![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
যুক্তি,সঠিক তথ্য,কমন সেন্স এবং প্রমাণের উপর বিশ্বাস রাখি
মসজিদ হচ্ছে একটি পবিত্র স্থান এবং মুসলিমদের উপাসনালয়। সব ধর্মের মানুষের কাছে তাদের উপাসনালয় আসলে তাদের নিজ নিজ ধর্মের জন্য অত্যন্ত পাক পবিত্র জায়গা। ইসলাম ধর্মেও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাকে অনেক উঁচুতে অবস্থান দেয়া হয়েছে এবং এর গুরুত্তও অনেক। এমনকি অনেকেই বলে থাকেন মসজিদ বেহেস্তের একটি টুকরা। আজকে আমি একটি বিষয় নিয়ে বলবো।
আমার কাছে প্রশ্ন জাগে যে আমরা কি আসলেই মসজিদকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে পারি? আমার মনে বেশ কিছুদিন থেকেই খটকা লাগছে। আমি দেখেছি সব মসজিদেই মানুষ(৯০% মানুষ) ঢোকার সময় জুতা,স্যান্ডেল হাতে করে নিয়ে ঢুকে। এর কারন বাইরে থাকলে এসব চুরি হবার সম্ভাব্না থাকে কিন্তু আমার প্রশ্ন এটা কি ঠিক? বা কতটা শুদ্ধ।নামাজ পড়ার জন্য ওজু করা ফরজ। কারন নিজেকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রেখে নামাজ পড়া।আমরা বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে নামাজ পড়তে যাই। রাস্তায় কত ময়লা,আবর্জনা,ধুলা,বালি মারিয়ে আসি। জুতা, স্যান্ডেলের তলায় কত ময়লা,নাপাক জিনিস লেগে থাকে। এমনকি যেই জুতা বা স্যান্ডেল পরে টয়লেট করেছি সেটা পরে মসজিদে এসেছি কিন্তু মসজিদে ঢোকার সময় কি অবলিলায় সেগুলো হাতে বা শরিরের সাথে ধরে মসজিদে ঢুকে যাচ্ছি। সেই জুতা,স্যান্ডেল থেকে ময়লা নিজের শরীরে লেগে যাচ্ছে,সারা মসজিদে ছড়িয়ে পরছে অথচ আমাদের খেয়াল নেই। বর্ষাকালে মুসল্লি সামনের কাতারে এগিয়ে যাচ্ছেন আর তার জুতা,স্যান্ডেল থেকে পানি এবং ময়লা টুপ টুপ করে সারা মসজিদে পড়ছে। শুধু তাই নয়। সেই জুতা,স্যান্ডেল মাথার কাছে রাখছি এবং সেজদা দেয়ার সময় সেগুলো মাথাও লাগছে। সবার হাতে হাতে এসব জুতা,স্যান্ডেল মসজিদের সামনের কাতার পর্যন্ত চলে যাচ্ছে। আমার প্রশ্ন এসব নাপাক জুতা, স্যান্ডেল হাতে নিলে কি ওজু ঠিক থাকে?বা এসব জুতা, স্যান্ডেল মসজিদের ভেতর নিলে মসজিদের পবিত্রতা কতটুকু রক্ষা হয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি জুতা,স্যান্ডেল মসজিদের ভেতরে নেইনা। আমার নিজেরই খুব খারাপ লাগে যখন দেখি আরেকজন আমার পাশ দিয়ে তার স্যান্ডেল হাতে করে নিয়ে যাচ্ছে আর তার স্যান্ডেলের তলায় থাকা ময়লা আমার গায়ে এবং মসজিদের মেঝেতে পড়ছে। মাঝে মাঝে এত খারাপ লাগে যে মসজিদে যেতেই ইচ্ছা করেনা। নিজের জীবন বাচানো নাকি ফরজ কিন্তু তাই বলে জুতা, স্যান্ডেল চুরির ভয়ে মসজিদের ভেতর নেয়া কি ঠিক?
বিভিন্ন ধর্মের উপাসনালয়ে আমার যাওয়ার সুযোগ হয়েছে।সবখানেই দেখেছি জুতা,স্যান্ডেল বাইরে রেখে ঢুকতে হয়। এমনকি জুতা,স্যান্ডেল হাতে করে ভিতরে নেয়ার সুযোগ নেই।বাইরেই ব্যাবস্থা আছে বিনে পয়সায় জুতা,স্যান্ডেল টোকেন দিয়ে জমা রাখার যাতে চুরি না যায়।
২| ১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৫:০৩
ভোরের সূর্য বলেছেন: কারো কাছে যদি তার জুতা,স্যান্ডেলের নিরাপ্ত্তা বেশি হয়ে থাকে মসজিদের পবিত্রতা থেকে তাহলে মনে হয় তার মসজিদে না যেয়ে বাসায় নামাজ পড়াই উত্তম।আরে ভাই পারসোনাল হাইজিন বলেও তো একটা কথা আছে।আপনার পাশের জন টয়লেট(বড়)করে সেই স্যান্ডেল হাতে নিয়ে মসজিদে ঢুকলো বা মাথার কাছে রাখলো।কেমন লাগবে আপনার?আপনি তো এটাও জানেন না যে আমি বা আপনি বাসা থেকে মসজিদে আসার সময় রাস্তায় কত ধুলাবালি,ময়লা,নাপাক জিনিস স্যান্ডেলের তলায় লেগে আছে আর সেটা নিয়েই আমরা হাতে নিয়ে বা বগলের তলায় নিয়ে মসজিদে ঢুকে পড়লাম।আপনার পাশ দিয়ে যাচ্ছি আর জুতা,স্যান্ডেল থেকে আপনার গায়ে ধুলাবালি পড়তেছে।
৩| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৩
অনন্ত জীবন বলেছেন: কেমন মানুষের ভীড়ে বাস করছে আমরা!!!! নামাজে বসে জুতার চিন্তা করতে হয়।
আপনার মত অনুভূতি থেকে কখনো ভিতরে জুতা নেইনি। যদিও দু'বার জুতা হারিয়েছি। প্রথমবার জুতা হারানোর পর মসজিদের বাইরে একটা পোস্টার দিলাম "মসজিদে জুতা হারিয়েছে, ফেরৎ না দিলে খালি পায়ে হাটব"
চোরের সাথে অভিমান করে অনেকদিন জুতা পরিনি আর
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৪
ভোরের সূর্য বলেছেন: মজা লাগলো আপনার কথা শুনে।আমি ধার্মিক ব্যাক্তি না কিন্তু যখন যতটুকু ধর্মের কাজ করি ভালভাবে নিয়ম মত মানার চেস্টা করি।যখন জুম্মার নামাজ পড়তে যাই তখন ধরেই নিই যে বেড় হয়ে এসে দেখবো আমার স্যান্ডেল নাই।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭
ভোরের সূর্য বলেছেন: একটা লেখা মুগ্ধতার শেষ সীমায় পৌঁছে গেলে তখনই কেবল সেটা চুরি করার পর্যায়ে পড়ে। নিশ্চিতভাবেই আপনার লেখা সেই সীমায় পৌঁছেছে। যে চুরি করেছে তাকে করতে দিন। চুরি করলেই তো আর সে লেখক হয়ে গেল না, আপনার প্রচারনাই বাড়লো উল্টো। রবীন্দ্রনাথের একটা কবিতা আমার নামে পোস্ট করলে তো আর সেটা আমার হয়ে যাবে না।
আপনার ব্লগে দেয়া কমেন্ট পড়ে মন থেকে সব অভিযোগ,ক্ষোভ দূর হয়ে গেল।খুব সুন্দর বলেছেন ভাই যদিও আমি রবীন্দ্রনাথ নই।ভাল থাকবেন।
৪| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৬
খেয়া ঘাট বলেছেন: ভোরের সূর্য বলেছেন: কারো কাছে যদি তার জুতা,স্যান্ডেলের নিরাপ্ত্তা বেশি হয়ে থাকে মসজিদের পবিত্রতা থেকে তাহলে মনে হয় তার মসজিদে না যেয়ে বাসায় নামাজ পড়াই উত্তম।আরে ভাই পারসোনাল হাইজিন বলেও তো একটা কথা আছে।আপনার পাশের জন টয়লেট(বড়)করে সেই স্যান্ডেল হাতে নিয়ে মসজিদে ঢুকলো বা মাথার কাছে রাখলো।কেমন লাগবে আপনার?আপনি তো এটাও জানেন না যে আমি বা আপনি বাসা থেকে মসজিদে আসার সময় রাস্তায় কত ধুলাবালি,ময়লা,নাপাক জিনিস স্যান্ডেলের তলায় লেগে আছে আর সেটা নিয়েই আমরা হাতে নিয়ে বা বগলের তলায় নিয়ে মসজিদে ঢুকে পড়লাম।আপনার পাশ দিয়ে যাচ্ছি আর জুতা,স্যান্ডেল থেকে আপনার গায়ে ধুলাবালি পড়তেছে।
অনেক সুন্দর চিন্তা। অনেক ভালো লাগলো ভাই।
৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৭
খেয়া ঘাট বলেছেন: বর্ষাকালে মুসল্লি সামনের কাতারে এগিয়ে যাচ্ছেন আর তার জুতা,স্যান্ডেল থেকে পানি এবং ময়লা টুপ টুপ করে সারা মসজিদে পড়ছে । কী বিশ্রি অবস্থা।
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৪৮
ভোরের সূর্য বলেছেন: আপনার মত এই উপলব্ধিতা আমাদের সব মুসলিমদের হওয়া উচিৎ।ভারতে দেখেছি মন্দিরের বাইরে জুতা রাখার ব্যবস্থা আছে।হাজার হাজার মানুষ রাখছে আবার বেড় হয়ে জুতা নিয়ে যাচ্ছে টোকেন ফেরত দিয়ে।ইন্দোনেশিয়াতে দেখেছি মসজিদে একই রকম ব্যবস্থা।
৬| ২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৪২
মোমেরমানুষ৭১ বলেছেন: আসলে ভাই জুতা বাহিরে রেখে মসজিদে গেলে মনে হয় জুতাটা নিয়েই গেল, আর নতুন জুতা হলে এ আশঙ্কাটা আর তীব্র হয়। নামাযের মধ্যে সারাক্ষন জুতার চিন্তা করলে নামাযের কি অবস্থা হবে বলেন তো?
পাশাপাশি মসজিদে জুতার যে চিত্রটা দেখালেন সেটাও মারাত্বক...জুতা গড়িয়ে টপ টপ ময়লা পানি পড়ছে, জুতা থেকে ধুলা বালি পড়ছে ফ্লোরে, মানুষের শরীরে। আসলে এ ক্ষেত্রে মনে হয় একটি কাজ করা যেতে পারে যেটা কিছু কিছু মসজিদে দেখা যায়....মসজিদে ঢুকতেই পলিথিনে করে ভেতরে নিয়ে যাবে। এতে মসজিদেরও পবিত্রতা রক্ষা হবে।
২০ শে মার্চ, ২০১৪ রাত ১০:৫৫
ভোরের সূর্য বলেছেন: আপনি যখন মসজিদে ঢুকবেন তখন শুধু সেইসময়ের জন্য দুনিয়াদারি ত্যাগ করতে হবে। আপনি,আমি যদি নামাজের জন্য সামান্য জুতার মায়া ত্যাগ না করতে পারি তাহলে কিসের নামাজ আর কিসের এবাদত।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:১৮
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভালো একটা বিষয় পয়েন্ট আউট করেছেন। এই ব্যাপারটা আমিও লক্ষ্য করেছি। কিন্তু আমাদের দেশের যে সামাজিক নিরাপত্তার অভাব, সেটার কথা মাথায় রাখলে তখন হয়ত লজিক খুঁজে পাওয়া যায়।