭
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: এই মুহুর্তে গণ হোম কোয়ারেন্টিন অর্থৎ জনগন সহ সাম্ভ্যাব্য ভাইরাস ক্যারিয়ারকে ১৪ দিন পৃথক করে রাখা সবচেয়ে কার্যকর একমাত্র পদ্ধতি।
অবশ্যই, তবে টেস্ট সাপেক্ষে একচুয়াল করোনো পজিটিভকে পৃথক না করলে সে বা তারা পরিবার ও প্রতিবেশিদের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়াবে। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বার বার বলছে- টেস্ট, টেস্ট এন্ড টেস্ট!
১২| ২৫ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৫২
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: টেস্ট, টেস্ট এবং টেস্ট |
দক্ষিণ কোরিয়া, এবং তাইওয়ানের অভিজ্ঞতা বলে এই মহামারীকে রুখতে হলে গণহারে টেস্ট করতে হবেই | মিলানের কাছের একটি শহর ভও এই গণ হরে টেস্ট ও রোগীকে আলাদা করে বিস্তার করতে সক্ষম হয়েছে | বাংলাদেশ মনে হয় টেস্ট করতে অনিচ্ছুক এই আশংখায় যে এর যে ফলাফল বেরিয়ে আসবে তা জনগণের মনে আতঙ্কের সৃষ্টি করতে পারে | কিন্তু টেস্ট ব্যতিরেকে এই মহামারীর বিস্তার রোধ অসম্ভব |
২৬ শে মার্চ, ২০২০ রাত ২:৪৭
এক নিরুদ্দেশ পথিক বলেছেন: টেস্ট, টেস্ট এবং টেস্ট |
হ্যাঁ, এটাই বলতে চেয়েছিলাম।
১৩| ২৬ শে মার্চ, ২০২০ সকাল ৯:১২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
টেস্ট অবস্যই দরকার।
কিন্তু টেষ্টিং কিট প্রাপনিয়তা অফুরন্ত নয়।
আমেরিকায় (নিউইয়র্ক) একসময় ভাবা হয়েছিল তাদের চাহিদার চেয়ে অনেক বেশী কিট আছে। সে অনুযায়ি ড্রাইভথ্রুতে আগে আসিলে আগে সেবা ভিত্তিতে সবাইকে টেষ্ট করা হচ্ছিল। পরে ভিড় বেড়ে যাওয়ায় শুধু জ্বর থাকলে টেষ্ট করা হচ্ছিল,
গত পড়শু পর্যন্ত জ্বর+স্বাসকষ্ট থাকলে টেষ্ট করা হচ্ছিল।
কিন্তু গতকাল থেকে জ্বর+স্বাসকষ্ট যথেষ্ট কাহিল মনে না হলে, বলছে টেষ্ট করা লাগবে না, "স্টে হোম" বলে বাসায় পাঠিয়ে দিচ্ছে। কারন হাসপাতালে সিট নেই। বলে স্টে হোম উইথ সিক্স ফিট ডিষ্টান্স, সিক সাপোর্ট বাই ফোন।
গভর্নর এন্ড্র কোমো আজ সকালে লম্বা এক ভাষন দিয়েছেন, বলেছে আমারা সবাইকে হাসপাতালে সিট দিতে পারছি না।
১৪| ২৯ শে মার্চ, ২০২০ রাত ৮:৪৭
নায়লা যোহরা বলেছেন: শুনলাম ফোনকল অনেক এসেছে কিন্তু টেস্ট হলো মাত্র কয়েকটি। তাও বলছে করোনা আর নতুন করে দেখা দেয়নি কারো। কি হবে দেশের !!!!!
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪৫
ইফতি সৌরভ বলেছেন: "টেস্ট করবো না, প্রমাণিতও হবে না" - এই নীতিতে চললে এবং সঠিক উপাত্ত দেশের মানুষ যদি না জানতে পারে তবে এ নীতি দেশের জন্য বুমেরাং হয়ে উঠবে। দেশের মানুষ করোনা নিয়ে যতটুকু ভীত তা আসলে ইতালি তথা ইউরোপের ভয়ংকর পরিস্থিতির জন্যই নিজ তাগিদে সচেতন। কিন্তু IEDCR এর হিসাব মতে আক্রান্তের সংখ্যা এতটাই কম যে, ভীত দেশবাসী অচিরেই ধরে নিবে এ ভাইরাস আসলে বাঙালির কোন ক্ষতি করতে পারবে না। ইতালি যদি তথ্য গোপন করত অথবা চীনের মত ধামাচাপা দিত, তাহলে পৃথিবীর মানুষ আগাম করোনার ভয়াবহতা সম্পর্কে এখনো উদাসীন থাকত। আপনার সম্পূর্ণ লেখার সাথে একমত কিন্তু বঙে পদত্যাগ করার যেমন নজির নেই তেমনি দেশ শ্শ্মান হয়ে গেলেও দায়িত্ব প্রাপ্তদের মুখের উল্টা পাল্টা বক্তৃতা থামার নয়। কেউ নিজে থেকে ভালো কিছু করলে তাকে সবাই টেনে ধরে আর এ কারণেই বাঙালির দোজখে না কি কোন দ্বার রক্ষীর দরকার নেই!