‎ছাত্র‬-ছাত্রীদের স্বপ্ন দেখানো টা অনেক জরুরী।

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৪৯

আমি ২০০৬ সালে মুছাপুর বদিউজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস,এস,সি পাশ করেছি।
এস,এস.সি তে ভাল রেজাল্ট জীবনের জন্য কতটা জরুরী তা আমি বুঝেছি যখন চট্টগ্রাম পলেটেকনিক এ অল্প পয়েন্ট এর জন্য পড়তে পাড়িনি।ওখানে পড়তে পারলে হয়ত হাতুড়ে ইঞ্জিনিয়ার হলেও হতে পারতাম!! আর এখন হয়েছি একজন চাকুরিজিবী। ছাত্রজীবনে আমি নিজেও জানতাম না আমি জীবনে কি হব? সেই স্বপ্ন কেউ আমাকে দেখায়নি, আমি নিজেও দেখিনি। চট্টগ্রাম এর একটি সাধারণ কলেজ থেকে আমাকে এইচ.এস.সি পাশ করে সন্তুষ্ট থাকতে হল । আমাদের স্কুল ছাত্র-ছাত্রীরা আসলে বুঝেনা এস.এস.সি তে ভাল রেজাল্ট তার জীবনের জন্য কতটা গুরুত্বপুর্ণ। গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা মনে করে হয়ত পাশ করতে পারলেই বাঁচি। মা-বাবার বকা শুনা লাগবে না। পড়াশুনা করার সময় মা-বাবাকে ফাঁকি, শিক্ষকদের ফাঁকি দিয়ে স্কুল জীবন পার করে। এতকিছুর পরও স্কুল থেকে যা শিখে যায় তার হয় ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনের ভিত্তি। এই জ্ঞান উপর ভর করে সে সামনের দিকে এগোয়। স্কুল জীবনে স্যার দের বেত এর ভয়ে কত প্রশ্ন যে মুখাস্ত করেছি, কত প্রেগ্রাপ,easy, মুখাস্ত করেছি। অথচ আজ তার কিছুই মনে নেই। স্যাররা বইয়ের বিষয়ের বাহিরেও ক্লাসে অনেক কথা বলতেন। আজ বেশ বুঝতে পারছি, তারা জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে কেন কথা গুলো বলতেন? বইয়ের বাহিরের কথাগুলো জীবনে কাজে লাগছে বেশী।আমার মনে হয় স্কুল ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশুনা করে ঠিকই, কিন্তু কেন পড়ে? কি জন্য পড়ে? তার জীবনের এটা কতটা জরুরী? সে বুঝে না, জানেনা। ছাত্র-ছাত্রীদের স্বপ্ন দেখানো টা অনেক জরুরী। একজন ডাক্তার হতে হলে তাকে কি করতে হবে? একজন ইঞ্জিনিয়ার হতে হলে তাকে জীবনে কয়টা ধাপ পাড় করতে হবে? অথবা একজন উকিল হলে তাকে কোন বিষয়গুলো জ্ঞান থাকা লাগবে। এই বিষয়গুলো তার ভিতরে ঢুকিয়ে দেয়া দরকার।তাহলে আমার মনে হয় তারা নিজেরাই বুঝতে পারবে তার কি করা উচিত?

‪#‎মুছাপুর‬ বদিউজ্জমান উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করে অনেক ছাত্র- ছাত্রীরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ সরকারী বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে। প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণমুলক এস.এস.সি পরিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানগুলো করা দরকার। তাদের জীবনের সফলতা/ব্যর্থতার গল্প ছাত্র-ছাত্রীদের জানানো দরকার। তাহলে আমার মনে হয় তারা স্বপ্ন দেখতে শুরু করবে।

‪#‎বিশেষ‬ দ্রষ্টব্যঃ এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। ভুল-ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

২ টি +০/-০