![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লেখালেখি করতে ভালো লাগে।
প্রথম যেদিন আমি গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। মনের মধ্যে অনেকগুলো বিষয় কাজ করেছিল। অচেনা জায়গা,রাস্তাঘাট কিছু চিনিনা। কোথায় থেকে কোথায় যায়? কে জানে। একদিকে নতুন চাকরী ও নতুন স্থান যাওয়ায় আকাঙ্খা ান্যদিকে প্রিয় শহর,প্রিয় স্থাান ত্যাগ করে চলে আসার বেদনা। দু'টোয় কাজ করছিল মনের ভিতর। পাশের সিটের লোকটির দিকে বার বার সেন্দেহের চোখে তাকাচ্ছিলাম। বাস যখন পুণৃ গতিেতে চলছিল--এক দুই কথা থেকে বুজলাম লোকটা বেশ ভদ্র ও শিক্ষিত। বয়স-৩৫-৪০ হবে। একটা সময় ঘুমিয়ে পড়লাম। ভোর হতেই নেমে গেলাম বাঘের বাজার। নামটা শুনেই প্রথমে মনের মধ্যে খটকা লাগল। মনে মনে এককথা প্রকাশ পড়তে লাগলাম- যে বাজারে বাঘ পাওয়া যায় তাকে বাঘর বাজার বলে। মসজিদের মোয়াজ্জিন যখন আযান দিল ঠিক তখন বাঘের বাজার এসে পৌছলাম। চারদিকে তাকিয়ে দেখলাম একটা ছোট টংয়ের চা দোকান খোলা আছে। একটু আশ্চর্য ও খুশি হলাম। এ সময় চা খাওয়াটা খুব দরকার। টেবিলে ব্যাগটা রেখে বসে বললাম- ভাই একটা চা দেন তো? লোকটা আমার দিকে বাকা চোখে তাকাল্। এরপর চা বানাতে মনযোগ দিল। পাশে একটা বলদ ধরনের লোক হাতে বড় টর্চলাইট নিয়ে বসে আছে। ভাবলাম দারোয়ান হবে। চা খাওয়া যখন প্রায় শেষ। দারোয়ানটা জিজ্ঝেস করলো," ভাই কোথায় থেকে আসলেন? আমার সরল উত্তর- চিটাগাং থেকে। দেখি বেঘের ভিতর কি?
আমি একটু ভয় পেলাম। কিন্তু মুখ শক্ত রাখলাম। শক্ত গলাম বললাম কেন্? আমার বেগ আপনাকে দেখাবো কেন্?
তারপর----তারপর এর কাহানী নাই বা বললাম। প্রথম দিন গাজীপুর এসে একটা বাজে ধারনা তৈরি হল। বাপরে! কোন দেশে আইসা পড়লাম? দেখতে দেখতে এক বছরের বেশী সময় পার করে পেললাম। ভালোইও লাগছে। এইভাবে জীবন চলে যাবে? চলে যাক--- ক্ষতি কি?
©somewhere in net ltd.