![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলাম বিদ্বেষীরা তাবারির থেকে একটি কথা উল্লেখ করে যে মুহাম্মদ(সাঃ) এর বাবা এবং মুহাম্মদ(সাঃ) এর দাদা নাকি একই দিনে দুইজন নারীকে বিয়ে করেছিলেন,কিন্তু হামজা(রাঃ)নাকি মুহাম্মদ(সাঃ) এর থেকে ৪ বছরের বড় ছিলেন,এই কথাগুলিকে ভিত্তি করে ইসলাম বিদ্বেষীরা মুহাম্মদ(সাঃ) কে অপমান করার চেষ্টা চালাচ্ছে(নাউজুবিল্লাহ)
জারির আল তাবারি (জন্ম ৮৩৯ সালে)তার লেখা “নবী এবং রাজাদের ইতিহাস” বইয়ের ভুমিকাতে বলেছিলেন,
“আমার এই বইয়ে উল্লেখিত কিছু তথ্য অতীতের কিছু নির্দিষ্ট মানুষের কাছ থেকে এসেছে যেসব তথ্য অপ্রীতিকর মনে হতে পারে,তার দায় যিনি এসব তথ্য দিয়েছেন তার,আমার নয়,আমার কাছে যেভাবে তথ্য এসেছে আমি সেভাবে লিখেছি,”
মুলত তাবারির বইতে যেসব প্রশ্নযোগ্য তথ্য এসেছে সেগুলি এসেছিল ইবনে ইসহাকের কাছ থেকে।
ইসলাম বিদ্বেষীরা ভুলেও উপরের কথাগুলি বলে না।
এবার নজর দেওয়া যাক ইবনে ইসহাকের দিকে।
“ইবনে ইসহাকের” ধর্মিয় পরিচয় আসলে কি ছিল?
“ইবনে ইসহাক” ছিল একজন “শিয়া” ধর্মাবলম্বী মানুষ,যাকে বেশিরভাগ মানুষ মনে করে ইসলাম ধর্মাবলম্বী।
Shi'ite Authors in Islamic History লিখে গুগল সার্চ করলে আপনারা শিয়াদের বানানো তাদের অল টাইম গ্রেট স্কলারদের তালিকা দেখতে পাবেন,যেখানে “ইবনে ইসহাকের” নাম আছে ৪ নাম্বারে।
ইবনে ইসহাক তার বই রচনার সময় বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ করার সময় সেই ঘটনার সাক্ষি হিসেবে কারো নাম উল্লেখ করেনি।ইবনে ইসহাকের বইয়ে যেসব ঘটনা উল্লেখ আছে তার কোনটারই বর্ননা পরম্পরা সাহাবিদের পর্যন্ত পৌঁছায়নি।
আপনারা যারা “হাদিস” এবং “ইতিহাস” এর পার্থক্য সম্পর্কে জানেন তারা ভালো করেই জানেন “হাদিসের” ক্ষেত্রে “রাবি”দের(যারা হাদিস বর্ননা করেন) তাদের বর্ননা পরম্পরা সাহাবিদের পর্যন্ত পৌঁছেছে।
কিন্তু ইতিহাস যেমন অনেকেই “সিরাত” লিখেছেন তাদের বর্ননা পরম্পরা সাহাবিদের পর্যন্ত পৌঁছায়নি।এ কারনেই বুখারি এবং মুসলিম ছাড়া অন্য হাদিস গ্রন্থগুলি ১০০% বিশুদ্ধ নয়।
বিশেষ করে “সিরাত” গ্রন্থগুলির ব্যাপারে(যেগুলি হাদিস নয়) তো বিশুদ্ধতার দাবি একেবারেই করা যাবে না।
ব্যাপারটা অনেকটা এরকম,আপনি আপনার এলাকার বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের নিয়ে একটা বই লিখবেন,এদের মধ্যে একজনের জীবনকাল আপনার জন্মের ১০০ বছর আগে শেষ হয়েছে।
আপনি সেই ১০০ বছর আগে মৃত ব্যাক্তিটির সম্পর্কে কোন ভালো/মন্দ তথ্য আপনার বইয়ে লিখতে গেলে অবশ্যই আপনাকে সেই ব্যক্তিটির বেঁচে থাকা অবস্থাতে যারা তাকে দেখেছেন তাদের রেফারেন্স দিতে হবে,এছাড়া আপনার বই কখনোই সেই ১০০ বছর আগে মৃত ব্যাক্তিটির বিষয়ে নির্ভরযোগ্য হবে না।
ইবনে ইসহাকের বইটাও সেরকমভাবে মুহাম্মদ(সাঃ) এর সময়কালীন কোন সাহাবির রেফারেন্স ছাড়াই লেখা হয়েছিল।
আর মুহাম্মদ(সাঃ) এর সময়ে “শিয়া” নামক কোন ধর্ম ছিল না, শিয়াদের জন্ম হয়েছিল আলী(রাঃ)এর সময়ে।মুহাম্মদ(সাঃ)শিয়াবাদের কোন স্বীকৃতি দেন নাই।
এবার ইবনে ইসহাকের আরো কিছু দিক আলোচনা করা যাক,
মুহাম্মদ(সাঃ)এর মৃত্যুর পরে তার সম্পর্কে অমুসলিম,বিশেষত ইহুদিরা অনেক গল্প,উপকথা তৈরি করেছিল। প্রথম দিকের খৃস্টানরাও ঠিক এভাবেই ইসা(আঃ)সম্পর্কে এভাবেই অনেক ভিত্তিহীন উপকথা রচনা করেছিল যেগুলি কিনা গসপেলেও জমা হয়েছিল।পরে চার্চ এরকম অনেক গসপেল বাতিল করেছিল।
ইবনে ইসহাকের রচনাবলীতে ইহুদিদের প্রতি ইতিবাচক কথা ছিল,যারা কিনা মুসলিমদের ভয়ানক শত্রু ছিল,শুধু তাই নয়
ইবনে ইসহাক ইহুদিদের বানানো উপকথা থেকে তার বইয়ের উপকরণ ও সংগ্রহ করেছিল, যেখানে তার উচিত ছিল সাহাবিদের বর্ননা পরম্পরা অনুসরন করা।
ইবনে ইসহাকের সমসাময়িক ইমাম মালিক বলেছিলেন ইবনে ইসহাক একজন মিথ্যুক ছাড়া কিছু নয়।ইমাম মালিক এটাও বলেছিলেন যে ইবনে ইসহাক ইহুদিদের থেকে তার লেখার উপকরণ সংগ্রহ করেছিল।কিছু মুসলিম স্কলার এমনও বলেছেন ইবনে ইসহাক জেনেশুনেও কিছু ভুল তথ্য তার বইয়ে ঢুকিয়েছিল।
সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ন ব্যাপার হচ্ছে ইবনে ইসহাক লাইলাতুল কদর সম্পর্কে যে বিবরন দিয়েছিল তা সাহাবিদের থেকে বর্নিত হাদিস এর থেকে একেবারে বিপরীত।
ইবনে ইসহাকের বইয়ে এরকম অনেক ঘটনা আছে যার উৎস কেবল ইবনে ইসহাক,সেসব ঘটনার আর কোন সাক্ষ্যদানকারী নেই,কোন সাহাবি সেসব ঘটনার সত্যায়ন করেননি।
প্রকৃতপক্ষে ইবনে ইসহাকের রচনা ছিল বর্ননাকারির দিক থেকে “চেইনলেস” যার মানে হচ্ছে সেসব বর্ননা কোথা থেকে এসেছে তার কোন উল্লেখ ইবনে ইসহাকের বইতে ছিল না,এমনকি ইবনে ইসহাকের বইয়ের অনেকটাই হারিয়ে গিয়েছিল,যতটুকু পাওয়া গিয়েছিল সেটা থেকে ইবনে হিসাম বই লিখেছিল।
ইবনে হিসাম নিজেও স্বীকার করেছিলেন যে ইবনে ইসহাকের বইয়ের অনেক কিছু বিশ্বাসযোগ্য নয় বলে তিনি বাদ দিয়েছিলেন।
আপনারা অনেকেই জানেন না যে, ইবনে হিসাম এর নামে চালানো “সিরাতে হিসাম” আসলে ইবনে হিসাম এর নিজের রচনা নয়।
ইবনে ইসহাক যে “সিরাত” নামক মনগড়া কাহিনী রচনা করেছিল তার মূল পাণ্ডুলিপির বেশিরভাগ হারিয়ে গিয়েছিল।পরবর্তিতে ইবনে হিসাম,”ইবনে ইসহাক”
ইবনে ইসহাক যে “সিরাত” নামক মনগড়া কাহিনী রচনা করেছিল তার মূল পাণ্ডুলিপির বেশিরভাগ হারিয়ে গিয়েছিল।পরবর্তিতে ইবনে হিসাম,”ইবনে ইসহাক” এর সেই হারিয়ে যাওয়া পাণ্ডুলিপির যতটুকু উদ্ধার করতে পেরেছিল তার থেকে কিছু কাটছাঁট করে এই “সিরাতে হিসাম” রচনা করে।
জারির ইবনে তাবারি এর রেফারেন্স দিয়ে মুহাম্মদ(সাঃ) এর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ ইসলামের শত্রুরা করে যাচ্ছে তার উৎস ও কিন্তু ইবনে ইসহাক।কারন তাবারি, ইবনে ইসহাকের রচনা থেকেই উদ্ধৃতি নিয়েছিল।
আসল ব্যাপারটা হচ্ছে কুমিরের ১ বাচ্চাকে বারবার দেখিয়ে যেমন শিয়াল,কুমিরকে ধোঁকা দিয়েছিল ঠিক তেমনি ইসলাম বিদ্বেষীরা যে ইবনে ইসহাক,ইবনে হিসাম,জারির ইবনে তাবারি এতগুলি নামের রেফারেন্স দেয় মুহাম্মদ (সাঃ) এর বিরুদ্ধে,রসুনের গোঁড়া কিন্তু আসলে ঐ একজনই,আর সে হচ্ছে “ইবনে ইসহাক”,কারন তার হারানো বই থেকে রেফারেন্স নিয়েই ইবনে হিসাম,আর তাবারি এই ২ জন তাদের ইতিহাস রচনা করেছে।
এরপরে আলোচনা করা যায় “ইবনে সাদ” কে নিয়ে।
অনেকেই জানেন না যে ইবনে সাদের(যার রেফারেন্স ইসলাম বিদ্বেষীরা ব্যবহার করে)শিক্ষক ছিল “আল অয়াকিদি” নামের এক শিয়া।
আল অয়াকিদি সম্পর্কে তার সমসাময়িকরা কি বলেছেন দেখা যাক,
আল শাফেয়ী বলেন,”আল অয়াকিদি একজন মিথ্যুক।“
ইবনে হানবাল বলেন,””আল অয়াকিদি একজন মিথ্যুক।“
ইমাম বুখারি বলেন তিনি আল অয়াকিদির থেকে একটি শব্দও লিখেন নাই।
আবদ আল্লাহ ইবনে আলী আল মাদানি বলেন,”আল অয়াকিদির কাছে ২০০০০ “হাদিস” আছে যেগুলি আমি কোনদিন আর কারো কাছে শুনিনি”।
আশ শাফেয়ী বলেন,” মদিনাতে ৭ জন ব্যাক্তি ছিল যারা হাদিসের বর্ননা পরম্পরাতে ভেজাল মেশাত,তাদের একজন হচ্ছে আল অয়াকিদি।“
এমনকি ইবনে সাদের গবেষণাকর্মের ইংরেজি অনুবাদক লিখেছিলেন,”যে ব্যাক্তি ইবনে সাদের কাছে বর্ননা করেছিল সেই আল অয়াকিদির কুখ্যাতি আছে জাল হাদিস বর্ননাকারী হিসেবে।“
অনেকে ভেবে থাকেন ইবনে ইসহাকের লেখা বই হচ্ছে মুহাম্মদ(সাঃ)এর জীবনির সবচেয়ে প্রাচীন বিবরন,আসলে কথাটা মিথ্যা।
সাহল ইবনে হাতমা(রাঃ)যিনি একজন অল্পবয়স্ক সাহাবি ছিলেন তিনি মুহাম্মদ (সাঃ) এর জীবনীর উপরে কিছু লিখিত বিবরন তৈরি করেছিলেন যেগুলি ইবনে সাদ,তাবারির বর্ননাতেও আছে।
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস(রাঃ)এর এ ব্যাপারে কিছু লিখিত বিবরণ ছিল।
সাইদ ইবনে সাদ ইবনে উবাইদা আল খাজরাজি যার লিখিত বিবরন মুস্নাদ ইবনে হানবাল এবং তারিখে তাবারিতে আছে।
উরআ ইবনে আল জুবায়ের(মৃত্যু ৭১৩ সালে),সাইদ ইবনে মাসাইব আল মাখজুমি(মৃত্যু ৯৪ হিজরি),আবু ফিদালা (মৃত্যু ৯৭ হিজরি),আব্বান ইবনে উসমান ইবনে আফফান,আমির ইবনে সাহারাহিল প্রমুখের উল্লেখযোগ্য কাজ করেছে মুহাম্মদ(সাঃ)এর জীবনীর বিভিন্ন অংশের বর্ননাতে।
আল হালাবি নামের এক শিয়া স্কলারের বর্ননাতেও মুহাম্মদ(সাঃ) এর বাবা এবং দাদার একই দিনে বিয়ে করার বানোয়াট কথা এসেছে।এই আল হালাবি ছিল বিশিষ্ট মুসলিম বিদ্বেষী যে কিনা শুধু লেখালেখির মাধ্যমেই ইসলামের ক্ষতি সাধনে ব্যস্ত ছিল না,অনেক মুসলিমকে খুন করার ঘটনাও আছে তার।
অনেকে আল্লামা ইবনে কাসিরের লেখাতে এই ঘটনাটির উল্লেখ থাকার কথা বলেন।কিন্তু তাঁরা যে কথাটি বোঝেন না যে ইবনে কাসিরের লেখা “আন বিদায়া ওয়ান নিহায়া” গ্রন্থের সুচিপত্রেই লেখা আছে যে বইটির ঘটনাবলিতে অত্যন্ত জয়িফ(দুর্বল)হাদিসও আছে।বইটিতে যেসব হাদিস অথবা ঘটনা উল্লেখ আছে সেগুলি বিভিন্ন সাহাবি/তাবেইন দের ধারাবাহিকতা যোগে উল্লেখ করা হলেও হাদিসগুলি/ঘটনাগুলি সহিহ কিনা সেটা আল্লামা ইবনে কাসির বলেন নি।ব্যাপারটা এরকম বুখারি/মুসলিম শরিফের হাদিস ১০০ ভাগ সহিহ,কিন্তু অন্যান্য হাদিস গ্রন্থের হাদিসগুলি সাহাবি/তাবেইন দের উল্লেখ থাকার পরেও সনদগত কিছু দুর্বলতার কারনে ১০০ ভাগ সঠিকটা দাবি করতে পারে না।ইবনে কাসির ও তার বইতে উল্লেখিত হাদিস/ঘটনাগুলির সবগুলিকে সঠিক হিসেবে সত্যায়িত করেননি,তিনি কেবল হাদিস/লোকমুখে প্রচলিত ঘটনাগুলি উল্লেখ করেছেন।
শুধু তাই নয় ইতিহাসের বিবরণ দিয়ে গিয়ে কোন কোন হাদিসের উল্লেখ করলেও বলেছেন হাদিসটি অত্যন্ত জয়িফ।আর তার বইয়ের উল্লেখিত সব হাদিস/ঘটনা যে সঠিক হবেই সেটার নিশ্চয়তা দেননি।
ইবনে কাসিরের লেখা “আন বিদায়া ওয়ান নিহায়া” মুলত তাবারির লেখা শিয়া রেফারেন্স ওইয়ালা বইয়ের জবাব হিসেবে লেখা হয়েছিল।
এ কারনে তাবারির বইয়ের ঘটনা তাঁকে নিজের বইতেও উল্লেখ করতে হয়েছিল তার ফলেও অনেকে তাবারির বইয়ের উল্লেখিত ঘটনাকে ইবনে কাসিরের দ্বারাও উল্লেখিত বলে ভুল করেন।
আর একটি কথা সবাইকে মনে রাখতে হবে যে ইবনে কাসিরের বইয়ের নামে যেসব ঘটনা উল্লেখ করা হয় বাংলা/ইংরেজিতে তার বেশ কিছু ঘটনা ইবনে কাসিরের” আন বিদায়া ওয়ান নিহায়া” বইয়ের মূল মিসরিয় নোসখাতে নেই।
মূল কথা হচ্ছে শিয়া ধর্মালম্বিদের কাছে মুহাম্মদ(সাঃ)নয়,তাদের বানানো ১২ জন “ইমাম” হচ্ছে তাদের ধর্মের ভিত্তিমূল।তাদের ইমামদের সম্পর্কে তাদের আকিদা বা বিশ্বাস কি তা অনেকেই জানেন না।
মূল বিষয় হলো এই ইমামদের সম্পর্কে এদের ভয়াবহ আকিদাগত বিশ্বাস যা প্রকাশ্য শির্ক ও কুফর, যা কিনা তাদেরকে ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয়। ইরানের সাম্প্রতিক রেভ্যুলশনের নেতা খোমেনী তার ‘হুকুমাত আল ইসলামিয়াহ’ নামের বইতে ইমামদের ব্যাপারে শিয়া বিশ্বাস সম্পর্কে পরিস্কার তুলে ধরেছেন। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, বর্তমানের অধিকাংশ শিয়া খোমেনীর থিওরী ও খোমেনিজমে বিশ্বাস করে। এই বইতে তিনি উল্লেখ করেছেন ইমামরা এমন এক আসনে আসীন, যে তাঁরা সকল ফেরেশতা এমনকি রাসুলদের চেয়েও অগ্রগামী। তিনি লিখেছেন ইমামগণ এই পৃথিবীর প্রতিটি অনুর উপর ক্ষমতাবান ও তাঁদের প্রতিটি কাজ কোনো রকম প্রশ্ন ও সন্দেহের উর্ধ্বে। তবে এ কথা ও বিশ্বাস শুধু খোমেনীর নয়, বারো বা সাত ইমামে বিশ্বাসী সকল শিয়া এই আকিদা পোষণ করে। শুধু তাই নয়, তাদের অনেকে আরো বিশ্বাস করে যে, ইমামগণ সকল জ্ঞানের মালিক-যা প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য, যা জানা কিংবা অজানা।
আসলে খৃস্টানরা যেমন ইসা(আঃ)কে “খোদা” মনে করে,তেমনি এই শিয়ারাও আলি(রাঃ),
ফাতেমা(রাঃ),হাসান(রাঃ),হুসাইন(রাঃ)কে এবং তাদের বানানো ১২ জন ইমামকে খোদা মনে করে।নিচে এর প্রমান হিসেবে একটি ভিডিও লিঙ্ক দেওয়া হল যেখানে ইরানের খোমিনির খুব ঘনিষ্ঠ একজন গায়কের গানের ভিডিও রয়েছে যেখানে সে সরাসরি আলি(রাঃ) কে আসমান এবং জমিনের সৃষ্টিকর্তা এবং খোদা বলেছে
,তাছাড়াও শিয়াদের গান গাওয়ার ভিডিও রয়েছে যেখানে তারা বলছে “জাহরা(ফাতেমা) ছাড়া কোন ইলাহ(খোদা) নেই,এক মৃত্যুপথযাত্রি শিয়া বলছে যে হুসাইন হচ্ছে তার খোদা,আরেকদল সিয়াকে দেখা যাচ্ছে যে তারা বলছে তারা খোদা হিসেবে আলি(রাঃ) এর কাছে সাহায্য চায়।
https://0.facebook.com/story.php?story_fbid=1537681369812690&id=1449046475342847&refid=52&__tn__=*s
ইসলাম বিদ্বেষীরা মুহাম্মদ(সাঃ) সম্পর্কে কুৎসা রচনার জন্যে ইবনে ইসহাক ও অন্যান্য শিয়া ঐতিহাসিকের রেফারেন্স নিলেও তারা ভুলেও শিয়াদের উপরোক্ত বিশ্বাসগুলির কথা মুখেও আনেনি।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে প্রমানিত হলো, ইছলাম বিদ্বেষীরা যেসব কথা ইছলামের নামে ছেড়ে দিয়ে বিভ্রান্তী ছড়াই তা মিথ্যে.....!!!
২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:৫২
রানার ব্লগ বলেছেন: আপনার উল্লেখিত লিঙ্ক কাজ করে না আর এই সব কথা বার্তা কৈ পেয়েছেন এটাই বুজতেছি না। সবাই দেখি নয়া নয়া কথা বার্তা নিয়া হাজির হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ১:২৬
এ আর ১৫ বলেছেন: ব্যাপারটা এরকম বুখারি/মুসলিম শরিফের হাদিস ১০০ ভাগ সহিহ,কিন্তু অন্যান্য হাদিস গ্রন্থের হাদিসগুলি সাহাবি/তাবেইন দের উল্লেখ থাকার পরেও সনদগত কিছু দুর্বলতার কারনে ১০০ ভাগ সঠিকটা দাবি করতে পারে না।
তাহোলে পড়ুন মেহেদী পরাগের ব্লগ বুখারি শরিফের হাদিসের ইতিহাস সম্পর্কে ----
পর্ব-১ - হাদীস সংকলনের ইতিহাসঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা
পর্ব-২- বুখারী হাদীস গ্রন্থ ত্রুটিমুক্ত নয়ঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা
পর্ব-৩- ইমাম বুখারীর হাদীস সত্যায়ণ করার পদ্ধতির ভুল ভ্রান্তিসমূহঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা[link||view this link]
পর্ব-৪- ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিমের মাঝে ঝগড়া ও বিরোধের ইতিহাসঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা[link||view this link]
পর্ব-৫- বুখারী শরীফ একটি বিকৃত গ্রন্থঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা[link||view this link]
পর্ব-৬ - যে কারণে মানুষ উদ্ভট হাদীসগুলো বিশ্বাস করেঃ শরীয়া আইন এর অনুপযোগিতা