১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৩

াহো বলেছেন: জামায়াত-শিবিরের ভয়াবহ তাণ্ডব,লক্ষ্য পুলিশ (ভিডিও)

অনলাইন ডেস্ক | তারিখ: ২৮-০১-২০১৩

০ মন্তব্যপ্রিন্ট
ShareThis





« আগের সংবাদ

ঢাকা, চট্টগ্রাম, সাতক্ষীরা, রাজশাহী, দিনাজপুর, ফরিদপুর, সুনামগঞ্জ, বগুড়া ও জয়পুরহাটে আজ সোমবার জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে সংঘর্ষে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সাতক্ষীরায় পুলিশের কাছ থেকে রাইফেল কেড়ে নিয়ে তাঁদের বেধড়ক পিটিয়েছেন জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এ ছাড়া বিভিন্ন জেলায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। আগুন দেওয়া হয় পুলিশের গাড়িতে। সংঘর্ষ চলাকালে জেলায় জেলায় ককটেল বিস্ফোরণ ও গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে।

ঢাকা
রাজধানীর মতিঝিল এলাকায় আজ সকালে ঝটিকা মিছিল বের করেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। পুলিশ তাতে বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। শিবিরকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। এ সময় তাঁরা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর ও তাতে আগুন ধরিয়ে দেন। এ ঘটনায় মোট ৫৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি এলাকায় সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অন্তত ১১টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে পুরো ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ছাত্রলীগের অভিযোগ, ছাত্রদল ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা এসব বিস্ফোরণ ঘটান। ছাত্রদল এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে।

চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে জামায়াত-শিবির ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা চালান জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। সংঘর্ষ চলাকালে চারজন গুলিবিদ্ধ হন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হন। এদিকে, নগরের বিটিআরসি এলাকায় সকাল সোয়া ১০টায় ঝটিকা মিছিল বের করেন শিবিরের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান লক্ষ্য করে পাথর ছুড়লে একজন পুলিশ সদস্য আহত হন। চট্টগ্রাম কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) উত্পল বড়ুয়া প্রথম আলো ডটকমকে জানান, মিছিলটি পাঁচ মিনিটও স্থায়ী হয়নি।

সাতক্ষীরা
সাতক্ষীরায় জামায়াত-শিবিরের মিছিলে বাধা দেওয়ায় পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়। সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জমান জানান, জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা রাইফেল কেড়ে নিয়ে পুলিশকে বেধড়ক পিটিয়েছেন। এ সময় একজন উপপরিদর্শকসহ সাতজন পুলিশ আহত হন। তাঁদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জামায়াত-শিবিরের দুজন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

রাজশাহী
সকালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন বিনোদপুর বাজার এলাকায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। সংঘর্ষ চলাকালে প্রায় ১৫টি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটায় শিবির। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ ৫০টি রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। সংঘর্ষে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবদুস সোবহান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

দিনাজপুর
দিনাজপুর শহরের মুন্সিপাড়া এলাকায় সকাল ১০টার দিকে শিবিরকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে এক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করেন শিবিরকর্মীরা।

ফরিদপুর
ফরিদপুর শহরের জনতা ব্যাংকের মোড় এলাকায় আজ বেলা ১১টার দিকে শিবিরের মিছিল থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এ সময় পুলিশ লাঠিপেটা করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মিছিল থেকে ‘দৈনিক সংগ্রাম’ পত্রিকার জেলা প্রতিনিধিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্টেশন এলাকায় জামায়াত-শিবির মিছিল বের করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। সেখান থেকে দুই শিবিরকর্মীকে আটক করে পুলিশ। সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বগুড়া
বগুড়ার পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হক জানান, বগুড়ার সাতমাথা এলাকা থেকে আজ সকালে ঝটিকা মিছিল বের করে ইসলামী ছাত্রশিবির। এ সময় পুলিশ তাদের ধাওয়া দেয়। পালানোর সময় মিছিলকারীরা বেশ কয়েকটি সড়ক বিভাজন ও সড়ক প্রাচীর ভেঙে ফেলে।

জয়পুরহাট
জয়পুরহাটে জামায়াত-শিবির আজ সকালে ঝটিকা মিছিল বের করে। এ সময় আমতলী এলাকায় পেট্রল ঢেলে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রশিদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মিছিলটি ধাওয়া করে দুই শিবিরকর্মীকে আটক করে।

মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের রায় নিয়ে জামায়াত-শিবিরের মধ্যে অসন্তোষ চলছে। এর মধ্যে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। সর্বশেষ, মানবতাবিরোধী অপরাধের রায়ে জামায়াতের নেতা আবুল কালাম আযাদের ফাঁসির দণ্ড হয়। এর পরই পুলিশকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকতে বলা হয়।

Click This Link

২| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:১৫

মোমের মানুষ বলেছেন: ইউটিউব ভিডিও কাজ করে না, তাই লিংক দিয়া লাভ নাই

৩| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৬

লিঙ্কনহুসাইন বলেছেন: পুলিশের আত্মরক্ষার জন্য গুল্লি করার নির্দেশ দেওয়া হোক

৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৪

দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: They're desperate.

৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৭

কলাবাগান১ বলেছেন: পায়ের নিচে মাটি নাই রাজাকারদের.. তাই ৭১ এর মত তান্ডব।

৬| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩৪

লিন্কল্ন বলেছেন: পুলিশের আত্মরক্ষার জন্য গুল্লি করার নির্দেশ দেওয়া হোক। সেই সাথে প্রাইভেট গাড়ির মালিকদেরকে তাদের গাড়িকে ভাঙ্গার থেকে রক্ষা করার জন্য কিছু ব্যবহার করার অনুমতি দিতে হবে।