নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কানকাটা রমজান

কানকাটা রমজান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সাভারে বহুতল ভবন ধস, ১১৫টি মৃতদেহ উদ্ধার,এটি একটি গণহত্যা। এই গণহত্যার দায় কার ?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫২

সাভার পৌরসভার যুবলীগ নেতার ভবন ধসের ঘটনায় বিক্ষুব্ধ গোটা জাতি। অনেকে এটিকে হত্যাকাণ্ড হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। তাদের প্রশ্ন, এই গণহত্যার দায় কার। স্থানীয়রা বলছেন, ভবনটি যে ত্রুটিপূর্ণভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল তা আগের দিন মঙ্গলবারই স্পষ্ট হয়ে উঠে। কেননা মঙ্গলবার ভবনটিতে বড়সড় একাধিক ফাটল দেখা দেয়। এই ফাটল ধীরে ধীরে বাড়ছিলো। ভবনে ফাটল দেখা দেয়ার পর মঙ্গলবার দুপুরে ভবনটি পরিদর্শনে যান স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। স্থানীয় প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভবনটি ঝুকিপূর্ণ হিসাবে আখ্যায়িত করেছিলেন। তিনি অভিমত দেন যে, ভবনটির নিরাপত্তার স্বার্থে বুয়েট থেকে প্রকৌশলী এনে পরীক্ষা- নিরীক্ষা করা প্রয়োজন। তা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। জানা গেছে, মালিক কর্তৃপক্ষ বুয়েটের সঙ্গে এ ব্যাপারে যোগাযোগও করেছিল। ফাটল দেখা দেয়ার পরও ভবন মালিক মঙ্গলবার সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেছিলেন, এতে কোন সমস্যা হবে না, সামান্য একটু প্লাস্টার খসে পড়েছে মাত্র। তবে মার্কেট কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার পুরো ভবনটি বন্ধ ঘোষণা করে । এর পরও কিভাবে এত মৃত্যুর ঘটনা ঘটলো। ভবটি যে ঝুকিপূর্ণ তা গার্মেন্টস শ্রমিকরা বুঝতে পেরেই অনেকেই সকালে ভিতরে ঢুকতে চায়নি। কিন্তু তাদেরকে জোরকরে কাজে বাধ্য করে মালিক পক্ষের লোকজন। ওই ভবনের চারটি ফ্লোরে তৈরি পোশাক কারখানায় কয়েক হাজার শ্রমিক কাজ করতো। ভবনের তৃতীয় তলার নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেড, চতুর্থ তলার প্যান্টম এ্যাপারেলস লিমিটেড, পঞ্চম তলার প্যান্টম ট্যাক লিমিটেড ও ষষ্ঠ তলার ঈথার টেঙটাইল লিমিটেডে পাঁচ থেকে ছয় হাজার শ্রমিক কাজ করেন। এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফ্যান্টম ট্যাক লিমিটেড কারখানার গার্মেন্টস কর্মী আকলিমা বলেন, আগের দিন ভবনে ফাটল দেখা দেয়ায় আমরা কারখানায় যেতে চাচ্ছিলাম না। কিন্তু সকালে কারখানার অফিসাররা আমাদের জোর করে কারখানায় ঢোকায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরেক গার্মেন্টস কর্মী নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা কেউ ভবনে ঢুকতে চাচ্ছিলাম না। বসরা আমাদের লাঠি নিয়ে তেড়ে আসার পর বাধ্য হয়ে আমরা কারখানায় যাই। এই মেডিকেল আহতদের স্থান সংকুলান করা যাচ্ছে না। এজন্য অনেককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েই ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন, দায়িত্বে অবহেলার জন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

টাইম কম বলেছেন: সরকার দায় ভার নিবে না তা তো বলেই দিছে এইখানে
Click This Link

২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:০৫

আহমেদ সাব্বির পল্লব বলেছেন: :(


কাকের মাংস তো কাক খায় না......আমরা বাংলাদেশীরা কেন এমন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.