নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য যা তাই বলা হোক

ফিরোজ খান

যতটুকু বলি, সত্য বলি, আর একজন মানুষ হিসেবে বুঝি পুরোটা শুদ্ধ হতে পারব না, তবে চেষ্টা করি, শুদ্ধ হওয়ার।

ফিরোজ খান › বিস্তারিত পোস্টঃ

দোররা কি অত্যাচার নাকি একটি আইনত শাস্তি (যদিও তা শুধুমাত্র ইসলামী নিয়মে)

২৩ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৩:৪৭

দোররা কি অত্যাচার নাকি আইনত শাস্তি? রিমাইন্ড-বা ইন্টারগ্যাশন স্যালে নিয়ে মানুষকে যখন বাটাম দেয়া হয়, কোথায় কোথায় দিয়ে সেদ্ধ ডিম (প্রবেশ করানো হয়) তা যদি পত্রিকার পাতায় উঠত তবে তা কি অত্যাচার হত নাকি শাস্তি হতো? বাদ দিলাম জিজ্ঞাসাবাদের কথা আপনি একজনকে ফাঁিস দিচ্ছেন, কিংবা জেল দিচ্ছেন এটাও তো শাস্তি। থানা হাজতে নিয়ে প্যাঁদানী দিচেছন এটাও তো শাস্তি। এখন প্রশ্ন হলো একটি ইসলামী আইন অনুযায়ী দোররা কিন্তু অত্যাচার না, হ্যা আপনি বলতে পারেন তা আমাদের দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী যার কোন ভিত্তি নাই। কিন্তু আপনি দোররার বিপক্ষে এতটুকুই বলতে পারেন যে, তা কেবল দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তি, কিন্তু ইসলামী আইন যখন যেখানে বিরাজমান থাকবে সেসকল স্থানে কিন্তু যথা নিয়মে নির্দিষ্ট পাপের বিপরীতে দোররা মারা যায়েজ। এখনকার যুগে তো ধর্ষন আর যৌন অত্যাচারের বা সেচ্ছায় জিনাকারীর যে শাস্তি তা কেবল জরিমানা/মুচলেকার বিনিময়ে জামিনের মাধ্যমেই খালাস পাওয়া যায়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে যদি সত্যিকার কোন অপরাধী উপরোক্ত অপরাধে অপরাধী হয়ে থাকতো এবং তাকে প্রকাশ্যে দোররা মারা হত, তবে কিন্তু পাপের সূচক কমত বৈই বাড়ত না (এটা আমার ব্যক্তিগত ধারনা, যদিও)। যাই হোক ইসলামী কোন অনুশাসনের বিপক্ষে কথা না বলে আমরা যদি সে নিদির্ষ্ট আইনের সাথে দেশের প্রচলিত আইনের যে পার্থক্য তা প্রকাশ করে তাদের শাস্তি দাবী করি, তবে তা ভাল হবে। আমরা যদি ইসলামের কোন বিরোধীতা না করে সে সমস্ত লোকের বিরোধীতা করি যারা এ আইন প্রয়োগের অধিকারী না হয়েও যারা প্রয়োগ করতে যায়, তাদের বিরুদ্ধে। আমিও চাই বন্ধ হোক দোররা, কারন দোররা হচ্ছে কেবল মাত্র ইসলামী আইন অনুযায়ী মুসলমানদের জন্যই কেবল প্রযোজ্য, যারা মুসলমান নয়, কিংবা ইসলামী আইনের আওতায় নয় তাদের জন্য এ ব্যবস্থা অবশ্যই অপরাধ, অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-৬

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:০৬

লেখাজোকা শামীম বলেছেন: কথাটা সেখানেই, বিচার করার একমাত্র এখতিয়ার আদালতের। কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের না। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীরও বিচার করার কোন অধিকার নাই।

২| ২৩ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:১০

রবিনহুড বলেছেন: ইসলামী আইনে দোররা মারার বিধান থাকলেও সেটা হতে হবে রাষ্ট কতৃক নিযুক্ত বিচারক কতৃক বিচারের রায়ের আলোকে।

গুটি কয়েকটা মোল্লা কতৃক ফতোয়া দেবার ও দোররা মারার বিধান নেই ও প্রয়োগ করতে পারে না। এই রকম করা হলে সেটা ইসলাম সম্মত কাজ হবে না।

আমাদের দেশে ভূল ব্যক্ষা করে সেটা প্রয়োগ করা হয়। এই পদ্বতি ইসলাম সম্মত নয়।

৩| ২৩ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:১৩

রিয়াজুল ইস্‌লাম বলেছেন: ইসলামিক কোন রাষ্ট্রে যারা ইসলাম ধর্মের অনুসারি তাদের ক্ষেত্রে এই শাস্তি প্রযোজ্য। কিন্ত যেখানে ইসলামি আইনের বাস্তবায়ন নেই সেখানে এটা প্রয়োগ করা একেবারেই হাস্যকর।

এবং ইসলামিক রাষ্ট্রেও ঐ বিচার কার্য করবে ইসলামি শরিয়া আদালত।

৪| ২৩ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৪:৩০

ফিরোজ খান বলেছেন: আমি কিন্তু ইসলামে স্বার্থে ইসলামী বিধান ব্যবহারে আগ্রহী কিন্তু । আমাদের মত দেশে সরকার প্রধান থেকে ব্যক্তি পর্যন্ত কেবল মুসলমান নাম ধারী মানুষ, সেখানে এ দোররা মারার কোন যুক্তি নাই।

৫| ২৩ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৮

অমি রহমান পিয়াল বলেছেন: আপনারে তো আমি শুরুতে অন্য কেইস ভাবছিলাম, এই লেখাটা পইড়া সিদ্ধান্ত পাল্টাইলাম। যাহোক, পোস্টে আমি রবিন হুডের সঙ্গে একমত

৬| ২৩ শে জুন, ২০০৯ বিকাল ৫:৫৭

সাইফ শামস বলেছেন: দোররা মারার আগে দয়া করে কোরানশরীফ পরে নেবেন।

নীচের লিংকে বাংলা+ইরেজী+আরবী কোরানশরীফ আছে।
http://www.quraanshareef.org/

সবাই(বিশেষ করে মুসলমানগণ) যদি মাতৃভাষায় কোরান পড়া থাকত, তবে মোল্লাদের দৌড়াত্ব অনেক কমে যেত।

৭| ২৪ শে জুন, ২০০৯ রাত ২:০৮

হাসান মাহবুব বলেছেন: আয়া পরচে ইসলামের ত্রানকর্তা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.